মোহিনীঅট্টম
বৃষ্টি
তোমাকে দেখার পর
কষ্ট বেড়ে গেছে।
ভালবাসার আগের শোক।
চোখ বিদীপ্ত। বৃষ্টি ভেজা অশোক!
ঠিক লাজুক নও, তবু লাজুক দোলা।
কৃষ্ণকলি, আমি বড়ই মেঘলা।
কৃপার কৃপাণ হাতে
যদি দেখা দাও রাতে?
আমি ঠোঁটের করাতে
তোমাকেই দিয়ে যাব
বাদামি তিতির…
♣
উৎসর্গ
তোমার ঘৃণার মধ্যে আমার বেঁচে থাকা। এও কি কম কথা! জাটিঙ্গা পাখির উপমা আমার জন্য নয়। পিঁপড়ের কোনও অধ্যাবসায় তোমার জন্যে নয়। তবু সমূহ ঘৃণার ভেতর এই কবিতা লেখা হয়
♦
ফ্রেম
সবাই ঘুমিয়ে পড়লে আমি জেগে থাকি। আর চোখ মেলে দেখি ঘুমন্ত খাট বিছানা ক্যালেন্ডার টিপের পাতা জলের গ্লাস এমনকি বাগানের গাছগুলো!
পথের কুকুর বসে থাকে পাহারায়।
♠
মুক্তি
অবিকল হেমন্তকাল তোমার আঁচলে এঁকে দেব।
বসন্তে ঝগড়া হবে খুব।
শীতে দার্জিলিংয়ের ম্যালে বসে কফি খেতে খেতে চিনে নেব দুর্গম সৌন্দর্যতত্ত্ব
আমাদের কোনও শরৎকাল থাকবে না।
একটা অভিমানী বর্ষাকাল নিয়ে বেঁচে থাকব . মোহিনীঅট্টম…
আমাদের কোনও ছাতা থাকবে না।
বর্ষাতি থাকবে না।
তুমি আমার নাম দেবে ‘ঝড়’
আমি তোমার নাম দেব ‘ঝর্না’
তারপর একদিন দধিমঙ্গলের আলো ফুটবে আকাশে।
পুরুষ অগ্নির বীরত্বগাঁথায় চাকভাঙা মধু
মুহূর্ত বসন্ত দেখে বলে উঠবে মৌচাক! মৌচাক!
♥
জন্ম
মনখারাপ হলে আজকাল আর কোথাও যাই না। তোমার কাছে যাই। মনে হয় নির্জন তুমি আমি নিষেধের আকর্ষণে ধাবমান। ফিরে আসি, যেন নিষ্ঠুরের অধরা বিস্ময়।
এই আসা যাওয়ার মাঝে চাঁদ ওঠে বৃষ্টি পড়ে।
এই আসা যাওয়ার মাঝে তোমার মুখটি মনে পড়ে খুব
♣
স্বীকারোক্তি
তাকে ভালবাসা ছাড়া আর কোনও উপায় ছিল না। অগত্যা পরাজয় স্বীকার করতেই হল। মন বলল, চলো নদীর তীরে বাঁশির কাছে চলো। চোখ দেখল, রাখাল বালক একাগ্ৰ মনে বাঁশি বাজাচ্ছে। আমার দেখাগুলো কেমন যেন অবাক হয়ে নৈকট্য খুঁজল। এলোমেলো বাতাস বইল। শীতের বাতাস। নিজেকে নিজে চিনতে চেষ্টা করলাম। পারলাম কই! ভালবাসা ততক্ষণে একটা আলোয়ান হয়ে আমাকে জড়িয়ে উষ্ণতা দিচ্ছে। সত্যি! তাকে ভালবাসা ছাড়া বোঝা যেত না মুহূর্তবিন্দু থেকে দিগন্তের দূরত্ব অনেক।
♦
বিবাহ
সিঁড়ি ভেঙে
ছাদে ওঠো . আত্মসমর্পণ
তাহলেই
বারো মাসে . তেরো পার্বণ
♠
প্রেম
কতটা ভাইরাল হলে তুমি আজ ক্যাডবেরি দেবে?
কতটা ভাইরাল হলে আজ তুমি ভালবাসা নেবে?
বাউলের চাঁদ আর আউলের জাগানিয়া সুর
তোমার পাশে, ওই ঘুমভোলা মগ্ন দুপুর
কতটা ভাইরাল হলে মেঘে ঢাকা আষাঢ়ের নদী
‘ভালবাসি’ একদিন বলে ফেলি বলে ফেলি যদি!
নত গোধূলির ডালে দোল খায় বকুলের ফুল
দুরাশারা রাত জেগে বুনে চলে শীতার্ত উল।