Search
Generic filters
Search
Generic filters
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on whatsapp

আছে কেবলই সরল জীবনের জয়গান

শান্তিনিকেতনের ব্রাহ্ম মন্দিরের সামনে মাধুরী বসু সাহা যখন জিপ থেকে নামলেন তখন শারদ আকাশের সূর্য মধ্যগগনে। এক নজর দেখেই বুঝে নিয়েছিলাম তিনি কবি, আপাদমস্তক কবি। রামকিঙ্কর বেজের শিল্পকর্ম, অমর্ত্য সেনের প্রতীচী, সাঁওতালপল্লির দুর্গাপূজার মহানবমীর মহাযজ্ঞ আর সৃজনী সংস্কৃতি কেন্দ্রের ইন্ডিয়ান কালচারাল হেরিটেজের রেপ্লিকাগুলো যখন দেখছিলাম আর তাঁর শীলিত কণ্ঠে বর্ণনা শুনছিলাম, তখন মনে হল, সবকিছু নতুন করে জানছি। আহা, কী অসাধারণ বর্ণনা! একজন বিদগ্ধ সংবেদনশীল কবি ছাড়া অমন সুন্দর করে কি কেউ বর্ণনা করতে পারেন! আমি কবি নই, কবিতার হৃৎমন্দিরে কখনও ঢুকিনি, ঢুকতে চেষ্টাও করিনি। কোনও অপার্থিব মোহন মায়ার ছলনে ভুলে কখনও কবিতা লিখতে প্ররোচিত হইনি। মাঝেমধ্যে মস্তিষ্কের গভীর থেকে দু-একটি পঙ্‌ক্তি শ্বেত কপোত হয়ে বেহেশতের দিকে উড়ে যেতে চেয়েছে, কিন্তু আমার অন্তর্গত মধ্যবিত্তীয় টানাপোড়েন আর দোলাচল কবিতার শ্বেত কপোতগুলিকে ডানা মেলে নীল আকাশে উড়তে দেয়নি। আমার মস্তিষ্কের নিউরন আর রক্তকণিকাগুলো কেবলই মনে করিয়ে দিয়েছে, ‘তুমি মধ্যবিত্ত, কবিতা লেখা তোমার কাজ না, কবিতা রচনা করে তুমি কী করবে? বরং কবিতার সঙ্গে বসবাস করে দিগন্তের অধিকার গ্রহণ করো।’ কবিতা লিখিনি বটে, তবে কবিতাপাঠ করেই ভোরের আলো, জ্যোৎস্নাধোয়া আকাশ, নিস্তব্ধ দুপুর দেখতে শিখেছি। রক্তের ভেতর কবিতার ঘোরলাগা উন্মাদনা কাজ করত বলেই বেকার জীবন, মুদ্রাস্ফীতি, কাঁটাতার, ব্যারিকেড, সাঁজোয়া বাহিনীকে তোয়াক্কা করিনি কোনওদিন। পরিবর্তমান সময়েও কবিতার মধ্যেই খুঁজে পাই বেঁচে থাকার অফুরন্ত প্রেরণা, সঞ্জীবনী সুধা। আমরা স্বীকার করি আর নাই-করি, কবিতা মধ্যবিত্তের জীবন সংগ্রামের ইশতেহার, যৌবনের নিষিদ্ধ প্যামফ্লেট। আমাদের সময়ের প্রিয় কবি শামসুর রাহমান হয়তো সেজন্যই বলেছেন, কবিতা হচ্ছে ‘মধ্যবিত্তের পাঁচালি’। আমরাও সেই মধ্যবিত্তেরই অংশ, তাই আমরাও আশৈশব কবিতার ঘাসফড়িং আর রঙিন প্রজাপতির পিছু নিয়ে পার করেছি অজস্র দুপুর। কবিতার ভেলায় পার হয়েছি গঙ্গা-যমুনা জলেশ্বরী। মধ্যবিত্ত হবার কারণেই কবিতার ঘুণপোকা এখনও আমাদের মস্তিষ্কের গহীন গভীরে বিষাদ ছড়ায়, কবিতার ধূপ ভালবাসার বারান্দা ভরে দেয় স্নিগ্ধ সৌরভে, কবিতার পরশে মনের তুলসীতলে প্রতি সন্ধ্যায় জ্বলে ওঠে লাল নীল দীপাবলি। কবিতা আছে বলেই গোলাপের গুচ্ছ কাঁধে নিয়ে আমাদের সেনাবাহিনী মার্চপাস্ট করে দূর মফস্বলের কোনও এক প্রিয়তমাকে অভিবাদন জানাতে। মধ্যবিত্ত হবার কারণেই স্মৃতিসত্তায় প্রতিক্ষণ, প্রতি প্রহরে বয়ে চলেছি কবিতার অন্তর্গত ‘অন্তহীন আশ্চর্য বিষাদ’। কত যে বৈকালিক আড্ডা পার করেছি শামসুর রাহমান, শহীদ কাদরী, নির্মলেন্দু গুণ, সৈয়দ শামসুল হক, রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্-সহ আরও কত কবির পঙ্‌ক্তিমালা আওড়িয়ে। তর্কে-প্রতর্কে পার করেছি কত যে-প্রহর, কে বড়, কবি নাকি কবিতা? পশ্চিমবঙ্গের আধুনিক কবিতার সঙ্গে পরিচয় হয় সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, পূর্ণেন্দু পত্রী, জয় গোস্বামী আর সুবোধ সরকারের মাধ্যমে। সুনীলের ‘বুকের মধ্যে সুগন্ধী রুমাল’-রাখা বরুণা আর পূর্ণেন্দু পত্রীর কথোপকথনের শুভঙ্কর-নন্দিনী-ই তো আমাদের শিখিয়েছে ভালবাসার ছিন্নপত্র লিখতে!

পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি সাহিত্যে পাঠগ্রহণকারী মাধুরী বসু সাহার ‘অভিমানী অপেক্ষায়’ পড়তে পড়তে মনে হল, চারদিকে যখন ফাঁপা আশার মচ্ছব, তখন একজন প্রকৃত কবিই পারেন আমাদের চেতনাপ্রবাহের আইল্যান্ডে নতুন আশার বীজ বুনতে। কবিই পারেন জীবনের নিগূঢ় বারান্দায় ভালবাসার দীপশিখাটি জ্বালিয়ে রাখতে। বিষাদঘন বিবর্ণ জীবনও বর্ণাঢ্য ও অর্থময় হয়ে ওঠে কেবলই কবিতার স্নিগ্ধ মধুগন্ধের পরশে। কবি মাধুরী বসু সাহার ‘অভিমানী অপেক্ষায়’ পাঠ করে নতুন করে ‘শাশ্বত ভালবাসা, অন্তহীন আনন্দ ও সত্যময় সৌন্দর্য’-কে চিনলাম। নতুন করে চিনলাম শান্ত-স্নিগ্ধ সাবেকি জীবনকে। তাঁর কবিতায় থিসিস-অ্যান্টিথিসিসের দ্বৈরথ নেই, আছে কেবলই সরল জীবনের জয়গান। গত শতাব্দীর নব্বইয়ের দশকে পশ্চিমবঙ্গের একদল কবি পোস্টমডার্ন কবিতাচর্চা শুরু করেন। কবিতার মধ্যে একটি বক্তব্য থাকা দরকার এমন তত্ত্বকে তারা প্রবলভাবে খারিজ করে দেন। বাস্তবতাকে নকল বা অনুকরণ করার পরিবর্তে হাইপার-রিয়েলিটি তৈরি করতে বেশি বেশি মনোযোগী হন। গুরুত্বারোপ করেন কবিতার বিমানবিকীকরণের ওপর। এছাড়াও স্পষ্টভাবে তারা জানিয়ে দেন, কবিতাকে রাজনীতি ও যুক্তির খপ্পর থেকে মুক্ত করতে হবে। মাধুরী বসু সাহার কবিতা রাজনীতি ও লজিকের খপ্পর থেকে মুক্ত, তারপরও তাঁর পঙ্‌ক্তিমালাদের পোস্টমডার্ন কবিতার অভিধা প্রদান যায় না, কারণ তাঁর কবিতার পরতে পরতে রয়েছে মানবিক আবেদনের ছড়াছড়ি। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘প্রথম আলো’ পড়ে জেনেছিলাম, ত্রিপুরার রাজা বীরচন্দ্র মাণিক্য প্রিয়তমা স্ত্রীর বিয়োগব্যথার সান্ত্বনা খুঁজে পেয়েছিলেন কিশোর রবীন্দ্রনাথের ‘ভগ্নহৃদয়’-এর পাঠগ্রহণ করে। কার্তিকের বিষণ্ণবেলায় মাধুরীর কবিতা পড়ে আবার নতুন করে চিনে নিলাম জীবনের গানে বয়ে যাওয়া ভালবাসাকে। পড়তে পড়তে মনে হল