চতুর্থ পর্ব
একদা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ভারতীয় সভ্যতা ও সংস্কৃতির বিকাশ ঘটেছিল। ব্রহ্মদেশ বা বর্মা (বর্তমান মায়ানমার), আনাম (বর্তমান ভিয়েতনাম), শ্যামদেশ (থাইল্যান্ড), মালয়, সুমাত্রা, জাভা, বালি (বর্তমান ইন্দোনেশিয়া) ইত্যাদি দেশের সঙ্গে ভারতের বাণিজ্যিক ও সাংস্কৃতিক যোগসূত্র রচিত হওয়ার ফলে এসব দেশে বহুবিধ ভারতীয় ঐতিহ্য-সংস্কৃতির ব্যাপক অনুসরণ ঘটে। ‘জাতক’, ‘কথাসরিৎসাগর’ এবং আরও বহু গ্রন্থে এসব দেশের সঙ্গে ভারতের সাংস্কৃতিক আদান-প্রদানের খবর পাওয়া যায়। এসব দেশের কোথাও কোথাও ভারতের রাজনৈতিক প্রভুত্বও স্থাপিত হয়েছিল, যার স্থায়িত্বকাল ছিল হাজার বছরেরও বেশি। কম্বোজ বা কম্বোডিয়া ছিল, এরকম একটি দেশ, যার রাজধানী যশোধরপুর সম্পর্কে ঐতিহাসিক রমেশচন্দ্র মজুমদার মন্তব্য করেছেন, ‘It was one of the grandest cities in the whole world in that age. (An Advanced History of India)। খ্রিস্টীয় দ্বিতীয় শতক থেকে হাজার বছরেরও বেশি এদেশে ভারতীয়রা রাজত্ব করেছে, গড়েছে আঙ্কোরভাট বিষ্ণুমন্দির-সহ আরও বহু স্থাপত্য। তেমনই ভিয়েতনামের একটি অংশ নিয়ে যে চম্পা রাজ্য গড়ে ওঠে, সেখানে শ্রীমার নামে জনৈক ভারতীয় রাজ্যটির প্রতিষ্ঠাতা। মালয় উপদ্বীপের শৈলেন্দ্র সাম্রাজ্যও ভারতীয়দের দ্বারা খ্রিস্টীয় অষ্টম শতাব্দীতে প্রতিষ্ঠিত হয়। শৈলেন্দ্র রাজাদের ধর্মগুরু ছিলেন বাঙালি, নাম কুমার ঘোষ। সে-দেশের রাজা বালপুত্রদেব পালরাজ দেবপালের অনুমতিক্রমে নালন্দায় একটি বৌদ্ধমঠ নির্মাণ করেন। বিশ্বের অষ্টম আশ্চর্যরূপে চিহ্নিত বরোবুদুর স্তূপ এখানেই অবস্থিত।
নববর্ষ প্রসঙ্গে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এইসব দেশ নিয়ে আলোচনার হেতু হল, এ-সব দেশে আজও কিন্তু ঐতিহ্য মেনে ভারতীয় মতেই নববর্ষ পালিত হয়ে থাকে। বর্মা, কম্বোডিয়া, লাওস এবং অন্যান্য বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীর দেশে দিনটি ‘সংক্রান’-রূপে পালিত হয়। পার্বত্য চট্টগ্রামের বৌদ্ধদের মধ্যেও দিনটির গুরুত্ব অপরিসীম। মায়ানমারে দিবসটি Thingyan নামে পরিচিত, যার অর্থ জলক্রীড়া। এই দিনটিতে ওখানে জলখেলা প্রশস্ত তো বটেই, কম্বোডিয়া-থাইল্যান্ড ইত্যাদি দেশে হাতি শুঁড়ে করে জল ছেটায়, এবং সে-জল দিয়ে নিজেকে সিঞ্চিত করে তোলা সাংবাৎসরিক সৌভাগ্যের লক্ষণ। তাই দেখা যাচ্ছে, নববর্ষের সূত্র ধরে বৃহত্তর ভারতের ঐতিহ্য এখনও ফল্গুধারার মত বয়ে চলেছে।
