Search
Generic filters
Search
Generic filters
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on whatsapp

‘এসপ্রেসো’: বহুলপ্রচলিত নাগরিকতার ঘন চুমুক

ক্যাফে ল্যাটের মোহময় ধোঁয়া ও অপার বিস্বাদ তিতকুটে বস্তুটির প্রতি গোটা পৃথিবীর অভিজাত প্রীতি লক্ষণীয়। মোটামুটিভাবে ১৯০১ থেকে জনপ্রিয় হওয়া এই বেভারেজটি বেস ভ্যারিয়েন্ট ও লাক্সারি ভ্যারিয়েন্টে মজিয়ে রেখেছে আমাদের স্বাদকোরকগুলি।

অথচ ১৬১৫ বা তৎপূর্বে বস্তুটির অস্তিত্ব সম্পর্কে সমর্থিত তথ্য বিরল। অর্থাৎ ধরে নিতে পারি, শেক্সপিয়্যর কফি খাননি, সক্রেটিস খাননি, অ্যারিস্টটল খাননি। আর্কিমিডিস তাঁর প্লবতার শরীর ক্যাফে মোকায় ভাসাননি, আলেকজান্ডার দি গ্রেটের বিশ্বজয় করবার জন্য বা জুলিয়াস সিজারের বিরাট সাম্রাজ্য পত্তনের জন্য একচুমুকও কফির প্রয়োজন পড়েনি। এমনকি ক্লিওপেট্রা বা মার্ক অ্যান্টনির চুমুতে একটুও ক্যাফে ম্যাকিয়াটোর গন্ধ ছিল না।

এহেন অকিঞ্চিৎকর কফির নানান ধারা উত্তরসূরি তথাপিও বারিস্তা আলো করে কালো হয়ে জুড়ে বসেছে জিহ্বার কুটিকুটি টেস্টবাডগুলোয়। ভাবখানা এমন যেন, আদতে ইংরেজ। তা কিন্তু মোটেও নয়। নেহাত‌ই সাউথ ইয়োরোপিয়ান লেগ্যাসি, ইটালি ও স্পেন পর্তুগাল ঘেঁষা।

এইসমস্ত ক্যাফাইন আকচাআকচির মধ্যে নিবিষ্ট হলে দেখা যায় ওই ইটালিয়ান ‘এসপ্রেসো’ শব্দটির ল্যাজ আগা মাথা হল ল্যাটিন এক্সপ্রাইমেয়ার (exprimere)। Ex অর্থাৎ out, primere অর্থাৎ to press । সমগ্রে দাঁড়াল চাপ দিয়ে বার করে আনা। এবার এসপ্রেসোর তৈয়ার পদ্ধতিতে নজর করলেই বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যায়। নির্দিষ্ট তাপে ও চাপে কফির সেঁকা বীজের ওই নির্যাস বার করে আনার প্রসেস থেকেই এহেন নামকরণ।

এবার আসি দ্বিতীয় বৃহত্তম পেয়ালাদার ক্যাপুচিনো প্রসঙ্গে। খুঁজতে গিয়ে দেখা গেল বরখুরদার বিরাট কিস্যা ফেঁদে বসেছেন। ১৫২০ নাগাদ সেন্ট ফ্রান্সিস-এর এক অনুগামী ম্যাত্তে দি বাসচিও লক্ষ্য করেন যে, ফেলো ফলোয়ার্সদের মধ্যে লাক্সুরিয়াস হবার প্রবণতা বেড়ে চলেছে। লাক্সুরিয়াস বলতে আহামরি কিছু নয়, বেয়ারফুটেড ফ্রান্সিস অনুগামীরা কায়দার জুতো পরতে শিখেছেন, এইটুকুই। কিন্তু এই ঘটনায় পুরাতনপন্থী অনুগামীদের চক্ষুশূল হয়ে পড়লেন ম্যাত্তে দি বাসচিও স্বয়ং। তাঁর নব্য অনুগামীদের জুতো প্রোটোকল ভাঙার দায়ে তিনি গদিচ্যুত হলেন, ও পালিয়ে গেলেন ক্যামেলডোরেস-এর আশ্রয়ে। এদিকে ক্যামেলডোরেস-এর অনুগামীদের পোশাকের বিশেষত্ব হল একটি লম্বা রোবস্ ও হুড জাতীয় টুপি, যাকে ইটালিয়ান ভাষায় ক্যাপুচিও বলা হয়।