মানুষ বড় একা, বড় নিঃসঙ্গ। মাধুরীও কি একা! তার চারপাশ ঘিরে এত আয়োজন, এত মহাযজ্ঞ, এত উদ্বেল উপস্থিতি তারপরও আপনি একা? চির রোম্যান্টিক রবীন্দ্রনাথের মত কবিও ভালবাসার কাঙাল, বড় একা। জগতের সব মহৎ মানুষ-ই বোধহয় নিয়ত একা। একা বলেই অভিমানী কবির প্রতীক্ষার দীপে জ্বলে বিরহের মোমবাতি। এই একাকিত্ব, এই নির্জনতা তাঁর বুকের গভীরে সৃষ্টি করেছে এক অলৌকিক বেদনা আর ছটফটানি। তবুও ভালবাসার অধরা-মাধুরীর ছোঁয়া পাবার জন্য নিবিড় তৃষ্ণা তাঁর, যে তৃষ্ণা কাটে না অজস্র জীবনে, অজস্র মৃত্যুতে। তারপরও কবি ভালবাসা নামক অধরা-মাধুরীকে খুঁজে বেড়ান। তাঁর কবিতা পড়তে গিয়ে জিজ্ঞাসা জাগে, এই পরিবর্তমান সময় ও কসমোপলিটান সমাজে একজন কবি কি শুধুই ভালবাসার ঘোরে দিবস রজনী আচ্ছন্ন থাকবেন? নাকি প্রগতি-প্রতিক্রিয়ার দ্বন্দ্ব নিয়ে রাজনৈতিক তত্ত্ব ছড়িয়ে আসর গরম করে বেড়াবেন? মনের ভেতর থেকেই জবাব পাই, নিজেকে ও নিজের ইতিহাসকেই খুঁজে ফেরা বোধহয় একজন প্রকৃত কবির কাজ। মাধুরীও তাই করেছেন, তিনিও নিজেকে খুঁজেছেন, মেলে ধরেছেন ‘অভিমানী অপেক্ষায়’ কবিতাগ্রন্থের পঙ্‌ক্তিতে পঙ্‌ক্তিতে। এই কবিতাগ্রন্থে চুঁচুড়া, চন্দননগর কিংবা বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি সাহিত্যের মুগ্ধ শিক্ষার্থী মাধুরী বসু সাহাকে খুঁজে পেলাম না, খুঁজে পেলাম গঙ্গা তীরবর্তী আদি সপ্তগ্রামের এমন এক রাইকিশোরীকে যিনি ‘নন্দনে আর নলবনে’ শ্যামের বাঁশি বেজে ওঠার স্বপ্ন দেখেন। বইয়ের চিত্রশিল্পী স্বপন পালকে অভিবাদন স্নিগ্ধ প্রচ্ছদের জন্য। পাতায় পাতায় অলংকরণ বইটির মর্যাদা বাড়িয়ে দিয়েছে। সময়ের বিচারে বিনিময়মূল্য যৌক্তিক। ডা. শিশিরকুমার সাহাকে স্বত্ব প্রদান এবং কবি-দেবর মিহির সাহাকে উৎসর্গ করতে পেরে কবি সম্ভবত খুবই পুলকিত হয়েছেন। আশা করি, বইয়ের প্রতিটি কবিতা কবিতাপ্রেমীদের কাছে আদরণীয় হবে।

