ষ্র’ডিঙ্গারের বেড়াল


দত্তাত্রেয় দত্ত
ঘুণধরা সমিধ সে দুখদেহ ইন্ধন এ-কালহুতাশনে/ যে-চিতাশরীর জ্বলে অস্থিসুদ্ধ পুড়ে হয় জলেতে বিলীন;/ পোড়া কাঠ নাভিকুণ্ড পড়ে থাকে সিক্ত তটে এখানে ওখানে/ ওষ্ঠ, উপস্থ, মুষ্ক, আলিঙ্গন, সবই তো তখন অর্থহীন।// তবুও অস্তিত্ব খুঁড়ে তুলে ছুড়ে ফেলে দেওয়া যায় না তো তাকে/ হারিয়েছে কিনা যেই নাড়িয়ে দেখতে যাই কালের কঙ্কাল/ তখনই দেখি সে আছে। স্মৃতি-মর্গে যতক্ষণ দোর দেওয়া থাকে/ ততক্ষণ নেই। তাই থেকে-নেই ষ্র’ডিঙ্গারের বেড়াল।