ম্যাত্তে দি বাসচিও-র নব্য অনুগামীরা ক্যামেলডোরেস-এ মিশে যেতে শুরু করলেন দিনে দিনে, (পাঠক এই মিশে যাওয়া বা ব্লেন্ড্ শব্দটিতে নজর করবেন)। ফলত, তাদের পোশাকের অবশ্যম্ভাবী অংশ হয়ে উঠল ওই রোবস্ ও হুড বা ক্যাপুচিও। এই অনুগামীদের ভবিষ্য নাম হল, ক্যাপুচিও মঙ্কস্, ভেঙচি কেটে বললে দাঁড়ায় ক্যাপুচিনো মাঙ্কিস। এবার জুলজিক্যালি ক্যাপুচিনো মাঙ্কিদের গায়ের রংটি ইয়াদ করুন, আর ক্যাপুচিনোর ওই কফির উপর গ্যাঁজা বা ক্রিমার আঁকিবুকিতে কনসেন্ট্রেট করে ভাবুন কারুকাজখানা। ওই কারুকাজও ক্যাপুচিও হুড এর মতই, দৃশ্যত সিমিলার। তাই… ক্যাপুচিনো।

বারিস্তার ম্যানেজিং ডিরেক্টরের জল গরম করে আমেরিকানো ফুটিয়ে দিলেও এ এটিমোলজির ধারে ঘেঁষতে পারবেন না। কারণ বারিস্তা শব্দটিতে যত‌ই ইটালিয়ান কফি ফ্লেভার থাক, আদতে বারিস্তা মানে পাতি বারম্যান, বা বার টেন্ডার। এখন এই বারের মানে তো পাব, তাহলে কফি কেন। সেখানেও বিস্তর গণ্ডগোল। জানা যাচ্ছে যে, বার শব্দের যে মূল অর্থ আমরা জানি, তা হল, রড, বা দণ্ড। (TMT bar: iron rod) এ কনসেপ্ট-এর মূল রডটি এল কাঠগড়া থেকে। কাঠের যে দণ্ডগুলি দিয়ে কাঠগড়া তৈরি হয় সেই বার। কাঠগড়ার এদিকে ওদিকে বাদী বিবাদী আসামি মক্কেল ও বিচারক সক্কলে রয়েছেন একটি কোর্টরুমে। এখানে ‘ব্যারিস্টার’ শব্দটিতে আলোকপাত করব। যদিও বার শব্দটি মূলত আইরিশ, পরবর্তী ক্ষেত্রে তা অজস্রবার মিউটেটেড্। মিডল্ ইংলিশ এবং ওল্ড ফ্রেঞ্চ-এ barre (beam) এমনকি ভালগার ল্যাটিন-এ barra শব্দের উল্লেখ রয়েছে। Barra অর্থে দণ্ড।

ছিলাম কফিতে। শব্দমাধুর্যে কোথায় এসে নোঙর করলাম। শব্দের গভীরে ভেলা ভাসাতে বহু মানুষের কাছে কৃতজ্ঞ হতে হয়। তাই, কৃতজ্ঞতা র‌ইল, প্যারিস বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক মহম্মদ হাসান কামিল, মরিস জোনাথন-এর ট্রান্সিশনাল হিস্ট্রি অফ ইটালিয়ান কফি, আর মার্ক ফোর্সিদ-এর বিখ্যাত এটিমোলজিকন-এর কাছে। এবং ফোর্সিদের অনুপ্রেরণা বলছে, যখন দণ্ড অব্দি এসেই গেছি তখন আরও দুদণ্ড দাঁড়িয়ে বাকিটুকু সমাপ্ত করে যাই, ন‌ইলে ভাষা শিক্ষার টেস্ট (test) অসম্পূর্ণ রয়ে যায়।

অভিন্ন লিঙ্গবিধি মেনেও বলছি, এই টেস্ট শব্দটি কিন্তু প্রাচীন কাল থেকেই অত্যধিক পুরুষ। Test ক্রিয়াপদটি যে ভীষণরকম ধর্মত‌ও তা বুঝতে ওল্ড test-aমেন্ট্, বা নিউটেস্টামেন্ট-এর উদাহরণও রাখতে পারি। মূল কথা হল to testify টু গড্। যা কিছু ধর্মবিরোধী তাকে detest করতে হবে, যা কিছু প্ররোচনামূলক বিজ্ঞান অভীপ্সার কথা বলে, তাকে contest করতে হবে, এবং সবশেষে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে হবে ধর্মত বেপথে না যাওয়ার।

দ্য বুক অফ জেনেসিস বলছে, আব্রাহাম তার সারভেন্টকে দিয়ে প্রতিজ্ঞা করাচ্ছেন ওই দুষ্ট মেয়ের পাল্লায় পড়িয়া ধর্মনাশ করিবে না, এই প্রতিজ্ঞার জেসচারটি হল, আব্রাহামের চাকর তার নিজ টেস্টিকেলস্-এ হাত রেখে বলছেন, সদা আপনার আজ্ঞা পালন করিব। The Old Testament-এর কোথাও শপথগ্রহণের সময় বুকে হাত বা থাইয়ে হাত রেখে প্রতিজ্ঞা করার কথা দেখা যায় না, পুরুষ মানুষ শপথ নেবে তার টেস্টিকেলস্-এ হাত রেখে। ম্যানস্ ভিরিলিটি, পরীক্ষিত হবার জেসচার। এই হল পুরুষপ্রিয় টেস্টিকেলস্-এর ভাষাগত উৎপত্তির ইতিহাস।

