Search
Generic filters
Search
Generic filters
যাঁদের লেখায় সমৃদ্ধ

কোরিওলেনাস: শেক্‌স্‌পিয়র থেকে ব্রেশ্‌ট্‌

শুভেন্দু সরকার

শুভেন্দু সরকার

My Other Posts
তৎকালীন সমাজের আর্থ-রাজনৈতিক দ্বন্দ্বগুলি ফুটে উঠেছে শেক্‌স্‌পিয়র-এর কোরিওলেনাস-এ। কিন্তু সেসব দ্বন্দ্বর সংশ্লেষণ ঘটানোর চেষ্টা এখানে অনুপস্থিত। সেটা অবশ্য স্বাভাবিক। ইতিহাসের ওই পর্যায় সাধারণ মানুষকে নেতৃত্ব দিতে গড়ে ওঠেনি কোনও আলাদা শ্রেণি। খেটে-খাওয়া জনতার সামনে এককাট্টা হওয়ারও সুযোগ আসেনি। নির্দিষ্ট রাজনৈতিক কর্মসূচি আর ক্ষমতাদখলের প্রশ্ন তাই মূল্যহীন। সমাজের অর্থনৈতিক বুনিয়াদে আমূল পরিবর্তন না-ঘটলে তা অসম্ভব। সেইজন্যে কোরিওলেনাস-এর দ্বন্দ্বগুলির মধ্যে ঐক্যস্থাপন করা গেল বিশ শতকে বের্টল্ট ব্রেশ্‌ট্‌ (১৮৯৮-১৯৫৬)-এর রূপান্তরের মাধ্যমে।

নীরব-সরব

সোনামণি জয়ন্ত

সোনামণি জয়ন্ত

My Other Posts
একান্নর এবার কান্না পেল। কান্নার অনুভূতি আর সত্যিসত্যি কান্নার মধ্যে কি তফাত আছে? আছে। অনেক তফাত আছে। সত্যিকারের কান্না হল গিয়ে রক্ত-মাংসে গড়া! বুকের ভেতর কী যেন একটা মোচড় দিয়ে ওঠা। চোখের কোণে জমা জল টসটস করে, গালের ওপর দিয়ে গড়িয়ে পড়া! আরও কত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের যোগদান থাকে তাতে। একান্ন ভাবল, যখন সত্যি কান্নার সুযোগ ছিল, তখন ভয়ে কাঁদিনি। লোকে দেখে ফেললে কী বলবে? আর আজ, কান্নার জন্য সবচেয়ে জরুরি, নিজস্ব শরীরটাতেই আর প্রাণ নেই।

হাপু: কৌতুক-কথায় বিদ্ধ করে সমাজকে

অরিজিৎ চক্রবর্তী

অরিজিৎ চক্রবর্তী

My Other Posts
ছোট ছেলেমেয়েরা হাপু খেলা দেখিয়ে বেড়ায়। ডান হাতে থাকে শক্তপোক্ত একটা লাঠি। বেত কিংবা বাঁশের সেটা। হাত ঘুরিয়ে সপাটে আঘাত করে চলে নিজেরই খোলা পিঠে। সপাং সপাং শব্দ ওঠে দর্শক-শ্রোতাদের চমকে দিয়ে। একই সঙ্গে বাম হাতের চেটো ডান বগলে ঢুকিয়ে বিচিত্র শব্দের উচ্চারণ করতে থাকে তখন। আর মুখে ফোয়ারার মত ঝরতে থাকে গানের কলি। আর মাঝে মাঝে হাপু শব্দের উচ্চারণ। সে এক ভারি অতুলনীয় কৌতুককর পরিবেশ গড়ে ওঠে।

