Search
Generic filters
Search
Generic filters
দীপ শেখর চক্রবর্তী

দীপ শেখর চক্রবর্তী

দীপ শেখর চক্রবর্তী প্রেসিডেন্সি কলেজে সাহিত্য নিয়ে পড়ার সময় থেকেই অন্য ধারার গল্প নিয়ে কাজ করতে চেয়েছেন। পরে জাদুবাস্তবতা ও বাংলা উপন্যাস নিয়ে গবেষণা সম্পূর্ণ করেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। লাতিন আমেরিকা ও রুশ সাহিত্যের প্রতি তাঁর প্রবল আগ্রহ। লেখার বাইরে তাঁর সবচেয়ে প্রিয় ছবি এবং গান। ‘তৃতীয় পৃথিবীর নিঃসঙ্গতা’ তাঁর একমাত্র গল্পগ্রন্থ।
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on whatsapp

ছোটগল্প: হাওয়ার দুর্গ

ভালভাষা উৎসব সংখ্যা ২০২৩|| স্কুলে ঢুকেই বিষয়টা আমাদের অসহ্য লাগতে শুরু করেছিল। অন্যান্য ছেলেরা চোখমুখ বুজে নেমে পড়েছিল প্রতিযোগিতায়, শুধু আমরাই পারিনি। কেন পারিনি, তা খুঁজতে যাওয়া বৃথা। তবে মনে হয়, আমরা সকলেই কোনও না কোনওভাবে ছিলাম বিপন্ন। এই বিপন্নতা আমাদের প্রশ্ন করতে শিখিয়েছিল। লিখেছেন দীপ শেখর চক্রবর্তী।

Read More »

ছোটগল্প: রেস্তোরাঁ

India’s First Bengali Daily Magazine. আমাদের শেষ রেস্তোরাঁর দিন। টিউশন ব্যাচটা শেষ হওয়ার আগেই শেষ হয়ে গেল। এরপর পাঁচজন কোথায় কোনদিকে ছিটকে চলে যাব ঠিক নেই। ইতিমধ্যে জয় এবং ডলির মধ্যে কোনও এক সেতুবন্ধন হয়েছে। দুজনেই এখন ঘৃণা করে আমাকে। এই ঘৃণার মাঝেও একদিন ডলির বুক ছুঁয়েছি আমি। একটি চিঠিও দিয়েছে ও আমাকে। যদিও এখন সেসব আর গুরুত্বপূর্ণ নয়। বুঝি একজনের প্রতি ভিন্ন ঘৃণা, দুজনকে কাছে আনতে পারে।

Read More »

জাদুবাস্তবতা: চিত্রশিল্প, সাহিত্য এবং চলচ্চিত্রে

India’s First Bengali Story Portal. জাদুবাস্তববাদী আন্দোলন কেবলমাত্র চিত্রশিল্পেই সীমাবদ্ধ থাকেনি, ছড়িয়ে পড়েছে সাহিত্য, চলচ্চিত্রের মত শিল্পের অন্যান্য মাধ্যমগুলোতে। ফ্রাঞ্জ রো সংক্রান্ত চিন্তাভাবনা ইতালীয় লেখক মাসিমো বনটেমপ্লিকে প্রভাবিত করেছিল। যদিও তাঁর লেখা অনেকাংশেই পরাবাস্তব ঘেঁষা। আলেহো কারপেন্তিয়ার এবং আরতুরো উসলার পিয়েত্রির নাম এই বিষয়ে যথেষ্ট উল্লেখযোগ্য। বিশ ও ত্রিশ দশকে ইউরোপে বসবাসকালে তাঁরা দুজনেই ইউরোপিয়ান শিল্প আন্দোলনগুলো দ্বারা প্রভাবিত হন। কারপেন্তিয়ার ইউরোপ থেকে কিউবা ফিরে, হাইতি ঘুরে এসে লাতিন আমেরিকান জাদুবাস্তবতার দিকে জোর দেন। কারপেন্তিয়ারকেই লাতিন আমেরিকার জাদুবাস্তবতার প্রবক্তা বলা হয়ে থাকে।

Read More »

কোথাও ফেরার থাকে না

মনে হল সেই সকলের মাঝে গিয়ে বসি। তাদের শোকের মাঝে গিয়ে। আগুন জ্বালিয়ে কোনওক্রমে যা রান্না করেছেন তারা শুধু পেট ভরিয়ে রাখার জন্য, মনে হল গিয়ে খাই। হাতে লেগে থাকুক সেই এঁটো। বলি, সেই তেরো-চোদ্দো বছর বয়সী মেয়েটিকে, ‘কাল বাড়ি ফিরে যাচ্ছি, মেয়ে।’ বলা হল না। কাউকে কখনও বলা হয়ে ওঠে না বাড়ি ফিরে যাওয়ার কথা।

Read More »

মৃত্যু-শিল্প-আলো: তৃতীয় পৃথিবী

মৃত্যুর পর আকিরাকে একজন বলেছিলেন যে তাঁর দাদার মধ্যে ছিল এক অদ্ভুত অন্ধকার। এই অন্ধকারই টেনে নিয়ে গেছিল তাঁকে মৃত্যুর দিকে। যদিও সবাক চলচ্চিত্র আসার পর নির্বাক চলচ্চিত্রের কথকদের কাজ হারানোকেই অনেকে দায়ী করেন। সারাজীবন ফুল এবং প্রকৃতির মধ্যে থাকা মোনে স্ত্রীর মৃত্যুশয্যার ছবি আঁকতে গিয়ে অন্ধকার চেয়েছিলেন। অথচ তাঁর শিল্পসত্তা সেই অন্ধকারের ওপর বুলিয়ে দিয়েছিল চমৎকার কুয়াশার মত আলো।

Read More »

যে যে কারণে একটি খুন আমাকে করতে হত

হৃদয়পুরের প্রেম না থাকলেও রোজ বিকেল করে আমি অশেষ মিষ্টির দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে সুন্দরী মেয়েদের দেখি। আমার চোখ তৈরি হয়ে গেছে। যার মধ্যে একটা আলাদা রহস্য আছে তার সঙ্গে যেচে পড়ে বন্ধুত্ব গড়ে নিই। তারপর ধীরে ধীরে তার গল্পগুলোকে বের করে নিই ভেতর থেকে। এই বের করে নেওয়ার পর একজন মেয়ের কী হয় সেই নিয়ে আমার বিশেষ মাথাব্যথা নেই। কারণ সেসব নিয়ে ভাবা একজন লেখকের জন্য দরকারি নয়।

Read More »

হোটেলের রেজিস্টারে যে নাম কখনও থাকে না

আমি ও নিভা জেনে গেছি এই রহস্যটা। বুঝে গেছি দেওয়া-নেওয়ার সম্পর্কটুকু। কাল দুপুরের ট্রেন, নামখানা লোকাল। প্রায় তিন ঘণ্টার পথ পেরিয়ে কলকাতা। তারপর নিজ নিজ বাড়ি। নিভার শরীরে আমার গন্ধটা ফিকে হয়ে যেতে হয়তো আড়াইটা দিন। তারপর একদিন হঠাৎ আমার শরীরের বিভিন্ন ছিদ্র থেকে বেরিয়ে আসবে লক্ষ লক্ষ লাল কাঁকড়ার দল আর দূরে কোথাও হিংস্র জন্তুটা উন্মাদের মত হেসে পাশ ফিরে শোবে।

Read More »