কী রে, সকাল সকাল মুখ যে বাংলার পাঁচ! বউ ঝাঁটাপেটা করেছে নিশ্চয়ই, হেঁ হেঁ হেঁ…।
পিত্তিজ্বালানো একটা খ্যাসখেসে হাসি হেসে ঝিম মেরে বসে থাকা অমলকান্তির মুখের সামনে একটা চেয়ার টেনে নিয়ে বসে ফস করে একটা সিগারেট জ্বালিয়ে জগাদা আবার বললেন, পইপই করে বলেছিলাম, ওহে কুমারত্ব বিসর্জন দিয়ো না! তখন কে শোনে কার কথা, এখন বোঝো ঠ্যালা, প্রতিদিন জিরো রানে লেগ বিফোর! আর তোদের চিরকুমার জগাদাকে দ্যাখ, ফিফটি টু নট আউট, এখনও সমান বিক্রমে চালিয়ে খেলছি।
জগাদা, জগন্নাথ ব্যানার্জি, তারাতলা মোড়ের ‘নির্ভেজাল চা ঠেক’-এর হোলটাইম কাস্টমার, দুপুরের নাওয়াখাওয়া ছাড়া সকালে দোকান খোলা থেকে রাত্রে বন্ধ করা পর্যন্ত জগাদার পার্মানেন্ট অ্যাড্রেস এই নির্ভেজাল চা দোকান। ক্রিকেটপাগল, বিয়ে করেননি, বাবা ছিলেন এলাকার নামজাদা উকিল, তিনি গত হওয়ার পর টাকাকড়ি যা পেয়েছেন ব্যাংকে গচ্ছিত রেখে সুদের টাকায় দিব্বি বহাল তবিয়তে আছেন, থাকেন পৈতৃক বাড়িতে ছোটভাইয়ের সংসারে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এই চা ঠেকে আড্ডা দিতে আসা সব বয়সের সব মানুষই জগাদার বন্ধু। কাজ বলতে নিজের জীবনলব্ধ অভিজ্ঞতা থেকে সারা দিন ধরে সবাইকে উপদেশ বিলি করা।
অমলকান্তিকে চুপ থাকতে দেখে জগাদা আবার বললেন, কী হয়েছে বলবি তো। একটা সিগারেট খাবি, লিকার চা, ছোট বিড়ি একটা? আরে ধুর কিছু তো বল!
না জগাদা, সত্যিই কী করতে যে বিয়ে করতে গেলাম, দিব্বি ছিলাম। তোমাকে দেখে সত্যি হিংসে হয় এখন!
এখন তো আর হিংসে করে কোনও লাভ নেই ব্রাদার, বিবাহের বেলপাতাটি খেয়ে যখন সংসারের হাঁড়িকাঠে মাথা গলিয়েছ, রোজ দুবেলা বলি তোমায় হতেই হবে! তার চেয়ে বল সমস্যাটা কী, দেখি যদি কোনও উপায় বাতলাতে পারি।
আরে, সমস্যা কি আর একটা! সবচেয়ে বড় সমস্যা হল তেনার মেজাজ, এই ঝরঝরে রোদ তো এই ভ্যাপসা মেঘ, আবার সঙ্গে সঙ্গেই ঝোড়ো কালবোশেখি বা দাবদাহ। এই চোখ টিপে প্রেমবাণ হানছে তো মুহূর্তেই আবার খুন্তি হাতে তেড়ে আসছে। লাইফ হেল হয়ে গেল জগাদা, ভাবছি সব ছেড়েছুড়ে…।
ধুর পাগলা! তোদের এই একটাই দোষ, বড্ড তাড়াহুড়ো করে খেলতে যাস। এই জগাদা থাকতে এত সহজেই ক্রিজ ছেড়ে দিবি তাই হয় নাকি! দক্ষযজ্ঞ যে একটা বাঁধিয়েছিস সেটা বুঝতে পারছি, তা কেসটা কী?