হে মহাজীবন, আর এ তত্ত্ব নয়

অমিতাভ ভট্টাচার্য

অমিতাভ ভট্টাচার্য

My Other Posts
ব্রাহ্মণ্য ধর্মে তিনটে জল-অচল কামরা আছে, কর্মকাণ্ড, জ্ঞানকাণ্ড আর ভক্তি। ও তিনে মেলে না। কিন্তু ‘গীতা’-য় তিনটেই স্বীকৃত। বেদস্তুতি চান? ‘গীতা’-য় পাবেন। বেদনিন্দা চাই? তা-ও ‘গীতা’-য় আছে। ‘গীতা’ অনুযায়ী চার ধরনের লোক কৃষ্ণর কাছে আসতে পারেন, আর্ত (বিপদগ্রস্ত), জিজ্ঞাসু (তত্ত্বজ্ঞান-ইচ্ছুক), অর্থার্থী (টাকাকড়ি পেতে চান) আর, জ্ঞানী। কেন সবেতেই এমন মিলিঝুলির বন্দোবস্ত রয়েছে ‘গীতা’-তে? যাগযজ্ঞ আর ব্রহ্মচিন্তা দুই-ই জায়েজ। জ্ঞানী আর টাকাকড়ির প্রত্যাশীর মধ্যে কোনও ভেদ নেই।

মুঘল মিনিয়েচার ও এক আশ্চর্য সম্রাটের গল্প

অরিজিৎ চক্রবর্তী

অরিজিৎ চক্রবর্তী

My Other Posts
তাব্রিজ শহরের চিত্রকর মীর মনসুরের ছেলে মীর সঈদ আলি মাইকেলেঞ্জেলো কিংবা রসেটির মত একাধারে ছিলেন কবি ও শিল্পী। তাঁরই সমসাময়িক সিরাজ নগরীর খাজা আবদুস সামাদ খ্যাত হয়েছিলেন চিত্রকর ও অলঙ্কৃত লিপির কুশলী বিশারদ হিসেবে। বলতে গেলে হুমায়ুনের আগ্রহে এবং আকবরের আনুকূল্যে মুঘল চিত্রকলার গোড়াপত্তন করেন এঁরাই। ছেলেবেলায় নানা কারণে প্রথাগত বিদ্যাশিক্ষার সুযোগ হয়নি আকবরের। কিন্তু ছবির জগৎকে তিনি গড়ে নিয়েছিলেন শিক্ষার বাহন হিসেবে।

দাস রাধাময়: বেঁচে থাকবেন জয়দেব আন্দোলন আর লোকগানে

রাধামাধব মণ্ডল

রাধামাধব মণ্ডল

My Other Posts
জয়দেবের যে আশ্রম ঘিরে সাংস্কৃতিক উন্মাদনার ঝড় উঠেছিল ১৯৬৮ খ্রিস্টাব্দে, সেই শ্রীশ্রী ঠাকুর হরিদাস আশ্রমের প্রতিষ্ঠাতাও দাস রাধাময়। এই আশ্রম প্রতিষ্ঠা করে সহধর্মিণী আশালতাকে নিয়ে পাকাপাকিভাবে জয়দেবেই থাকতেন। তাঁর গানের বন্যায় ভাসিয়ে দিয়েছিলেন এলাকার সংস্কৃতিপ্রেমীদের। পরবর্তীকালে বর্ধমানের কবি কুমুদরঞ্জন মল্লিকের শিষ্যত্ব গ্রহণ করে কুমুদকিঙ্কর নামও নিয়েছিলেন। তিনি দুবরাজপুরে ‘চণ্ডীদাস প্রেস’ ও জয়দেব থেকে ‘চণ্ডীদাস’ পত্রিকা প্রকাশ করতে শুরু করেন। পাশাপাশি কেন্দুলিতে প্রতিষ্ঠা করেন ‘জয়দেব অনুসন্ধান সমিতি’।

জাতপাতের বিরোধিতায় বঙ্কিমচন্দ্রের ‘সাম্য’