কিন্তু দেখা যাচ্ছে, অ্যাজটেকরা এই টেস্টিকেলস্-কে তাদের নিজেদের ভাষায় ahuaktl বলে থাকে। সেন্ট্রাল মেক্সিকোর নাহুয়াদের আহুয়াক্টল্ যখন ১৫০০-এর কাছাকাছি সময়ে স্প্যানিশ অর্থোগ্রাফিতে লেখা হয়, ওই খটমট উচ্চারণের শব্দটি স্প্যানিশদের জিহ্বাতে ঈষৎ পরিবর্তিত হয়, এবং aguacate নামে প্রচলিত হয়ে পড়ে। পরবর্তীতে তা আমেরিকান ও ইংরেজি জুবানে এসে দাঁড়ায়, avocado। পাঠক, মনোযোগ সহকারে অ্যাভোকাডোর শেপটি লক্ষ্য করুন। এবং নাহুয়াটল্ ভাষায় ওই অ্যাভোকাডোর বা আহুয়াক্টল্-এর টেস্টিকেলস্-কানেকশনটি এসটাবলিশ করুন স্বচ্ছন্দে। এই দৃশ্যত ফেমিলিয়রিটির দরুন, আরবীয় ‘banan’ যার অর্থ হল আঙুল, তাই পরবর্তীতে প্রচলিত হয় banana নামে। এরকম অসংখ্য উদাহরণ আছে, শব্দভাণ্ড কাঁখে নিলে টের পাওয়া যায়, কলস অতি পূর্ণ। তার একেক জায়গায় ঘা মারলে অনেকধারা অতি নতি আওয়াজ মেলে।

কেবল ঘা মারার অপেক্ষা।

চিত্র: গুগল
5 4 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
1 Comment
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
স্বপন নাগ
স্বপন নাগ
2 years ago

লেখাটি অসাধারণ। শব্দ-র নেপথ্য গল্প আর সেই গল্পের রাস্তা ধরে আর এক শব্দের দিকে হাঁটার অনুপ্রেরণা দেয় এ লেখা।

Recent Posts

মলয়চন্দন মুখোপাধ্যায়

সনজীদা খাতুন: শ্রদ্ধাঞ্জলি

সাতচল্লিশ-পরবর্তী পূর্ববঙ্গে বেশ কিছু সাংস্কৃতিক সংস্থা গড়ে ওঠে, যাদের মধ‍্যে ‘বুলবুল ললিতকলা একাডেমী’, ‘ক্রান্তি’, ‘উদীচী’ অন‍্যতম। রাজনৈতিক শোষণ ও পূর্ববঙ্গকে নিপীড়নের প্রতিবাদে কখনও পরোক্ষভাবে কখনও সরাসরি ভূমিকা রেখেছিল এইসব সংগঠন। ‘ছায়ানট’ এমনি আর এক আগ্নেয় প্রতিষ্ঠান, ১৯৬৭-তে জন্মে আজ পর্যন্ত যার ভূমিকা দেশের সুমহান ঐতিহ‍্যকে বাংলাদেশের গভীর থেকে গভীরতরতায় নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি দেশে সুস্থ ও সংস্কৃতিবান নাগরিক গড়ে তোলা। ওয়াহিদুল হক ও সনজীদা খাতুনের মানসসন্তান এই ছায়ানট। মূলত রবীন্দ্রনাথের আদর্শে গড়ে ওঠা সঙ্ঘ, কাজী নজরুলের প্রিয় নামটিকে জয়ধ্বজা করে এগিয়ে চলেছে বহু চড়াই-উৎরাই, উপলব‍্যথিত গতি নিয়ে।

Read More »
সুজিত বসু

সুজিত বসুর গুচ্ছকবিতা

বিলাপ অভিসার জল আনতে চল রে সখী, জল আনতে চল নিভু নিভু আলোর সাজে সূর্য অস্তাচলে শেষবিকেলের রশ্মিমালায় বুকে ব্যথার ঢল লজ্জা আমার আবির হয়ে

