এখানে বৃষ্টি বছরভর। ভুটানঘেঁষা এই পাহাড়গ্রামকে নাকি দ্বিতীয় চেরাপুঞ্জি বলা হয়। তবে ভরা বর্ষায় এই গ্রামের রূপ খোলে আরও। ঘনসবুজ উপত্যকা, গাছের শরীরে মেঘেদের আনাগোনা আর পাহাড়ি নদীর উথালপাথাল হাতছানি। রংগো (rango) এমন। এমনই।

শেষ কয়েক ক্রোশ পথের অস্তিত্ব বিশেষ নেই। পাথুরে, ভাঙাচোরা রাস্তা। খুব সাবধানে যেতে হয়। তার আগে এবং পরে অবশ্য অসাধারণ দৃশ্যপট। চাপরামারি অরণ্যের মধ্যে দিয়ে। এই অরণ্যে হাতিদের যাতায়াত নিয়মিত। তাই তাদের দেখা পাওয়া যেতেই পারে।

ঘন জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে যাওয়ার সময় গা ছমছম করলে দোষ দেওয়া নাস্তি। এসব পেরিয়ে একসময় পাকদণ্ডি পথ বেয়ে বেয়ে ওপরে ওঠা। প্রকৃতির সে এক অপরূপরাজি।

ঢেউয়ের মতো পাহাড়ের স্রোত, মেঘনৌকোর দল, ঠাসবুনোট অরণ্যে যত আদিম মহাদ্রুম। বেশ খানিকটা যাওয়ার পর সোজা দলগাঁও (dalgnao)-কে রেখে বাঁয়ে বাঁক। আর এখানেই সেই জঘন্য রাস্তার শুরু।

পথের শেষে অপেক্ষায় রংগো। অসাধারণ এক গ্রাম। এখানে নাইন পয়েন্টস, ইলেভেন পয়েন্টস ভ্রমণের চালুচলতি বাধ্যতা নেই কোনও। গ্রামের আশপাশে ঘুরলেই মন ভরে যাবে।

কিছু দর্শনবিন্দু (view points) আছে। সব-ই গ্রামের মধ্যে অথবা কাছে। যাওয়া আসায় সময় বিশেষ লাগে না। আর আছে জলঢাকা নদী। সে বড় ভাল জায়গা। তার কাছে গিয়ে বসলেই মন ভরে যায়। হালকা ট্রেকের ইচ্ছে হলে তাও করা যায়।

দিন দু-তিনেক শুধু রংগোতেই দিব্য কাটিয়ে দেওয়া যায়। ফেরার পথে দলগাঁও যাওয়া যেতে পারে।

কাছের স্টেশন মালবাজার। সেখান থেকে গাড়ি নিয়ে খুনিয়া মোড়, চাপরামারি হয়ে রংগো। প্লেনে এলে বাগডোগরা। এখানে থাকার জায়গা কম। ঘর বুক করে আসাই তাই ভাল। (অনিল— ৭০৭৬৬৩৭০১৯, অঞ্জনা— ৮৭৬৮৪৮৪৯১০)

আসা-যাওয়া-ঘোরার সারথি হিসেবে সঞ্জক সাওয়া (৯৯৩৩৬২৮২২৫) বেশ ভাল।