যেমন আরও এক সমান্তরাল ধারা নওরোজের। ২০ বা ২১-এ মার্চ দিনটি ইরানে পালিত হত। ইরান আবার এটি নিয়েছিল সুমেরীয় সভ্যতা থেকে। ভারতে মুঘল আমলে বাদশাহরা একে রাজকীয় মর্যাদা দিলেন। এখনও আফগানিস্তান, পাকিস্তানের কোনও কোনও অঞ্চল, মধ্য এশিয়ায় এই পর্বটি অত্যন্ত পবিত্রতার সঙ্গে পালন করা হয়। পারস্য বা ইরানে এ-উৎসবটি তিন হাজার বছরেরও অধিক প্রাচীন। ২০১০-এ রাষ্ট্রসংঘ উৎসবটিকে ঐতিহ্যিক স্বীকৃতি জানায়। নববর্ষ আর বসন্তোৎসবের দ্বৈত মাধুর্যে দিনটি উদযাপিত হয়। ইরানীয়রা ওইদিন তাদের পূর্বপুরুষদের আত্মাকে অভ্যর্থনা জানান। এজন্য ঘরদোর পরিচ্ছন্ন করে তোলা বিধি। নতুন জামা-কাপড় পরে আত্মীয়স্বজন বন্ধুবান্ধব-সহ আহারে বসেন তাঁরা। খাবার টেবিলের সরঞ্জাম সাজানো হয় প্রাচীন পদ্ধতিতে, যাকে বলে ‘হ্যাফ্ট সিন’। জেন্দ আবেস্তার ভাষায় ‘নওরোজ’ কথাটির অর্থ ‘নতুন দিন’ বা ‘দিনের আলো’। প্রাচীন ইরানীয়দের বিশ্বাস ছিল, এইদিন তাঁদের ঈশ্বর আহুর মাজদা পৃথিবীতে নেমে আসবেন মানুষের মধ্যে নীচতা, ক্ষুদ্রতা দূর করে দিয়ে তার মধ্যে চিরন্তন শুভবোধ জাগাতে। পৃথিবীতে কুৎসিত বলে কিছু থাকবে না, থাকবে না বুভুক্ষা অসুন্দর, আর কেউ-ই অসুখীও থাকবে না। এই অত্যাশ্চর্য সংঘটনকে প্রাচীন ইরানীয়রা ‘রাস্তাখিজ’ নামে অভিহিত করেন, যাকে পুনর্জাগরণ বলে ব্যাখ্যা করা যায়। বলা হয়, ইরানীয় শাসক জামশেদ এই উৎসবের প্রবর্তন করেছিলেন। আহুর মাজদার নামে এদিন মদ্যপানেরও আয়োজন থাকে। কিংবদন্তি যে, স্বয়ং জামশেদ ছিলেন মদ্য প্রস্তুতির দক্ষ একজন কারিগর।
ইরান ও ভারতবর্ষ প্রাচীনকালে আর্যদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালনকারী দুটি দেশ। অতএব আর্যদের যে সামাজিক-সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার, তার সমান্তরালতা দু’দেশেই দেখা যায়। কিন্তু নববর্ষের প্রশ্নে অর্থাৎ ঋতুগত প্রশ্নে ভারতীয় আর্যরা কিন্তু শরৎকেই বেশি পরিমাণে মর্যাদা দিয়েছিন। ‘কুৰ্বেন্নেবেহ কর্মাণি জিজীবিষেস্থতং সমাঃ’, অর্থাৎ কাজ করতে করতে শত শরৎ বাঁচবার আকাঙ্ক্ষা করবে, বা ‘জীবেম শরদঃ শতম্’ (যেন শত শরতের আয়ু লাভ করি), উপনিষদের এই উক্তির মধ্য দিয়ে শরৎকালের প্রতি ভারতীয় আর্যদের সম্ভ্রান্ত মনোভাব লক্ষ্য করা যায়।
