Search
Generic filters
Search
Generic filters
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on whatsapp

প্রকৃতিপাঠ: চিনেবাদাম চিনে নিন

চিনেবাদাম বা চিনাবাদাম লতানো গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ। এর বৈজ্ঞানিক নাম Arachis hypogea, এটি Fabaceae (সাবেক Leguminosae) গোত্রের একটি প্রজাতি যার উৎপত্তিস্থল দক্ষিণ আমেরিকা, মধ্য আমেরিকা এবং মেক্সিকো। ইংরেজিতে peanut, groundnut, earthnut, goober, goober pea, pindas, jack nut, pinder, manila nut এবং monkey nut নামে পরিচিত। আদি উৎস আমেরিকা হলেও বর্তমানে ভারতীয় উপমহাদেশ, চিন, জাপান, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, মধ্য আফ্রিকা, মাদাগাস্কার সহ আরও অনেক উষ্ণমণ্ডলীয় দেশে চিনাবাদামের ব্যাপক চাষাবাদ হচ্ছে। চিনাবাদাম হচ্ছে সয়াবিনের পর সর্বাপেক্ষা বেশি তেল প্রদায়ী ফসল। চিনাবাদামের গাছ একটি ঔষধী জাতীয় লতানো গুল্ম, যা ৩০ সেমি থেকে ৫০ সেমি (১ ফুট থেকে ১.৫ ফুট) দীর্ঘ হয়।

চিনাবাদামের ফুল থেকে স্বাভাবিকভাবে অন্যান্য ফুলের মতই ফল হয় না। এদের গাছে হলুদ রং এর ফুল হয়। সেই ফুলে পরাগায়ন হবার পর ফুলের পাপড়িগুলি ঝরে যায় ও ওভারিটি ফুলে ওঠে। সেই ফুলে ওঠা ডিম্বাশয়কে পেগ (peg) বলা হয়। সেই পেগটি তখন আরও একটি লম্বা হয়ে ওঠা একটি দণ্ডসহ হঠাৎ নিচের দিকে ঘুরে যায়। সেই ডিম্বাশয়টি পেগ-স্টেম সহ তখন নিচে ঘুরে গিয়ে এক-দু দিনের মধ্যে মাটির নিচে প্রবেশ করে ও ধীরে ধীরে চিনাবাদাম ফল হয়ে মাটির নিচেই বাড়তে থাকে। তাই আমরা যখন চিনাবাদামের ফল তুলি তখন মাটির নিচ থেকেই তুলতে হয় যদিও ফুল মাটির ওপরে স্বাভাবিকভাবেই হয়।

প্রত্যেকটি ফলে ১ থেকে ৪ বীজ থাকে এবং খোল ভেঙে বীজ বের করা হয়। বাদামবীজ তেল (৩৫-৫০%), প্রোটিন (২৫-৩০%) এবং ‘বি’ ও ‘ই’ ভিটামিনসমৃদ্ধ। এ তেল রান্নায়, মার্জারিন ও উদ্ভিজ্জ ঘি হিসেবে এবং বিস্কুট ও ঔষধ শিল্পে ব্যবহৃত হয়। সাবান ও পিচ্ছিলকারক উপাদান হিসেবেও এর ব্যবহার রয়েছে। ভাজা চিনাবাদাম খুবই জনপ্রিয়। বাংলাদেশে চিনাবাদাম চাষাধীন জমি ও বছরে উৎপন্ন ফসলের পরিমাণ যথাক্রমে প্রায় ৭৩,০০০ একর ও ৩৮,০০০ মেট্রিক টন। বাংলাদেশে বেশিরভাগ চিনাবাদাম জন্মে নোয়াখালী, ফরিদপুর, মাদারীপুর, কিশোরগঞ্জ, পটুয়াখালী ও রংপুর জেলায়। রবি ও খরিফ ফসল হিসেবেই এর চাষ হয়।

ঝলকে দেখে নেওয়া যাক চিনেবাদামের নানাবিধ পুষ্টিগুণ। ১. হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়, ২. মস্তিষ্কের ক্ষমতা ও কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায়, ৩. ক্যানসারের মত রোগ দূরে রাখে, ৪. পুষ্টির ঘাটতি দূর করে, ৫. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটায়, ৬. খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়, ৭. ব্লাড প্রেসার বা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে, ৮. ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে, ৯. রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে, ১০. কোষের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, এবং ১১. হজম শক্তির উন্নতি ঘটায়।

১. হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়: বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গিয়েছে বাদামে উপস্থিত ফসফরাস শরীরে প্রবেশ করার পর এমন কিছু কাজ করে যার প্রভাবে হাড়ের ক্ষমতা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। তাই তো প্রতিদিন এক বাটি করে বাদাম খাওয়া শুরু করলে জীবনে কোনও দিন কোনও হাড়ের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে না।

২. মস্তিষ্কের ক্ষমতা ও কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায়: আমেরিকার অ্যান্ড্রস ইউনিভার্সিটির গবেষকদের করা এক পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে, বাদামে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা কগনিটিভ পাওয়ার, সহজ কথায় বললে মস্তিষ্কের ক্ষমতা ও কার্যকারিতা বৃদ্ধি করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই তো পরীক্ষার আগে ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ম করে বাদাম খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে।

৩. ক্যানসারের মত রোগ দূরে রাখে: বাদামে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যানসার রোগকে প্রতিহত করতে সাহায্য করে। এখানেই শেষ নয়, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আরও নানা উপকারে লেগে থাকে। যেমন, অক্সিডেটিভ স্ট্রেস (Oxidative stress) কমিয়ে কোষেদের ক্ষত রোধ করে, সেই সঙ্গে ত্বকের এবং শরীরের বয়স কমাতেও সাহায্য করে থাকে।

৪. পুষ্টির ঘাটতি দূর করে: মধ্যপ্রাচ্য থেকে এসে এদেশে জাঁকিয়ে বসা এই প্রাকৃতিক উপাদানটির শরীরে রয়েছে প্রায় ৩.৫ গ্রাম ফাইবার, ৬ গ্রাম প্রোটিন, ১৪ গ্রাম ফ্যাট সহ ভিটামিন ই, ম্যাঙ্গানিজ, ভিটামিন বি-২, ফসফরাস এবং ম্যাগনেসিয়াম। এই সবক’টি উপাদানই শরীরকে সুস্থ রাখতে বিশেষ প্রয়োজনে লাগে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে তো একাধিক ক্রনিক রোগকে দূরে রাখতেও এই উপাদানগুলি সাহায্য করে।

৫. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটায়: বাদামে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যানসার প্রতিরোধের পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটানোর মধ্যে দিয়ে নানাবিধ সংক্রমণকে দূরে রাখতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

৬. খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়: গত কয়েক দশকের পরিসংখ্যান ঘাঁটলে দেখা যাবে কীভাবে অনিয়ন্ত্রিত কোলেস্টেরলের কারণে হার্টের রোগে আক্রান্তের হার বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই এই বিষয়ে সাবধান থাকাটা জরুরি। শরীরে যাতে কোনওভাবেই বাজে কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি না পায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। আর এই কাজটি করবেন কীভাবে? খুব সহজ! প্রতিদিনের ডায়েটে বাদামের অন্তর্ভুক্তি ঘটান, তাহলেই দেখবেন হার্টের স্বাস্থ্য নিয়ে আর চিন্তায় থাকতে হবে না। আসলে বাদামে উপস্থিত বেশ কিছু কার্যকরী উপাদান শরীরে অন্দরে ভাল কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমতে শুরু করে। সেই সঙ্গে কমে হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও।

৭. ব্লাড প্রেসার বা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে: শুধু ডায়াবেটিস নয়, বাদামে উপস্থিত ম্যাগনেসিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। একাধিক কেস স্টাডিতে দেখা গিয়েছে, শরীরে এই খনিজটির ঘাটতি দেখা দিলে অল্প সময়ের মধ্যেই ব্লাড প্রেসার মারাত্মক বেড়ে যাওয়ার মত ঘটনা ঘটতে পারে। আর বেশি দিন যদি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকে, তাহলে হঠাৎ করে স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক এবং কিডনির সমস্যা দেখা দেওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। তাই দেহে যাতে কোনও সময় ম্যাগনেসিয়ামের ঘাটতি দেখা না দেয়, সেদিকে খেয়াল রাখা একান্ত প্রয়োজন।

৮. ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে: বাদাম খাওয়ার পর খিদে একেবারে কমে যায়। ফলে মাত্রাতিরিক্ত খাবার খাওয়ার প্রবণতা হ্রাস পায়। সেই সঙ্গে শরীরে প্রয়োজনাতিরিক্ত ক্যালরি জমে ওজন বৃদ্ধির সম্ভাবনাও কমে। প্রসঙ্গত, এক মুঠো বাদাম খেলে শরীরে মাত্র ১৬১ ক্যালরি প্রবেশ করে। ফলে এই খাবারটি খেলে ওজন বেড়ে যাওয়ার কোনও ভয় থাকে না।