অভিমানী অপেক্ষায় ।। মাধুরী বসু সাহা ।। দেশ প্রকাশন, কলকাতা ।। বিনিময়: ৮০ টাকা

2 1 vote
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

Recent Posts

মলয়চন্দন মুখোপাধ্যায়

মহাত্মা অশ্বিনীকুমার: মৃত্যুঞ্জয়ী প্রতিভা

সর্বভারতীয় রাজনীতির সঙ্গে তিনি দীর্ঘদিন জড়িয়ে ছিলেন, এবং জাতীয় কংগ্রেসে নিয়মিত যোগ দিতেন। কংগ্রেসের আবেদন-নিবেদনের রাজনৈতিক কার্যক্রম দেখে সিপাহী বিদ্রোহের পূর্ববর্তী বছরের জাতক এবং প্রখর প্রজ্ঞাবান অশ্বিনীকুমার ১৮৯৭-এর কংগ্রেসের অমরাবতী অধিবেশনে দৃঢ়তার সঙ্গে একে ‘Threedays’ mockery’,— ‘তিনদিনের তামাশা’ বলে উল্লেখ করেন। দুর্ভাগ্য দেশের, তাঁর কথা অনুধাবন করলেও কেউ গুরুত্ব দেননি। সে-অধিবেশনের সভাপতি চেট্টুর শঙ্করণ নায়ারকে নিয়ে অক্ষয়কুমার-অনন্যা পাণ্ডে অভিনীত বায়োপিক তৈরি হয়েছে। অথচ সারা উপমহাদেশ-কাঁপানো অশ্বিনীকুমারের মূল্যায়ন আজ-ও অপেক্ষিত।

Read More »
দীপক সাহা

বন্দুকের মুখে দাঁড়িয়ে ইতিহাসকে লেন্সবন্দি করেছেন সাইদা খানম

বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম থেকে শুরু করে উপমহাদেশের বিখ্যাত প্রায় সকল ব্যক্তিত্ব— ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ, শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন, ইন্দিরা গান্ধী, শেখ মুজিবুর রহমান, জিয়াউর রহমান, মওলানা ভাসানী, বেগম সুফিয়া কামাল, মৈত্রেয়ী দেবী, মাহমুদা খাতুন সিদ্দিকা, আশাপূর্ণা দেবী, উত্তমকুমার, সুচিত্রা সেন, সৌমেন্দ্রনাথ ঠাকুর, কণিকা বন্দোপাধ্যায়, হেমন্ত মুখোপাধ্যায়— কার ছবি তোলেননি! সেই সঙ্গে রানি এলিজাবেথ, মাদার টেরেসা, মার্শাল টিটো, অড্রে হেপবার্নের মতো বিখ্যাত মানুষদের ছবিও তুলেছেন। এই বিশাল তালিকায় আরও তিনটি নাম যুক্ত করে না দিলে অন্যায় হবে। চন্দ্রবিজয়ী নিল আর্মস্ট্রং, এডউইন অলড্রিনস, মাইকেল কলিন্সের ছবিও তুলেছেন তিনি।

