ঢাকা শহরের বেশ কয়েক মাইল দূরে একটি গ্রাম। নাম শেওড়াতলি। গ্রাম বলতে একদম অজগ্রাম। বাবা জগন্নাথ সাহার মুদির দোকান। সেই দোকানের আয় থেকে কষ্টেসৃষ্টে সংসার চলে। সেখানেই জন্ম মেঘনাদের। ওঁরা আট ভাইবোন। মেঘনাদ পঞ্চম। গ্রামে একটিই মাত্র স্কুল। স্কুলের অবস্থাও তথৈবচ। বাবাও চাইতেন না, প্রাথমিক স্কুল পাশ করে আর পড়াশোনা করুক ছেলে। উঁচু ক্লাসে পড়ার জন্যে গ্রাম থেকে দশ কিলোমিটারের মধ্যে কোনও স্কুলও ছিল না। যাই হোক, গ্রামের স্কুলে পড়া শেষ করে সেই দূরের স্কুলেই ভর্তি হলেন মেঘনাদ। শুধু পড়াই তো নয়, কোথাও একটা থাকতে হবে, বাড়ি থেকে রোজ যাওয়া আসা সম্ভব নয়। একজন ডাক্তারের বাড়িতে থাকার একটা ব্যবস্থা হল। এমনি এমনি কে আর থাকতে দেবে? থাকা আর পড়ার সুযোগ পাওয়ার জন্যে মেঘনাদকে আশ্রয়দাতার বাড়ির কিছু কাজ করতে হবে। কী কাজ? গোয়ালঘর পরিষ্কার করা, গোরু-মোষের দেখভাল করা, বাসন মাজা… এইসব কিছু। ওই স্কুলে ক্লাস সিক্স অবধি পড়ার পরে ঢাকা কলেজিয়েট স্কুলে ভর্তি হলেন। বৃত্তির টাকা যেটুকু পেতেন তা দিয়ে থাকা-খাওয়া আর পড়ার খরচ কুলোত না। সে সময় তার বড়দাদা সাধ্যমত সাহায্য করেছেন।
সে সময় বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনে সারা দেশ অগ্নিগর্ভ। সেই উত্তাল আন্দোলনের আঁচ কিশোর মেঘনাদকেও অশান্ত করে তুলল। স্কুলে গভর্নর আসবেন সেই কারণে ক্লাস বয়কটে সামিল হলেন মেঘনাদ। যার ফলে ওই স্কুল থেকে শুধু বিতাড়িত হতে হল না মেঘনাদকে, সেই সঙ্গে যে ছাত্রবৃত্তি পেতেন, সেটিও বন্ধ হয়ে গেল। যা এক বিরাট ধাক্কা। এরপর আর পড়াশোনা করবেন কী করে? ওই পরিস্থিতিতে পড়াশোনার ওখানেই শেষ হয়ে যাওয়ার কথা। যাই হোক এক সহৃদয় এবং সাহসী শিক্ষকের সাহায্যে কিশোরীলাল জুবিলি স্কুলে ভর্তি হতে পারলেন মেঘনাদ। সেখান থেকে এন্ট্রান্স পরীক্ষা দিলেন। এন্ট্রান্স পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করলেন মেঘনাদ। তারপর ঢাকা কলেজে ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষায় পাশ করে কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজে ভর্তি।
গণিত নিয়ে বিএসসি এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএসসি পাশ করলেন মেঘনাদ। সেসময় প্রেসেডেন্সি কলেজে মেঘনাদের শিক্ষক ছিলেন স্বনামধন্য জগদীশচন্দ্র বসু, প্রফুল্লচন্দ্র রায়, ডি এন মল্লিক। আর সহপাঠী হিসেবে পেয়েছিলেন সত্যেন্দ্রনাথ বসু, জ্ঞানচন্দ্র ঘোষ, জ্ঞানেন্দ্রনাথ মুখার্জি প্রমুখকে। পরবর্তী জীবনে দেশের উন্নতির জন্যে প্রফুল্লচন্দ্রের প্রভাব ছিল সবচেয়ে বেশি।
আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের আমন্ত্রণে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে মেঘনাদ এবং সত্যেন্দ্রনাথ লেকচারার হিসেবে যোগ দিলেন। তারপর ডিএসসি ডিগ্রি অর্জন এবং পরে প্রেম চাঁদ রায় বৃত্তি নিয়ে গেলেন ইউরোপে। দুবছর লন্ডন এবং বার্লিনে গবেষণা করেন দিকপাল বিজ্ঞানীদের গবেষণাগারে।
তাঁর যুগান্তকারী গবেষণার ফল ‘Ionisation of Solar Chromosphere’ এবং ‘Harvard Classification of Solar Spectra’ এই সময়েই প্রকাশিত হয়েছিল। মাত্র সাতাশ বছর বয়স তখন তাঁর। আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান মহলে তখনই ছড়িয়ে পড়ল মেঘনাদের খ্যাতি।
