হেমন্তে আমি যা চেয়েছিলাম
অনেক ঋতু আর আগুনজল ডিঙিয়ে
তোমার হেমন্ত-নিবিড় গ্রামে এসে দাঁড়ালাম;
আসন্ন শীতকে জয় করবার জন্য
তোমার কাছে চাইতে এলাম স্পর্শ ও স্ফুলিঙ্গ
এসে দেখি, ভাঁড়ারে খিল আঁটা। আর
ফটকের চারপাশে গনগনে কামারশালা;
যা আমার ডানাগুলোকে পুড়িয়ে দিতে
হাপরের মুখে আগুন নিয়ে অপেক্ষা করছে
তাই কিছু না বলে
তোমার রম্যগৃহের সীমানা থেকে সরে এলাম
ভেঙে-গিয়েও-লটকে-থাকা একটা ডালের মতো
নিজেরই লম্বা ছায়ার উপর ঝুঁকে রইলাম;
এবার নিজের ছায়াকে গুটিয়ে নিচ্ছি। ফিরে যাচ্ছি…
শীতের কুন্ত আগ্রাসন থেকে বাঁচবার জন্য
হেমন্তে আমি পেতে চেয়েছিলাম তোমার স্ফুলিঙ্গ ও কার্পাস
সে আর হল না… হল না
কানের ভেতর ঘেউ-ঘেউ করছে তোমার কুকুর
যার সারা গা-জুড়ে শুধু সূচালো দাঁত আর দাঁত
আমার ভরা দুপুরে বর্গির মতো অতর্কিতে ঢুকে পড়ে
বেজে চলেছে তোমার নৃশংস শীতের দামামা