Search
Generic filters
Search
Generic filters
অরিজিৎ চক্রবর্তী

অরিজিৎ চক্রবর্তী

অরিজিৎ চক্রবর্তীর জন্ম পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুর শহরে। একুশ বছর বয়সে প্রথম কবিতা লেখার শুরুয়াত। পরবর্তীতে চাকরি না করে স্ব-জীবী। দেশে-বিদেশে ঘুরে বেড়িয়েছেন। নেশা কবিতা, জঙ্গল ও অমৃতের মৌতাত। ভালবাসেন গুছিয়ে খেতে আর কলার তুলে নিজের শর্তে বাঁচতে। তাঁর প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ: ‘উপনিবেশের উলটো পিঠ’, ‘রাধাবিন্দু’, ‘পাপিয়াস্কোপ’, ‘প্যাভলভের ঘণ্টা’, ‘পাপী ও পাপিয়া’, ‘অভয়মুদ্রা’, ‘বিপ্লব দীর্ঘজীবী হোক’, ‘দ্বিষো জহি’, ‘পুষ্প বনে পুষ্প নাহি’ ও ‘নির্বাচিত কবিতা’।
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on whatsapp

ভাষাশহিদের উনিশে মে ও একটি রেলস্টেশনের লড়াই

India’s First Bengali Daily Journal. ১৯ মে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আন্দোলনকারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। পুলিশ এঁদের অনেককেই গাড়িতে তুলে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। দফায় দফায় লঠিপেটা, কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে, বেলা আড়াইটার দিকে রেলস্টেশনে কর্তব্যরত বিএসএফের সদস্যরা হঠাৎ গেরিলা-ভঙ্গিতে গুলিবর্ষণ আরম্ভ করলে গুলিবিদ্ধ হয়ে তৎক্ষণাৎ শহিদ হন নয়জন। তাঁরা হলেন— সুনীল সরকার, সুকোমল পুরকায়স্থ, কুমুদ দাস, চণ্ডীচরণ সূত্রধর, তরণী দেবনাথ, হিতেশ বিশ্বাস, শচীন্দ্র পাল, কমলা ভট্টাচার্য ও কানাই নিয়োগী। পরদিন স্টেশনের পাশের পুকুর থেকে সত্যেন্দ্রকুমার দেবের বুলেট বিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়। রাতে হাসপাতালে মারা যান বীরেন্দ্র সূত্রধর। মোট ভাষাশহিদের সংখ্যা দাঁড়ায় ১১।

Read More »

‘ওই এসে গেছে রাবণকাটা’

India’s First Bengali Daily Magazine. পায়ে বীর রসের ছন্দ। টুং-টাং, গুড়ুক-গুড়ুক বাজনার বোল উঠলেই জমে যাচ্ছে ভিড়। বড়রা ছোটদের দুষ্টুমি করতে দেখলেই বলছেন, ‘সাবধান, ওই এসে গেছে রাবণকাটা। দুষ্টুমি করলেই ধরে নিয়ে যাবে।’ জাম্বুবানের ভালুকের মুখ, হনুমানের বড়-বড় দাঁত, গামারকাঠের তৈরি এমন বিকট-দর্শন মুখোশ দেখে ছোটরা বড়দের কোলে সিঁটিয়ে যায়। সেই ট্র্যাডিশন সমানে চলছে। এখন যাঁরা বুড়ো তাঁদেরও ছেলেবেলায় এ ভাবেই ভয় দেখানো হত। ভয় ভাঙাতে বাচ্চাদের কোলে তুলে নাচিয়েও দেন শিল্পীরা।

Read More »