পরে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে খয়রা অধ্যাপক হিসেবে পদার্থবিদ্যা বিভাগে যোগ দিলেন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনৈতিক অবস্থা তখন খুব খারাপ। তাই গবেষণার জন্যে অনুদান পাচ্ছিলেন না। সে সময় ফিজিক্সের প্রধান ছিলেন সি. ভি. রামন, পরবর্তী সময়ে যিনি বিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পাবেন। গবেষণাগারের পরিবেশ ও পরিকাঠামো নিয়ে রামনের সঙ্গে মেঘনাদের চরম বিবাদ দেখা দিল। মেঘনাদ কোনও দিন আপস করতে শেখেননি। ফলে চাকরি ছেড়ে এমনকি কলকাতা ছেড়েই চলে গেলেন এলাহাবাদে। সেখানে এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিজিক্স ডিপার্টমেন্টে প্রধান হয়ে নিযুক্ত হলেন।
তবে এলাহাবাদেও যে গবেষণা করার উপযুক্ত পরিবেশ ও কাঠামো পেলেন, তেমন নয়। তবে এখানে তিনি বেশ কিছু মেধাবী গবেষক তৈরি করার সুযোগ পেলেন। এখানে থাকাকালীন ইংল্যান্ডের ‘রয়্যাল সোসাইটি’-র ফেলো নির্বাচিত হলেন। অলংকৃত করেছেন ‘জাতীয় বিজ্ঞান কংগ্রেস’-এর সভাপতির পদ। মেঘনাদ উপলব্ধি করলেন, বিজ্ঞান গবেষণা ক্ষেত্রের সার্বিক পরিবেশ, অনুদান ইত্যাদি ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন করা দরকার। আর সে কারণেই তিনি সমাজের সমস্যা সমাধানের জন্যে বিজ্ঞানীর দায়িত্ব পালনের কথা মনে রেখে যথাযথ ব্যবস্থা নিলেন। তিনি প্রতিষ্ঠা করলেন ‘UP Academy of Science’। সেখান থেকেই তাঁর উদ্যোগে ‘National Academy of Science’ প্রতিষ্ঠা হল। পরবর্তীকালে যার নাম হয়েছে Indian National Science Academy (INSA)।
পরে ১৯৩৮ সালে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের আগ্রহে আবার কলকাতায় ফিরে এলেন মেঘনাদ, পালিত অধ্যাপক হিসেবে। ভারতবর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপযুক্ত সিলেবাস তৈরি করায় উদ্যোগ নিলেন। এম.এসসি ফিজিক্স পাঠক্রমের আমূল পরিবর্তন করে তা আধুনিক বিজ্ঞানচর্চার উপযোগী করে তুললেন। সেখানে বিশ্বের অত্যাধুনিক আবিষ্কারের বিষয়গুলি অন্তর্ভুক্ত করলেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে নিউক্লিয়ার ফিজিক্স পাঠক্রম এবং গবেষণা অন্তর্ভুক্তি তিনিই করেন। শুধু পাঠক্রম আধুনিক করাই নয়, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি ‘সাইক্লোট্রন’ যন্ত্রের নির্মাণের উদ্যোগ তাঁরই নেওয়া, যাতে নিউক্লিয়ার ফিজিক্সের উচ্চতর গবেষণার কাজ করা সম্ভব হয়। ‘পরমাণু বিজ্ঞান’ চর্চার ভিত্তিস্থাপন করলেন আর সেখান থেকেই পরবর্তী সময়ের ‘Institute of Nuclear Physics’-এর জন্ম (১৯৪৮)।
১৯৫৩-তে অবসর নিয়ে কলকাতায় ‘ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কাল্টিভেশন অফ সায়েন্স’-এর ডিরেক্টর মনোনীত হন। একই সঙ্গে তাঁর তৈরি ‘ইন্সটিটিউট অফ নিউক্লিয়ার ফিজিক্স’-এর অবৈতনিক ডিরেক্টর ছিলেন।
পদার্থবিজ্ঞানে ‘থার্মাল আয়োনাইজেশন’ তত্ত্বের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে বিখ্যাত মেঘনাদ বিশ্ববন্দিত। শুধু সমীকরণ আবিষ্কারেই কাজ শেষ হয়ে যায়নি, পরীক্ষাগারে সেসব কিছু নির্ণয় করে প্রমাণ করে দেখিয়েছেন ড. সাহা। তাঁর আবিষ্কৃত ‘সাহা আয়োনাইজেশন সমীকরণ’ নক্ষত্রের রাসায়নিক ও ভৌত ধর্মাবলি ব্যাখ্যায় ব্যবহৃত হয়। পরমাণু বিজ্ঞান, আয়ন মণ্ডল, পঞ্জিকা সংস্কার, বন্যা প্রতিরোধ ও নদী পরিকল্পনা বিষয়ে গবেষণা করেন। তাপীয় আয়নবাদ (Thermal Ionaisation) সংক্রান্ত তত্ত্ব উদ্ভাবন করে জ্যোতির্পদার্থবিজ্ঞানে মেঘনাদ উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছেন।