ভারতবর্ষের পাশের দেশ তিব্বত। এদেশের নববর্ষ পালন ‘লোসার’ নামে পরিচিত। তিনদিন ধরে তিব্বতিরা নববর্ষ উৎসবে মেতে থাকেন। সেখানকার পোতালা প্রাসাদের মন্দিরের দেবীকে উৎসর্গ করা হয় বিশেষ এক ধরনের পিঠে, যার নাম ‘তোরমা’। যখন দালাই লামা থাকতেন, সে-সময় এই দিনে তাঁর কাছে উপস্থিত হয়ে ভক্তরা মনোবাঞ্ছা পূরণের প্রার্থনা জানাতেন। দীর্ঘদিন ধরে দালাই লামা ভারতে নির্বাসিত। তবে এই লোসার পরে কেবল তিব্বতেই নয়, ভারতের বহু বৌদ্ধ-অধ্যুষিত অঞ্চল যেমন লাদাখ, অরুণাচল প্রদেশ, সিকিম অঞ্চলে উদ্যাপিত হয়ে থাকে। লাদাখ ও অন্যত্র দেখা যায় এই উৎসবের অঙ্গ হিসেবে পূর্বপুরুষের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন, সমাধিস্থলে প্রদীপ জ্বালানোর মত প্রয়াতদের স্মরণ ও অর্চনা লোসারের আবশ্যকীয় অঙ্গ। অল্পবয়সীরা মুখোশ পরে আনন্দ করে আর তাদের পোশাক রঞ্জিত হয় পশুর অবয়বে। এই উৎসব দু’সপ্তাহ ধরে প্রলম্বিত হতেও দেখা যায় কোথাও কোথাও। ভুটান আর নেপালেও এই ‘লোসার’ (লো= বছর, আর সার= নতুন) এক অতি জনপ্রিয় অনুষ্ঠান। নেপালে এছাড়া ‘বৈশাখী’-ও উদ্যাপিত হয়। প্রথমটি পালন করেন বৌদ্ধরা, আর দ্বিতীয়টি সেখানকার হিন্দুরা। নেপালে আবার এর অন্যতর বৈচিত্র্য রয়েছে। গুরুং সম্প্রদায় পালন করে থাকেন ‘টোলো লোসার’, ‘সোনাম লোসার’ টামাং জনগোষ্ঠীর, আর ‘গিয়ালপো লোসার’ হল শেরপা ও ভুটানিদের যাপিত উৎসব। প্রথমটি ডিসেম্বরে, দ্বিতীয়টি ফেব্রুয়ারি ও তৃতীয়টি অনুষ্ঠিত হয় মার্চে। তাই নেপালের ‘লোসার’ উৎসবকে পুরোপুরি নববর্ষ উৎসব বলে সংজ্ঞায়িত করা যায় না।
তিব্বতের ‘লোসার’ উৎসবের বৈশিষ্ট্য হল, এ সময় বৌদ্ধপণ্ডিতরা বৌদ্ধ ধর্মের নানা বিষয় নিয়ে বিতর্কে অবতীর্ণ হন। আমাদের ভাবতে ইচ্ছে করে, সুদূর অতীতে এরকমই বিতর্কে অংশ নিয়েছিলেন হয়তো বাঙালি পণ্ডিত অতীশ দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান বা তাঁরও পূর্বে তিব্বতে যে-দু’জন বাঙালি বৌদ্ধপণ্ডিত গিয়েছিলেন, সেই শান্তরক্ষিত ও কমলশীল!
