Search
Generic filters
Search
Generic filters
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on whatsapp

প্রভাত শতপথীর কবিতা

একাকিত্বের নিসর্গ নিয়ে পথ হাঁটি

একাকিত্বের নিসর্গ নিয়ে পথ হাঁটি,
মালিন্য রাখিনি তাতে বিন্দুমাত্র,
নিশির পৃথিবীকে যতখানি আগলায় আঁধারের মোহ,
যতখানি নিরুপায়ভাবে বসে থাকা ঘাটের পাথরে,
ততখানি সঁপে দিই স্মৃতির আগুনে।

তুমি হয়তো পথের দিকে পিছন ফিরে দাঁড়িয়ে,
ফুলে নয়, ভুলেও নয়, ফড়িং বসেছে শাপলায়,
বাতাসের ঢেউয়ে সে দোল খায়।
হিসেব মিলে না হয়তো কারও হিসেবে,
তাও তো ফুলের দেশে হাঁসেরা ডুবচুরি খেলা ছাড়েনি।

হাতটা মিলে দেখি— ফোটেনি তো নতুন কোনও রেখা!
রোদের রং তো সেই ভোরের পাখির মত সহজ,
আমিই তবে মরছি বিচিত্র নেশায় মারণ খোয়াবের আতরে।

একাকিত্বে কাউকেই জবাব দিতে হয় না,
অঙ্কুরের সুবাস তবু ভেসে আসে,
এ দুচোখ মুদে মেলে দিই নিঃস্ব প্রাণের শীতলপাটি।
তাতে বসে অঙ্কের কাটাকুটি খেলা,
শেষে যেই কে সেই— উত্তর অধরা থেকে যাওয়া।

এখানে অফুরান প্রশ্নে নিজেকে নিজে সওয়াল করি,
কোনও অজুহাতে তার থামা নেই,
হোঁচট খেতে খেতে বুকের দরজা জানালাগুলো ভেঙে যায়,
তখন মনে হয় ছাদ আর তার ভাঙা চাঁগড়গুলো খুব নিশানাবাজ, কপালটা হয় ক্ষতবিক্ষত তবু সে ভাবলেশহীন।
তখনই ভাবি— আর কতখানি দগ্ধ হলে তবেই নিখাদ হওয়া যায়?

ভিজে যায়, রিক্ত এ হৃদয়,
ভস্ম উড়িয়েও তার কণারা নতুন করে সাজায় কোনও জলগর্ভ মেঘ, তাতে আলো লাগে তবু ছাইরঙা অবিকল বিভূতি জেগে ওঠে সাঁঝের সাঁকো পেরিয়েই,
হাজারো তারার দৃষ্টিতে মেপে যাবে সর্বাত্মাকে।

একখানা বগি নিয়ে এমনি করেই ছুটে যাওয়া,
তার বাঁশিতে সজাগ হয়েই স্টেশন থেকে স্টেশনে গ্যালপিং করা।
নেই থামার প্রশ্ন,
একার এ চলা থামতে চাইলেও কখনও থামাতে নেই।

চিত্রণ: চিন্ময় মুখোপাধ্যায়
0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

Recent Posts

কাজী তানভীর হোসেন

ধানমন্ডিতে পলাশী, ৫-ই আগস্ট ২০২৪

কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে কয়েকদিন ধরে যা ঘটেছিল, তা শুরু থেকেই গণআন্দোলনের চরিত্র হারিয়ে একটা সন্ত্রাসী কার্যক্রমে পরিণত হয়েছিল। আজ আমরা কার্যক্রম দেখেই চিনে যাই ঘটনাটি কারা ঘটাচ্ছে। আগুন আর অস্ত্র নিয়ে রাজনীতি করার স্বভাব রয়েছে বিএনপি-জামাত ও রোহিঙ্গাদের। তারা যুক্তিবুদ্ধির তোয়াক্কা করে না।

Read More »
মলয়চন্দন মুখোপাধ্যায়

বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য: কিছু স্মৃতি, কিছু কথা

আমরা বিধানচন্দ্র রায়ের মতো মুখ্যমন্ত্রী পেয়েছিলাম, যাঁকে খুব সঙ্গত কারণেই ‘পশ্চিমবঙ্গের রূপকার’ বলা হয়। পেয়েছি প্রফুল্লচন্দ্র সেন ও অজয় মুখোপাধ্যায়ের মতো স্বার্থত্যাগী মুখ্যমন্ত্রী। এবং জ্যোতি বসুর মতো সম্ভ্রান্ত, বিজ্ঞ, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন প্রখর কমিউনিস্ট রাজনীতিবিদ। কিন্তু তাঁদের সকলের চেয়ে অধিক ছিলেন বুদ্ধদেব। কেননা তাঁর মতো সংস্কৃতিমনা, দেশবিদেশের শিল্প সাহিত্য চলচ্চিত্র নাটক সম্পর্কে সর্বদা অবহিত, এককথায় এক আধুনিক বিশ্বনাগরিক মানুষ পাইনি। এখানেই বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের অনন্যতা।

Read More »
সুজিত বসু

সুজিত বসুর দুটি কবিতা

তারার আলো লাগে না ভাল, বিজলীবাতি ঘরে/ জ্বালাই তাই অন্তহীন, একলা দিন কাটে/ চেতনা সব হয় নীরব, বেদনা ঝরে পড়ে/ যজ্ঞবেদী সাজানো থাকে, জ্বলে না তাতে ধূপ/ রাখে না পদচিহ্ন কেউ ঘরের চৌকাঠে/ শরীরে ভয়, নারীরা নয় এখন অপরূপ/ তারারা সব নিঝুম ঘুমে, চাঁদের নেই দেখা/ অর্ধমৃত, কাটাই শীত ও গ্রীষ্ম একা একা

Read More »
মলয়চন্দন মুখোপাধ্যায়

বিশ্বকর্মার ব্রতকথা

বিশ্বকর্মা পুজোতেও কেউ কেউ বিশ্বকর্মার ব্রত পালন করে থাকেন। এমনিতে বিশ্বকর্মা যেহেতু স্থাপত্য ও কারিগরির দেবতা, তাই কলকারখানাতেই এই দেবতার পুজো হয়ে থাকে। সেখানে ব্রতকথার স্থান নেই। আবার কোন অলৌকিক কারণে এবং কবে থেকে যে এদিন ঘুড়িখেলার চল হয়েছে জানা নেই। তবে বিশ্বকর্মা পুজোর দিন শহর ও গ্রামের আকাশ ছেয়ে যায় নানা রঙের ও নানা আকৃতির ঘুড়িতে।

Read More »
মলয়চন্দন মুখোপাধ্যায়

উত্তমকুমার কখনও বাংলাদেশে পা রাখেননি!

ভাবতে অবাক লাগে, ‘৭১-পরবর্তী বাংলাদেশ উত্তমকুমারকে অভিনয়ের জন্য আমন্ত্রণ জানায়নি। টালিগঞ্জের কিছু অভিনেতা-অভিনেত্রী কাজ করেছিলেন সদ্য-স্বাধীন বাংলাদেশে। অন্যদিকে ববিতা, অলিভিয়া ও আরও কেউ কেউ টলিউডের ছবিতে কাজ করেছেন। ঋত্বিক ঘটক, রাজেন তরফদার ও পরে গৌতম ঘোষ ছবি পরিচালনা করেছেন বাংলাদেশে এসে, কিন্তু উত্তমকুমারকে আহ্বান করার অবকাশ হয়নি এখানকার ছবি-করিয়েদের।

Read More »