Search
Generic filters
Search
Generic filters
মলয়চন্দন মুখোপাধ্যায়

মলয়চন্দন মুখোপাধ্যায়

মলয়চন্দন মুখোপাধ্যায় কবি ও প্রাবন্ধিক।
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on whatsapp

মাতৃ-ভাষা-রূপে খনি, পূর্ণ মণিজালে

কী যে জাদু বাংলাভাষায়! আর ব‍্যাপ্তি। একহাতে সে উপহার দেয় বৈষ্ণবপদাবলীকবিতা, অন‍্যহাতে ময়মনসিংহগীতিকা। আবিশ্বের বিশ্ববিদ‍্যালয়গুলিতে বাংলাভাষা পড়ানো হচ্ছে,— মেলবোর্ন, লন্ডন, টোকিও, বেইজিং, মন্ট্রিল-সহ একশোটি বিশ্ববিদ্যালয়ে। ব্রিটেন থেকে বেরোয় বারোটি সাপ্তাহিক বাংলা পত্রিকা। আছে দৈনিক পাক্ষিক মাসিক পত্রিকাও। বিদেশিদের গবেষণা মাইজভাণ্ডারী দর্শন (হানস হার্ডার, জার্মানি) থেকে অশ্বিনীকুমার দত্ত, চাকমা ভাষা থেকে লালন পর্যন্ত ব‍্যাপ্ত। ব‍্যারি মরিনসন, এলভিয়েতা ওয়ালটার, মারিয়েন ম‍্যাডার্ন (মেলবোর্ন) বাংলাভাষা নিয়ে বিদেশি গবেষকদের সামান‍্য কয়েকটি নাম।

Read More »

দেবী সরস্বতী

সবচেয়ে বিস্ময়কর কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সরস্বতীপুজো। পৃথিবীতে দ্বিতীয়রহিত। বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলের সামনের মাঠে সমস্ত বিভাগের ছাত্রছাত্রীদের উদ‍্যোগে প্রায় আশিটি মণ্ডপে আশিটি বা তার বেশি মূর্তি ও পূজা। অকল্পনীয়। পুজোতে অংশ নেন ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে সব ছাত্রছাত্রী এবং শিক্ষকবৃন্দ। বিতরিত হয় প্রসাদ। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয় রাতে।

Read More »

মনে পড়ে সেইসব দিন

India’s First Bengali Daily Journal. দেশবাসীর কাছে তিনি জাতির পিতা, বঙ্গবন্ধু নামে আবালবৃদ্ধবনিতার কাছে পরিচিত। জাতিকে তিনি উপহার দিয়ে গেছেন একটি পতাকা, ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইল জুড়ে শামিয়ানা করে টাঙানোর জন‍্য। দিয়ে গেছেন সোনার বাংলার শাশ্বত উত্তরাধিকার। দিয়েছেন অন্ধজনে আলো, মৃতজনে প্রাণ। মূর্খ পশুরা তাঁকে হত‍্যা করেছে, অতীতে যেমন করেছিল জুলিয়াস সিজার, আব্রাহাম লিঙ্কন, মার্টিন লুথার কিংকে। আলেন্দে আর লুমুম্বাকে। পিতার রক্তাক্ত মুখ হৃদয়ে রেখে দেশটির বিজয় দিবসটিকেই নয় কেবল, দেশের সার্বিক কল‍্যাণ সাধন করে ‘তোমার পতাকা যারে দাও, তারে বহিবারে দাও শকতি’, রবীন্দ্রনাথের এই বাণীকে সফল করে তুলছেন বঙ্গবন্ধুকন‍্যা। শান্তি ও কল‍্যাণ তাঁর অভীষ্ট।

Read More »

গুরু নানক : জন্মতিথির শ্রদ্ধা

India’s First Bengali Daily Journal. নানক সম্পর্কে বিস্তৃত তথ‍্য জানা যায় না। পুরীতে শ্রীচৈতন‍্যের সঙ্গে দেখা হয়েছিল নাকি তাঁর। কাশীতেও কবীর-সান্নিধ‍্য ঘটে থাকতে পারে। তাঁর ভ্রমণসঙ্গী ছিলেন মার্দানা নামে এক মুসলমান। পরে তিনি শিখধর্মে দীক্ষা নেন। সঙ্গীতগুণী মার্দানা তানসেনের গুরু স্বামী হরিদাসকে যন্ত্রবিদ‍্যা শিখিয়েছেন। পর্যটনপ্রিয় নানক পূর্ববঙ্গের ঢাকা ও চট্টগ্রামেও এসেছিলেন। চট্টগ্রামের চকবাজারে তাঁর আগমনের প্রমাণ মিলেছে।

