হারিয়ে ফেলাই ভাল
এখন আমার চোখ অন্ধকার কোণগুলোতে
তোমারই জন্য,
এখন আমার দীর্ঘছায়া অদম্য প্রত্যয়ে
সমস্ত দিন পথ পাড়ি দেয় তোমারই জন্য।
তবু তোমায় আমার খুঁজতে থাকা অন্ধ হওয়া চোখ,
এখন পথের মধ্যে গোলকধাঁধা
আর আমার অস্তিত্বের সংকট।
এখন আমার স্থিরতা
বাস্তবতা ও বিভ্রমের সীমানায়,
এখন আমার ছন্দে আঘাত—
কেবল তোমার অপেক্ষায়।
এখন আমি নই তো আর
ছায়ার মধ্যে লুকিয়ে থাকা গভীর একটা ক্ষত,
এখন আমি রূপান্তর, আর জীবন নামের এক তরল পদার্থ।
ভাবছি, আর জনমে তোমার সঙ্গে নিখোঁজ হব,
ভাবব অন্ধকার কোণগুলোতে আর-একটু হোক আলো,
যেন তুমি এসে এই দুচোখে পরিত্রাণ-দীপ জ্বালো,
খুঁজতে গিয়ে বুঝতে দিয়ো হারিয়ে ফেলাই ভাল।
**
আড়ম্বর-উৎসব থেকে
আড়ম্বর-উৎসব থেকে ওই তো সে নির্জন পথে নামে,
প্রাচীন শহরের বুকে কবিতারা নীল খামে।
ওরা কি অধরা আবেগী ভ্রূণ ছায়াপথ হবে,
ওরা কি সবটুকু নয় উৎসবটুকু শুধু রেখে যাবে?
বিবর্ণ গাথাকবিতা, আলোকের শ্লোক
ফেলে গেছে দূর রাজত্বে একটা কেউ।
যেন তার রঙিন পাখিচোখ
ভাবে এ জাঁকজমক খুব নকল,
আঙ্গুলের নরম-আলোতে আলোতে পূর্ণ হোক।
হাসি হাসি তবু কিছু কথা আজও কি বাকি,
এক মানসীর নিশ্চুপ ব্যথা আজও কি ঢাকি,
আজও আছে কি বাকি তবু কিছু অভিযোগ?
যেন তার রঙিন পাখিচোখ
ভাবে এ ভারাক্রান্ত জাঁকজমক,
আঙ্গুলের নরম-আলোতে আলোতে পূর্ণ হোক
আড়ম্বর-উৎসব থেকে ওই তো পালায় সে নতমুখে,
আজ প্রফুল্ল বুকে ভেজে মেঘদল শতদুখে।
ওরা কি অধরা আবেগী ভ্রূণ ছায়াপথ হবে,
ওরা কি সবটুকু নয় উৎসবটুকু শুধু রেখে যাবে?