আর কেস, ভালমানুষির যুগ নেই আর। সকাল সকাল ভালমানুষ হয়ে বউকে বলতে গেলাম, অনেকদিন হল বাপের বাড়ি যাওনি, ছেলের তো এখন অনলাইন ক্লাস, এই সময় ক’দিন ঘুরে এলেই পারো। তার উত্তরে কি বলল জানো?
কী?
বলল, কী ব্যাপার বলো দেখি! হাসিমুখে আমাকে বাপের বাড়ি পাঠানোর মত ভদ্রলোক তো তুমি নও। নিশ্চয়ই আমাকে বাপের বাড়ি পাঠিয়ে ইয়ারবন্ধু জড়ো করে ফাঁকা বাড়িতে মদ গেলার ধান্ধা করছ?
কথাটা শুনেই মেজাজ গেল বিগড়ে, বলে ফেললাম, সত্যিই আর যাই করো, মহিলাদের ভাল চিন্তা করা মহাপাপ, রাম বললে রামছাগল হয়ে যাবে।
লেগে গেল ধুন্ধুমার। বউ বলল, কী বললে, আমি রামছাগল? লিঙ্গজ্ঞানও লোপ পেয়েছে দেখছি! তা বলবে না কেন, নিজে তো একটি ভেড়া, একেবারে মায়ের ভেড়া।
এই সকাল সকাল মাকে টানবে না বলে দিলাম।
উঁ, গায়ে লেগে গেল। বেশ করেছি টেনেছি, তুমিই তো শুরু করলে আমার বাপের বাড়ি টেনে।
হা ভগবান, বাপের বাড়ি কখন টানলাম, তোমার ভালর জন্যই বললাম ক’দিন ঘুরে এসো।
ওটাই তো সন্দেহ, এত সোজা তো তুমি নও, নিশ্চয়ই মোদো পার্টি কিংবা পাড়ার কারও সাথে ফষ্টিনষ্টি হচ্ছে, আমি থাকলে সুযোগ হচ্ছে না, তাই না! বলি, কে, নতুন সখীটি কে, নামটা একটু শুনি, তারপর দেখাচ্ছি ঝেঁটিয়ে কেমন করে বিষ ঝাড়তে হয়।
এর পর আর একমুহূর্তও বাড়িতে না দাঁড়িয়ে সোজা হেঁটে নির্ভেজাল ঠেকে এসে বসে পড়েছে অমলকান্তি।
পুরো ঘটনাটা শুনে জগাদা বললেন, তোদের দোষটা কোথায় জানিস, তোরা এই প্রজন্মের ছেলেরা সব কিছুই ভাবিস টি-টোয়েন্টি, খালি চালিয়ে খেলার ধান্দা। না ভেবেচিন্তে দিবি ব্যাট চালিয়ে।
অমলকান্তি খানিকটা বিরক্ত হয়েই বলল, রাখো তো, সব কথায় তোমার ক্রিকেট। সংসার তো করোনি, তাহলে বুঝতে ক্রিকেট আর সংসার এক নয়, বউকে ফেস করার চেয়ে তোমার বুমরাহকে ফেস করা অনেক সোজা।
না রে পাগলা না, সংসার হল গিয়ে টোটাল ক্রিকেট। মাথা ঠান্ডা রেখে দেখেশুনে ব্যাট চালাও, প্রয়োজনে ডিফেন্স করো, দেখবে স্কোরবোর্ড সচল আর তা না করলেই খোঁচা লেগে স্লিপে ক্যাচ নইলে ব্যাট-প্যাডের ফাঁকে বল গলে ক্লিন বোল্ড।
চেনো না তো আমার বউকে, যতই দেখে খেলো, সব এক একটা ম্যালকম মার্শালের মত বাউন্সার, সোজা এসে খুলি ফাটিয়ে বেরিয়ে যাবে।
এটাই তো তোর ভুল। এই জন্যই তুমি হামেশা ক্লিন বোল্ড।
মানে!
