শ্যামসখা
গোসাঁই
গতকাল গোটা রাত ভেবেছি
কোন দিকে গেলে তার দেখা পাব!
চোখের সামনে দেখি নদী ভাগ হয়ে যায়!
আর তুমি সেতু।
তোমার সাদা কাপড়
ঘন কুয়াশায় মিশে যায়
আমার ঘোর লাগে প্রাণে
আমি তুমি বরাবর হেঁটে যাই!
*
খ্যাপা
এক মোমবাতি সন্ধ্যায় আলো আঁধারির ভিতর তোমার সঙ্গে হঠাৎ দেখা!
তোমার গানে প্রথম পরিচয়
সেই থেকে তোমার সুরে মিশে যাওয়া।
তোমার কোঁকড়ানো কাঁধ ছোঁয়া ঝাঁকড়া খোলা চুলে
হেমন্তের মুক্তো ঝরে!
কোন এক অদৃশ্য সুতোর মায়াটানে বাঁধা হয় তার।
সুখের অসুখ বাজে নীবির প্রাণে!
*
খমক
ভীষণ পাগল তুমি
খমক তালে বাজো
নাচের তালে সুরের ভিতর ভীষণ ঘামে ভেজো।
রাতের মাঝে তোমার কালো শরীর উপচে ওঠা আলো!
মন্দিরে যে রাই প্রিয় চাঁদ
তারও রং কালো।
প্রেমের ভিতর প্রেম জমে যায়
শরীর জুড়ে কাঁপন।
তোমায় মনের ভিতর মানত করি
দুচোখ ভাসায় শ্রাবণ!
*
দোতারা
দুইয়ের সঙ্গমে যে সুর বাজে আমি তাকে রূপকথা বলি।
মাধবীলতার ছায়া টানি বুকের ভিতর।
তোমাকে গুছিয়ে রাখি বড় যত্নে
জলবাতাসা দিই।
বাতাস তালপাতা পাখা নেড়ে।
শীতল পাটি বিছিয়ে দিই আদরে
তোমার ঘুম আসুক
দুচোখে খুলে যাক খাঁচা
তুমি পাখি হও প্রিয়!
বুকে মাথা রাখি তোমার
বুকে তোমার সবুজ পাহাড়
যদি, রাস্তা ভুল হয়
তুমি সামলে নিয়ো
বেসামাল গভীর খাদ!
*
একতারা
সুর বেঁধেছিলে তুমি
তুমিই জীবন থেকে মৃত্যু পর্যন্ত।
খ্যাপা
তুমি হঠাৎ অন্তর্ধান হলে
আমি আঁধার রাতে ডুব দিই যমুনার জলে।
যাওয়ার আগে তোমার জন্য কী রেখে যাই!
আমার একতারাটি
ওকে তুমিই তো সুরে বেঁধেছিলে সন্তানের মতোই!
কোনও গুরুপূর্ণিমা রাতে তুমি খ্যাপাকে দিয়ে দিয়ো গোসাঁই।