ভারতবর্ষে এবং তার প্রতিবেশী দেশসমূহে যে নববর্ষের আলোচনা এতক্ষণ করা গেল, সেখানে শ্রীলঙ্কা নিয়ে আলোকপাতও জরুরি। আমরা জেনেছি যে চেন্নাইয়ে যে নববর্ষ পালিত হয়, যা ‘পুথাণ্ডু’ নামে পরিচিত, তা তামিলভাষী শ্রীলঙ্কাবাসীরাও পালন করে থাকেন। সেখানকার বৌদ্ধ সম্প্রদায় বৌদ্ধ পঞ্জিকানির্ভর ‘বাক’ মাসে নববর্ষ পালন করেন। ‘নোনাগাথে’ অর্থাৎ পুরনো ও নতুন বছরের মধ্যবর্তী একটি নিরপেক্ষ সময় কল্পিত হয়েছে, একমাত্র দেব-আরাধনা ছাড়া সবকিছুই তখন নিষিদ্ধ। আগে কোকিলের ডাক শুনে নববর্ষের শুভক্ষণটি ঠিক করা হত। কিন্তু এখন জ্যোতিষবচনই একমাত্র গ্রাহ্য। এই দিনটিকে বলা হয় ‘অলুখ অউ রুডু’। সেদিন ভেরী বাজিয়ে আহ্বান করা হয় নতুন বছরকে। সেই ‘রাবান’ বা ভেরীর শব্দ নতুন বছরের নতুন দিনটিকে নবতর মাত্রা দেয়। অশোকের অনুশাসনে যে রয়েছে ‘ভেরী ঘোসো অহো ধম্মো খোসো’, এ যেন তারই চিরায়ত ও শাশ্বত অনুরণন।
নববর্ষকে কেন্দ্র করে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বিচিত্র সব প্রথা পালিত হওয়ার প্রচলন রয়েছে। এশীয় ভূখণ্ডে তা এক রকম, ইউরোপে অন্য রকম। বালি ও জাভায় যেমন দিনটি নীরবতা পালনের দিন, আর পুজো-আচ্চা, উপোস ইত্যাদির মাধ্যমে পালন করা হয় দিনটিকে। বিমানবন্দর বন্ধ থাকে বালিতে, রোগী বহন করা ছাড়া গাড়ি চলাচলও নিষেধ। অন্যদিকে ফরাসিরা এই দিনে (স্বভাবতই পয়লা জানুয়ারি) বাড়িতে সঞ্চিত যাবতীয় মদ খেয়ে শেষ করে (বছরের শেষ দিনে, অর্থাৎ ৩১-এ ডিসেম্বর। পুরনো মদ গৃহস্থের সৌভাগ্যনাশকারী, এই বিশ্বাস থেকেই এরকম করা হয়)। অন্যদিকে গ্রিস দেশে নববর্ষ পয়লা নয়, পালিত হয় দোসরা জানুয়ারি, সেন্ট বেসিল (৩৩০-৩৭৯ খ্রিস্টাব্দ)-এর প্রতি শ্রদ্ধায়। পূর্ব ইউরোপে স্বয়ং যিশু পরে এঁর মান্যতা সর্বাধিক, যাঁর নামে বিখ্যাত গির্জা রয়েছে মস্কোতে। খ্রিস্টধর্মে পরম বিশ্বাসী এই সন্ত বলেছিলেন, ‘Beside each believer stands an Angel as protector and shepherd, leading him to life.’ গ্রিসে এদিন একটি রুটি প্রস্তুত হয়, ভিতরে মুদ্রা থাকে। যার ভাগ্যে সেই মুদ্রা লাভ ঘটে, বছরভর সুখসমৃদ্ধিতে কাটবে তার, এরকমই বিশ্বাস মানুষের। বলাবাহুল্য, এগুলো সবই সংস্কারের পর্যায়ে পড়ে। যেমন স্পেনবাসীদের নববর্ষের পূর্ব রাতে বারোটি আঙুর খেয়ে নেওয়া রীতি। জার্মানরা একপাত্র জলের মধ্যে গলানো সিসা ঢেলে নিয়ে পরখ করে, সিসা কেমন আকার নেয়। তা দেখে তারা বছরের ভাল-মন্দের সালতামামি করে।