হিজলির জেলখানায় গড়ে উঠেছিল খড়গপুর আইআইটি

India’s First Bengali Daily Magazine. দেশের অন্যতম নামজাদা কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খড়গপুর আইআইটি’র সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাস। ক্যাম্পাসের এক প্রান্তে দাঁড়িয়ে রয়েছে একখণ্ড ইতিহাস৷ ব্রিটিশ আমলে তৈরি হয়েছিল হিজলি ডিটেনশন ক্যাম্প৷ যেখানে স্বাধীনতা আন্দোলনে যুক্ত লোকজনদের আটকে রাখা হত। খড়গপুর শহরের হিজলিতে অবস্থিত এই ডিটেনশন ক্যাম্পটি। যেখানে, ১৯৫১ সালে ড. বিধানচন্দ্র রায়ের উদ্যোগে পথচলা শুরু করেছিল আইআইটি-খড়গপুর।

Read More »

অরিজিৎ চক্রবর্তীর একগুচ্ছ কবিতা

India’s First Bengali Story Portal. তাকে ভালবাসা ছাড়া আর কোনও উপায় ছিল না। অগত্যা পরাজয় স্বীকার করতেই হল। মন বলল, চলো নদীর তীরে বাঁশির কাছে চলো। চোখ দেখল, রাখাল বালক একাগ্ৰ মনে বাঁশি বাজাচ্ছে। আমার দেখাগুলো কেমন যেন অবাক হয়ে নৈকট্য খুঁজল। এলোমেলো বাতাস বইল। শীতের বাতাস। নিজেকে নিজে চিনতে চেষ্টা করলাম। পারলাম কই! ভালবাসা ততক্ষণে একটা আলোয়ান হয়ে আমাকে জড়িয়ে উষ্ণতা দিচ্ছে। সত্যি! তাকে ভালবাসা ছাড়া বোঝা যেত না মুহূর্তবিন্দু থেকে দিগন্তের দূরত্ব অনেক।

Read More »

জীবন জীবনের জন্য

The First Bengali Online Story Portal. পরিবেশ বিজ্ঞানের অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে জীববৈচিত্র্য প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে মানব সমাজের উপকারে আসে। বিশ্বকে সব রাষ্ট্রের মানুষের বসবাসের উপযোগী রাখতে পরিবেশ-জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ উন্নয়ন সংক্রান্ত নীতিমালা প্রতিপালন আবশ্যক। দেশের কৃষি অগ্রযাত্রাকে সুষ্ঠুভাবে ত্বরান্বিত করতে জীববৈচিত্র্য সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। ভারত একটি বিপুল জনসংখ্যার দেশ। আমাদের এই বিপুল জনসংখ্যার জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত প্রতিটি ক্ষেত্রে জীববৈচিত্র্যের গুরুত্ব আছে। সে হিসেবে জীববৈচিত্র্য রক্ষায় আমাদের দায়বদ্ধতা আছে।

Read More »

হিউয়েন সাং, ইবন বতুতা ভারতীয় আমের ভক্ত ছিলেন

মালদা-মুর্শিদাবাদে রেওয়াজ, গাছতলার ফল যে কেউ কুড়াতে পারে। শত শত গরিব পরিবার আমের মরসুমে আম কুড়িয়েই বাঁচে। আম, আমচুর, আমসত্ত্ব, আমসি থেকে আমকাসুন্দি পর্যন্ত হরেক জিনিস তৈরি করেন অন্যের বাগানের আম থেকেই। বাগানের মালিক নিষেধ করেন না। একসময় দক্ষিণ ভারতে মালিকের হুকুম ছাড়া গাছতলার আম তুলে নিলে তার শাস্তি ছিল মৃত্যুদণ্ড। এবং এই দক্ষিণের আমের ব্যাপারে এমন এক করুণ কাহিনি ‘আল রিহালা’-য় লিপিবদ্ধ করে গিয়েছেন ইবন বতুতা, যা চিরকাল আমপ্রেমীদের চোখের জল ঝরাবে।

Read More »