Read More »
সন্দীপ মজুমদার

মামলায় জয়ী হয়ে থোড় কুঁচি দিয়ে কালীর আরাধনা করেন জমিদার-গিন্নি

দেবী কালিকার খড়ের মেড় দেখে মজুমদার গিন্নি দৃপ্তকণ্ঠে ঘোষণা করেন, মামলার রায় যদি তাঁদের পক্ষে যায় তাহলে কলাগাছের থোড় কুঁচো দিয়ে হলেও জগজ্জননী মা মহাকালীর পুজো করা হবে, আর যদি মামলার রায় তাঁদের বিরুদ্ধে যায়, তাহলে ওই খড়ের মেড় দামোদরের জলে ভাসিয়ে দেওয়া হবে। যদিও সেদিন দুপুরের মধ্যেই আদালত থেকে মজুমদার জমিদার পক্ষের জয়লাভের খবর পৌঁছেছিল থলিয়ার মজুমদার বাড়িতে। মজুমদার-গিন্নিও অক্ষরে অক্ষরে তাঁর প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছিলেন। মামলায় জয়লাভের খবর পাওয়া মাত্রই জমিদার-গিন্নির নির্দেশে প্রায় যুদ্ধকালীন তৎপরতায় দীপাবলি উৎসবের আয়োজন শুরু হয়ে যায়।

Read More »
মলয়চন্দন মুখোপাধ্যায়

বরিশাল শ্মশান-দীপালি

সমগ্র উপমহাদেশে বরিশাল শ্মশান একটি বিশেষ কারণে অনন্য। এই শ্মশানের বৈশিষ্ট্য হল, প্রতিবছর কার্তিকী অমাবস্যায়, (যাকে শাস্ত্রে ‘অশ্বযুজা’ মাস বলে) সেখানকার এই শ্মশানে যে কালীপুজো হয়, সেখানকার পুজোর আগের দিন ভূতচতুর্দশীর রাতে লক্ষ লোকের সমাবেশ হয়। উদ্দেশ্য, ওখানে যাঁদের দাহ করা হয়েছে, তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো। সমগ্র শ্মশান জুড়ে কয়েক হাজার মঠ বা স্মৃতিসৌধ আছে, মুসলমানদের যেমন আছে বনানী বা অন্য বহু গোরস্তানে।

Read More »
মলয়চন্দন মুখোপাধ্যায়

বৌদ্ধসম্প্রদায়ের প্রবারণা ও কঠিন চীবরদান উৎসব

বিশ্বের বহু দেশেই এই উৎসব সাড়ম্বরে পালিত হয়। স্পেন ও ফ্রান্স-সহ ইয়োরোপীয় দেশে চীনা, জাপানি, বাঙালি বৌদ্ধরা পালন করেন যেমন, তেমনই বাংলাদেশের ঢাকা, চট্টগ্রাম, বান্দরবান, রাঙামাটি থেকে কুয়াকাটা-কলাপাড়া এই উৎসবে মেতে ওঠে। ইওরোপীয়দের মধ্যে বৌদ্ধধর্ম গ্রহণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। কয়েকবছর আগে দালাই লামা যেবার শিলিগুড়িতে তাঁর বার্ষিক অনুষ্ঠান করলেন, সেবার প্যারিস থেকে আগত বেশ কিছু ফরাসির সঙ্গে আলাপ হয়, যাঁরা বৌদ্ধধর্মে দীক্ষিত। তাঁদের কাছেই শুনেছিলাম, ফ্রান্সে বহু মানুষ বৌদ্ধধর্মে দীক্ষা নিচ্ছেন।

Read More »
শায়ক মুখোপাধ্যায়

শায়ক মুখোপাধ্যায়ের দুটি কবিতা

যাদের কাছে আজকে তুমি পৌঁছে গেছ,/ সবাই কিন্তু আয়নার মতো এখানে/ এখনও পুরো ফিরে আসতে পারেনি;// আয়না হয়ে কেউ আবার ফেরে নাকি!/ হয়তো কেউ কেউ বা কাছে ফিরে আসে;// সূর্যের রং হরিদ্রাভ কুসুম আলো/ শেষ আশ্রয় হৃদয়শূন্য হয়ে গেলে,/ যারা তবুও মনে করে রক্তের গন্ধ/ আজ শিরায় শিরায় নতুন যাদের/ ফিরে আসা এখানে অথবা যেখানেই দূরে হোক,// সে সবের প্রয়োজন সমস্তটাই ফুরিয়ে গেছে।

Read More »