Search
Generic filters
Search
Generic filters
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on whatsapp

বাঁশ কথা, শ্বাস কথা

জানি ‘বাঁশ’ শব্দটি দেখে ইতিমধ্যে ভুরু কুঁচকে গেছে কারও কারও। আসলে এই লেখাটি না-লিখে পারলাম না। জ্ঞান হওয়ার পর থেকেই বাঁশের সঙ্গে আমার সম্পর্ক। বাঁশগাছ নিয়ে কত যে স্মৃতি জড়িয়ে আছে ছোটবেলার ও কৈশোরের। আমাদের গ্রামের বাড়ির পাঁচিলের পাশে পুকুর পাড়ে দাঁড়িয়ে আছে শতাধিক বাঁশগাছ। কবিতা বা গানে ‘বাঁশ বাগানের মাথার ওপর চাঁদ উঠেছে ওই’ শুনলেও সরাচর ‘বাঁশ বাগান’ বলতে খুব একটা শোনা যায় না। সবাই বলে বাঁশঝাড়। আমরাও বাঁশঝাড় বলে এসেছি। সেই সঙ্গে কঞ্চি, কোঁড়, বাতা, চাঁচাড়ি, বাখারি, দরমা, চাটাই ইত্যাদি শব্দগুলোর সঙ্গে ছোটবেলা থেকেই আমাদের পরিচয় হয়েছিল। বাঁশগাছের গোড়ায় নতুন শিশু বাঁশ (Bamboo Seedling) গজিয়ে উঠতে দেখতে পেতাম। গ্রামীণ ভাষায় যা আমরা ‘পুং’ বলতাম। ছাগলে বা গোরুতে খেয়ে মুড়িয়ে দিত বলে, পুংয়ের ডগায় গোবর লাগানো থাকত। না, বাঁশ নিয়ে স্মৃতি রোমন্থনের জন্যে এই লেখার উদ্দেশ্য নয়। বাঁশের কথা বলতে গিয়ে প্রসঙ্গক্রমে ছোটবেলার ক’টি কথা বলার লোভ সামলাতে পারলাম না।

এত জিনিস থাকতে ‘বাঁশ’ কেন? আসলে আজকে বাঁশের দিন। সারা পৃথিবীতে মান্যতা দিয়েছে যা। প্রতি বছর ১৮ সেপ্টেম্বরকে ‘World Bamboo Day’ হিসেবে উদযাপন করা হয়, বাঁশ সংরক্ষণ বিষয়ে সবাইকে সচেতন করা এবং বাঁশ শিল্পের প্রচার ও প্রসারের জন্যে। তাই World Bamboo Organisation (WBO) এই দিনটি উদযাপন করে থাকে। প্রাকৃতিক সম্পদ এবং পরিবেশবান্ধব বাঁশের সংরক্ষণ আর আমাদের পরিবেশ সুরক্ষা, সেই সঙ্গে বাঁশের যথাযথ ব্যবহারের জন্যে এই বিশেষ দিন। বাঁশের নানান প্রয়োজন, বিশেষ করে পূর্ব এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলিতে। অর্থনৈতিক উন্নয়নে বাঁশশিল্পের জন্যে জড়িত গ্রামীণ জনগোষ্ঠী এবং নতুন বাঁশ শিল্পের উন্নতির জন্যে এই দিনটির গুরুত্ব অপরিসীম। এছাড়াও অনেক মানুষের রুজিরোজগারে বাঁশগাছের ব্যবহার গ্রামেগঞ্জে গেলেই দেখতে পাওয়া যায়। লোকসংস্কৃতি ও কারুশিল্পের প্রধান উপকরণ বাঁশ। গ্রামের একটি বিশাল জনগোষ্ঠী ‘বাঁশ’ চিরে সুন্দর সুন্দর মোড়া, ঝুড়ি, টোকা, কুলো এইসব চমৎকার সামগ্রী তৈরি করে দূর গ্রামে বিক্রি করে থাকেন। যারা সুযোগ পান, তাঁরা হস্তশিল্প মেলাতে নিয়ে গিয়ে বিক্রি করে থাকেন।