৯. রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে: বাদামে থাকা ম্যাগনেসিয়াম রক্তে উপস্থিত শর্করার মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। সেই কারণেই তো ডায়াবেটিকদের নিয়মিত বাদাম খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত বাদাম খাওয়ার অভ্যাস করলে টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা প্রায় ২৫-৩৮ শতাংশ কমে যায়। তাই যাদের পরিবারে এই মারণ রোগের ইতিহাস রয়েছে, তারা সময় থাকতে বাদামকে কাজে লাগাতে শুরু করে দিন। দেখবেন উপকার মিলবে।

১০. কোষেদের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে: বাদামে উপস্থিত প্রচুর মাত্রায় ভিটামিন ই শরীরের প্রতিটি কোনায় ছড়িয়ে থাকা কোষেদের কর্মক্ষমতার বৃদ্ধি ঘটানোর সঙ্গে সঙ্গে তাদের শরীরে যাতে কোনওভাবে ক্ষতের সৃষ্টি না হয়, সেদিকেও খেয়াল রাখে। ফলে বয়স বাড়লেও শরীরের ওপর তার কোনও প্রভাব পড়ে না।

Advertisement

১১. হজম শক্তির উন্নতি ঘটায়: বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গিয়েছে, নিয়মিত জলে ভেজানো কাজুবাদাম খেলে দেহের অন্দরে বিশেষ কিছু এনজাইমের ক্ষরণ বেড়ে যায়, যার প্রভাবে হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটতে শুরু করে। সেই সঙ্গে গ্যাস-অম্বলের প্রকোপও কমে যায়। এবার বুঝেছেন তো খাদ্যরসিক বাঙালি, আমাদের কেন প্রতিদিন একমুঠো করে বাদাম খাওয়া উচিত!

চিত্র : লেখক

প্রকৃতিপাঠ : বিলুপ্তপ্রায় কর্পূর গাছ

প্রকৃতিপাঠ: স্নিগ্ধ ছায়ার তমাল গাছ

প্রকৃতিপাঠ: দৃষ্টিনন্দন ও সুগন্ধী নাগলিঙ্গম

প্রকৃতিপাঠ: খইয়ে বাবলা ফলের গাছ

প্রকৃতিপাঠ: রসময়ী খেজুর গাছ

প্রকৃতিপাঠ: তাহার নামটি রঞ্জনা

প্রকৃতিপাঠ: উপকারী সোনাপাতা

প্রকৃতিপাঠ: বসন্তের শ্বেত শিমুল

প্রকৃতিপাঠ: পশ্চিমবঙ্গের জাতীয় বৃক্ষ ছাতিম

প্রকৃতিপাঠ: এখন অশোক ফোটার দিন

প্রকৃতিপাঠ: ফলসার বহুবিধ গুণ

5 1 vote
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

Recent Posts

মো. বাহাউদ্দিন গোলাপ

জীবনানন্দ দাশের সময়চেতনা: পুরাণ, প্রকৃতি ও আধুনিক নিঃসঙ্গতার নন্দনতত্ত্ব

পৌরাণিক, মনস্তাত্ত্বিক ও প্রকৃতিগত সময়চেতনা তাঁকে রবীন্দ্র-পরবর্তী যুগে এক স্থায়ী ও ব্যতিক্রমী মহাকবির আসনে অধিষ্ঠিত করেছে। তাঁর শিল্পকর্ম আমাদের শেখায়— দ্রুত ধাবমান জীবনের বাইরে দাঁড়িয়ে ধীরে চলতে, নীরবতার গভীরে কান পাততে এবং প্রতিটি ক্ষণিকের মাঝে অনন্তের ইশারাকে খুঁজে পেতে। তাঁর সাহিত্য ভবিষ্যতের প্রতিটি সংবেদনশীল পাঠকের জন্য আধুনিকতার এক অমূল্য পাঠ হয়ে থাকবে, যা মানুষের জীবনকে শিল্প ও প্রকৃতির একাত্মতায় আবিষ্কার করতে সাহায্য করে এবং প্রমাণ করে দেয়— কাব্যই চূড়ান্ত আশ্রয়, যখন সমস্ত পথ ফুরিয়ে যায়।