Read More »
মলয়চন্দন মুখোপাধ্যায়

যত মত তত পথ

বহুদিক দিয়েই একজন স্বতন্ত্র মননের ধর্মীয় সাধক। তাঁর অনুগামীর সংখ্যা ধারণাতীত, আর তা কেবল তাঁর স্বদেশ বা এই উপমহাদেশেই সীমাবদ্ধ নয়, সারা বিশ্বব্যাপী। এবং দিনের পর দিন তাঁর অনুগামীর সংখ্যা বাড়ছে। শ্রীরামকৃষ্ণ এবং সারদামণি ও স্বামী বিবেকানন্দকে কেন্দ্র করে যে ভাব-আন্দোলন, তার ফলশ্রুতিতে তাঁদের নিয়ে নিয়ত চর্চা ও গবেষণা হয়ে চলেছে। পৃথিবীব্যাপী দুশোর ওপর রামকৃষ্ণ মিশনের কার্যাবলি প্রমাণ করে (প্রতিবছর এর সংখ্যা বাড়ছে), আজকের এই অশান্ত বিশ্বে তাঁরা মানুষের কতখানি আশ্রয়।

Read More »
ড. সোমা দত্ত

রবীন্দ্রনৃত্যভাবনা: প্রেক্ষিত ও চলন [পর্ব ছয়]

রবীন্দ্রভাবনায় যে নৃত্যধারা গড়ে উঠল তা দেশিবিদেশি নৃত্যের সমন্বয়ে এক মিশ্র নৃত্যধারা, তৎকালীন শিক্ষিত শহুরে বাঙালির সংস্কৃতিতে যা নতুন মাত্রা যোগ করল। নাচের প্রতি একরকম আগ্রহ তৈরি করল, কিছু প্রাচীন সংস্কার ভাঙল, মেয়েরা খানিক শরীরের ভাষা প্রকাশে সক্ষম হল। এ কম বড় পাওনা নয়। আরও একটি লক্ষ্যনীয় বিষয় হল, শিল্পক্ষেত্রে ভাবের সাথে ভাবনার মিল ঘটিয়ে নতুন কিছু সৃষ্টির প্রচেষ্টা। গতে বাঁধা প্র্যাক্টিস নয়। নিজের গড়ে নেওয়া নাচ নিজের বোধ অনুযায়ী।

Read More »
ড. সোমা দত্ত

রবীন্দ্রনৃত্যভাবনা: প্রেক্ষিত ও চলন [পর্ব পাঁচ]

বাংলার মাটি থেকে একদা এই সুদূর দ্বীপপুঞ্জে ভেসে যেত আসত সপ্তডিঙা মধুকর। আর রবীন্দ্রনাথের পিতামহ, যাঁর কথা তিনি কোথাও প্রায় উল্লেখই করেন না, সেই দ্বারকানাথ-ও বাংলার তৎকালীন ব্যবসায়ীকুলের মধ্যে প্রধান ছিলেন। শুধু তাই-ই নয়, একদা তাঁর প্রিয় জ্যোতিদাদাও স্টিমারের ব্যবসা করতে গিয়ে ডুবিয়েছেন ঠাকুর পরিবারের সম্পদ। নিজে রবীন্দ্রনাথ বাণিজ্য সেভাবে না করলেও, জমির সম্পর্কে যুক্ত থাকলেও একদা বাংলার সাম্রাজ্য বিস্তার, বাণিজ্য-বিস্তার কী তাঁরও মাথার মধ্যে ছাপ ফেলে রেখেছিল? তাই ইউরোপ থেকে আনা বাল্মিকী প্রতিভার ধারাকে প্রতিস্থাপন করলেন জাভা বালির কৌমনৃত্য দিয়ে?

Read More »
ড. সোমা দত্ত

রবীন্দ্রনৃত্যভাবনা: প্রেক্ষিত ও চলন [পর্ব চার]

তৎকালীন দেশের বাস্তব সত্যের সঙ্গে মিলছে না বর্ণবাদ, উগ্র হিন্দু জাতীয়তাবাদ, মিলছে না পিকেটিং ও বিদেশি দ্রব্য পোড়ানোর আন্দোলন। রবীন্দ্রনাথ দেখতে পাচ্ছেন গ্রামে গ্রামে গরিব মানুষের খাওয়া নেই, নেই বেশি দাম দিয়ে দেশি ছাপ মারা কাপড় কেনার ক্ষমতা। দেখছেন পিকেটিংয়ের নামে গরিব মুসলমানের কাপড়ের গাঁঠরি পুড়ে যাচ্ছে যা দিয়ে সে তার পরিবার প্রতিপালন করে। রবীন্দ্রনাথ প্রতিবাদ করছেন তাঁর লেখায়। ‘গোরা’ ও ‘ঘরে বাইরে’ এমনই দু’টি উপন্যাস। গোরা ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয় প্রবাসী পত্রিকায়। পরে গ্রন্থাকারে প্রকাশ ১৯১০ সালে। ঘরে বাইরের প্রকাশকাল ১৯১৬।

Read More »