অমিতাভ ভট্টাচার্য

অমিতাভ ভট্টাচার্য

My Other Posts
আর্থিক ও সামাজিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে ও এইসব ক্ষেত্রে সাম্যনীতি প্রয়োগের কথা বলে লেখা এই বই। অবশ্যই সীমাবদ্ধতা অনেক, কিন্তু তাতে লেখকের উদ্দেশ্যের কোনও হানি হয় না। বঙ্কিমচন্দ্র নিজের দেশের মানুষের আর্থিক দুর্দশা এবং অশিক্ষা নিয়ে অত্যন্ত চিন্তিত ছিলেন। একটি তত্ত্বে নিজের মত করে বিশ্বাস করতেন, দেশের মানুষের মধ্যে জ্ঞানচর্চা না বাড়লে দুর্দশার হাত থেকে মুক্তি নেই।

আব্বাস কিয়ারোস্তমির কবিতা

শাশ্বত বন্দ্যোপাধ্যায়

শাশ্বত বন্দ্যোপাধ্যায়

My Other Posts
আব্বাস কিয়ারোস্তমি (২২ জুন ১৯৪০-৪ জুলাই ২০১৬) মুখ্যত একজন ইরানি চলচ্চিত্রনির্মাতা। পাশাপাশি তিনি একজন কবি এবং চিত্রগ্রাহক। তাঁর কবিতাগুলির রেটিনায় ধরা পড়ে ইরানের শারীরবৃত্তীয় রুক্ষতার চিত্রকল্প। মিচেল বিয়ার্ড এবং আহমেদ কারমিনি হাক্কাক অনূদিত, কিয়ারোস্তমির লেখা ‘ওয়াকিং উইথ দ্য উইন্ড’ (২০০১) কাব্যগ্রন্থ থেকে ছ’টি কবিতা বাংলা ভাষান্তরে।

প্রভাত চৌধুরী: তাঁর কবিতার মধ্যে পাই একজন একনায়ককে

বিভাবসু

বিভাবসু

My Other Posts
প্রভাত চৌধুরী কবিতায় পাঠককে নিয়ে ছেলেখেলা করেন, মজা করেন। তাঁর কাব্যভাষা খানিকটা আত্মকথা ঢঙের, কিন্তু নিখাদ আত্মকথা নয়। পাঠকের ভাবনাকে তিনি নিজের ইচ্ছেমত দুমড়ে-মুচড়ে ছুড়ে ফেলে দেন। একটা কোনও বিষয়কে বা ভাবনাকে তিনি পাঠকের সামনে তুলে ধরেন ঠিকই, কিন্তু পাঠককে বোঝানোর কোনও দায় তাঁর নেই।

কানু বিনে গীত নাই, রাধা সম প্রীত

মলয়চন্দন মুখোপাধ্যায়

মলয়চন্দন মুখোপাধ্যায়

My Other Posts
কৃষ্ণ আর ফিরে এলেন না। কংসবধের পর মথুরার রাজা হয়ে বসলেন। এদিকে রাধা দিনের পর দিন প্রতীক্ষা করতে করতে একসময় মতিভ্রষ্ট হয়ে উপলব্ধি করতে লাগলেন, যেন কৃষ্ণ ফিরে এসেছেন। এই মতিভ্রম, hallucination আরও ট্র‌্যাজিক। রাধা মায়াময় কৃষ্ণকে দেখে বলছেন, ‘এত দিন পরে বঁধুয়া আইলে/ দেখা না হইত পরান গেলে।’ কৃষ্ণ ফিরে এসেছেন, মর্মে মর্মে এই অলীক বোধ জন্ম নিয়েছে তাঁর মনে।

