উত্তমকুমারের জন্মশতবর্ষের প্রাক্-লগ্ন এখন। ১৯২৬-এর তেসরা সেপ্টেম্বর জন্মান এই ক্ষণজন্মা বাঙালি তথা ভারতীয় অভিনেতা, তিনশতাধিক ছবিতে অভিনয় করে যিনি চলচ্চিত্রজগতে প্রবাদপ্রতিম কিংবদন্তী হয়ে আছেন। একটা আশ্চর্য ব্যাপার হল, বিখ্যাত মানুষদের সাধারণত জন্মদিন পালিত হয় সোৎসাহে। বাঙালির মধ্যে একমাত্র রবীন্দ্রনাথ ছাড়া মৃত্যুদিন পালনের তেমন প্রচলন নেই, এমনকি বিদেশি বিখ্যাতজনদের ক্ষেত্রেও না। ব্যতিক্রম উত্তমকুমার। জন্মদিন নয়, তাঁর মৃত্যুদিনকেই বেশি মনে করে তাঁর প্রতি সেদিন শ্রদ্ধা জানান তাঁর অগণিত ভক্ত। ২৪-এ জুলাই তাঁর প্রয়াণদিবস। সেদিন তো বটেই, গোটা জুলাইমাস জুড়েই চলে তাঁকে বিশেষভাবে স্মরণের আয়েজন। সমস্ত টিভি চ্যানেলে সারামাস ধরে তাঁর অভিনীত ছবির প্রদর্শনী চলে।
আরও আশ্চর্য, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় সত্যজিৎ রায়ের চোদ্দোটি ছবির নায়ক, আর এই বিশ্বখ্যাত পরিচালক পৃথিবীর সেরা অভিনেতাদের, যেমন রিচার্ড বার্টন, রবার্ট ডি নিরো, ওমর শরীফ, মার্লন ব্র্যান্ডো, পরিচালক-অভিনেতাশ্রেষ্ঠ চ্যাপলিন বা বলিউডের দিলীপকুমার, রাজ কাপুরদের জীবনী-অবলম্বনে না, উত্তমের জীবনী বেছে নিলেন তাঁর ছবি তৈরির জন্য। নিঃসন্দেহে উত্তমের অভিনেতা-হিশেবে সর্বোত্তম স্বীকৃতি এটি।
মাত্র চুয়ান্ন বছরের আয়ু ছিল তাঁর। এর মধ্যে পড়াশোনার পাট শেষ করে পোর্ট কমিশনে চাকরি, গান শেখা ও শেখানো, নাটকে অভিনয়, সিনেমা প্রযোজনা-পরিচালনা-সঙ্গীত পরিচালনা (আকাশবাণী কলকাতার জন্য-ও একটি গানে সুর দিয়েছিলেন তিনি, কবিতা সিংহ-রচিত যে-গানটি গেয়েছিলেন দীপঙ্কর চট্টোপাধ্যায়), কিঞ্চিৎ লেখালেখি, এসব করে গেছেন। বছরে একবার ব্যক্তিগত শখ চরিতার্থ করতে যাত্রাপালাতে-ও অভিনয় করতেন। সবকিছুই ১৯২৬-১৯৮০-র মধ্যে সীমায়িত, ভাবলে তাঁর এই বয়সে মৃত্যুর জন্য ব্যথিত হতে হয়। এটা কি হতে পারত না যে, বিখ্যাত চিত্রপরিচালক আন্দ্রে ভাইদার (Andrzej Wasda, ১৯২৬-২০১৬) মতোই নব্বই বছর পরমায়ু পেতেন তিনিও! বা ‘Zorba the Greek’, ‘The Guns of Navarone’, ‘Attila the Hun’-এর মতো বিশ্বখ্যাত চলচ্চিত্রের অভিনেত্রী ইরিন পাপাস (Irene Papas, 1926-2022) তো বেঁচেছিলেন আটানব্বই বছর! ইস! তাঁর মতো যদি আয়ু পেতেন উত্তম! জন্ম এক-ই বছরে দুজনের-ই, অথচ মৃত্যু কতই না আগে! তবে ১৯২৬-এই তো জন্ম মেরিলিন মনরোর-ও, যিনি মাত্র চল্লিশ বছরের পরমায়ুতেই খ্যাতিময়ী। তবে তাঁর তো ছিল আত্মহত্যা।