Read More »
মলয়চন্দন মুখোপাধ্যায়

জীবনানন্দ: প্রয়াণদিনে শ্রদ্ধার্ঘ্য

হেমন্তকাল ও জীবনানন্দ অভিন্ন, ওতপ্রোত ও পরস্পর পরিপূরক। তাঁর কবিতায় বারবার নানা অনুষঙ্গে, বিভঙ্গে ও অঙ্গপ্রত্যঙ্গে হেমন্তের বসতি যেন। ‘হেমন্তের মাঠে মাঠে ঝরে শুধু/ শিশিরের জল’, ‘ধানক্ষেতে, মাঠে,/ জমিছে ধোঁয়াটে/ ধারালো কুয়াশা’! কুয়াশা আর শিশির, এই দুই অচ্ছেদ্য অনুষঙ্গ হেমন্তের, চিনিয়ে দেন তিনি। ‘চারিদিকে নুয়ে পড়ে ফলেছে ফসল/ তাদের স্তনের থেকে ফোঁটা ফোঁটা পড়িতেছে শিশিরের জল’, হেমন্তকে বাহন করে এই যে প্রকৃতির অপরূপতা মেলে ধরা, তা অন্য কোন বাঙালি কবির আছে?

Read More »
মলয়চন্দন মুখোপাধ্যায়

দুর্গা মাঈ কী! জয়!

ঢাকা বা সমগ্র বাংলাদেশে বাড়ি বাড়ি গিয়ে পুজোর চাঁদা আদায়ের চল খুব একটা নেই। মণ্ডপে এসেই পাড়ার লোক চাঁদা দেন। জবরদস্তি করে চাঁদা আদায়ের যে বীভৎসতা কলকাতা তথা সমগ্র পশ্চিমবঙ্গে আছে, তা অন্তত ঢাকা আর বরিশালে দেখিনি। পুজোর দিনেও অনেকে এসে প্যান্ডেলের পাশে চাঁদা আদায়কারীদের টেবিলের সামনে এসে চাঁদা দিয়ে যান। পাড়ার হিন্দু-মুসলমান নির্বিশেষে। স্বেচ্ছায় এসে চাঁদা দিয়ে যান। এটা আমাকে মুগ্ধ করেছে।

Read More »
মলয়চন্দন মুখোপাধ্যায়

ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ও প্রসঙ্গত

সমসময় তাঁকে চেনেনি। বরং সর্বপ্রযত্নে বানচাল করার চেষ্টা চালিয়ে গেছে তাঁর প্রগতিশীল কাজকর্মকে। এই সময় ও বাঙালি সমাজ-ও কি চিনেছে তাঁকে? তাঁকে তাই শেষ জীবন কাটাতে হল ব্রিটিশ ভারতের রাজধানী থেকে দূরে সাঁওতাল পরগনায়। শেষ বয়সে উপলব্ধি করেছিলেন তিনি, যাদের জন্য তাঁর এই কাজ, সব অপাত্রে দান!

Read More »
মলয়চন্দন মুখোপাধ্যায়

শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়: দেড়শো বছরের সূচনায়

তাঁকে অনুবাদ করা হয় ভারতীয় নানা ভাষায় নানা সময়ে। তবুও কিন্তু তিনি সম্পূর্ণ মূল্যায়িত হননি আজ-ও। বেশ কিছু অনুবাদ ছিল তাঁর, প্রথমজীবনে কলকাতা বাসকালে, হিন্দি থেকে ইংরেজিতে, যা হারিয়ে গেছে চিরতরে। বারো বছর রেঙ্গুন-পেরু পর্বে আগুন লেগে পুড়েছে তাঁর আঁকা ছবি, ‘চরিত্রহীন’-এর পাণ্ডুলিপি, পরে আবার যা লেখেন।

Read More »
মলয়চন্দন মুখোপাধ্যায়

শতবর্ষে মহানায়ক উত্তমকুমার

‘মহা’ শব্দটি মহান আর বিশাল, এই দুই অর্থে ব্যবহৃত হয়। যেমন ‘মহাকাব্য’ বা ‘মহারাজ’। কাব্য আর রাজার চেয়ে তার মাত্রা ভিন্ন, মহিমা অনেক বেশি তাৎপর্যময়। উত্তম বাংলা চলচ্চিত্রের সেই তাৎপর্যময়তার একমাত্র উদাহরণ। যাঁকে শ্রদ্ধাভরে আমরা ‘কিংবদন্তি’-ও বলে থাকি। তাই সত্যজিৎ রায়ের মতো আরেক কিংবদন্তি তাঁকে নিয়ে চিত্রনাট্য লেখেন, ছবি বানান, আর সে ছবির ‘নায়ক’ হন উত্তমকুমার।

Read More »