বাঁশের কোঁড়।

আমরা যে এতক্ষণ ধরে বাঁশগাছ বলে যাচ্ছি। কিন্তু ‘বাঁশ’ কি গাছ? না, বিজ্ঞানসম্মতভাবে, বাঁশকে ‘গাছ’ গোত্রের মধ্যে ফেলা হয় না। বস্তুত ‘বাঁশ’ হল ‘ঘাস’ শ্রেণিভুক্ত। ইংরেজিতে ‘জায়ান্ট-গ্রাস’। তাহলে ‘গাছ’ বলে কেন সবাই? এই প্রশ্নের কোনও উত্তর আমি পাইনি। তবে আমার নিজের ধারণা, আইন, অর্থনৈতিক এবং পরিবেশগতভাবে ‘বাঁশ’-কে সাধারণভাবে ‘গাছ’ হিসেবে বলার একটা সুবিধা আছে। কেন না, ‘বাঁশ’-কে যদি ‘ঘাস’ বলা হয়, তাহলে তা কেটে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে কারও কোনও বাধা থাকবে না। আর সম্ভবত তাই অর্থনৈতিক এবং পরিবেশগত ঝুঁকি এড়ানোর জন্যেই ‘বাঁশ’-কে সাধারণভাবে ‘গাছ’ হিসেবেই বলা হয়ে থাকে।

ঘাসের সঙ্গে বাঁশের পার্থক্যও অনেক। যেমন, বাঁশগাছের কাণ্ড (স্টেম) ফাঁপা হয়। বাঁশের একটা লম্বা কাণ্ডের মধ্যে প্রায় একফুট অন্তর অন্তর এক একটি পর্ব থাকে। এইভাবে এক একটা বাঁশগাছ তিরিশ-চল্লিশ ফুট পর্যন্ত উঁচু হতে পারে। খুব তাড়াতাড়ি বাড়ে বাঁশ। পৃথিবীতে সবচেয়ে দ্রুত বাড়ে বাঁশগাছই। জন্মানোর এক বছরের মধ্যেই বাঁশের বৃদ্ধি সম্পূর্ণ হয়ে যায়। তারপর ধীরে ধীরে শাখাপ্রশাখার সংখ্যা বাড়ে এবং পুষ্ট হয়। পৃথিবীতে এমন প্রজাতিরও বাঁশ আছে, যারা চব্বিশ ঘণ্টায় ছত্রিশ ইঞ্চি পর্যন্ত বাড়ে। তার মানে প্রতি চল্লিশ মিনিটে এক ইঞ্চি করে বাড়ে।

বাঁশের খুঁটি যথেষ্ট শক্তপোক্ত আর টেকসই হয়। আর সেই কারণে, অনেক নির্মাণকাজে বাঁশের খুঁটি ব্যবহার করা হয়। বাঁশের মধ্যে রয়েছে ‘অ্যান্টি-ফাঙ্গাল’ এবং ‘অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল’ গুণ। আর সেজন্যেই ‘চারকোল’ তৈরি করায় বাঁশ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এছাড়াও বাঁশ থেকে বিভিন্ন আসবাবপত্র, মিউজিক্যাল-ইনস্ট্রুমেন্ট, ঘরের মেঝে, মই, মাচা, মাদুর, স্কেটবোর্ড, মাছ ধরার খালুই, গোরুর গাড়ির ছাদ বা ছই, টয়লেট-পেপার, ডিসপোজেবেল কাঁটা-চামচ-ছুরি ইত্যাদি তৈরি করতে ব্যবহার হয়।

পরিবেশের ওপর বাঁশের উপকারিতা অনেক। নিম্নমানের মাটি এমনকি মরুভূমিতেও বাঁশ বেড়ে উঠতে পারে। মাটি এবং জলের সংরক্ষণে বাঁশের ভূমিকা উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও ভূমিক্ষয় রোধ করার ক্ষেত্রেও বাঁশ সহায়ক। কার্বন-আবদ্ধকরণের (Carbon Capture) সহায়ক বটে।