উত্তমকুমার ও বাংলাদেশ
উত্তমকুমার কখনও বাংলাদেশে আসেননি। তবে এখানে তাঁর ছবির জনপ্রিয়তা কলকাতার চেয়ে কোনও অংশেই কম ছিল না। ১৯৬৫-র আগে কলকাতার ছবি পূর্ববঙ্গের (বর্তমান বাংলাদেশ) সিনেমাহলে দেখানো হত। জনপ্রিয় ছিল সেসব সিনেমা। উত্তম-সুচিত্রার জনপ্রিয়তার এক অনন্য নজির, সেসময় বহু সেলুনের নাম-ই ছিল ‘সুচিত্রা’, আর সেলুনের সাইনবোর্ডে লেখা থাকত, ‘এখানে উত্তমরূপে চুল কাটা হয়’!
উত্তমকুমার সমগ্র জীবনে প্রায় চল্লিশজন নায়িকার সঙ্গে অভিনয় করেছেন। উল্লেখ্য, তাঁর সঙ্গে যেসব বিখ্যাত নায়িকারা অভিনয় করেছেন, তাঁদের অনেকেই বাংলাদেশের ভূমিকন্যা,– সুচিত্রা সেন (পাবনা), সাবিত্রী (কুমিল্লা), মাধবী (বরিশাল), সন্ধ্যা রায় (জন্ম নবদ্বীপে হলেও অল্পবয়সে যশোরে এসে প্রতিপালিত হন), অরুন্ধতী দেবী (বরিশাল) প্রমুখ। তাছাড়া বাংলাদেশের অভিনেত্রী অলিভিয়ার সঙ্গে তিনি কলকাতায় নির্মিত ‘বহ্নিশিখা’ ছবিতে অভিনয় করেন। বিখ্যাত কমেডিয়ান ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে অজস্র ছবিতে অভিনয় করা ছাড়াও দুজনের মধ্যে অন্তরঙ্গতা ছিল অসম্ভব। আর বাংলাদেশের জনপ্রিয়তম অভিনেতা নায়করাজ রাজ্জাকের প্রথমজীবন যখন কলকাতায় কাটে, সেসময় উত্তমকুমার ছিলেন রাজ্জাকের অভিভাবকতুল্য। রাজ্জাককে তিনি-ই বলেছিলেন, তাঁর এই অভিনয়ক্ষমতা নিয়ে বাংলাদেশে গেলে রাজ্জাক নাম করতে পারবেন। ঘটেছিল-ও তাই।
ভাবতে অবাক লাগে, ‘৭১-পরবর্তী বাংলাদেশ উত্তমকুমারকে অভিনয়ের জন্য আমন্ত্রণ জানায়নি। টালিগঞ্জের কিছু অভিনেতা-অভিনেত্রী কাজ করেছিলেন সদ্য-স্বাধীন বাংলাদেশে। অন্যদিকে ববিতা, অলিভিয়া ও আরও কেউ কেউ টলিউডের ছবিতে কাজ করেছেন। ঋত্বিক ঘটক, রাজেন তরফদার ও পরে গৌতম ঘোষ ছবি পরিচালনা করেছেন বাংলাদেশে এসে, কিন্তু উত্তমকুমারকে আহ্বান করার অবকাশ হয়নি এখানকার ছবি-করিয়েদের। কল্পনা করতে ভাল লাগে, বাংলাদেশে এমন একটি ছবি তৈরি হল, যেখানে উত্তম-সুচিত্রা-রাজ্জাক-কবরী একসঙ্গে অভিনয় করছেন, সঙ্গে আমজাদ হোসেন, সোহেল রানা, ইলিয়াস কাঞ্চন, ববিতা, অঞ্জু ঘোষ, রোজি! এমন মাল্টিস্টারার ছবি কি হতে পারত না?