ভারতের ঐতিহ্যের অন্যতম শরিক বস্তুবাদী চার্বাক দর্শন

অমিতাভ ভট্টাচার্য

অমিতাভ ভট্টাচার্য

My Other Posts
চার্বাক দর্শনের কোনও প্রামাণ্যগ্রন্থ এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে নিশ্চিত প্রমাণ পাওয়া গেছে এই দর্শনের একটি মূলগ্রন্থ ও অন্তত তিনটি টীকার অস্তিত্ব ছিল। চার্বাক দর্শনের কথা অন্যান্য দার্শনিকদের লেখা থেকেই জানা যায়। তাঁরা সকলেই অবশ্য চার্বাকদের প্রতিপক্ষ। খণ্ডন করার জন্যে চার্বাকদের মতামত আগে উদ্ধৃত করা হয়েছে। এবং অবশ্যই খণ্ডনের সুবিধের জন্যে মূল চার্বাকমতগুলোকে হামেশাই বিকৃত করাও হয়েছে।

মামলেট

নন্দিনী কর চন্দ

নন্দিনী কর চন্দ

My Other Posts
লম্বা গলার অ্যালুমিনিয়াম বা স্টিলের গ্লাসে একটা চামচ দিয়ে একটার পর একটা ডিম ভেঙে সুনিপুণ হাতে একটা সুরের মত তা ফেটিয়ে সাথে গোলগোল করে কাটা কাঁচালঙ্কা আর ছোট চারকোনা শেপে পেঁয়াজ কুচি মিশিয়ে, প্রায় কালচে হয়ে যাওয়া একধরনের হাতাওলা তাওয়ায় তাকে সযত্নে বিছিয়ে দিয়ে মাঝারি আঁচে এই মামলেট বানানো হত। এখনকার নামে যাকে বলে রোডসাইড ফুড স্টল, তখনকার দিনে তার সাথে পাব্লিকের খিদের ডিমান্ড অব ডেপথ্ মেনে পাউরুটি তার যোগ্য সঙ্গত করত।

আকাশ সাহার গুচ্ছ কবিতা

আকাশ সাহা

আকাশ সাহা

My Other Posts
তোমার কথা বলতে গেলে আরও শান্ত হয়ে যায় বেদনা// মানুষের এত বেশি আনন্দের ভিতরে কিছু অদ্ভুত দুঃখ থাকা ভাল// বিকেলে ছাদের উপরে লেবু গাছ জড়িয়ে থাকে গোটা শীতকাল// আমাদের দেবতার মন্দিরে পুজো শেষ হয়/ বেরিয়ে আসে কিশোর পুরোহিত// যারা নিঃশব্দে চলে যাওয়ার কথা বলে/ তাদের অনেক ভিতরে তোমার শরীর খুঁজে দেখি/ কেউ একজন ঝুঁকে রয়েছে// ঠান্ডা হাওয়ায় দেবতার চাতালে বসে আছি// ঘুম ভেঙে আবার তোমার কথা বলতে গেলে শান্ত হয়ে যায় সমস্ত ঘর।

কুহক

প্রতিভা সরকার

প্রতিভা সরকার

My Other Posts
মনের শোকে মালতি পাগল হয়ে যেতে যেতে ঘরে রাখা দু-একটা শুকনো পান পাতা চিবিয়ে নেয়, তারপর আবার ভাতে ভাত রাঁধে, ছেঁড়া কাঁথা রোদে দেয়। কে যে তাকে দেখে নোনা ঝোপের আড়াল থেকে, বরজ অব্দি সবটা রাস্তা দৌড়ে যায় তার সঙ্গে সঙ্গে, জানতে পারলে মালতি তার কাছেই চলে যেত। এইসব ভাবতে ভাবতে আনচান করা শরীর আর অবশ মন নিয়ে মালতি শুঁড়িখানা থেকে বাপের ফেরার অপেক্ষায় দাওয়ায় বসে থাকে মাঝরাত অব্দি।