বাঁশকে বলা হয় দরিদ্র জনগোষ্ঠীর দারুবৃক্ষ (timber) তথা ‘কাঠ’। তাঁদের কাছে বাঁশ হল ‘গ্রিন গোল্ড’ বা সবুজ সোনা। গ্রামের অনেক দরিদ্র মানুষ বাঁশ দিয়ে হ্যান্ডিক্র্যাফট, শিল্পকর্ম, বয়ন সংক্রান্ত ও ঘরের কাজে ব্যবহার করার নানান সামগ্রী তৈরি করে নিতে পারেন। খাবার, বায়োফুয়েল, আসবাবপত্র তৈরিতেও কাজে লাগে বাঁশ।

বাঁশ সম্পর্কে আরও কয়েকটি চমকপ্রদ তথ্য জানাই। স্বাভাবিক ‘এয়ার-কন্ডিশনার’ হিসেবে কাজ করে, কেন না বাঁশবনের পার্শবর্তী অঞ্চলকে আট ডিগ্রি পর্যন্ত তাপমাত্রা কমিয়ে দিতে পারে। বাঁশ অনেক বেশি অক্সিজেন ছাড়ে, যার ফলে মানুষের ব্রেনে বেশি অক্সিজেন যায়। এতে টেনশন ও মাথাব্যথা দূর করায় সহায়ক হয়। বাঁশ ভূমিকম্প সহনীয়। সেজন্যে ভূমিকম্পের সময় বাঁশ বাগান একটি নিরাপদ আশ্রয়স্থল।

সারা পৃথিবীতে বিভিন্ন প্রজাতির বাঁশ পাওয়া যায়। বাঁশ গাছের ফুল ফোটে। প্রজাতি সাপেক্ষে তা দশ বছর থেকে একশো পঞ্চাশ বছর পরে পরে। একবার ফুল ফোটা মানে সেই গাছ আর বাঁচবে না। যদিও এর বৈজ্ঞানিক কারণ এখনও স্পষ্ট নয়।

প্রতিকূল আবহাওয়া, জলের আধিক্য কিংবা একদম জলশূন্য দাবদাহেও বাঁশগাছ বহাল তবিয়তে বেঁচে থাকতে পারে। বাঁশ একমাত্র প্ল্যান্ট যা হিরোশিমায় পারমাণবিক বম্ব ব্লাস্টের পরে রেডিয়েশনের মধ্যেও বেঁচে আছে।

আমাদের দেশের মণিপুরে কামেশ সালাম Kamesh Salam ওয়ার্ল্ড ব্যাম্বু অর্গানাইজেশনের ২০০৭ থেকে ২০১০ অবধি প্রেসিডেন্ট ছিলেন। ২০০৯ সালে ব্যাংককে অষ্টম ওয়ার্ল্ড ব্যাম্বু কংগ্রেসের সংগঠিত করেন তিনি। ওই সম্মেলনে একশোটি দেশের প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেছিলেন। ওই কংগ্রেসেই ঘোষণা করা হয়, ১৮ সেপ্টেম্বর ‘ব্যাম্বু দিবস’ হিসেবে পালন করার। ‘Royal Thai Forestry Day’ ওই একই দিনে মিলে যাওয়ায়, ওই দিনটিকে বেছে নেওয়া হয়।

সভ্যতার দোহাই দিয়ে যে হারে আমরা অরণ্য ধ্বংস করে চলেছি, তা আমাদের প্রকৃতি, পরিবেশ ও বাস্তুতন্ত্রকে গভীর সংকটে ফেলছে একটু একটু করে। তাই এসব কিছু সুরক্ষিত রাখার জন্যে আশু প্রয়োজন আরও বেশি করে ‘বাঁশ’ গাছ লাগানোর। বাঁশের বংশবৃদ্ধি করায় এখন কলম ও টিস্যু-কালচার পদ্ধতির ব্যবহার করা হচ্ছে।

শুধু বাঁশের ব্যবহারই নয়। বাঁশগাছ নিয়মিত লাগানো উচিত। তাই ‘World Bamboo Day 2021’-এর থিম ছিল, ‘#PlantBamboo – It’s time to plant bamboo.’ । আজকের দিনে আসুন আমরা স্লোগানে গলা মেলাই আমাদের ভাষায়, ‘বাঁশ লাগান, জীবন বাঁচান’।

