তরিকা
সব বলবেন না।
একে অপরের তিল গণনা গোপন অঞ্চলের,
হিসাব রাখুন জঠরের কাছে।
ঈশ্বর এবং আমার একটি বোঝাপড়া,
স্বাক্ষর দেবে বারো হাত কাঁকুড়ের তেরো হাত বিচি।
বেশি বেশি ঘনিষ্ঠ হতে চাই!
যদিও এটি একটি ধারা প্রয়োগ,
তবু মানচিত্রে আঁকা সম্পর্ক
কিছুটা তরল ও কাঙাল হুরের হাতে বহতা নদী,
তার সকল-সুন্দর-হাস্যময়
দাহিকাশক্তি
আমায় বানাল মরমিয়া।
**
জাগ্রত শতাব্দী
বেআব্রু রিকশায় উঠে মাথায় সাদা ওড়না দিয়ে জারুল বালি ছিটকে পুরাতন হয়ে যাও।
মুক্তভাবে সাজিয়েছি উনবিংশ শতাব্দী, জাগ্রত আছি অপ্রত্যাশিত প্রতীক্ষাহত কালের গর্ভে।
ইদানীং অন্বেষণ হয়েছে চিরস্থায়ী নাগরিক।।
***
কর্ণিকা
এই ছোট ছোট জিনিসের প্রতি তোমার যত্ন,
আমি বুঝতে চাই,
ভিজে মাটিতে হাঁসের পায়ের ছাপ, শিশির বিন্দুর রং,
গাছের গলার কাছে সকালের রোদ,
আমি কখনওই দেখতে পাইনি ছোট ছোট নীরবতা,
হৃদয়ের অভ্যাস, তোমার নামের সম্মোহনী ক্ষমতা।
গোপন থেকে অতি-গোপনীয় সৌন্দর্য,
আভামণ্ডলের বেদনা, দশসহস্র সূক্ষ্ম একাকিত্ব, তৃণক্ষেত্রের প্রথম নর-নারীকে,
আমি বুঝতে চাই।
****
কর্নার সিট
পাকতে সময় লাগে না, অনেক কিছুই বেলতলা যাবার আগেই এমনি এমনি ন্যাড়া। আমিও বেঁকে বসি ভর সন্ধেবেলা।
কালাচাঁদপুরের বাসা বাড়ি হাঁপিয়ে উঠছে।
হাঁপিয়ে নামছে না?
এখন আর গরম কাল নেই গরম-আজ হয়ে গেছে। রিকশার প্যা-পু’তে গরম আরও বেড়ে যায়।
বাড়ছে বাড়ুক, গরম অনেকটা চুলের মতো, খোলাই থাকে? খোলাই রাখো?
তোমার ভেজা চুল আমাকে সিগন্যাল দেয়।
আমি ব্ল্যাকে দুটো টিকিট কেটে ফেলি একদম কর্নার সিট।
*****
লাবণ্যমুখী
সে-ই শুধু চেয়েছে আমায়,
খুঁজতে খুঁজতে চলে এসেছে
রেললাইন পেরিয়ে, চুম্বনের দাগ পেরিয়ে, স্পর্ধিত স্রোত পেরিয়ে আমাদের বরণী গ্রামে, যেখানে আমাদের
ললাট লজ্জাহীন কালো, নিত্যদিনের দীর্ণ অবসর,
এখানে আষাঢ় শ্রাবণ স্নানের মাস, অনুকম্পার প্রদীপ
বেহায়া চুলের মতো ডাইনি ছলনায় ভাসায়, ফসলের যুবতী-শরীর হয়ে যায় শীতলপাটি। আরও এনেছে চুড়ির
নিশ্বাস, বসনহীন নির্মাণ।