কেরানি
মৃত্যু সেরে, কেউ কেউ ফিরে আসে আবারও ডেরায়
চাহনি স্মরণ করে, জমিয়ে সঙ্গম, শেষে রাত
ফুলকি দিতে-না-দিতে ঢোঁক গেলে, চিন্তামণি আলো
প্রবল বিপত্তি ঠেলে কেন যে পাতায় এসে পড়ে
মনে হয়, ছায়া দিয়ে ঢাকা ভাল আপাদমস্তক
আরও যৌথ অসম্ভব, একই অঙ্গে কী এত বিস্ময়
হায় লীলা রাধাকৃষ্ণ ছিল বটে কখনও টম্বুর
আজি শঙ্কা জাগে কাল মরিতে যাইতে পারিব তো
ফট্
আমার সমস্ত চিন্তা একপেশে। শামুকের মত।
সারা রাজ্য ঘুরে এসে, ঘরের বাইরে ঠিক থেমে যায়।
যত্ন নিয়ে ভাবে,
এবার আলাদা কিছু হবে না তো! তাহলে বরং
খানিক অপেক্ষা করি, উঁকি মেরে হাঁটাচলা দেখি—
হঠাৎ আটকে দিলে, ফ্রেমে চেপ্টে আজীবন দাগ হব কিনা
কতটা উঁচুতে গেলে
ছুঁড়বে, আঘাত লাগবে না
২
একদিন দেখা গেল, বুকে ধরে রাখতে না-পেরে
নিজেই নাগালে ভারী চলে আসছি
আমার সমস্ত ব্যথা তুমি যে ব্যথিত করে দেবে
সে-কথা জেনেও
মুখ নিয়ে যাচ্ছি, বারবার, রোদ ভাবছি বারান্দা এলেই
খোলস গুঁড়িয়ে দিলে
বুকে তো ঠেকাতে পারলে না!
কোথাও কারওর প্রতি সামান্য নালিশ লেখা নেই
যাওয়া-আসা
এভাবে দুয়ার বন্ধ জানালা বন্ধ আর খিড়কি বলতে কিছু নেই
পথে পড়ে রয়েছে সকাল
ফোঁটা ফোঁটা আলো যাচ্ছে যেদিকে বিদায়
দায়ী করে যায়নি, এবং
নিজে নিজে নেমে এসে শুয়ে আছে গাছের গোড়ায়
দু’চার লোকের ভিড়, খবর দেওয়া তো দরকার
কিন্তু বলবে কাকে
কী হবে, সবাই যদি জেনে যায়
কাল রাত্রে ছেড়ে আসা সম্পর্ক আমার
২
তাহলে উঠোনে মাটি চাপা দিই। লোকলজ্জা, ভয়…
কেউ পুঁছলে বলে দেব— বাড়ি গেছে, ক’দিন পরেই
ফিরবে। এর মধ্যে সামলে নেব সব
স্বাভাবিক হাসিঠাট্টা, যেন কেউ ছিল না কোথাও
ওদের পতঙ্গস্মৃতি, সহজেই ভুলে যাবে
নতুন সম্পর্ক এনে বসাতে চাইবে তারপর
মেনে নেওয়া ভাল, আমি আপত্তি করি না এসবের
আবার অনিষ্ট হবে। লোকালয়ে ছিছিক্কার—
মাটির গুরুত্ব বুঝে তুমিও কঙ্কাল হবে ফের
‘মৃত্যু সেরে’! অসামান্য কবিতাগুচ্ছ!