বাঁকুড়ার লৌকিক সংস্কৃতিতে মনসা ঘট

ঘটের মুখের প্রসারিত কানা অংশটি হয়ে ওঠে দেবীর এক শিরোভূষণ। মনসার দুটি হাতের মুঠিতে ধরা থাকে একটি করে সাপ। একটানে দ্রুত রেখা টেনে আঁকা হয় ঠোঁট ও চিবুকের ভাঁজ, নাকে নথ, চোখের ভ্রূ, ত্রিনয়ন এবং হাতের আঙুল। দেবীর গয়না হিসেবে উৎকীর্ণ করা হয় সাপ ও সাপের ফণার নকশা। দেবীর গায়ের রং হয় হলুদ এবং ঠোঁট আঁকা হয় সিঁদুরের বর্ণে। তবে দেবীর পরিধেয় বস্ত্রের রং কোনও কোনও ঘটে দেখা যায় সবুজ, বেশিরভাগই লাল। অক্ষিগোলকসহ দেবীর চোখদুটি বিস্ফারিত এবং হাতের উপর কোনও কোনও ক্ষেত্রে দেখা যায় বৃশ্চিকসদৃশ উল্কিরেখা।

Read More »

ভালবাসা না হারায়, দুনিয়াজুড়ে প্রেমের তীর্থে আজব হত্যে

প্রেমের জন্য সবাই কত কিছুই না করে! কত অদ্ভুত অদ্ভুত রীতি-রেওয়াজে ভালবাসার সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে চায় মানুষ। ভালবাসা টিকিয়ে রাখার জন্য নানান অদ্ভুত প্রথা চালু আছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। আর এই আজব সব প্রথা দেখতে এবং সেখানে হত্যে দিতে আসেন দুনিয়ার নরনারী। লন্ডনের বাঙালিপাড়া ব্রিক লেন থেকে শুরু করে প্যারিস, নিউ ইয়র্ক, টোকিও, মস্কো, বার্লিন, প্রাগ, রোম, সিডনি, মেলবোর্ন, বেইজিং, সিওল— সব বড় বড় শহরেই দেখা যায় প্রেমিক-প্রেমিকার এই নৈকট্য ভরা ইস্তেহার।

Read More »

হাপু: কৌতুক-কথায় বিদ্ধ করে সমাজকে

ছোট ছেলেমেয়েরা হাপু খেলা দেখিয়ে বেড়ায়। ডান হাতে থাকে শক্তপোক্ত একটা লাঠি। বেত কিংবা বাঁশের সেটা। হাত ঘুরিয়ে সপাটে আঘাত করে চলে নিজেরই খোলা পিঠে। সপাং সপাং শব্দ ওঠে দর্শক-শ্রোতাদের চমকে দিয়ে। একই সঙ্গে বাম হাতের চেটো ডান বগলে ঢুকিয়ে বিচিত্র শব্দের উচ্চারণ করতে থাকে তখন। আর মুখে ফোয়ারার মত ঝরতে থাকে গানের কলি। আর মাঝে মাঝে হাপু শব্দের উচ্চারণ। সে এক ভারি অতুলনীয় কৌতুককর পরিবেশ গড়ে ওঠে।

Read More »

মুঘল মিনিয়েচার ও এক আশ্চর্য সম্রাটের গল্প

তাব্রিজ শহরের চিত্রকর মীর মনসুরের ছেলে মীর সঈদ আলি মাইকেলেঞ্জেলো কিংবা রসেটির মত একাধারে ছিলেন কবি ও শিল্পী। তাঁরই সমসাময়িক সিরাজ নগরীর খাজা আবদুস সামাদ খ্যাত হয়েছিলেন চিত্রকর ও অলঙ্কৃত লিপির কুশলী বিশারদ হিসেবে। বলতে গেলে হুমায়ুনের আগ্রহে এবং আকবরের আনুকূল্যে মুঘল চিত্রকলার গোড়াপত্তন করেন এঁরাই। ছেলেবেলায় নানা কারণে প্রথাগত বিদ্যাশিক্ষার সুযোগ হয়নি আকবরের। কিন্তু ছবির জগৎকে তিনি গড়ে নিয়েছিলেন শিক্ষার বাহন হিসেবে।

Read More »