Search
Generic filters
Search
Generic filters
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on whatsapp

অলিম্পিকের গোল্ড মেডেল কি খাঁটি সোনার

না, ২০২০ সালের টোকিও অলিম্পিক কমিটি ভারতের ব্যাডমিন্টন তারকা পি ভি সিন্ধুকে ‘ব্রোঞ্জ’ মেডেলই দিয়েছে, কিন্তু সেটা আসল ব্রোঞ্জ নয়। তাহলে অলিম্পিক কমিটি কি ভারতের সঙ্গে প্রতারণা করল? কিন্তু সেটাও তো বলা যাচ্ছে না। কারণ, জামাইকার মেয়ে এলিন টমসন হেরা ১০০ মিটার দৌড়ে প্রথম হয়ে যে-পদকটা পেলেন, সেটাও আসল সোনা নয়। তাহলে কি মহিলা বলেই এঁদেরকে প্রবঞ্চিত করা হল। তা-ও নয়। ভারতে মীরাবাই চানু যে-পদকটা পেয়েছেন, সেটা তো খাঁটি রুপো। আসল ব্যাপারটা তাহলে কী? চলুন, ব্যাপারটা তাহলে একটু খুঁটিয়ে দেখা যাক।

অলিম্পিকের যেকোনও ইভেন্টে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানাধিকারী প্রতিযোগী বা দলকে সোনা, রুপো আর ব্রোঞ্জের পদক দেওয়াটাই রীতি। কিন্তু এর মধ্যে একমাত্র রুপোর পদকটাই বানানো হয় খাঁটি রুপো দিয়ে। ৫৫০ গ্রামের এই পদকের পুরোটাই রুপো, কোনও খাদ নেই। আর এই বিশুদ্ধতার কারণেই, ইচ্ছে করলেই আপনি এই পদকটাকে অন্য কাজে লাগাতে পারেন। রসায়নের বিচারে বাকি দুটো পদকের থেকে এই রুপোর পদক অনেক বেশি কার্যকরী। আপনি চাইলেই এই রুপোর মেডেলটাকে ৯৬২ ডিগ্রি সেলসিয়াস উষ্ণতায় গলিয়ে একটা চায়ের কাপে রুপোর প্রলেপ দিয়ে নিতে পারেন, কাচের ওপর টাংস্টেন আর এই রুপোর প্রলেপ দিয়ে তৈরি করে ফেলতে পারেন উন্নত মানের টাচ স্ক্রিন (স্মার্টফোন ব্যবহারের দৌলতে এই শব্দটা আমাদের কাছে এখন বেশ পরিচিত); তার জন্য আর কোনওরকম পরিশোধনের কোনও দরকার নেই।

মেডেল গলিয়ে অন্য কিছু বানানোর কথাটা যখন এসেই পড়ল, তখন অন্যরকমের একটা গল্প ছোট্ট করে বলে নেওয়ার লোভ সামলাতে পারছি না। যদিও সেটা গল্প নয়, একেবারে সত্যি ঘটনা, কিছুটা মনখারাপ করে দেওয়ার মতও বটে। ১৯৯৬ সালে আটলান্টা অলিম্পিকে হেভিওয়েট বক্সিংয়ে সোনা জিতেছিলেন ইউক্রেনের ভ্লাদিমির ক্লিৎশকো। কিন্তু সেই সময় থেকেই ক্লিৎশকোর মাতৃভূমি ইউক্রেন চরম দারিদ্রের শিকার। মানুষের দারিদ্র এমন একটা অবস্থায় পৌঁছেছিল যে, কয়েক লক্ষ ইউক্রেনবাসী তাদের সন্তান-সন্ততিদেরকে অনাথ-আশ্রমে রেখে দিতে বাধ্য হয়েছিলেন। দেশের বিভিন্ন শহরে দেড়-দুই লক্ষ পথশিশু ঘুরে বেড়াত খাবারের খোঁজে। এই সমস্ত যন্ত্রণাক্লিষ্ট শিশুদের পাশে দাঁড়ানোর তাগিদ নিয়ে ২০১২ সালে ক্লিৎশকো তার ভাইকে সঙ্গে নিয়ে গড়ে তুললেন এক সংস্থা। সিদ্ধান্ত নিলেন তাঁর অলিম্পিকে পাওয়া সোনার পদকটাকে নিলামে তোলার। দর উঠল ১০ লক্ষ মার্কিন ডলার। কিন্তু যিনি এই পদকটা কিনলেন তিনি যেটা করলেন, সেটা আরও চমকপ্রদ। ক্লিৎশকোর সংস্থাকে ১০ লক্ষ মার্কিন ডলার তুলে দেওয়ার সঙ্গে সোনার পদকটাও ফিরিয়ে দিলেন ক্লিৎশকোর হাতে। না, পদকটাকে গলিয়ে তিনি সোনার চামচ বানাননি।