Read More »

দেবী কালী : রূপে রূপান্তরে

India’s First Bengali Daily Journal. বঙ্গদেশ প্রাচীনকাল থেকেই তন্ত্রাচারী। বৌদ্ধধর্মের সঙ্গে মিশে তন্ত্র নতুন মাত্রা পেয়েছিল। তান্ত্রিকদের মদ‍্যমাংস-সেবিত জীবনে কালীর আরাধনা ছিল, মূর্তি ছিল না। সপ্তদশ শতকে কৃষ্ণানন্দ আগমবাগীশের ‘তন্ত্রসার’ গ্রন্থের বিধান অনুযায়ী শান্ত কালীমূর্তি নির্মিত হয়, ‘দক্ষিণাকালী’। বঙ্গে তাহেরপুরের (রাজশাহী) রাজা কংসনারায়ণ যেমন দুর্গাপূজার প্রবর্তক, তেমনই নবদ্বীপের রাজা কৃষ্ণচন্দ্র কালীপূজার আহ্বায়ক।

Read More »

ঋত্বিককুমার ঘটক : ভারতীয় চলচ্চিত্রের এক নিয়তিতাড়িত কর্ণ

India’s First Bengali Daily Journal. আমরা দেখছি, পৃথিবীর অন‍্যতম প্রাচীন শিল্পমাধ‍্যম নাটক দিয়ে ঋত্বিকের নন্দনলোকে যাত্রা শুরু। নাটক তিনি শেষজীবন পর্যন্ত চালিয়ে গেছেন। নাটক থেকে তিনি এলেন পৃথিবীর সবচেয়ে নবীন নন্দনমাধ‍্যম বলে আখ‍্যায়িত সিনেমায়। নাটক থেকে চলচ্চিত্রে আসার পেছনে তাঁর যুক্তি ছিল, নাটকের চেয়ে অনেক দ্রুত দর্শকের কাছে পৌঁছনো যায় সিনেমার মাধ‍্যমে।

Read More »

আঁতের কথা : স্বাধীনতা, দেশভাগ ও আমি

ভালভাষা উৎসব সংখ্যা ২০২৩। কলোনির জীবন দেখেছি আমি। তার ভাল ও মন্দ, দুই-ই। তীব্র জীবনসংগ্রামের মধ‍্য দিয়ে যেতে যেতেও মানবিকতা হারায়নি মানুষ, নিজেদের ক্লেশ, তবু তার মধ‍্যে আশ্রয় দিয়েছে আত্মীয়স্বজনকে, আধাপেট খেয়েও বঞ্চিত করেনি স্বজনকে। লিখেছেন মলয়চন্দন মুখোপাধ্যায়।

Read More »

দেবী দুর্গা : দেশে দেশে, কালে কালে

India’s First Bengali Daily Journal. দুর্গাপুজোর সময় যে চণ্ডীপাঠ হয়, তা একটু খেয়াল করলেই দেখব, তিনি মহিষাসুর ছাড়াও নানাসময় বধ করেন চণ্ডমুণ্ড, মধুকৈটভ, শুম্ভনিশুম্ভ ও আরও বহু অসুরকে। আসলে দুর্গাপুজোয় যে অসুরবধ, তা শাশ্বতকালের শুভাশুভ দ্বন্দ্বের-ই সমরেখায় স্থাপিত। এবং এই শুভাশুভের সংগ্রাম কেবল হিন্দুধর্মেই নয়, অন‍্যান‍্য ধর্মেও আছে।

Read More »

মহালয়া

India’s First Bengali Daily Journal. এখন, অর্থাৎ নব্বই বছরের অধিককাল ধরে ‘মহালয়া’ শব্দটি আকাশবাণী কলকাতার দৌলতে অন‍্যভাবে তাৎপর্যমণ্ডিত হয়ে উঠছে। বাণীকুমার, পঙ্কজকুমার মল্লিক এবং সর্বোপরি বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের অধ‍্যক্ষতায় ভোরে পিতৃপক্ষের অমাবস‍্যা তিথিতে যে ‘মহিষাসুরমর্দিনী’ প্রচারিত হয়, যেখানে অসংখ‍্য নামী শিল্পীর কণ্ঠে দুর্গার আগমনী-গীত পরিবেশিত হয়, কেবল কলকাতা বা পশ্চিমবঙ্গের বাঙালি নয়, আবিশ্বের বাঙালির কাছে, এমনকি বহু অবাঙালির কাছেও তার আবেদন সর্বব‍্যাপী।

