Search
Generic filters
Search
Generic filters
প্রসেনজিৎ দত্ত

প্রসেনজিৎ দত্ত

প্রসেনজিৎ দত্ত বাংলা সাহিত্যে স্নাতকোত্তর। পেশাগত সূত্রে একটি সংবাদপত্রের সঙ্গে যুক্ত। নেশা ছবি তোলা। মূলত পাখির ছবি তোলেন। তাঁর তিনটি প্রকাশিত বইগুলি হল: নিবন্ধ সংস্করণ ‘মুখ বাছতে গাঁ উজাড়’, কাব্যগ্রন্থ ‘বিয়াস এবং শাখানদী’ এবং ‘মৃত শহরের পাখি’ (বাংলা ভাষায় প্রথম শকুন বৃত্তান্ত)।
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on whatsapp

আলপনা-আয়নায় দেখা গাঁ

India’s First Bengali Daily Magazine. কেবল পুরুলিয়া নয়, গ্রামের বাড়ির দেওয়ালকে আলপনার অলংকার দিয়ে সাজাতে দেখেছি পশ্চিম মেদিনীপুর, বর্ধমান, বাঁকুড়াতেও। পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলায় তো ছোট্ট কুড়ের দেওয়ালে লোকচিত্র অবাক করে দেয়। যে বা যাঁরা এই আলপনা কর্মে পটু, তাঁদের আঙুলে জাদু। দক্ষতাও নিখুঁত। তবে ব্যক্তিগতভাবে মনে হয়েছে, এই শিল্প সারল্যের ফসল। আমাদের শহরবাসীর কাছে বিরল এই ‘সারল্য’। জেনেছি যে, সাঁওতালদের উপজাতীয় গোষ্ঠীর পাশাপাশি সাদাক এবং মাহাতো সম্প্রদায়ের গ্রামগুলিতেও দেখা যায় আলপনা চিত্র। কৃষিবউ, কামার, কুমোর, মেথররাও এই শিল্পে পারদর্শী।

Read More »

দক্ষিণী কবিদের কৃষ্ণপ্রেম

India’s First Bengali Story Portal. কর্নাটকের হৈসল প্রাচীন মন্দিরের সূক্ষ্ম ভাস্কর্যে কৃষ্ণও রয়েছেন। এই হৈসল মন্দির থেকে শুরু করে মহাবলিপুরমের গুহা পর্যন্ত হিন্দু পুরাণের অন্যতম ‘রোমান্টিক’ দেবতা যেভাবে দক্ষিণ ভারতকে মুগ্ধ করেছেন, তা কিন্তু অদেখা রয়ে যাওয়া অসম্ভব। ভুলে গেলে চলবে না ভক্তি আন্দোলনের শিকড় ভারতের তামিলভাষী অঞ্চলেই। এখানেই রচিত হয়েছিল বিখ্যাত শ্রীমদ্ভাগবতম। শঙ্করাচার্য, শ্রী রামানুচার্য এবং মধ্বাচার্যও দক্ষিণ ভারতেরই। আলওয়ারের সাধুরা কৃষ্ণের প্রশংসায় রচনা করেছিলেন অসাধারণ সমস্ত চরণ।

Read More »

১৯ মে: সংকীর্ণ আঞ্চলিকতাবাদের বিরুদ্ধে বাঙালির মরিয়া লড়াইয়ের কাহিনি

আজ পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতবর্ষের বাংলা ভাষাভাষী প্রতিটি মানুষের কাছে একটাই প্রশ্ন, কমলা ভট্টাচার্য, সুনীল সরকার, সুকোমল পুরকায়স্থ, শচীন্দ্রচন্দ্র পাল, চণ্ডীচরণ সূত্রধর, সত্যেন্দ্র দেব, কানাইলাল নিয়োগী, কুমুদ দাস, তরণী দেবনাথ, হিতেশ বিশ্বাস, বীরেন্দ্র সূত্রধর দে-র ১৯৬১-র ১৯ মে-র আত্মদান কি বৃথা যাবে? বৃথা যাবে কি ১৬ আগস্ট ১৯৭২-এ করিমগঞ্জে বিজন চক্রবর্তীর আত্মোৎসর্গ? বৃথাই কি ১৯৮৬-র ২৬ জুলাই করিমগঞ্জে জগন্ময় দেব, দিব্যেন্দু দাসের আত্মাহুতি?

Read More »

আদরের বাংলাদেশ

একই মাটি ছিল, একই দেশও… কৃষিগন্ধ, ঢেঁকিছাটা চাল, খাল, বিল, নদ, নদী, বৃক্ষকুটুম সবই ছিল এক। তবে মানুষের বর্ণে শক্তি চাই। সে যখন প্রকৃতির সঙ্গে পেরে ওঠে না, তখন তার শক্তিঠাকুর, থুড়ি শিবঠাকুর চাই। শিবঠাকুরের আপন দেশে সমতটের নানা স্থানে তাঁরই মূর্তি গড়া হল। ধান ভানতে শিবের গীত, ধান রুইতে শিবের গীত, ধান হইতে ভাতেও শিব… ইচ্ছামত ফুলে জলে বিল্বপত্রে তাঁকে পুজো করো… জংলিফুল কুন্দফুল আকন্দ হলেই চলবে, কোনও অধিকারী অনধিকারীর ভেদ সেখানে নেই।

Read More »

শতং বদ মা লিখ

দিদা রবীন্দ্রনাথ পড়েনি। সে সুর করে পাঠ করত এই ছড়া। ত্রিপূর্ণির ঘাট কী জানতে চাইলে বলত আগ্রার যমুনা নদীর কথা। তাজমহলের কথা। তাজমহলের পাশ ঘেঁষে যমুনা বয়ে গেছে। নদীর ধারে শ্মশান ছিল। ওখানে দিদার মাকে দাহ করা হয়েছিল। সীতারামের খেলার কথা জিজ্ঞেস করলে আমায় নিয়ে যেত পাশের বস্তির শিবমন্দিরের কাছে। শ্রাবণে ওখানে কাঠের ঘোড়া করে একজন কোমর দুলিয়ে বেমালুম নাচত, লোকে পয়সা দিত। স্বপ্নের মত লাগত সেইসব।

Read More »

‘মানুষ লালন’ নিয়ে ভাগাভাগি বন্ধ হবে কবে

বহুবছর পেরিয়ে গেলেও সমস্যাটা রয়ে গিয়েছে একই জায়গায়। বদলে যাওয়া প্রেক্ষাপটেও তাঁদের সহজ সাধনাকে উচ্চবর্ণ কখনওই মেনে নেয়নি। এমনকী ‘বাউল ধ্বংস ফতেয়া’ পর্যন্ত জারি হয়েছিল। লালনও সেই ব্রাত্যজনের দলের একজন। তিনি অত্যাচারিত হয়েছেন, তাঁর ভিটের মাটি জমিদারদের কুনজরে পড়েছে, মার খেয়েছেন, তাঁকে ‘নাপাক’ বলা হয়েছে— তবুও থামেননি লালন।

Read More »