কিন্তু প্রশ্ন হল ওই পদকটাকে গলিয়ে সত্যিই কি সোনার চামচ বানানো যেত? বোধ হয় না। কারণ, অলিম্পিকের সোনার মেডেলটা মোটেও বিশুদ্ধ সোনা নয়। তাই যদি হত, তাহলে পদকটা খুব একটা শক্তপোক্ত হত না। তাই সোনার পদকটা বানানো হয় ৫৫০ গ্রাম খাঁটি রুপো দিয়ে, তার ওপরে ৬ গ্রাম সোনার একটা প্রলেপ দেওয়া থাকে। সেই হিসেবে আজকের বাজারদর অনুযায়ী ওই সোনার মেডেলের দাম হওয়ার কথা ৬৫ থেকে ৭০ হাজার টাকার মধ্যে। অথচ ক্লিৎশকোর ওই মেডেল নিলামে বিক্রি হয়েছিল ১০ লক্ষ মার্কিন ডলারে। সুতরাং বুঝতেই পারছেন বাজারদরটাই সব কিছু নয়।

তবে চাইলে আপনি ওই পদক গলিয়ে নিখাদ সোনা বের করে আনতেই পারেন। কীভাবে? বলছি শুনুন। সোনা আর রুপো— দুটো ধাতুই বায়ুর সঙ্গে কোনও বিক্রিয়া করে না, অর্থাৎ এরা বেশ অনেকদিন টিঁকে থাকতে পারে। এদের মধ্যে আবার সোনার টিঁকে থাকার ক্ষমতা রুপোর থেকেও আরও কিছুটা বেশি। সোনার মেডেলটাকে গলিয়ে আপনি যদি নাইট্রিক অ্যাসিডের সঙ্গে মিশিয়ে দেন, দেখবেন রুপো ওই অ্যাসিডের সঙ্গে বিক্রিয়া করে অন্য একটা পদার্থ (সিলভার নাইট্রেট) তৈরি করে ফেলেছে, কিন্তু সোনা যেমন ছিল তেমনই রয়ে গেছে। এবারে সেই সোনাকে আপনি আলাদা করে নিতেই পারেন। তবে, আশা করি অলিম্পিকে সোনাজয়ী কোনও খেলোয়াড়ের এই দুর্মতি হবে না।

এবার তাহলে সিন্ধুর মেডেলের কথায় আবার ফিরে আসা যাক। আগেই বলেছি যে, টোকিও অলিম্পিকে পাওয়া সিন্ধুর ‘ব্রোঞ্জ’ মেডেলটা ব্রোঞ্জের নয়, ওটা পিতলের। তামার সঙ্গে টিন মিশিয়ে যে ব্রোঞ্জ তৈরি হয় তার সঙ্গে আমাদের পরিচিতি অনেক পুরনো। কিন্তু এই ‘ব্রোঞ্জ’ মেডেলটাতে আছে শতকরা ৯৫ শতাংশ তামা, আর বাকিটা দস্তা। তাই একে বরং ‘লাল পিতল’ বলে ডাকা যেতে পারে। তবে শিল্পক্ষেত্রে, বিশেষ করে জলের পাইপলাইনের ভাল্‌ভ বা অন্য যন্ত্রপাতি তৈরি করতে তামার সঙ্গে টিন, দস্তা আর সিসা মিশিয়ে যে লাল পিতল ব্যবহার করা হয়, তার তুলনায় এই মেডেলের ধাতু অনেকটাই বিশুদ্ধ। আর একটা মজার ব্যাপার হল, দুটো নরম ধাতু— তামা আর দস্তা— মিশিয়ে তৈরি করা এই সংকর ধাতুর ৪৫০ গ্রামের মেডেলটাই কিন্তু সবচেয়ে বেশি শক্তপোক্ত।

