Search
Generic filters
Search
Generic filters
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on whatsapp

রংগো দেখি দুচোখভরে

এখানে বৃষ্টি বছরভর। ভুটানঘেঁষা এই পাহাড়গ্রামকে নাকি দ্বিতীয় চেরাপুঞ্জি বলা হয়। তবে ভরা বর্ষায় এই গ্রামের রূপ খোলে আরও। ঘনসবুজ উপত্যকা, গাছের শরীরে মেঘেদের আনাগোনা আর পাহাড়ি নদীর উথালপাথাল হাতছানি। রংগো (rango) এমন। এমনই।

রংগো। অসাধারণ দৃশ্যপট।

শেষ কয়েক ক্রোশ পথের অস্তিত্ব বিশেষ নেই। পাথুরে, ভাঙাচোরা রাস্তা। খুব সাবধানে যেতে হয়। তার আগে এবং পরে অবশ্য অসাধারণ দৃশ্যপট। চাপরামারি অরণ্যের মধ্যে দিয়ে। এই অরণ্যে হাতিদের যাতায়াত নিয়মিত। তাই তাদের দেখা পাওয়া যেতেই পারে।

রংগো।

ঘন জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে যাওয়ার সময় গা ছমছম করলে দোষ দেওয়া নাস্তি। এসব পেরিয়ে একসময় পাকদণ্ডি পথ বেয়ে বেয়ে ওপরে ওঠা। প্রকৃতির সে এক অপরূপরাজি।

রংগো উপত্যকা।

ঢেউয়ের মতো পাহাড়ের স্রোত, মেঘনৌকোর দল, ঠাসবুনোট অরণ্যে যত আদিম মহাদ্রুম। বেশ খানিকটা যাওয়ার পর সোজা দলগাঁও (dalgnao)-কে রেখে বাঁয়ে বাঁক। আর এখানেই সেই জঘন্য রাস্তার শুরু।

দিন দু-তিনেক শুধু রংগোতেই দিব্য কাটিয়ে দেওয়া যায়।

পথের শেষে অপেক্ষায় রংগো। অসাধারণ এক গ্রাম। এখানে নাইন পয়েন্টস, ইলেভেন পয়েন্টস ভ্রমণের চালুচলতি বাধ্যতা নেই কোনও। গ্রামের আশপাশে ঘুরলেই মন ভরে যাবে।

জলঢাকা নদী।

কিছু দর্শনবিন্দু (view points) আছে। সব-ই গ্রামের মধ্যে অথবা কাছে। যাওয়া আসায় সময় বিশেষ লাগে না। আর আছে জলঢাকা নদী। সে বড় ভাল জায়গা। তার কাছে গিয়ে বসলেই মন ভরে যায়। হালকা ট্রেকের ইচ্ছে হলে তাও করা যায়।

জলঢাকা।

দিন দু-তিনেক শুধু রংগোতেই দিব্য কাটিয়ে দেওয়া যায়। ফেরার পথে দলগাঁও যাওয়া যেতে পারে।

গ্রামের আশপাশে ঘুরলেই মন ভরে যাবে।

কাছের স্টেশন মালবাজার। সেখান থেকে গাড়ি নিয়ে খুনিয়া মোড়, চাপরামারি হয়ে রংগো। প্লেনে এলে বাগডোগরা। এখানে থাকার জায়গা কম। ঘর বুক করে আসাই তাই ভাল। (অনিল— ৭০৭৬৬৩৭০১৯, অঞ্জনা— ৮৭৬৮৪৮৪৯১০)

কিছু দর্শনবিন্দু আছে।

আসা-যাওয়া-ঘোরার সারথি হিসেবে সঞ্জক সাওয়া (৯৯৩৩৬২৮২২৫) বেশ ভাল।

চিত্র : লেখক
0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

Recent Posts

মলয়চন্দন মুখোপাধ্যায়

সনজীদা খাতুন: শ্রদ্ধাঞ্জলি

সাতচল্লিশ-পরবর্তী পূর্ববঙ্গে বেশ কিছু সাংস্কৃতিক সংস্থা গড়ে ওঠে, যাদের মধ‍্যে ‘বুলবুল ললিতকলা একাডেমী’, ‘ক্রান্তি’, ‘উদীচী’ অন‍্যতম। রাজনৈতিক শোষণ ও পূর্ববঙ্গকে নিপীড়নের প্রতিবাদে কখনও পরোক্ষভাবে কখনও সরাসরি ভূমিকা রেখেছিল এইসব সংগঠন। ‘ছায়ানট’ এমনি আর এক আগ্নেয় প্রতিষ্ঠান, ১৯৬৭-তে জন্মে আজ পর্যন্ত যার ভূমিকা দেশের সুমহান ঐতিহ‍্যকে বাংলাদেশের গভীর থেকে গভীরতরতায় নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি দেশে সুস্থ ও সংস্কৃতিবান নাগরিক গড়ে তোলা। ওয়াহিদুল হক ও সনজীদা খাতুনের মানসসন্তান এই ছায়ানট। মূলত রবীন্দ্রনাথের আদর্শে গড়ে ওঠা সঙ্ঘ, কাজী নজরুলের প্রিয় নামটিকে জয়ধ্বজা করে এগিয়ে চলেছে বহু চড়াই-উৎরাই, উপলব‍্যথিত গতি নিয়ে।

