Search
Generic filters
Search
Generic filters
সোনামণি জয়ন্ত

সোনামণি জয়ন্ত

সোনামণি জয়ন্ত নাট্যকর্মী ও অভিনেত্রী। দিল্লির রাষ্ট্রীয় নাট্য বিদ্যালয়ের প্রাক্তনী।
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on whatsapp

ছোটগল্প: বিভোর

India’s First Bengali Daily Magazine. চিত্রার একবার মনে হল, আমি কি পারব? সে আরও ভাবল, সে চলে যাবার পরে, তার জিনিসের মধ্যে কার কী প্রাপ্য সেটা সে নিজেও নির্ধারণ করে যেতে পারে বা তা নিয়ে আত্মীয়রা পরেও সিদ্ধান্ত নিতে পারে। কিন্তু তার বাকি জীবনটা সে কীভাবে কাটাবে, তা সামর্থ্য থাকলে, নির্ধারণের দায়িত্ব, শুধু তার নিজের। অন্যরা নিজেদের স্বার্থে তাকে যেখানে খুশি ফেলে দিয়ে আসতে পারে না, ‘ডাম্প’ করতে পারে না। ‘আগে কেন আমার এমনটা মনে হয়নি?’, নিজের মনেই বলল চিত্রা।

Read More »

ভুরু-বিভ্রাট

India’s First Bengali Story Portal. মুখিয়া নাছোড়বান্দা। অনিলজি, তাঁকে নিরস্ত করার জন্য বললেন, নাটক করা বড় কঠিন কাজ। ভুরু চাঁছতে হয়, রং-বিরঙ্গী ববি প্রিন্টের (polka dots) শার্ট-প্যান্ট পরতে হয়। এ মোটেও সোজা কথা নয়। অতএব নাটক দেখাই বুদ্ধিমানের কাজ। তিনি এমন যুক্তিও দিলেন যে, এইসব ফালতু ঝামেলা থেকে বাঁচতেই তিনি নিজে অভিনয় করেন না। মনে হল, মুখিয়া বুঝে গেছেন নাটক সোজা ব্যাপার নয়। হাসিমুখে অনিলজিকে নাটকের চাঁদা দিয়ে তিনি বিদায় করলেন।

Read More »

উপলব্ধি

India’s First Bengali Story Portal. দুটো জোনাকি আমগাছটার কাছে এসে টিপটিপ করছে। সেজর নজর গেল সেদিকে। ‘মেজদি দেখো, ওই সেজবাবু আর মেজবাবু আলো হয়ে এসেছে আমাদের দেখতে।’ মেজ তাকাল ওইদিকে। সেজর কাছঘেঁষে বসল একটু। তারপর বলল, ‘সত্যিই তো! ওরা আমাদের বলছে, আমরা আটকে পড়িনি। বন্ধ হয়ে নেই আমরা। আমরা দুজনে বোধহয় প্রথমবার স্বাধীন হয়েছি।’ মেজর কাঁধে মাথা রাখল সেজ, ‘মেজদি, এই প্রথমবার আমার মনে হচ্ছে, আমি সত্যিই ভাল আছি।’ মেজ বলল, ‘আমিও।’

Read More »

কাক-কথা

টুনু কাকের ঘরটাকে আমি প্যালেস বলি। লম্বা সুপারি গাছের শক্তপোক্ত পাতার আড়ে টুনু কাকের ঘর। ঘর থেকে কৃষ্ণচূড়া গাছে পৌঁছনোর জন্য একটা লম্বা সুপারি গাছের পাতার রাস্তা। ঠিক মনে হয় সবুজ রঙের কার্পেট পাতা আছে। ওই সবুজ কার্পেট রাস্তার ওপর দিয়ে টুনু কাকের মা, কৃষ্ণচূড়া ডাল থেকে প্রায় হেঁটে হেঁটেই সুপারি গাছের বাসায় পৌঁছে যায়। টুনু মায়ের পেছনে পেছনে খুব সাবধানে লাফিয়ে লাফিয়ে বাসায় যায়। টুনু কাক লাল কৃষ্ণচূড়া ফুলের কোমল কলি টেনে চিবোতে থাকে মাঝেসাঝে।

Read More »

এইসবের শেষে

উঠোনের পেছনদিকটায় একটা পাতিলেবু আর বাতাবি লেবুর গাছ লাগাব। লেবু ফুলের গন্ধ আমার ভারি ভাল লাগে। আর বাতাবি লেবুর গাছটা বড় হয়ে যখন ছাদ পর্যন্ত পৌঁছবে, আমি ছাদের ওপর দাঁড়িয়ে ওটার ঝাঁকালো পাতাগুলোকে খুব করে আদর করে দেব। ছাদে আমি রংবাহারি ফুলের চারা লাগাব। নয়নতারা, বেলফুল, জুঁই ছাড়াও শীতের দিনে চন্দ্রমল্লিকা, গাঁদা আর ডালিয়া শোভা দেবে সেখানে। গরমের দিনে, ছোটবেলায় মালির বাগানে দেখা রংবিরঙ্গী দোপাটির মেলা আবার আমাকে বসাতেই হবে। ছাদের কার্নিশে পাখিদের জল খাবার জন্য একটা জামবাটি রাখব।