বিশিষ্ট জ্যোতির্বিজ্ঞানী আর্থার এডিংটন বলেছিলেন— ‘গ্যালিলিওর টেলিস্কোপ আবিষ্কারের পর শ্রেষ্ঠ দশটি আবিষ্কারের অন্যতম হল ‘সাহা আয়নন সমীকরণ’ (Saha Ionization Equation)’। মেঘনাদের গবেষণার কাজ সম্পর্কে একাধিক বিশ্ববন্দিত জ্যোতির্পদার্থবিদরা মনে করেন, মহাকাশের তারাদের ভেতরের ভৌত অবস্থা সম্পর্কে বহু সঠিক তথ্য পাওয়া সম্ভব হয়েছে ড. সাহার গবেষণার সূত্র ধরেই।
নরওয়ের জ্যোতির্পদার্থবিদ Svein Rosseland মেঘনাদ সাহার কাজের অসীম গুরুত্ব আর অবদানের কথা যে ভাষায় প্রকাশ করেছেন, তা এইরকম:
“Although Bohr must thus be considered the pioneer in the field [of atomic theory], it was the Indian physicist Megh Nad Saha who (1920) first attempted to develop a consistent theory of the spectral sequence of the stars from the point of view of atomic theory… . The impetus given to astrophysics by Saha’s work can scarcely be overestimated, as nearly all later progress in this field has been influenced by it and much of the subsequent work has the character of refinements of Saha’s ideas.”
মেঘনাদের আর একটি উল্লেখযোগ্য কাজ হল ১৯৩৩ সালে কলকাতায় ‘ইন্ডিয়ান সায়েন্স নিউজ অ্যাসোসিয়েশন’ প্রতিষ্ঠা এবং ‘সায়েন্স অ্যান্ড কালচার’ পত্রিকার প্রকাশ।
একজন বিজ্ঞানীর কাজ শুধু যে গবেষণা নয়, দেশের এবং সমাজের প্রতিও যে দায়বদ্ধ থাকতে হয়— তা মেঘনাদ তাঁর কর্মধারা থেকে বুঝিয়ে দিয়েছেন। উচ্চমানের গবেষণা করার পাশাপাশি, ভারতবর্ষের শিল্প, বিজ্ঞান, অর্থনীতি ইত্যাদির জাতীয় পরিকল্পনা এবং নদী উপত্যকা পরিকল্পনার কাজে তাঁর দায়িত্ব পালন করেছেন মেঘনাদ। বিভিন্ন ক্ষেত্রের জাতীয় সমস্যার স্বরূপ এবং তাঁর সমাধানের ইঙ্গিত দিয়েছেন।
একসময় যখন তিনি বুঝলেন দেশসেবার জন্যে কিছু করতে হলে প্রত্যক্ষভাবে রাজনীতিতে প্রবেশ করা প্রয়োজন। তাই ১৯৫১ সালে নির্দল প্রাথী হিসেবে সাধারণ নির্বাচনে জয়ী হয়ে পার্লামেন্টে গেলেন। যদিও একজন বিজ্ঞানীর পার্লামেন্টে আসা নিয়েও কম সমালোচনা শুনতে হয়নি মেঘনাদকে। তবে বৈজ্ঞানিক হ্যালডেন বলেছিলেন, দেশের স্বার্থে সাহার মত বিশিষ্ট বৈজ্ঞানিকদের পার্লামেন্টে যাওয়া দরকার।
সাহার তীক্ষ্ণ এবং যুক্তিযুক্ত সমালোচনার ঝড়ে জওহরলাল নেহরু বিরক্ত এবং ক্রুদ্ধ হয়ে, সাহার অনুপস্থিতির সুযোগে একবার তাঁকে ‘বাতিল হয়ে যাওয়া বিজ্ঞানী’ বলে বক্রোক্তি করেন। সাহা পরের দিন উত্তর দিয়েছিলেন, ‘যখন অনেক বাতিল হয়ে যাওয়া রাজনীতিককে মানুষ সম্পূর্ণ ভুলে যাবে, তখনও এই বাতিল হয়ে যাওয়া বিজ্ঞানীর নাম জীবন্ত হয়ে থাকবে, আজ থেকে এক শতাব্দী পরেও।’
নিজের প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে যোগদান সম্পর্কে ড. সাহার উক্তিটি বিশেষ মনোযোগের যোগ্য:
“Scientists are often accused of living in the “Ivory Tower” and not troubling their mind with realities and apart from my association with political movements in my juvenile years, I had lived in ivory tower up to 1930. But science and technology are as important for administration now-a-days as law and order. I have gradually glided into politics because I wanted to be of some use to the country in my own humble way.”