মানে আর কী, তোর কেসটা আমি যতদূর বুঝলাম, ওই যে বললি ওভারে ছ’টা বল ছ’রকম।
সে আবার কখন বললাম!
আরে ওই বললি না, বউয়ের ঘন ঘন মুড চেঞ্জ, তার মানেই তো তাই। কখনও অফ ব্রেক তো কখনও লেগ, নয়তো দুসরা কিংবা কেরাম বল। খেলা ভীষণ কঠিন। জাত রিস্ট স্পিনার।
তাহলে মানলে তো খেলা অসম্ভব।
ধুর, অসম্ভব কেন হবে, এদের খেলার একটাই উপায়, বল করার আগে বোলারের হাতের গ্রিপ দেখে বুঝে নিতে হবে কী বল সে করতে চলেছে, হাতটা ঠিক করে পড়তে পারলেই প্রতিটা বলে বাউন্ডারি, নইলে ফক্কা।
তুমি না জগাদা সব গুলিয়ে দাও, সে না হয় বোলারের হাত দেখে খেলা গেল কিন্তু বউয়ের হাত দেখে কী বুঝব সেটা তো বলো।
হাত নয় রে পাগল, হাত নয়। বউয়ের ক্ষেত্রে মন পড়তে হবে মন, যদি মন পড়ে আগেই আন্দাজ করে নাও কী ডেলিভারি আসতে চলেছে, তাহলে খেলাটা একেবারে ইজি হয়ে যাবে।
জগাদার এই কথাটা বেশ মনে ধরল অমলকান্তির, ঠিক তো, বউ কী বলতে চলেছে সেটা যদি আগেভাগে আন্দাজ করা যায় তাহলে খেলাটা বেশ সহজ হয়। অর্থাৎ রিস্ট স্পিনারের হাত পড়ার মতই বউয়ের মন পড়তে হবে। রবিবারের সকাল। তাই আরও কিছুক্ষণ সেখানে আড্ডা দিয়ে বাড়ির পথে পা বাড়াল সে।
জানে এই সময়টা গৃহিণীর সিরিয়াল দেখার সময়, রাত্রে বেশ কয়েকটা সিরিয়াল ছেলের টিউশন চলার কারণে দেখতে পায় না, সেগুলো সকালে দেখে পুষিয়ে নেয়। তাই বেল বাজিয়ে দরজার সামনে অপেক্ষা করতে হবে, বিজ্ঞাপনের বিরতিতেই দরজা খুলবে শুধু। আজ বেশ অবাক করেই মাত্র একবার বেল বাজাতেই দরজা খুলল সুধা, সকালের মেঘলা আকাশ ধুয়েমুছে সাফ, হাসিমুখ, গদগদ মন। দরজা খুলেই একমুখ হাসি হেসে সুধা বলল, আর বোলো না, সব জারিজুরি শেষ, আজ সান্টু দিয়েছে তার শ্বশুরের মাথায় রিভলবার ঠেকিয়ে! আর কেন করবে না, এত অহংকার কি ভাল, বলো!
কে সান্টু, কোথাকার সান্টু কিছুই মাথায় ঢুকল না। বরং রিভলভারের নাম শুনে বুকটা কেমন ছ্যাঁৎ করে উঠল অমলের। পরক্ষণেই মনে পড়ে গেল জগাদার রিস্ট স্পিনার খেলার থিওরিটা। বউয়ের হাসিখুশি মুড, এই সুযোগে তার মনে ধরে এমন কিছু একটা বলতে হবে, তাহলে বিনাযুদ্ধে দুপুরটা অন্তত উতরে যাবে। খেলার মত একটা বলও পাওয়া গেছে, প্রসঙ্গ অহংকারী শ্বশুর। বছরখানেক হল বিয়ে হয়েছে সুধার ভাই অর্থাৎ অমলের শালার। তার শ্বশুর বেশ অহংকারী আর শালাটা একেবারেই শ্বশুর-ন্যাওটা, শ্বশুরের কথায় ওঠেবসে, যেটা একেবারেই সহ্য হয় না সুধার, তাই এখন সদাসর্বদা ভাইয়ের সমালোচনা। এই সুযোগে একবার তাই ভাইয়ের শ্বশুরের প্রসঙ্গটা তুলে দেওয়া দরকার, তাই মওকে পর চওকা মারতে অমল বলল, সান্টুর দম আছে বলতে হবে, সামনে পেলে পিঠ চাপড়ে দিতাম, যা করেছে বেশ করেছে। আর সবাই কি আর তোমার ভাই, যে শ্বশুরের কথায় উঠবে আর বসবে!