এ তো নয় গেল মেডেলের রসায়নের কথা। কিন্তু অন্য একটা কারণেও টোকিও অলিম্পিক সংবাদের শিরোনামে উঠে এসেছিল। গত কয়েক দশক ধরে ফেলে দেওয়া জিনিসপত্রকে অলিম্পিকের পদক তৈরির কাজে ব্যবহার করার একটা রেওয়াজ তৈরি হয়েছে। টোকিও অলিম্পিকেরও সমস্ত মেডেল তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় সবরকমের ধাতুর পুরোটাই তুলে আনা হয়েছে ফেলে দেওয়া জিনিসপত্রাদি থেকে। আর এই ফেলে দেওয়া জিনিসগুলো সবই পুরনো হয়ে যাওয়া ডেস্কটপ কম্পিউটার, ল্যাপটপ বা মোবাইল ফোনের মত ইলেকট্রনিক্স যন্ত্রপাতি। অলিম্পিকের ইতিহাসে এরকম ঘটনা এই প্রথম।

উদ্যোগটা নিয়েছিলেন টোকিও অলিম্পিক কমিটি। তারা এই উদ্যোগের পোশাকি নাম দিয়েছিল ‘টোকিও ২০২০ মেডেল প্রজেক্ট: সকলের জন্য এক উদ্ভাবনী ভবিষ্যতের লক্ষ্যে’। কমিটি জাপানের মানুষজনকে পুরনো হয়ে যাওয়া ইলেকট্রনিক্স যন্ত্রপাতি এই প্রজেক্টে দান করার অনুরোধ জানায়। ২০১৭ সালের ১ এপ্রিল থেকে শুরু করে ২০১৯ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত এই যন্ত্রপাতি সংগ্রহের কাজটা চলেছিল। সারা দেশ থেকে এরকম যত পুরনো যন্ত্রপাতি পাওয়া গিয়েছিল তাদের ওজন হয়েছিল ৮ কোটি কিলোগ্রামের কাছাকাছি, এর মধ্যে ছিল প্রায় ৬২ লক্ষ বাতিল হয়ে যাওয়া মোবাইল ফোন। এবারে সরকারি আইন মেনে ওই সমস্ত যন্ত্রপাতি ভেঙে সেখান থেকে নানারকমের ধাতুকে বের করে আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়। পাওয়া যায় ৩২ কেজি সোনা, ৩৫০০ কেজি রুপো আর ২২০০ কেজি ওজনের তামা ও দস্তা। সেই সমস্ত ধাতু থেকেই তৈরি হয়েছে টোকিও অলিম্পিকের প্রায় হাজার-পাঁচেক পদক।