Read More »

রক্তাক্ত পিতার মুখ নিয়ে সিংহাসনে

India’s First Bengali Daily Journal. ইতিহাসের যে সুবিশাল সরণী বেয়ে আমরা শেখ হাসিনায় এসে পৌঁছলাম, তাতে দেখা যায়, কথিত সব রাষ্ট্রনায়কদের তুলনায় বহুগুণ বিধুরতার মধ‍্য দিয়ে অতিক্রম করতে হয়েছে পৃথিবীর মাত্র দুই শতাংশ অঞ্চল নিয়ে আঠারো কোটি মানুষের জীবনকে সুখী ও সমৃদ্ধিশালী করার লক্ষ্যে নিয়োজিত শেখ হাসিনাকে। ‘জন্ম তোর বেদনার দহে’— তাঁর সম্পর্কে বলতেই পারি আমরা।

Read More »

রবীন্দ্রনাথ ও নজরুল

India’s First Bengali Daily Journal. রবীন্দ্রনাথ এবং নজরুল বাংলা সাহিত‍্যে যেন দুই ভ্রাতৃসূর্যলোক। এক-ই যুগে আবির্ভূত হয়ে তাঁরা বাংলা সাহিত‍্যকে নিজ নিজ প্রতিভাবলে যা দিয়ে গিয়েছেন, যাবচ্চন্দ্রদিবাকর তার মহিমা অক্ষুণ্ন থাকবে। যুগ এক, কিন্তু তাঁদের জগৎ নিজস্ব, ঘরানা স্বতন্ত্র, শৈলী আলাদা, নির্মাণের ভুবনে ফারাক, তদুপরি ভাগ‍্যদেবতার বিচারে একজন বরমাল্য পান তো অন্যজন বিড়ম্বিত হয়ে থাকেন। বিড়ম্বিত, তবু তাঁর হাতে-বওয়া জয়ধ্বজা অম্লান, উত্তুঙ্গ, দৃপ্ত, উজ্জ্বল ও কালান্তরী।

Read More »

মৃণাল সেন: অনন্যতাসমূহ

India’s First Bengali Daily Journal. মৃণাল আলোচিত হবেন যেসব বৈশিষ্ট্যের জন্য, তার সূত্রপাত তাঁর দ্বিতীয় ছবি ‘নীল আকাশের নীচে’ দিয়ে। এপর্যন্ত বাংলা ছবির কাহিনিকাররা ছিলেন বাঙালি গল্প-ঔপন্যাসিক। এই প্রথম বাংলার বাইরের লেখক,— হিন্দি কথাসাহিত্যিক মহাদেবী বর্মার গল্প অবলম্বনে ছবি করলেন তিনি। পরে ওড়িয়াভাষী বিখ‍্যাত লেখক কালিন্দীচরণ পাণিগ্রাহীর ‘মাটির মনীষ’ নিয়ে ছবি করেছেন তিনি, করেছেন মুন্সী প্রেমচাঁদের কাহিনি নিয়েও। বাংলা ছবির কাহিনিতে সর্বভারতীয়তা তিনি-ই প্রথম এনেছেন, সত‍্যজিৎ রায়ের প্রেমচাঁদ নিয়ে ছবি তৈরির ঢের আগে। মহিলা লেখকদের লেখাও কি বাংলায় তিনিই প্রথম এনেছিলেন?