দেশে দেশে এমন সব লোকাচার নববর্ষের সঙ্গে যুক্ত হলেও দিনটিকে আনন্দমুখর করে কাটানোর অভীপ্সা সব দেশেই দেখা যায়। কার্নিভাল, মেলা, নাচ-গান হই-হুল্লোড়, খাওয়া-দাওয়া, নতুন পোশাক পরা, এই হল নববর্ষ পালনের সাধারণ রীতি। বর্তমানে প্রায় প্রত্যেক দেশেই নিজ নিজ ঐতিহ্যে পালিত নববর্ষ পালনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ১ জানুয়ারির নববর্ষ পালন অনুষ্ঠান। সমগ্র বিশ্বের অনুমত যে গ্রেগোরিয়ান বর্ষপঞ্জী, তার ওপর ভিত্তি করেই মূলত দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ক্রিয়াকলাপ চলে। তাই স্বভাবতই পয়লা জানুয়ারির ভূমিকা সর্বাতিশায়ী হয়ে পড়েছে। ভারতবর্ষ তথা এই উপমহাদেশ যেহেতু প্রায় দুশো বছর ইংরেজদের অধীনে ছিল, তাই ইংরেজি তথা পাশ্চাত্য শিক্ষাদীক্ষা, পোশাক-আশাক, খাদ্য-পানীয় যেমন অনুসৃত হয়ে গেছে, তেমনই বড়দিন, রোববারের ছুটি, পয়লা জানুয়ারি নববর্ষ উদযাপনও উপমহাদেশের মানুষের কাছে গ্রহণীয় হয়ে উঠেছে। একদা ঔপনিবেশিক রাজধানী কলকাতায় ইংরেজদের নববর্ষ পালনের ছবি ধরা পড়েছে ‘হুতোম প্যাঁচার নকশা’-য়, ‘ইংরেজরা নিউ ইয়ারের বড় আমোদ করেন। আগামীকে দাঁড়াগুয়া পান দিয়ে বরণ করে ন্যান— নেশার খোঁয়ারির সঙ্গে পুরানকে বিদায় দেন।’ এরই পাশাপাশি ছাপোষা বাঙালির করুণ নববর্ষ-উৎসব পালনের ছবিও রয়েছে, ‘বাঙালীরা বছরটি ভালো রকমেই আর খারাবেই শেষ হোক, সজনে খাঁড়া চিবিয়ে ঢাকের বাদ্যি আর রাস্তার ধুলো দিয়ে পুরানকে বিদায় দেন। কেবল কলসি উচ্ছগগুকর্তারা আর নতুন খাতাওয়ালারাই নতুন বৎসরের মান রাখেন।’
ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের কবিতাতেও ইংরেজের নববর্ষের বাঙ্ময় চিত্র। তিনি লিখছেন, ‘নিরন্ন বায়ান্ন দেব ধরিয়া বিক্রম।/ বিলাতীর শকে আসি করিলা আশ্রম।।/ খৃস্টমতে নববর্ষ অতি মনোরম/ প্রেমানন্দে পরিপূর্ণ যত শ্বেত নর।।’ তিনি আরও লিখছেন, ‘নববর্ষ মহাহর্ষ ইংরেজটোলায়।/ দেখে আসিওরে মন আয় আয় আয়।।/ শিবের কৈলাসধাম আছে কত দূর।/ কোথায় অমরাবতী কোথা স্বর্গপুর।।’
তবে কী নববর্ষ, কী বৈশাখের আগমনী, শেষ পর্যন্ত রবীন্দ্রনাথের মধ্যেই বাঙালি তার পরম অনভূতির মন্ত্রস্পর্শ লাভ করে। তাই তাঁর কথা দিয়েই আমরা বর্তমান নিবন্ধ শেষ করব।
‘যাক পুরাতন স্মৃতি, যাক ভুলে যাওয়া গীতি,
অশ্রুবাষ্প সুদূরে মিলাক।’
।।। সমাপ্ত ।।।
চিত্র: গুগল
পড়ুন, প্রথম পর্ব
পড়ুন, দ্বিতীয় পর্ব
পড়ুন, তৃতীয় পর্ব