বাংলাদেশের এক প্রথিতযশা লেখক ও শিক্ষকের সরাসরি ছাত্র ছিলেন উত্তমকুমার। উত্তম যে কলেজে পড়তেন, কলকাতার সেই ইনস্টিটিউট অফ কমার্স কলেজে পড়াতেন সাহিত্যিক শওকত ওসমান। পরে ওসমানসাহেব প্রথমে চট্টগ্রাম কমার্স কলেজ ও পরে ঢাকা কলেজে পড়িয়েছেন।
বাঙালি দেশেবিদেশে যাঁদের নিয়ে গর্ব করতে পারে, তাঁদের মধ্যে উত্তম, ও সেইসঙ্গে সুচিত্রার স্থান অনস্বীকার্য। সত্যজিৎ রায় তপন সিংহকে একবার কথাপ্রসঙ্গে বলেছিলেন, উত্তম-সুচিত্রার মতো জুটি তিনি সারা পৃথিবীর চলচ্চিত্রে খুঁজে পাননি। এটা কম প্রশংশাবাক্য নয়। দুঃখের বিষয়, তাঁর অভিনয় নিয়ে এখনও কোনও গবেষণামূলক কাজ হয়নি। তাঁর অভিনীত বেশ কিছু ছবির প্রিন্ট চিরতরে নষ্ট হয়ে গেছে, আর তাঁর জীবনের বহু ঘটনা তথ্যভিত্তিকভাবে রচিত হয়নি বলে বহু তথ্য ইতিমধ্যে লুপ্ত। তাঁর জন্মশতবর্ষকে মাথায় রেখে তাঁকে নিয়ে গবেষণার অবকাশ তৈরি হোক, এটাই প্রার্থনা।
জীবনে বহুবার বহু ছবির জন্য পুরস্কৃত হয়েছেন তিনি, প্রমাণ মাপের স্ট্যাচু হয়েছে তাঁর, তাঁর নামে কলকাতার মেট্রো স্টেশনের নাম হয়েছে (‘মহানায়ক উত্তমকুমার স্টেশন! টালিগঞ্জ স্টুডিওপাড়ার নিকটতম স্টেশনটি)। তাঁর নামে পশ্চিমবঙ্গ সরকার ২০১২ থেকে ‘মহানায়ক উত্তমকুমার পুরস্কার’ চালু করেছে। কিন্তু তাঁর মতো অভিনেতা দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার পাননি, এটা বড় বেদনার।
উত্তমকুমার: অভিনয়ের পরিধি
তিন দশকের ওপরে অভিনয়জীবনে কত ধরনের ভূমিকাতেই না দেখা গেছে তাঁকে! আমরা তাঁকে ম্যাটিনি আইডল বলি। একের পর রোমান্টিক নায়কের ভূমিকায় অভিনয় করে অভিনয়কে যে-উচ্চতায় তিনি নিয়ে গেছেন, বাংলা ছবিতে তাঁর পাশে দাঁড়াতে পারেন, এমন অভিনেতা সত্যি-ই কেউ নেই। কিন্তু রোমান্টিক নায়কের সীমাবদ্ধতায় তিনি আটকে থাকেননি। কখনও সাংবাদিক, কখনও হোটেল রিসেপশনিস্ট, গ্রামীণ সরলসিধে মানুষ, দেশপ্রেমিক, বিদ্রোহী, খলনায়ক, পরিবারে উদারহৃদয় এক বড়ভাই, বদমাশ লম্পট কামুক, যেকোনও চরিত্রের মধ্যেই তিনি সাবলীল অভিনয়ক্ষমতা দেখিয়েছেন।
কেবল ডাক্তারের ভূমিকাতেই তিনি কম করে একডজন ছবিতে অভিনয় করেছেন। ছবিগুলো হল,– সূর্যশিখা, মোমের আলো, আমি, সে ও সখা, কার পাপে, জীবনতৃষ্ণা, ওরে যাত্রী, উত্তরমেঘ, পথে হলো দেরী, ডাক্তারবাবু, সপ্তপদী, সাগরিকা, অগ্নীশ্বর, সুনয়নী। প্রত্যেক ছবিতে কিন্তু এক-ই মাত্রার অভিনয় ছিল না। ‘সপ্তপদী’-র কৃষ্ণেন্দু আার ‘অগ্নীশ্বর’-এর ওই-নামীয় চিকিৎসক, কী বৈপরীত্য তাঁর অভিনয়ে মূর্ত!
