হাঁটিয়েছ কোন পথরেখায়
মিলন সম্ভব নয়
তাই হয়তো প্রদক্ষিণ বার বার
সংস্পর্শে সংস্পর্শে জলস্খলন গম্ভীরার পাশে।
ফুলের স্পর্শে স্পর্শে বিকশিত যতটুকু শিহরণ
তাতেও ঝড় ওঠে, কম্পন ওঠে শরীরে
একটা অন্যরকম অনুভূতির ভেতর
ঘণ্টা বাজে বার বার।
তুমিও কি চাও না
ঘণ্টায় হাত দেওয়াতে?
শিহরিত করতে নিজেকে ঘণ্টার শব্দে?
তোমার ওই কাঁসর-ঘণ্টা মুগ্ধ করে আমাকে
আজীবন। আজীবন ইচ্ছে হয়
সামান্য ছুঁয়ে শব্দ তুলি
চারপাশ অনুরণিত করি প্রেমে।
***
তোমাকে ছুঁয়ে দেখব
সেই দুঃসাহস হয়ে ওঠেনি আর
তোমাকে ছুঁতে গেলেই
যোজন যোজন দূরত্বে অগুনতি সূর্যোদয়।
দশাধিক বছরের সূর্যোদয় মনে রেখে
শিখেছি সংযম, শিখেছি হিসেব,
কতটা দূরত্ব বজায় রাখলে শোনা যায়
তোমার গুনগুন। দেখা যায়
বাতাসের দোলায় সরে যাওয়া পাতার ফাঁকে
জেগে ওঠা তোমার কৎবেল।
দৃষ্টি ফেরাও, পলাশের ফুলের মতো
ফুটিয়ে রেখে অগুনতি কুঁড়ি
দৃষ্টি ফেরাও সুগভীর খাতে
বুঝিয়ে দাও
তোমার স্পর্শ ছাড়া অসম্পূর্ণ আমার হাঁটাহাঁটি।