চিত্র: গুগল
4.5 6 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
4 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Anjana Ghosh
Anjana Ghosh
2 years ago

অপূর্ব সুন্দর লেখা। সমৃদ্ধ হলাম। বাঁশ সম্পর্কিত কত যে চমকপ্রদ অজানা তথ্য জানলাম। In true sense পুরোটা non-stop পড়তে হল। দারুণ লাগল। ধন্যবাদ জানাই লেখককে।

সিদ্ধার্থ মজুমদার
সিদ্ধার্থ মজুমদার
2 years ago
Reply to  Anjana Ghosh

ধন্যবাদ পড়ে জানালেন বলে

স্বপ্না অধিকাবরী
স্বপ্না অধিকাবরী
2 years ago

দারুন দারুন লেখা, কাউকে বাঁ শ দেওয়ার আগে, ভেবে দেখা উচিত এর উপযোগিতা

সিদ্ধার্থ মজুমদার
সিদ্ধার্থ মজুমদার
2 years ago

🤗🤗

Recent Posts

মলয়চন্দন মুখোপাধ্যায়

সনজীদা খাতুন: শ্রদ্ধাঞ্জলি

সাতচল্লিশ-পরবর্তী পূর্ববঙ্গে বেশ কিছু সাংস্কৃতিক সংস্থা গড়ে ওঠে, যাদের মধ‍্যে ‘বুলবুল ললিতকলা একাডেমী’, ‘ক্রান্তি’, ‘উদীচী’ অন‍্যতম। রাজনৈতিক শোষণ ও পূর্ববঙ্গকে নিপীড়নের প্রতিবাদে কখনও পরোক্ষভাবে কখনও সরাসরি ভূমিকা রেখেছিল এইসব সংগঠন। ‘ছায়ানট’ এমনি আর এক আগ্নেয় প্রতিষ্ঠান, ১৯৬৭-তে জন্মে আজ পর্যন্ত যার ভূমিকা দেশের সুমহান ঐতিহ‍্যকে বাংলাদেশের গভীর থেকে গভীরতরতায় নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি দেশে সুস্থ ও সংস্কৃতিবান নাগরিক গড়ে তোলা। ওয়াহিদুল হক ও সনজীদা খাতুনের মানসসন্তান এই ছায়ানট। মূলত রবীন্দ্রনাথের আদর্শে গড়ে ওঠা সঙ্ঘ, কাজী নজরুলের প্রিয় নামটিকে জয়ধ্বজা করে এগিয়ে চলেছে বহু চড়াই-উৎরাই, উপলব‍্যথিত গতি নিয়ে।

Read More »
সুজিত বসু

সুজিত বসুর গুচ্ছকবিতা

বিলাপ অভিসার জল আনতে চল রে সখী, জল আনতে চল নিভু নিভু আলোর সাজে সূর্য অস্তাচলে শেষবিকেলের রশ্মিমালায় বুকে ব্যথার ঢল লজ্জা আমার আবির হয়ে

Read More »
মলয়চন্দন মুখোপাধ্যায়

যত মত তত পথ

বহুদিক দিয়েই একজন স্বতন্ত্র মননের ধর্মীয় সাধক। তাঁর অনুগামীর সংখ্যা ধারণাতীত, আর তা কেবল তাঁর স্বদেশ বা এই উপমহাদেশেই সীমাবদ্ধ নয়, সারা বিশ্বব্যাপী। এবং দিনের পর দিন তাঁর অনুগামীর সংখ্যা বাড়ছে। শ্রীরামকৃষ্ণ এবং সারদামণি ও স্বামী বিবেকানন্দকে কেন্দ্র করে যে ভাব-আন্দোলন, তার ফলশ্রুতিতে তাঁদের নিয়ে নিয়ত চর্চা ও গবেষণা হয়ে চলেছে। পৃথিবীব্যাপী দুশোর ওপর রামকৃষ্ণ মিশনের কার্যাবলি প্রমাণ করে (প্রতিবছর এর সংখ্যা বাড়ছে), আজকের এই অশান্ত বিশ্বে তাঁরা মানুষের কতখানি আশ্রয়।