Read More »

মা ও ছা

বুঝে গেলাম, কী ব্যাপার। আমি হেসে বললাম, ‘কী নাম বলেছে? পিটার পার্কার? যথার্থ…।’ মহিলাটি বললেন, ‘হ্যাঁ, হ্যাঁ এটাই বলেছে।’ আমার ছেলে স্পাইডারম্যান-পাগল। সে তার নিজের নামের আগে ‘পিটার পার্কার’ জুড়ে দিয়েছে বুঝলাম। তার নিজস্ব নাম পিছনের সারিতে থাকায়, মহিলাটির শুধু পিটার মনে ছিল, আর ‘পার্কার’ তিনি বিস্মৃত হয়েছেন। তার পরের অক্ষরগুলি তার মনে ঠাঁইও পায়নি। যত্নে রাখা নামটিকে যখন নামধারকই পাত্তা দেয়নি, তখন মহিলাটি আর ও নাম মনে রাখার দায় সামলাতেন কী করে?

Read More »

নীরব-সরব

একান্নর এবার কান্না পেল। কান্নার অনুভূতি আর সত্যিসত্যি কান্নার মধ্যে কি তফাত আছে? আছে। অনেক তফাত আছে। সত্যিকারের কান্না হল গিয়ে রক্ত-মাংসে গড়া! বুকের ভেতর কী যেন একটা মোচড় দিয়ে ওঠা। চোখের কোণে জমা জল টসটস করে, গালের ওপর দিয়ে গড়িয়ে পড়া! আরও কত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের যোগদান থাকে তাতে। একান্ন ভাবল, যখন সত্যি কান্নার সুযোগ ছিল, তখন ভয়ে কাঁদিনি। লোকে দেখে ফেললে কী বলবে? আর আজ, কান্নার জন্য সবচেয়ে জরুরি, নিজস্ব শরীরটাতেই আর প্রাণ নেই।

Read More »

ইনস্টলমেন্টে গোপীনাথ: পথের চাঁদা

সবাই এসে গেছে। গোপী বলল, ‘‘চলো গুরু! আগে একটু মাঠে খেলে নি। তারপর চাঁদা আদায়ে যাব। আসলে কী, এবারের ডিলিংটা ‘অন রোড’ তো, তাই একটু রিস্কি। ফিজিক্যাল ফিটনেসটা খুব জরুরি। কারণ কখন যে পগার-পার দিতে হয় কিছুই ঠিক নেই।’’ বন্ধুদের মধ্যে চোখাচোখি হল। গোপীনাথ যে কী প্ল্যান করছে কে জানে? কিন্তু এমনই গোপীর জাদু যে ওকে ‘না’ বলার সাহস বা ইচ্ছেও কারও নেই।

Read More »

ইনস্টলমেন্টে গোপীনাথ: পরীক্ষার খাতা

সড়সড় করে স্যারের আঙুল গোপীর খাতার এ পাতা থেকে ও পাতায় যাচ্ছে। তারপর একটা বিশেষ জায়গায় এসে ওঁর আঙুল থামল। উনি পড়তে শুরু করলেন, ‘পশ্চিম বাংলার অনেক জায়গাতেই কয়লার খনি আছে। তবে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য হল, কানুদার গোলা।’ স্যার গোপীর পরীক্ষার খাতার পাতা থেকে চোখ তুললেন। পুরো ক্লাসকে শুধোলেন, ‘বল রে, বইতে আছে কয়লা খনি কানুদার গোলা?’ বেশিরভাগ ছাত্রই ফিক ফিক করে হাসছে।

Read More »

ইনস্টলমেন্টে গোপীনাথ: আচার অভিযান

গোপী দরজার কাছে এসে হঠাৎ দাঁড়াল। তারপর কাকিমার দিকে ফিরে বলল, ‘আপনি কিচ্ছু চিন্তা করবেন না। আপনি আচার বানান। আমরা সামলাব। আর না বানাতে চাইলেও বলবেন। এখন সিজন চলছে। অন্য বাড়ির ছাদ থেকে বয়াম এনে, আপনার ছাদে বসিয়ে দেব।’ আরও বাড়াবাড়ির আগেই আমি আর রানা গোপীকে নিয়ে তরতরিয়ে নীচে নেমে এলাম। রানা বলল, ‘গোপী, তুই কিন্তু কেস্ খাওয়াচ্ছিলি আর একটু হলে!’ গোপী বলল, ‘মানছি ভাই। তবে কি জানিস, মা-কাকিমাদের কষ্ট আমি দেখতে পারি না।’ 