কিন্তু যে-বিষয়টা এক্ষেত্রে সবচেয়ে বিপজ্জনক, সেটা হল এই ধরনের ইলেকট্রনিক্স বর্জ্য পদার্থ থেকে ধাতু বের করে আনার প্রক্রিয়া-প্রকরণ। সাম্প্রতিককালে এই বিষষটা নিয়ে মাঝেমধ্যেই বেশ হৈ-চৈ শোনা যায়। উপযুক্ত সুরক্ষা-ব্যবস্থা না থাকলে এই কাজে যুক্ত শ্রমিকদের দূষণজনিত কারণে অসুস্থ হয়ে পড়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা থাকে। শুধু তাই নয়, উপযুক্ত ব্যবস্থা না থাকলে স্থানীয় পরিবেশও যথেষ্ট পরিমাণে দূষিত হতে পারে। তাই অলিম্পিকের কাজকর্মের ক্ষেত্রেও এই ব্যাপারটাকেও যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে ভাবা হয়েছে। সারা বিশ্ব জুড়ে মানুষজনের ওপর এরকম কোনও বিষক্রিয়া ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায় ঘটে চলেছে কিনা সেটা নজরদারি করে বাসেল অ্যাকশন নেটওয়ার্ক নামে এক সংস্থা। অলিম্পিক সংস্থা সেই নেটওয়ার্কেরও সার্টিফিকেট পেয়েছে। সেই সার্টিফিকেটেই সিলমোহর দিয়েছে আরও এক নজরদারি সংস্থা ন্যাচারাল রিসোর্সেস ডিফেন্স কাউন্সিল। সুতরাং, সোনা-ব্রোঞ্জে কিছুটা খাদ থাকলেও অলিম্পিক কমিটির এই উদ্যোগে যে কোনও খাদ ছিল না সেকথা বলাই যায়। এই উদ্যোগ পরিবেশ-বান্ধব স্থিতিশীল উন্নয়নের ক্ষেত্রে নিশ্চয়ই এক নতুন দিশা দেখাবে।

চিত্র: গুগল
5 1 vote
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
1 Comment
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Samiran Biswas
Samiran Biswas
3 years ago

Very good writing

Recent Posts

মলয়চন্দন মুখোপাধ্যায়

সনজীদা খাতুন: শ্রদ্ধাঞ্জলি

সাতচল্লিশ-পরবর্তী পূর্ববঙ্গে বেশ কিছু সাংস্কৃতিক সংস্থা গড়ে ওঠে, যাদের মধ‍্যে ‘বুলবুল ললিতকলা একাডেমী’, ‘ক্রান্তি’, ‘উদীচী’ অন‍্যতম। রাজনৈতিক শোষণ ও পূর্ববঙ্গকে নিপীড়নের প্রতিবাদে কখনও পরোক্ষভাবে কখনও সরাসরি ভূমিকা রেখেছিল এইসব সংগঠন। ‘ছায়ানট’ এমনি আর এক আগ্নেয় প্রতিষ্ঠান, ১৯৬৭-তে জন্মে আজ পর্যন্ত যার ভূমিকা দেশের সুমহান ঐতিহ‍্যকে বাংলাদেশের গভীর থেকে গভীরতরতায় নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি দেশে সুস্থ ও সংস্কৃতিবান নাগরিক গড়ে তোলা। ওয়াহিদুল হক ও সনজীদা খাতুনের মানসসন্তান এই ছায়ানট। মূলত রবীন্দ্রনাথের আদর্শে গড়ে ওঠা সঙ্ঘ, কাজী নজরুলের প্রিয় নামটিকে জয়ধ্বজা করে এগিয়ে চলেছে বহু চড়াই-উৎরাই, উপলব‍্যথিত গতি নিয়ে।

Read More »
সুজিত বসু

সুজিত বসুর গুচ্ছকবিতা

বিলাপ অভিসার জল আনতে চল রে সখী, জল আনতে চল নিভু নিভু আলোর সাজে সূর্য অস্তাচলে শেষবিকেলের রশ্মিমালায় বুকে ব্যথার ঢল লজ্জা আমার আবির হয়ে

Read More »
মলয়চন্দন মুখোপাধ্যায়

যত মত তত পথ

বহুদিক দিয়েই একজন স্বতন্ত্র মননের ধর্মীয় সাধক। তাঁর অনুগামীর সংখ্যা ধারণাতীত, আর তা কেবল তাঁর স্বদেশ বা এই উপমহাদেশেই সীমাবদ্ধ নয়, সারা বিশ্বব্যাপী। এবং দিনের পর দিন তাঁর অনুগামীর সংখ্যা বাড়ছে। শ্রীরামকৃষ্ণ এবং সারদামণি ও স্বামী বিবেকানন্দকে কেন্দ্র করে যে ভাব-আন্দোলন, তার ফলশ্রুতিতে তাঁদের নিয়ে নিয়ত চর্চা ও গবেষণা হয়ে চলেছে। পৃথিবীব্যাপী দুশোর ওপর রামকৃষ্ণ মিশনের কার্যাবলি প্রমাণ করে (প্রতিবছর এর সংখ্যা বাড়ছে), আজকের এই অশান্ত বিশ্বে তাঁরা মানুষের কতখানি আশ্রয়।