Read More »
সুজিত বসু

সুজিত বসুর গুচ্ছকবিতা

বিলাপ অভিসার জল আনতে চল রে সখী, জল আনতে চল নিভু নিভু আলোর সাজে সূর্য অস্তাচলে শেষবিকেলের রশ্মিমালায় বুকে ব্যথার ঢল লজ্জা আমার আবির হয়ে

Read More »
মলয়চন্দন মুখোপাধ্যায়

যত মত তত পথ

বহুদিক দিয়েই একজন স্বতন্ত্র মননের ধর্মীয় সাধক। তাঁর অনুগামীর সংখ্যা ধারণাতীত, আর তা কেবল তাঁর স্বদেশ বা এই উপমহাদেশেই সীমাবদ্ধ নয়, সারা বিশ্বব্যাপী। এবং দিনের পর দিন তাঁর অনুগামীর সংখ্যা বাড়ছে। শ্রীরামকৃষ্ণ এবং সারদামণি ও স্বামী বিবেকানন্দকে কেন্দ্র করে যে ভাব-আন্দোলন, তার ফলশ্রুতিতে তাঁদের নিয়ে নিয়ত চর্চা ও গবেষণা হয়ে চলেছে। পৃথিবীব্যাপী দুশোর ওপর রামকৃষ্ণ মিশনের কার্যাবলি প্রমাণ করে (প্রতিবছর এর সংখ্যা বাড়ছে), আজকের এই অশান্ত বিশ্বে তাঁরা মানুষের কতখানি আশ্রয়।

Read More »
ড. সোমা দত্ত

রবীন্দ্রনৃত্যভাবনা: প্রেক্ষিত ও চলন [পর্ব ছয়]

রবীন্দ্রভাবনায় যে নৃত্যধারা গড়ে উঠল তা দেশিবিদেশি নৃত্যের সমন্বয়ে এক মিশ্র নৃত্যধারা, তৎকালীন শিক্ষিত শহুরে বাঙালির সংস্কৃতিতে যা নতুন মাত্রা যোগ করল। নাচের প্রতি একরকম আগ্রহ তৈরি করল, কিছু প্রাচীন সংস্কার ভাঙল, মেয়েরা খানিক শরীরের ভাষা প্রকাশে সক্ষম হল। এ কম বড় পাওনা নয়। আরও একটি লক্ষ্যনীয় বিষয় হল, শিল্পক্ষেত্রে ভাবের সাথে ভাবনার মিল ঘটিয়ে নতুন কিছু সৃষ্টির প্রচেষ্টা। গতে বাঁধা প্র্যাক্টিস নয়। নিজের গড়ে নেওয়া নাচ নিজের বোধ অনুযায়ী।

Read More »
ড. সোমা দত্ত

রবীন্দ্রনৃত্যভাবনা: প্রেক্ষিত ও চলন [পর্ব পাঁচ]

বাংলার মাটি থেকে একদা এই সুদূর দ্বীপপুঞ্জে ভেসে যেত আসত সপ্তডিঙা মধুকর। আর রবীন্দ্রনাথের পিতামহ, যাঁর কথা তিনি কোথাও প্রায় উল্লেখই করেন না, সেই দ্বারকানাথ-ও বাংলার তৎকালীন ব্যবসায়ীকুলের মধ্যে প্রধান ছিলেন। শুধু তাই-ই নয়, একদা তাঁর প্রিয় জ্যোতিদাদাও স্টিমারের ব্যবসা করতে গিয়ে ডুবিয়েছেন ঠাকুর পরিবারের সম্পদ। নিজে রবীন্দ্রনাথ বাণিজ্য সেভাবে না করলেও, জমির সম্পর্কে যুক্ত থাকলেও একদা বাংলার সাম্রাজ্য বিস্তার, বাণিজ্য-বিস্তার কী তাঁরও মাথার মধ্যে ছাপ ফেলে রেখেছিল? তাই ইউরোপ থেকে আনা বাল্মিকী প্রতিভার ধারাকে প্রতিস্থাপন করলেন জাভা বালির কৌমনৃত্য দিয়ে?

Read More »
ড. সোমা দত্ত

রবীন্দ্রনৃত্যভাবনা: প্রেক্ষিত ও চলন [পর্ব চার]

তৎকালীন দেশের বাস্তব সত্যের সঙ্গে মিলছে না বর্ণবাদ, উগ্র হিন্দু জাতীয়তাবাদ, মিলছে না পিকেটিং ও বিদেশি দ্রব্য পোড়ানোর আন্দোলন। রবীন্দ্রনাথ দেখতে পাচ্ছেন গ্রামে গ্রামে গরিব মানুষের খাওয়া নেই, নেই বেশি দাম দিয়ে দেশি ছাপ মারা কাপড় কেনার ক্ষমতা। দেখছেন পিকেটিংয়ের নামে গরিব মুসলমানের কাপড়ের গাঁঠরি পুড়ে যাচ্ছে যা দিয়ে সে তার পরিবার প্রতিপালন করে। রবীন্দ্রনাথ প্রতিবাদ করছেন তাঁর লেখায়। ‘গোরা’ ও ‘ঘরে বাইরে’ এমনই দু’টি উপন্যাস। গোরা ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয় প্রবাসী পত্রিকায়। পরে গ্রন্থাকারে প্রকাশ ১৯১০ সালে। ঘরে বাইরের প্রকাশকাল ১৯১৬।

Read More »