তার মানে? কী বলতে চাও তুমি? সান্টুর সঙ্গে আমার ভাইয়ের তুলনা? সান্টুকে চেনো তুমি?
না! কে সান্টু, কোথাকার সান্টু সেটা তো বলো।
তুমি জানো, সান্টু একটা গুন্ডা, তার সাথে তুমি আমার ভাইয়ের তুলনা করলে!
গুন্ডা! তাহলে তুমিই বা তাকে চিনলে কী করে? আজকাল গুন্ডাবদমাশদেরও খোঁজখবর রাখা হচ্ছে নাকি?
তুমি জানো সান্টু কে?
না, জানি না। আর জানার কোন ইচ্ছাও নেই, ওসব গুন্ডাবদমাশ নিয়ে তুমিই থাকো।
কী বললে! আমি গুন্ডাবদমাশ নিয়ে থাকি? এতবড় কথাটা বলতে পারলে তুমি? সান্টু ‘খেলাঘর’ সিরিয়ালের হিরো। না জেনেশুনে এতবড় কথাটা বলতে পারলে তুমি?
অমল বুঝল আবার ভুল বলে ব্যাট চালিয়ে ফেলেছে, খেলাটা ঘোরানোর জন্য অমল বলল, আরে সেটা কী করে জানব বলো, শ্বশুর শুনেই তোমার ভাইয়ের কথাটা মনে পড়ে গেল, ভাল ছেলেটা কেমন শ্বশুরের কথায় উঠছেবসছে, ভাবতেও খারাপ লাগে।
বেশ করছে উঠছেবসছে। বলি, ও তোমার খায় না পরে। আমার ভাইয়ের সমালোচনা আমি করব, তুমি কে হে এ সব বলার।
আমি কে মানে! আমার বলার অধিকার নেই? ঠিকই বলেছ, সব তো এক ছাঁচের জিনিস!
কী বললে, আমি জিনিস! হ্যাঁ, বলবে না কেন, কেমন বংশ দেখতে হবে তো!
বংশের বদনাম শুনে খেলা, রিস্ট স্পিন সব ভুলে গেল অমল। বেশ গলা চড়িয়ে বলল, এই বংশ নিয়ে কোনও কথা বলবে না বলে দিলাম, আমার বংশের কেউ মাসের মধ্যে কুড়িদিন শ্বশুরবাড়িতে পড়ে থাকে না।
বেশ করে পড়ে থাকে, তুমি থাকলে তো আমিও খুশি হতাম, তুমিও তো পারতে একটু শ্বশুরের ন্যাওটা হতে। তা নয়, শ্বশুরের নাম শুনলেই জ্বলে যায়। বলি, আমার বাবা তোমার কোন পাকা ধানে মই দিয়েছে বলতে পারবে?
দেয়নি আবার। তোমার মত এমন ডেঞ্জারাস একটি বল আমার পেনাল্টি বক্সে ঢুকিয়ে দিয়ে নিজে দিব্বি নাকে তেল দিয়ে ঘুমাচ্ছে। আমার যদি একটা রিভলভার থাকত না, কবে দিতাম এমন শ্বশুরের খুলি উড়িয়ে!
