একাকিত্বের নিসর্গ নিয়ে পথ হাঁটি
একাকিত্বের নিসর্গ নিয়ে পথ হাঁটি,
মালিন্য রাখিনি তাতে বিন্দুমাত্র,
নিশির পৃথিবীকে যতখানি আগলায় আঁধারের মোহ,
যতখানি নিরুপায়ভাবে বসে থাকা ঘাটের পাথরে,
ততখানি সঁপে দিই স্মৃতির আগুনে।
তুমি হয়তো পথের দিকে পিছন ফিরে দাঁড়িয়ে,
ফুলে নয়, ভুলেও নয়, ফড়িং বসেছে শাপলায়,
বাতাসের ঢেউয়ে সে দোল খায়।
হিসেব মিলে না হয়তো কারও হিসেবে,
তাও তো ফুলের দেশে হাঁসেরা ডুবচুরি খেলা ছাড়েনি।
হাতটা মিলে দেখি— ফোটেনি তো নতুন কোনও রেখা!
রোদের রং তো সেই ভোরের পাখির মত সহজ,
আমিই তবে মরছি বিচিত্র নেশায় মারণ খোয়াবের আতরে।
২
একাকিত্বে কাউকেই জবাব দিতে হয় না,
অঙ্কুরের সুবাস তবু ভেসে আসে,
এ দুচোখ মুদে মেলে দিই নিঃস্ব প্রাণের শীতলপাটি।
তাতে বসে অঙ্কের কাটাকুটি খেলা,
শেষে যেই কে সেই— উত্তর অধরা থেকে যাওয়া।
৩
এখানে অফুরান প্রশ্নে নিজেকে নিজে সওয়াল করি,
কোনও অজুহাতে তার থামা নেই,
হোঁচট খেতে খেতে বুকের দরজা জানালাগুলো ভেঙে যায়,
তখন মনে হয় ছাদ আর তার ভাঙা চাঁগড়গুলো খুব নিশানাবাজ, কপালটা হয় ক্ষতবিক্ষত তবু সে ভাবলেশহীন।
তখনই ভাবি— আর কতখানি দগ্ধ হলে তবেই নিখাদ হওয়া যায়?
৪
ভিজে যায়, রিক্ত এ হৃদয়,
ভস্ম উড়িয়েও তার কণারা নতুন করে সাজায় কোনও জলগর্ভ মেঘ, তাতে আলো লাগে তবু ছাইরঙা অবিকল বিভূতি জেগে ওঠে সাঁঝের সাঁকো পেরিয়েই,
হাজারো তারার দৃষ্টিতে মেপে যাবে সর্বাত্মাকে।
৫
একখানা বগি নিয়ে এমনি করেই ছুটে যাওয়া,
তার বাঁশিতে সজাগ হয়েই স্টেশন থেকে স্টেশনে গ্যালপিং করা।
নেই থামার প্রশ্ন,
একার এ চলা থামতে চাইলেও কখনও থামাতে নেই।