‘গালিলেও-র জীবন’-কে যেভাবে দেখাতে চেয়েছেন বের্টল্ট ব্রেশট্

অমিতাভ ভট্টাচার্য

অমিতাভ ভট্টাচার্য

My Other Posts
‘গালিলেও-র জীবন’ কালজয়ী নাটক হিসেবে চিহ্নিত হল কিন্তু নাট্যকারের উদ্দেশ্য হল সম্পূর্ণ ব্যর্থ। এর কারণ কী? সে নিয়েই বইটিতে এসেছে নানান আগ্রহ-জাগানো আলোচনা। ব্রেশট্‌ নিজেই বিভিন্ন দৃশ্যে গালিলেওকে এমনভাবে গড়েছিলেন যে পরে স্রেফ ভাল খাওয়া-পরার লোভেই গালিলেও আপস করলেন সে-কথা বলতে চাইলেও দর্শকমনে গালিলেওকে নিয়ে কোনও বিরূপ প্রতিক্রিয়া হল না। এপিক থিয়েটারের জনক দর্শককে ভাবাতে চাইলেন কিন্তু নাটক দেখে দর্শক ভেসে গেলেন সমানুভূতির বন্যায়।

তন্ময় ভট্টাচার্যর কবিতাগুচ্ছ

তন্ময় ভট্টাচার্য

তন্ময় ভট্টাচার্য

My Other Posts
মৃত্যু সেরে, কেউ কেউ ফিরে আসে আবারও ডেরায়/ চাহনি স্মরণ করে, জমিয়ে সঙ্গম, শেষে রাত/ ফুলকি দিতে-না-দিতে ঢোঁক গেলে, চিন্তামণি আলো/ প্রবল বিপত্তি ঠেলে কেন যে পাতায় এসে পড়ে/ মনে হয়, ছায়া দিয়ে ঢাকা ভাল আপাদমস্তক/ আরও যৌথ অসম্ভব, একই অঙ্গে কী এত বিস্ময়/ হায় লীলা রাধাকৃষ্ণ ছিল বটে কখনও টম্বুর/ আজি শঙ্কা জাগে কাল মরিতে যাইতে পারিব তো

অমিতাভ ভট্টাচার্যের গুচ্ছ কবিতা

অমিতাভ ভট্টাচার্য

অমিতাভ ভট্টাচার্য

My Other Posts
এখনও কলম হয়নি দুর্বিনীত/ কবিতা এখনও নিছকই ব্যক্তিগত/ যৌবন শোনে শিবতাণ্ডব স্তোত্র/ মিথ্যে এখন জলের মতনই সত্য।// নির্ভীক মানে উলঙ্গ চাটুকার,/ বুঝিয়ে ছাড়বে, ধর্ম থাকতে/ ভাতের কী দরকার?/ প্রগতিশীলেরা জল মাপে বুঝেশুনে/ দালালি তো তারা করবেই প্রতিবার।// স্বাধীন হয়েছি কত যুগ কত কাল/ নির্বাচনের গুরুতর ইস্যু/ বিনে পয়সার চাল।/ ছড়িয়ে দিলেই আজও অগুন্তি কাক,/ খালিপেটে ভারী মনোরম লাগে/ প্রগতির হাঁকডাক।

ফরহাদ মেঘনাদের গুচ্ছ কবিতা

ফরহাদ মেঘনাদ

ফরহাদ মেঘনাদ

My Other Posts
এইসব নির্ভুল পথ চলে গেছে/ আত্মহত্যা ধরে কখনও নোনায়/ কখনও হাতঘড়িটা মাঠে রুপে দিয়ে/ মূলত সহজে মাতা ভ্রমণপনায়// মূলত সহজ এক পাখির শরীরে/ অল্পই পাখি থাকে, বাকিটা শিকার/ মূলত শিকার এক নোনা জলাভূমি/ আনন্দ-মাছের পথচারী পারাপার// মূলত পথচারীরা ভাঙা ভাঙা কাচ/ আলোর মাংস তারা বেচে ভাগা দিয়ে/ মূলত আঁধার এক সাদা স্তন্যপায়ী/ এক কোপে নেয়া যায় মাথাটা ছিনিয়ে