তবে রে, যত বড় মুখ নয় তত বড় কথা! বলেই হাতের সামনে থাকা একটা স্টিলের মগ তুলে সুধা তাক করল অমলকান্তির দিকে। অমল নিজের মাথা বাঁচাতে সেখান থেকে ছুটে পালাতে গেল, আর টাইলসের মেঝেতে পড়ে থাকা জলে স্লিপ করে দড়াম। মাথার পিছনের দিকটা টকাস করে মেঝেতে ঠোকা লেগে সঙ্গে সঙ্গে একটা আলু গজিয়ে গেল। কোমরে যে ব্যথা অনুভব করল, ভাবল কোমর নিশ্চয়ই আর আস্ত নেই। অমলকে এভাবে ভূপতিত হতে দেখে সুধা চিলচিৎকার জুড়ে দিল, ও মা গো, বাবা গো, এ আমার কী সর্বনাশ হল গো, কে কোথায় আছ গো, এসে দেখে যাও গো।
সুধার চিৎকার শুনে দৌড়ে এল অনেকেই। সকলে মিলে ধরাধরি করে অমলকে বিছানায় শুইয়ে দিল। কেউ পরামর্শ দিল হসপিটালে যাওয়ার, কেউ আবার ব্যথা কমলে অন্তত একটা এক্সরে করিয়ে নেবার পরামর্শ দিয়ে যে যার ঘরে চলে গেল।
বিছানায় বউয়ের কোলে মাথা রেখে শুয়ে আছে অমলকান্তি, বউ দুমিনিট ছাড়া ছাড়া জিজ্ঞাসা করছে, হ্যাঁ গো কেমন আছ, কী বিপদটা এখুনি হত বলো তো। ধারেপাশে ছেলেকে পর্যন্ত ঘেঁষতে দিচ্ছে না। ছেলে ভুল করে একবার অমলকে ছুঁতে গিয়েছিল শুধু, সঙ্গে সঙ্গে ঝ্যানঝ্যান করে উঠল সুধা, কুলাঙ্গার ছেলে কোথাকার, আজ অন্তত মানুষটাকে একটু শান্তি দে।
অমলের মাথা কোলে নিয়ে বিছানায় বসে সুধা, আঙুল দিয়ে বিলি কাটছে অমলের চুলে, থেকে থেকে কোমরে বাম লাগিয়ে দিচ্ছে, জল পর্যন্ত খাইয়ে দিচ্ছে। অমলের মনে পড়ে যাচ্ছে সেই প্রথম রাতের কথা। মনে মনে মুণ্ডপাত করল জগাদার, তুমি অবিবাহিত মানুষ, তুমি আর কী জানো সংসারের সুখ। অমল ভাবল, জগাদার জীবনের গ্রাফটা মৃত মানুষের হার্টের গ্রাফের মত স্ট্রেট লাইন, কোনও চড়াই-উৎরাই নেই। আর সংসার হল টক-ঝাল-মিষ্টি চানাচুর, এই ঝগড়া তো এই ভাব, এই খামচাখামচি তো এই আদর, এ স্বাদের ভাগ হবে না। জগাদার মত মানুষের পক্ষে সংসারের রস বোঝা কঠিন, শুধু রিস্ট স্পিন কেন, ক্রিকেট, ফুটবল, রাজনীতি সব থিওরিই এই সংসারের ২২ গজে অচল।
সুধা বসেই আছে, ওঠার নাম পর্যন্ত করছে না, অমল বলল, আমি এখন ঠিক আছি। সকাল থেকে তো কিছুই খাওয়া হয়নি তোমার। এবার অন্তত দুটি কিছু খেয়ে নাও, গ্যাস-অম্বল হবে যে নইলে।
হোক গ্যাস অম্বল, আজ মরে গেলেও আমি তোমাকে ছেড়ে উঠছি না।
অমল ছেলেকে কাছে ডেকে ফোনটা এগিয়ে দিয়ে বলল, অনলাইনে অর্ডার দে, তিনটে চিকেন বিরিয়ানি।
দারুণ দারুণ দারুণ
Khub khub bastob o majar galpo