আবার রোমান্টিক নায়করূপেও কিন্তু এক একজন নায়িকার সঙ্গে উত্তমের অভিনয় ভিন্ন ভিন্ন মাত্রা নিয়ে আসে। চূড়ান্ত বিন্দু যদিও সুচিত্রা, আর তাঁদের যৌথ অভিনয়ে যে তিরিশটি ছবি, তার মধ্যেও আছে বৈচিত্র্য ও মাত্রাগত ভিন্নতা। ‘হারানো সুর’-কে তাই কিছুতেই মেলানো যাবে না ‘মরণের পরে’-র সঙ্গে, বা ‘গৃহদাহ’-কে ‘সাগরিকা’-র সাথে। তাঁদের অভিনয়ের রসায়নটিই এমন ছিল যে বহু আজগুবি কাহিনি ও নির্বোধ পরিচালকের অপটুত্বকেও উৎরে দিতে পেরেছিলেন কেবল নয়, বক্স অফিসের সাফল্য পর্যন্ত এনে দিয়েছেন। উত্তম-সুচিত্রা অভিনীত ছবির এত স্তরস্তরান্তর, এত প্রশংসনীয় আর উল্লেখযোগ্য দিক আছে যে, তা রীতিমতো গবেষণাসাপেক্ষ। আমি মাত্র একটি ছবি নিয়ে আপাতত কিছু আলোচনা করতে চাই। অজয় কর-পরিচালিত ‘সপ্তপদী’। ছবির গোড়ায় নায়ক কৃষ্ণেন্দু ডাক্তারির ছাত্র। যুবক, ফুর্তিবাজ, আড্ডাপ্রিয় ও প্রাণবন্ত, তারুণ্যে ভরপুর, চপল স্বভাব। যেমন ফুটবল খেলে, তেমনি কলেজের ‘ওথেলো’ নাটকে দুর্দান্ত অভিনয় করে (পাঠক মার্জনা করবেন, আমি অমন ওথেলোর অভিনয় লরেন্স অলিভিয়ারেও পাইনি)। সেই অভিনয়-রজনী থেকে নায়কের অভিনয় যাত্রা করল প্রেমিকের পথে। সেই থেকে প্রেমে প্রত্যাখ্যাত হওয়া, ডাক্তারিতে যোগ দিয়ে যুদ্ধের ফ্রন্টে যাওয়া, সহসা নাটকীয়ভাবে ফের নায়িকার সঙ্গে দেখা হওয়ার সময়ে তিনি কী স্থিতপ্রজ্ঞ, শান্ত, ধীর! খ্রিস্টধর্ম গ্রহণ যেন তাঁকে এক যথার্থ সন্তে পরিণত করে ফেলেছে, ধর্মগ্রহণ আর প্রেমে ব্যর্থ হওয়ার কাঁটার মুকুট! এসময়ে তাঁর অভিনয়ে যে দীপ্তি, যৌবনের উচ্ছলতায় বন্ধুর সঙ্গে ‘এবার কালী তোমায় খাবো’ গান গাওয়ার চাপল্যের থেকে কী বিপরীত মেরুতেই না নিয়ে ফেললেন চরিত্রটিকে!