যে যে কারণে একটি খুন আমাকে করতে হত

দীপ শেখর চক্রবর্তী

দীপ শেখর চক্রবর্তী

My Other Posts
হৃদয়পুরের প্রেম না থাকলেও রোজ বিকেল করে আমি অশেষ মিষ্টির দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে সুন্দরী মেয়েদের দেখি। আমার চোখ তৈরি হয়ে গেছে। যার মধ্যে একটা আলাদা রহস্য আছে তার সঙ্গে যেচে পড়ে বন্ধুত্ব গড়ে নিই। তারপর ধীরে ধীরে তার গল্পগুলোকে বের করে নিই ভেতর থেকে। এই বের করে নেওয়ার পর একজন মেয়ের কী হয় সেই নিয়ে আমার বিশেষ মাথাব্যথা নেই। কারণ সেসব নিয়ে ভাবা একজন লেখকের জন্য দরকারি নয়।

ধর্ম কেন নিজেকে ‘বিজ্ঞান’ প্রমাণে মরিয়া

অমিতাভ ভট্টাচার্য

অমিতাভ ভট্টাচার্য

My Other Posts
বিজ্ঞানের কোনও সিদ্ধান্ত প্রতিষ্ঠিত হলেই ধর্মের পাণ্ডারা বলতে থাকেন এ তো আমাদের ধর্মগ্রন্থে বহুদিন ধরেই আছে। তাঁরা অবশ্য সবসময়ই কোনও বৈজ্ঞানিক সিদ্ধান্ত প্রতিষ্ঠার পরেই দাবিটা তোলেন। ডারউইন বিবর্তনবাদের কথা তোলার পরে ভারতের কিছু লোক বলেছিলেন, আমাদের অবতারের ধারাটা দেখুন, মাছ, কচ্ছপ আর শুয়োর এবং তারপরে মানুষ। আমাদের এখানে প্রাচীনকালেও বিবর্তনের ধারণা ছিল। কিন্তু মুশকিল হচ্ছে ডারউইনের বিবর্তনবাদ বাজারে আসার আগে তাঁরা এটা কেউ বুঝতে পারেননি।
ভালভাষা। ডিজিটাল দিনপঞ্জিকা। ডিজিটাল বাঙালির জগৎ ও জগৎ-দর্শন। জ্ঞান-বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী দর্শনের আলোয় জগৎ দেখা। সঙ্গে ভাষা-সাহিত্য, শিল্প-সংস্কৃতি, ঐতিহ্য-উত্তরাধিকার মিলে বাংলা ও বাঙালির সমগ্রতা তুলে ধরার প্রয়াস।
সভ্যসমাজে মাতৃভাষা ও তার অক্ষরমালা ব্যবহার এবং স্বেচ্ছায় অন্য ভাষা গ্রহণ, শিক্ষা ও ব্যবহারের অধিকার স্বীকৃত। অধিকার ও কর্তব্য পরস্পর নির্ভরশীল ও পরিপূরক। অতএব বাংলা ভাষার মর্যাদা রক্ষাও বাঙালি হিসেবে আমাদের সবিশেষ দায়িত্ব ও কর্তব্য।

নামাঙ্কন: সুজিত কুমার ঘোষ

সম্পাদক: মলয়চন্দন মুখোপাধ্যায়

সহ-সম্পাদক: শায়ক মুখোপাধ্যায়, মোহাম্মদ কাজী মামুন ও চিন্ময় মুখোপাধ্যায়

মুখ্য উপদেষ্টা: অমিত্রসূদন ভট্টাচার্য

উপদেষ্টামণ্ডলী: অমিয় দেব, মীরাতুন নাহার, সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়, অভিজিৎ সেন, তীর্থঙ্কর মৈত্র, গৌরী মৈত্র ও বিভাস রায়চৌধুরী

Editor's choice

Send your content