Read More »

মৃণাল সেন: শতবর্ষের ওপার থেকে

India’s First Bengali Daily Journal. সত‍্যজিৎ-মৃণাল-ঋত্বিক, তিনজনের ঐতিহ্য ও উৎস পূর্ববঙ্গ, যদিও দেশভাগ তাঁদের ভারতীয় বানিয়েছিল। সত‍্যজিৎ না জন্মালেও মৃণাল এবং ঋত্বিক জন্মেছিলেন পূর্ববঙ্গে, এবং যৌবনের একটা পর্যায় অবধি কাটিয়েছিলেন মাতৃভূমিতে। এর প্রভাব আমরা এই দুজনের জীবনযাপন ও ছবি তৈরির মধ‍্যে লক্ষ্য করি। অবিভক্ত বাংলার ফরিদপুরে জন্ম মৃণাল সেনের। সতেরো বছর বয়স পর্যন্ত তিনি ফরিদপুরে কাটিয়েছেন, ম‍্যাট্রিক পাশ করা পর্যন্ত। তারপর কলকাতায় যাওয়া। মা-বাবা যদিও আরও কিছুদিন ছিলেন, ফরিদপুর পাকিস্তানের অন্তর্গত হওয়ার পরেও। ফরিদপুর থেকে এই বিশ্বের দেশ-দেশান্তরে পাড়ি দেওয়া চলচ্চিত্রের হাত ধরে,— এই মনীষার সামগ্রিকতার নাম-ই মৃণাল সেন।

Read More »

সত‍্যজিৎ রায়: আমার স্মৃতিতে

India’s First Bengali Daily Journal. তাঁকে দেখলাম ছবি শেষ হওয়ার পর। ব‍্যালকনি থেকে নামছেন। আমিও। দুজনেই যখন মাঝপথে, তাঁর গতিরোধ করে ঢিপ করে এক প্রণাম। উনি ‘না না, এটা পাবলিক প্লেস’ বলে আমাকে বাধা দিতে উদ‍্যত। আমি প্রণাম সেরে বললাম, সত‍্যজিৎ রায়কে যে-কোনও জায়গাতেই প্রণাম দেওয়া যায়। বলতেই তাঁর কথাটির তাৎপর্য টের পেলাম। জনসাধারণের সামনে একবার কেউ প্রণাম দিলে সঙ্গে সঙ্গে প্রণাম দেবার বন‍্যা বয়ে যেতে পারে, এই আশঙ্কা থেকেই সম্ভবত তাঁর ওই উক্তি।

Read More »

সত‍্যজিৎ রায়: অনন‍্যতাসমূহ

India’s First Bengali Daily Journal. সত‍্যজিৎ মানে কেবল চলচ্চিত্র পরিচালক নন। বহুমুখী প্রতিভা ছিল তাঁর। কেবল সিনেমার কথাই যদি বলি, ছবির চিত্রনাট‍্য, সংলাপ, একটা পর্যায়ের পর সঙ্গীত পরিচালনা, এসব তিনি নিজেই করতেন। ক‍্যামেরায় বা শিল্পনির্দেশনায়, সম্পাদনায় অন‍্য লোক ছিলেন বটে, তবে এসব-ও মূলত তিনি-ই দেখতেন। ছবির জন‍্য অনেক সময় গান-ও লিখেছেন তিনি। ‘দেবী’ (এ-ছবির জন‍্য ব্রাহ্ম সত‍্যজিৎ শ‍্যামাসঙ্গীত পর্যন্ত লেখেন!), ‘চিড়িয়াখানা’, আর সবচেয়ে জনপ্রিয় ‘গু গা বা বা’-র গানগুলি তাঁর রচিত। পরবর্তীকালে ‘হীরক রাজার দেশে’-র গানগুলিও।

Read More »

নববর্ষ: দেশে দেশে

India’s First Bengali Daily Journal. যেমন আরও এক সমান্তরাল ধারা নওরোজের। ২০ বা ২১-এ মার্চ দিনটি ইরানে পালিত হত। ইরান আবার এটি নিয়েছিল সুমেরীয় সভ্যতা থেকে। ভারতে মুঘল আমলে বাদশাহরা একে রাজকীয় মর্যাদা দিলেন। এখনও আফগানিস্তান, পাকিস্তানের কোনও কোনও অঞ্চল, মধ্য এশিয়ায় এই পর্বটি অত্যন্ত পবিত্রতার সঙ্গে পালন করা হয়। পারস্য বা ইরানে এ-উৎসবটি তিন হাজার বছরেরও অধিক প্রাচীন। ২০১০-এ রাষ্ট্রসংঘ উৎসবটিকে ঐতিহ্যিক স্বীকৃতি জানায়। নববর্ষ আর বসন্তোৎসবের দ্বৈত মাধুর্যে দিনটি উদযাপিত হয়।

Read More »