Read More »
ড. সোমা দত্ত

রবীন্দ্রনৃত্যভাবনা: প্রেক্ষিত ও চলন [পর্ব ছয়]

রবীন্দ্রভাবনায় যে নৃত্যধারা গড়ে উঠল তা দেশিবিদেশি নৃত্যের সমন্বয়ে এক মিশ্র নৃত্যধারা, তৎকালীন শিক্ষিত শহুরে বাঙালির সংস্কৃতিতে যা নতুন মাত্রা যোগ করল। নাচের প্রতি একরকম আগ্রহ তৈরি করল, কিছু প্রাচীন সংস্কার ভাঙল, মেয়েরা খানিক শরীরের ভাষা প্রকাশে সক্ষম হল। এ কম বড় পাওনা নয়। আরও একটি লক্ষ্যনীয় বিষয় হল, শিল্পক্ষেত্রে ভাবের সাথে ভাবনার মিল ঘটিয়ে নতুন কিছু সৃষ্টির প্রচেষ্টা। গতে বাঁধা প্র্যাক্টিস নয়। নিজের গড়ে নেওয়া নাচ নিজের বোধ অনুযায়ী।

Read More »
ড. সোমা দত্ত

রবীন্দ্রনৃত্যভাবনা: প্রেক্ষিত ও চলন [পর্ব পাঁচ]

বাংলার মাটি থেকে একদা এই সুদূর দ্বীপপুঞ্জে ভেসে যেত আসত সপ্তডিঙা মধুকর। আর রবীন্দ্রনাথের পিতামহ, যাঁর কথা তিনি কোথাও প্রায় উল্লেখই করেন না, সেই দ্বারকানাথ-ও বাংলার তৎকালীন ব্যবসায়ীকুলের মধ্যে প্রধান ছিলেন। শুধু তাই-ই নয়, একদা তাঁর প্রিয় জ্যোতিদাদাও স্টিমারের ব্যবসা করতে গিয়ে ডুবিয়েছেন ঠাকুর পরিবারের সম্পদ। নিজে রবীন্দ্রনাথ বাণিজ্য সেভাবে না করলেও, জমির সম্পর্কে যুক্ত থাকলেও একদা বাংলার সাম্রাজ্য বিস্তার, বাণিজ্য-বিস্তার কী তাঁরও মাথার মধ্যে ছাপ ফেলে রেখেছিল? তাই ইউরোপ থেকে আনা বাল্মিকী প্রতিভার ধারাকে প্রতিস্থাপন করলেন জাভা বালির কৌমনৃত্য দিয়ে?

Read More »
ড. সোমা দত্ত

রবীন্দ্রনৃত্যভাবনা: প্রেক্ষিত ও চলন [পর্ব চার]

তৎকালীন দেশের বাস্তব সত্যের সঙ্গে মিলছে না বর্ণবাদ, উগ্র হিন্দু জাতীয়তাবাদ, মিলছে না পিকেটিং ও বিদেশি দ্রব্য পোড়ানোর আন্দোলন। রবীন্দ্রনাথ দেখতে পাচ্ছেন গ্রামে গ্রামে গরিব মানুষের খাওয়া নেই, নেই বেশি দাম দিয়ে দেশি ছাপ মারা কাপড় কেনার ক্ষমতা। দেখছেন পিকেটিংয়ের নামে গরিব মুসলমানের কাপড়ের গাঁঠরি পুড়ে যাচ্ছে যা দিয়ে সে তার পরিবার প্রতিপালন করে। রবীন্দ্রনাথ প্রতিবাদ করছেন তাঁর লেখায়। ‘গোরা’ ও ‘ঘরে বাইরে’ এমনই দু’টি উপন্যাস। গোরা ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয় প্রবাসী পত্রিকায়। পরে গ্রন্থাকারে প্রকাশ ১৯১০ সালে। ঘরে বাইরের প্রকাশকাল ১৯১৬।

Read More »