এইসব নির্ভুল পথ
এইসব নির্ভুল পথ চলে গেছে
আত্মহত্যা ধরে কখনও নোনায়
কখনও হাতঘড়িটা মাঠে রুপে দিয়ে
মূলত সহজে মাতা ভ্রমণপনায়
মূলত সহজ এক পাখির শরীরে
অল্পই পাখি থাকে, বাকিটা শিকার
মূলত শিকার এক নোনা জলাভূমি
আনন্দ-মাছের পথচারী পারাপার
মূলত পথচারীরা ভাঙা ভাঙা কাচ
আলোর মাংস তারা বেচে ভাগা দিয়ে
মূলত আঁধার এক সাদা স্তন্যপায়ী
এক কোপে নেয়া যায় মাথাটা ছিনিয়ে
ঘুম
বিউগল বাদক, আপনি কোথায়?
ঝাঁকে ঝাঁকে বকুল পড়েছিল, একটাও নেই আর
দিনখোর শ্যালো মেশিনটা এরই মধ্যে তুলে ফেলেছে অগুনতি ঢেকুর
একটি আদর্শ ঘুড়ির লেজও প্রায় তৈরি নাবালকের হাত ধরে
অথচ আপনার দেখা নেই
এত দেরি করলে চলে?
কী মনে হয় আপনার—
স্বজন হারানোর এক মাস পর মানুষের ঘুম পায়,
না কয়েক ঘণ্টা পর?
ধুলোরা ভাইরাল হয়ে যাচ্ছে ঝাড়ুর সাহায্যে
ধুলোরা ভাইরাল হয়ে যাচ্ছে ঝাড়ুর সাহায্যে
ঝাড়ুরা যমজ ভাই
সুরতে-স্বভাবে আওয়াজ তুলছে
‘ওমুক তোমাকে চাই’
ওমুকপন্থী বহুতে সইছে
এক শরীরের কাঁপ
ধুলোরা ভাইরাল হয়ে যাচ্ছে ঝাড়ুর সাহায্যে
ধুলোর মনখারাপ
ধুলো ও ঝাড়ুর মাঝে পড়ে আছে প্রায় খাওয়া এক রুটি
অনেক কামড়ে বোঝা যাচ্ছে না, আমার কামড় দু’টি
হাস্নুহেনা
‘আমাকে পাশ কাটিয়ে তারা রিকশা নেয় মতিঝিলের,
তারা সেখান থেকে আজিজ মার্কেট যায়
দুনিয়া আনন্দে কালো হয়ে আসে
তাদের হুডের ওপর গান ধরে
মেঘদের কানাই দাস বাউল
আমাকে পাশ কাটিয়ে তারা আরো করে কি—
ঢকঢক করে জীবন খায়, জীবন গায়ে মাখে
তারা যেন উদোম কড়ই পাতা—
ঝরে পড়ে একে অন্যের গায়ের ওপর নির্লজ্জের মতো
অনেক আগে তাদের একজনকে আমি দুঃখ দিয়েছিলাম,
আজ তার জন্য দুঃখ পাই
তার জন্য বুকের ভেতর শাপলা ফোটাই,
ধরতে দেই না নিজেকেও’
বিগত কোনও শুক্র-শনিবারে
এমন কোনও কবিতা তুমি লিখেছিলে হাস্নুহেনা?
ঈশ্বরের বেহেশত
খোয়াবের জঙ্গলে তুষার বৃষ্টিতে
কিছু স্বল্প-চেনা মানুষ উষ্ণতা নিয়ে এগিয়ে আসার পর
আর কিছু ভাল লাগে না
আকাশে গুড়গুড় স্বরে কম্বল ডাকে
দূরে হাতছানি দেয় কম্বলচিকা
লানত সেই কম্বল-অপেক্ষার বোধে
লানত অপেক্ষাহীনতায়
অপেক্ষারা জানে তারা কতটা বর্ণাঢ্য
জানে— এক প্রকার মানুষ ভাইরাস অপেক্ষা-রোগ ছড়ায়
জানুক,
কিছুতেই কিছু যায় আসে না আমার
আমি শুধু বাঁশি বাজানো শিখতে যাই একজনের কাছে—
যিনি বাজাতে জানেন না নিজেই
শুধু শরীর বেয়ে সুরের মতো লাউ লতা উঠে গেলেও থাকেন নির্ভার
নির্ভার মানুষের পায়ের নিচে ঈশ্বরের বেহেশত!