উত্তমকুমার, রবীন্দ্রনাথ, শরৎচন্দ্র
এই দুই সাহিত্যিকের গল্প ও উপন্যাসভিত্তিক বেশ কিছু ছবিতে উত্তম অভিনয় করেছেন। সত্যজিৎ রায় প্রথমে ‘পথের পাঁচালী’ নয়, ঠিক ছিল ‘ঘরে বাইরে’ করবেন, এবং উত্তমের জন্য সন্দীপ চরিত্রটি নির্বাচন করেছিলেন। উত্তম রাজি হননি। রবীন্দ্রনাথের কাহিনি নিয়ে ‘বউঠাকুরাণীর হাট’, ‘খোকাবাবুর প্রত্যাবর্তন’, ‘নিশীথে’-তে উত্তম রূপদান করেন। একটি চরিত্রের সঙ্গে অন্যটির সুদূর মিল-ও নেই। অথচ চরিত্রগুলি কী দক্ষতাতেই না ফুটিয়ে তুলতে পেরেছেন! এজন্য অবিরাম সাধনা করে যেতে হয়েছে তাঁকে। দেশি-বিদেশি ছবি দেখে, ঘরে বারবার নিজে নিজেই মহড়া দিয়ে রপ্ত করতেন শতকরা একশোভাগ পারফেক্ট হতে। সত্যজিৎ রায়-ই তাঁর অভিনয় দেখে মন্তব্য করেছিলেন, উত্তমের বিদেশি ছবি দেখার অভ্যেস আছে। রতনে রতন চেনে!
আয়নার সামনে নিজের অভিনয়কে বারবার মকশো করাই নয়, ব্যায়াম, সঙ্গীতসাধনা, মর্নিং ওয়াক, ঘোড়ায় চড়া, অসিচালনা, সাঁতার, এসব-ও করতেন তিনি। ‘ঝিন্দের বন্দী’-তে আমরা তাঁকে অসিযুদ্ধে পেয়েছি, ‘রাজদ্রোহী’-সহ একাধিক ছবিতে পেয়েছি অশ্বারোহী উত্তমকে।
শরৎচন্দ্রের কাহিনিভিত্তিক ছবিতে প্রচুর অভিনয় করেছেন উত্তম। অভিনয়জীবনের গোড়ায় ‘বড়দিদি’-তে সন্ধ্যারাণী তাঁর নায়িকা, ভাবা যায়! যিনি পরবর্তীতে বেশ কিছু ছবিতে তাঁর মায়ের ভূমিকায় অভিনয় করবেন! সমসময়ে ‘চন্দ্রনাথ’, আর এক উল্লেখযোগ্য ছবি। অভিনয়জীবনের মধ্যপর্বে ‘বিরাজবৌ’, ‘রাজলক্ষ্মী ও শ্রীকান্ত’, ‘কমললতা’ তাঁকে খ্যাতি এনে দিয়েছে কম নয়। ‘দেবদাস’-এ তিনি স্বেচ্ছায় চুনিলাল সেজেছেন। তাঁর বক্তব্য ছিল, যে-চরিত্রে প্রমথেশ বড়ুয়া, সায়গল প্রমুখ অভিনয় করেছেন, সে চরিত্রে অভিনয় করতে তিনি সাহস পাচ্ছেন না! করলে যথেষ্ট ভালই হত। প্রমাণ, তাঁর আগে ‘অভয়া ও শ্রীকান্ত’ ছবিতে বসন্ত চৌধুরী অসাধারণভাবে শ্রীকান্ত চরিত্রটি ফুটিয়ে তুললেও উত্তমের শ্রীকান্ত-ও অনবদ্য, সাবলীল, প্রশংসাধন্য, শিল্পিত এবং স্বতন্ত্র।
[ক্রমশ]