মুখ্য পঞ্জিকা
ছোট ছোট পায়ে বরফ জমেছে ঘাসের গায়ে,
যেন শিশির নয়, শবাধার খুলে রাখা রিক্ত দিন
আমার রাত শেষ হয়ে উপচে পড়া ব্যথা চিনচিন্।
খুব ভোরে রাতের হিমঘর থেকে নতুন করে জন্ম
আকাশ গুটিয়ে নিল ইস্তেহার, মায়াবী আলো,
ঝুপঝুপ গাছেদের শান্ত মাথা উঁচিয়ে তাকাল।
ভুলে যাওয়া নামের মতো কিছু বেমক্কা আগন্তুক,
ইতিউতি কথাবার্তা, গুঞ্জনের ভাগী কানপাতলা
ভবঘুরে শুয়োপোকা মানুষ খোলস জন্ম শামুক।
ভয় পেলে ভয়ংকর সত্যি ধারালো ছুরির মতো
খুব সন্তর্পণে এফোঁড়ওফোঁড় তবুও অদৃশ্য ক্ষত,
ছিঁড়ে ফেলে মধ্যদিনের ভাতকাপড়ে এলাহি ঘুম
দিন মাস বছরের বেহিসেবি অতিক্রান্ত নিঃঝুম।
গণনা থাক, শুধু বয়ে চলে যাওয়া স্রোতের মুখে
কোনদিন এর উত্তর প্রকাশ্যে গাঁথা হবে জনসম্মুখে।
ততক্ষণে তারাদের সাথে বুড়ি চাঁদ ডুবেছে এখন,
খুঁজে নিতে পারঙ্গম দুদণ্ড লজ্জাহীন সহবাস মন।
***
ইতি প্রমাদ
তুমি বলেছিলে পরিবর্তন অবশ্যম্ভাবী,
এই দীর্ঘ এক যুগের শাসন ধর্মের মানচিত্র প্রমাণ করে
সিংহাসন সবসময়ই একটা উপদ্রুত এলাকা,
সেখানে লোভ আর প্রাপ্তির নেশা—
এক আকাশছোঁয়া দৈত্যের অট্টহাসি,
শুধু পেলেই এর আশ মেটে না, অধিক পাওয়ার নেশা,
শোষণ আর শাসনের উন্মত্ততা ক্রমবর্ধমান, আর মুক্তি?
ওটা রাজনৈতিক নেতাদের প্রতিশ্রুতির মতো—
একমাত্র আমূল পরিবর্তনই অবশেষ উত্তর।
আসলে রাষ্ট্র অথবা রাজনৈতিক প্রবঞ্চক
দুর্ভাগ্যবশত সবসময়ই শাসনের সিংহাসনে কায়েম হয়।
তুমি আর তোমার শিক্ষা লালিত আদর্শ অতি বিস্বাদ
স্ট্র্যাটিজি যা ওই তথাকথিত রুপোর থালায় পরিবেশিত হয়ে আসছে।
জনতা, অজ্ঞ, অশিক্ষিত, অসাক্ষর…
ধম্মো আর মেয়েমানুষের মতো সহজলভ্যতে আসক্ত
ছেলেখেলা করতে করতে ভুলে যায়,
দেশ, শাসন, ইস্কুল বা মনের আলো
এসব প্রকৃত ভয়ংকর গভীর বিষয়।