আমরা জানি, পৃথিবীর সীমানা ছাড়িয়ে মেঘনাদ আজও অমর হয়ে আছেন। চাঁদের গহ্বরগুলি পৃথিবীর খ্যাতনামা জ্যোতির্বিদদের নামে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে আছেন আমাদের মেঘনাদও! মেঘনাদ সাহার সূত্র আবিষ্কারের এত বছর পরেও মহাকাশ গবেষণা ও সৃষ্টি রহস্যের নানান বৈজ্ঞানিক সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে আজও ব্যবহৃত হচ্ছে।
যদিও তাঁর এই সক্রিয় রাজনীতির আয়ু ছিল মাত্র তিন বছর ন’মাস। পরিকল্পনা, শিক্ষা, অ্যাটমিক এনার্জি, নদী প্রকল্প, রিফিউজি এবং রিহ্যাবিলিটেশন, স্টেট-রিঅর্গানাইজেশন ইত্যাদি বিষয় নিয়ে পার্লামেন্টে অনেক সারগর্ভ বক্তৃতা দিয়েছিলেন তিনি।
১৯৩০ সালে ভারতীয় পদার্থবিজ্ঞানী দেবেন্দ্রমোহন বসু এবং শিশিরকুমার মিত্র পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কারের জন্য মেঘনাদের নাম বিবেচনার জন্যে পাঠান। পরে, ১৯৩৭ এবং ১৯৪০ সালে আর্থার কম্পটন এবং ১৯৩৯, ১৯৫১ ও ১৯৫৫ সালে শিশিরকুমার মিত্র আবারও মেঘনাদের নাম নোবেল কমিটির কাছে পাঠান। কিন্তু মেঘনাদ নোবেল স্বীকৃতি পাননি।
১৯৫৬ সালে ১৬ ফেব্রুয়ারি মাত্র তেষট্টি বছর বয়সে মারা যান মেঘনাদ। তাঁর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তাঁরই প্রতিষ্ঠিত ইনস্টিটিউটের নাম হয় ‘সাহা ইন্সটিটিউট অফ নিউক্লিয়ার ফিজিক্স’।
আজ, ৬ অক্টোবর, মেঘনাদ সাহার (১৮৯৩–১৯৫৬) ১২৯তম জন্মবর্ষে জানাই শ্রদ্ধাঞ্জলি।
অসাধারণ উত্তরণের গল্প। বিজ্ঞানীদের এই তথ্যগুলো জানতে ভালো লাগে। আপনাকে ধন্যবাদ আপনার লেখার জন্য। ভাবলেই চমতকৃত হতে হয়, একটা সময়ে ভারতীয় বিজ্ঞানীদের অবদানগুলো গবেষক মহলে একটা রেনেসাঁস নিয়ে আসে, বিশেষ করে পদার্থবিদ্যা আর গণিতে। তখন তথ্যপ্রযুক্তির অপ্রতুলতা আরও কতকিছুর কমতি সত্ত্বেও তাঁরা এমন কাজ করে গেছেন যে এখনও তাঁরা লিডিং মেন অব সায়েন্স!
ধন্যবাদ জানাই আপনাকে লেখাটি যত্ন করে পড়েছেন এবং মন্তব্যের জন্যে।
লেখাটা খুব ভাল লাগল। তিনি আমাদের মাটিতে জন্মেছেন। তিনি আমাদের জন্য অনুপ্রেরণার অন্তহীন উৎস। তাকে নতুনপ্রজন্ম যতই চিনবে, তত উৎসাহ-উদ্দীপনা বেড়ে যাবে তাদের, তাদের শক্তির সন্ধানে হাতড়াতে অনেক দূরে হাতড়াতে হবে, বাড়ির কাছেই পেয়ে যাবে মেঘনাদকে।
ধন্যবাদ জানাই আপনাকে, আপনার সহৃদয় মন্তব্যের জন্যে। আমাদের সকলেরই দায়িত্ব এই সব মনিষীদের কথা আরও সকলের কাছে বিশেষত ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যে পৌঁছে দেওয়ার।
অসাধারণ ও তথ্যবহুল লেখা!! ভবিষ্যতে আলাদা বই এর মধ্যে মেঘনাদ সাহা এবং ওনার গবেষণাকে পেতে চাই, আপনার কলমে। ভালো ও সুস্থ থাকুন।
অনেক ভালোলাগায়। সকৃতজ্ঞ ধন্যবাদ জানাই।আপনিও খুব ভালো থাকুন।