ভয়
মূর্তি তুমি গুঁড়িয়ে দিতে পারো
ইতিহাসকে পুড়িয়ে দিতে পারো
বুলডোজারে শক্তি কত থাকে?
মূর্তি যদি মনন জুড়ে থাকে?
দগ্ধডানায় উড়বে তবু পাখি
বঞ্চিতদের মুক্তি যখন বাকি
হাওয়ায় তুমি পাতলে পরে কান
শুনতে পাবে লেনিন নামের গান।
স্পর্ধা তোমার আকাশ ছুঁতে পারে
বাঁচতে পারো নিবিড় অন্ধকারে
কিন্তু যাঁরা আলোর দিকে যায়
লেনিন হাঁটেন তাঁদের পায়ে পায়।
মেহনতীর বুকের ভীষণ কাছে
সে নাম তোমার দুঃস্বপ্নে বাঁচে
পাথর কোঁদা মূর্তি শুধু নয়
লেনিন মানে তোমার চোখে ভয়।
২২ এপ্রিল
চোখ থেকে চোখে ছড়ায় স্বপ্ন
প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম
সুদিনের খোঁজে হাঁটছে মানুষ
বন্ধুর পথে আজন্ম।
কেউ কেউ যেন হন মহীরূহ
আকাশ সমান উচ্চতা
কল্পলোকের আস্তানা ছেড়ে
পৃথিবীতে নামে রূপকথা।
মশালে মশালে আলো জ্বলে ওঠে
অসময়ে যেন সূর্যোদয়
পলক ফেলতে ছড়িয়ে পড়েছে
ভোরের বার্তা বিশ্বময়।
দুশমনরা তো রোজ প্রতিদিন
মুছে দিতে চায় একটি নাম
লাখো মুষ্টিতে তবু জ্বলে আলো
‘কমরেড, নাও লাল সেলাম।’
অমলিন
লেনিন ওদের দুঃস্বপ্নর নাম
লেনিন মানেই চলমান সংগ্রাম
বেঁটে টাকমাথা থুঁতনিতে কিছু দাড়ি
শাসকেরা তবু ভয় পায় ওঁকে ভারী ।
মৃত্যু হয়েছে অনেক বছর আগে
তবুও লেনিন জীবনের অনুরাগে
মূর্তি গুঁড়িয়ে ছিঁড়ে ফেলে দেয় ছবি
মোছে না কিছুই, দাগ থেকে যায় সবই।
মানুষ-বিরোধী, ধর্মের ধ্বজাধারী
এখনও লেনিন নামে কাঁপে থরহরি
চিত্কার করে মেটায় গায়ের জ্বালা
কেন মৃত পাবে আজও জীবনের মালা?
যেখানে যে লড়ে মাঠে পথে বন্দরে
লেনিনের আলো লড়াকুর অন্তরে
সে আলো চেনায় বেঁচে থাকবার দিক
সে আলোতে ভয় পায় আঁধারের জীব।
লেনিন
চিন্তা চেতনা অবিরাম অবিরত
শুধু খুঁজে ফেরে রাঙা সুদিনের মুখ
মানুষ শুধুই মানুষের কথা বলে
আলো ঝলমলে ইস্পাতে গড়া বুক।
সোনালি স্বপ্ন ডানা মেলে উড়ে যায়
তবুও দুপায়ে বন্ধুর পথ চলা
রূপকথা নামে মাটির পৃথিবী জুড়ে
মহামতি মানে বাঁচবার কথা বলা।