Read More »
ড. সোমা দত্ত

রবীন্দ্রনৃত্যভাবনা: প্রেক্ষিত ও চলন [পর্ব ছয়]

রবীন্দ্রভাবনায় যে নৃত্যধারা গড়ে উঠল তা দেশিবিদেশি নৃত্যের সমন্বয়ে এক মিশ্র নৃত্যধারা, তৎকালীন শিক্ষিত শহুরে বাঙালির সংস্কৃতিতে যা নতুন মাত্রা যোগ করল। নাচের প্রতি একরকম আগ্রহ তৈরি করল, কিছু প্রাচীন সংস্কার ভাঙল, মেয়েরা খানিক শরীরের ভাষা প্রকাশে সক্ষম হল। এ কম বড় পাওনা নয়। আরও একটি লক্ষ্যনীয় বিষয় হল, শিল্পক্ষেত্রে ভাবের সাথে ভাবনার মিল ঘটিয়ে নতুন কিছু সৃষ্টির প্রচেষ্টা। গতে বাঁধা প্র্যাক্টিস নয়। নিজের গড়ে নেওয়া নাচ নিজের বোধ অনুযায়ী।

Read More »
ড. সোমা দত্ত

রবীন্দ্রনৃত্যভাবনা: প্রেক্ষিত ও চলন [পর্ব পাঁচ]

বাংলার মাটি থেকে একদা এই সুদূর দ্বীপপুঞ্জে ভেসে যেত আসত সপ্তডিঙা মধুকর। আর রবীন্দ্রনাথের পিতামহ, যাঁর কথা তিনি কোথাও প্রায় উল্লেখই করেন না, সেই দ্বারকানাথ-ও বাংলার তৎকালীন ব্যবসায়ীকুলের মধ্যে প্রধান ছিলেন। শুধু তাই-ই নয়, একদা তাঁর প্রিয় জ্যোতিদাদাও স্টিমারের ব্যবসা করতে গিয়ে ডুবিয়েছেন ঠাকুর পরিবারের সম্পদ। নিজে রবীন্দ্রনাথ বাণিজ্য সেভাবে না করলেও, জমির সম্পর্কে যুক্ত থাকলেও একদা বাংলার সাম্রাজ্য বিস্তার, বাণিজ্য-বিস্তার কী তাঁরও মাথার মধ্যে ছাপ ফেলে রেখেছিল? তাই ইউরোপ থেকে আনা বাল্মিকী প্রতিভার ধারাকে প্রতিস্থাপন করলেন জাভা বালির কৌমনৃত্য দিয়ে?

Read More »
ড. সোমা দত্ত

রবীন্দ্রনৃত্যভাবনা: প্রেক্ষিত ও চলন [পর্ব চার]

তৎকালীন দেশের বাস্তব সত্যের সঙ্গে মিলছে না বর্ণবাদ, উগ্র হিন্দু জাতীয়তাবাদ, মিলছে না পিকেটিং ও বিদেশি দ্রব্য পোড়ানোর আন্দোলন। রবীন্দ্রনাথ দেখতে পাচ্ছেন গ্রামে গ্রামে গরিব মানুষের খাওয়া নেই, নেই বেশি দাম দিয়ে দেশি ছাপ মারা কাপড় কেনার ক্ষমতা। দেখছেন পিকেটিংয়ের নামে গরিব মুসলমানের কাপড়ের গাঁঠরি পুড়ে যাচ্ছে যা দিয়ে সে তার পরিবার প্রতিপালন করে। রবীন্দ্রনাথ প্রতিবাদ করছেন তাঁর লেখায়। ‘গোরা’ ও ‘ঘরে বাইরে’ এমনই দু’টি উপন্যাস। গোরা ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয় প্রবাসী পত্রিকায়। পরে গ্রন্থাকারে প্রকাশ ১৯১০ সালে। ঘরে বাইরের প্রকাশকাল ১৯১৬।

Read More »