Read More »

ইনস্টলমেন্টে গোপীনাথ: মুদিখানার প্রত্যাবর্তন

গোপীনাথ মুদিখানার জিনিস নিয়ে বাড়ি এল। গোপীর মা প্যাকেট খুলছেন। সব যথাস্থানে রেখে নিশ্চিন্ত হওয়া আর কী! চিনির প্যাকেট খুলতেই গোপীর মায়ের সন্দেহ হল। ‘হ্যাঁরে গোপী, চিনি কম লাগছে।’ ওঘর থেকে গোপীর সরল আওয়াজ এল, ‘ঠোঙা ফুটো আছে নাকি মা?’ মা বললেন, ‘না, ঠোঙা ফুটো হয়নি। তবে পরিমাণ কম দেখছি। তুই নিশ্চয়ই খেতে খেতে এসেছিস!’ গোপী রান্নাঘরে মায়ের কাছে এসে বলল, ‘দেখছিলাম ছোট দানা চিনি, না মোটা দানা চিনি। একরত্তি খেয়েছি মা।’ মা হাতের কাছে রাখা বেলনা উঁচিয়ে বললেন, ‘আজ তোর একদিন, কী আমার একদিন।’

Read More »

ইনস্টলমেন্টে গোপীনাথ: লে হালুয়া

গতি বাড়াল গোপীনাথ। হালুয়ার দেশি ঘিয়ের গন্ধ তীব্র হয়েছে। গন্তব্য আর গোপীনাথ বেশি দূরে নেই। অবশেষে পৌঁছে গেল হালুয়া বিতরণস্থলে। শালপাতার বাটি ভরে ভরে সবাইকে হালুয়া দেওয়া হচ্ছে। ঘি চুপচুপে হালুয়ার সে কী চমক! খুব শ্রদ্ধার সঙ্গে গোপীনাথ হালুয়া নিল। ছোটদার হাতেও পৌঁছল বাটি। তারপর দুজনে গুরদুয়ারা থেকে বেরোনোর রাস্তা ধরল। হালুয়ার বাটি এমনভাবে সাফ হল যে ওই বাটিতে আবার অন্যদের হালুয়া দেওয়া যায়!

Read More »

ইনস্টলমেন্টে গোপীনাথ: ঘুগনি সেল

হঠাৎ দেখা গেল, গোপীনাথ লোকেদের প্রায় ধরে ধরে সন্তুদার স্টলে আনতে শুরু করেছে। দোকানের সামনে রাখা পাতলা বেঞ্চে বড়-বুড়ো লোকেদের বসাচ্ছে। কিছু ভাবা, বোঝার আগেই তাদের হাতে পটাপট ঘুগনির প্লেট দিচ্ছে, আর বলছে, ‘অতিথি হল গিয়ে নারায়ণ। আমি পাখা করছি, আপনারা খান।’ খবরের কাগজ ভাঁজ করে, তা দিয়ে গোপীনাথের পাখা করার সে কী বহর!

Read More »

ইনস্টলমেন্টে গোপীনাথ: চাঁদা আদায়

গোপীনাথকে জেরা করা শুরু করল, ‘কাঁহাসে আয়ে হো? চান্দা কিঁউ?’ ইত্যাদি ইত্যাদি প্রশ্ন আসছে আর গোপীনাথ নির্ভীকভাবে সব প্রশ্নের মোকাবিলা করছে। আমার তো কালঘাম ছুটতে শুরু করেছে। আমার দিকে একবার তাকিয়ে, গোপীনাথের দিকে শেষ মোক্ষম প্রশ্নটা ছুড়ে দিলেন সামনের লোকটি। ‘ইয়ে পূজা হো কাঁহা রাহা হ্যায়?’

Read More »

ইনস্টলমেন্টে গোপীনাথ: লিচু চুরি

ছোটদা, বাংলার একসময়ের নামী ফুটবল খেলোয়াড় অলোক মুখার্জি। জন্মেছেন গত শতকের ষাটের দশকে। তাঁদের শৈশব-বাল্য-কৈশোর কাল আজকের মত একবারেই ছিল না। ছোটদার প্রসঙ্গ, ছোটদার ছোটবেলার গল্পে তাঁর সখা গোপীনাথ থাকবে না, তাই কি হয়? সেই গোপীনাথ বা গোপীদার দুষ্টুমি ও মজার গল্প বলব বলেই এই ধারাবাহিক। ‘ইনস্টলমেন্টে গোপীনাথ’। প্রথম কিস্তি, গোপীনাথের লিচু চুরি।

Read More »