নববর্ষ: ভারতের নানা রাজ্যে

India’s First Bengali Daily Journal. ভারতের মত বিশাল দেশে অজস্র ধর্ম-বর্ণ-ভাষা ও সংস্কৃতির মিশ্র ও আশ্চর্য রঙ্গভূমি। তাই প্রদেশে প্রদেশে নববর্ষের ভিন্ন সুর, ভিন্নতর মাত্রা। পঞ্জাবে দিনটি যেমন ‘বৈশাখী’ হিসেবে পালিত হয়, তেমনই মারাঠিদের নববর্ষ চৈত্রের গোড়াতে হয়, যা ‘গুড়ি পওয়া’ নামে খ্যাত। মারাঠিদের বিশ্বাস, নববর্ষের পুণ্যদিনেই বিশ্বস্রষ্টা ব্রহ্মা বিশ্বসৃষ্টির কাজে হাত দিয়েছিলেন। পঞ্জাবের যে ‘বৈশাখী’, তার সঙ্গে যুক্ত হয়ে আছে শিখ-ইতিহাসের উজ্জ্বল অধ্যায়।

Read More »

বাঙালিজীবনে নববর্ষ

India’s First Bengali Daily Journal. ব্যাপ্ত বাংলাদেশের যে সংস্কৃতি জেলায় জেলায় চর্চিত ও প্রশ্রয়প্রাপ্ত, তারই প্রতিনিধিত্ব করে এই ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’। নয়ের দশকে এই শোভাযাত্রার সূচনা মূলত শিল্পী ইমদাদ হোসেনের পরিকল্পনামাফিক। এখন কেবল ঢাকাতেই নয়, এর প্রসার ছড়িয়ে পড়েছে ত্রিশালে নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর চারুকলা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও খুলনাসহ সমগ্র বাংলাদেশে। মুখোশ, সরার ছবি, ফেস্টুন নিয়ে মঙ্গল শোভাযাত্রা বেরোয়। এর নান্দনিকতা ও ঐতিহ্য একে রাষ্ট্রসংঘের হেরিটেজের মর্যাদা এনে দিয়েছে।

Read More »

প্রসঙ্গ বাংলা নববর্ষ

India’s First Bengali Daily Journal. পয়লা বৈশাখ থেকে নববর্ষ গণনার সূচনা আকবরের। ৯৬৩ হিজরি সনে সম্রাট আকবর দিল্লির মসনদে বসেন। বাংলাদেশ তখন মুঘলদের অধীনে। হিজরি সন হচ্ছে চান্দ্র বৎসর, ৩৫৪ দিনের। এতে করে খাজনা আদায় বিড়ম্বিত হয়, কেন-না হিজরি সনে ঋতুর বৈষম্য ঘটে যায়। তাই নির্দিষ্ট দিনে খাজনা আদায়ে অসুবিধে হয়। হিজরি সন অনুসরণ করলে নির্দিষ্ট মৌসুমে নির্দিষ্ট দিন নির্ধারণ অসম্ভব। সম্রাটের দরবারে কোনও কোনও প্রভাবশালী ব্যক্তির পরামর্শে আকবর একটি নতুন সনের প্রবর্তনে আগ্রহী হন। সম্রাটের কাছেও তা যুক্তিযুক্ত মনে হয়েছিল, বিশেষ করে খাজনা আদায়ের দিক থেকে বিচার করে।

Read More »

মহানায়িকা সুচিত্রা সেন: ভিন্ন অবলোকন

India’s First Bengali Daily Journal. তাঁর দৃঢ়তা ছিল সত‍্যজিৎ রায়ের শর্তমাফিক ছবিতে অভিনয় করার অস্বীকৃতি জানানোয়। রাজ কাপুরকেও তিনি ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। সাংবাদিকদের তোয়াক্কা করেননি। পারিশ্রমিক এক সম্ভ্রান্ত জায়গায় নিয়ে গিয়েছিলেন। আর এইসব সাহসিক, বলা যাক দুঃসাহসিক কাজগুলো সম্পন্ন করতে পেরেছিলেন তার কারণ, তাঁর নিজের পেশাকে তিনি ব্রতপালনের নিষ্ঠায় দিনে দিনে উত্তুঙ্গে নিয়ে যেতে পেরেছিলেন: কাউকে বিনাযুদ্ধে মেদিনী ছেড়ে দিতে কদাপি বলেননি তিনি।

Read More »