অঘ্রাণের আরেক নাম
অঘ্রাণের আরেক নাম সানাই মাস।
গালভরা বিসমিল্লা খান।
তুষারশুভ্র শোলাবাগানে
কম্পিত ঠোঁটে শুভদৃষ্টি!
কাটা চালতের ঘ্রাণ চারিদিক। সেইসঙ্গে বাতাবি লেবু…
লেটুসপাতার মত নীলাকাশ।
সক্কালবেলা গোলাপ ফুলে স্যালাদ-অয়েল শিশির ছেটাল কে?
সানাই মাসে প্রথম ক্রুস বোনা শীতসকালের মত
তোমার আগমন আমার এ শূন্যঘরে।
গ্রিন স্যালাদের মত সকাল
আজকের সকালটা কেমন গ্রিন স্যালাদের মত লাগছে।
একটু আগে কি বৃষ্টি হয়ে গেছে নাকি?
নাকি কচি জামপাতায় কেউ স্যালাদ-অয়েল দিয়েছে ছিটিয়ে
মেয়োনিজ সসে ডুবিয়ে তোলা হয়েছে ঝুনো পাকা
রয়েল ফল। এও কি রাশিয়ান স্যালাদ নাকি?
বুলবুল পাখির মত চাক চাক কাঁচাপাকা টমেটো।
কাটা গাজরের মত হলদে পাখির মেলা বসেছে সজনের ডালে…
ঘ্রাণে নয়, দর্শনে আমার পরিপূর্ণ পেট ভরে যায়।
কুমারীশেকল
সকাল সাড়ে দশটা বেজে গেলে
লালা না ঝরলেও—
বেড়ে যায় প্যাভলভের প্রতিবর্তক্রিয়া।
হৈমন্তী বাতাস এসে উসকে দেয় নিভন্ত আগুন।
ফলন্ত সুপারি ও আপেল গাছের শোভাযাত্রা।
গঙ্গা, যমুনা, সরস্বতী, ইরাবতী ও কাবেরী নদীর
ঢেউয়ে ঢেউয়ে ভেসে যায় রাজহংসগ্রীবার স্মরণীয় পঙ্ক্তি
কোজাগরী রাত ও মাঘের পঞ্চমী তিথি মিলেমিশে
এ এক অন্য দেবীসরণি
কুমারীশেকলে আটকে যায় এই গ্রীষ্মহৃদয়।
শরৎপাখি
চোখের পলকে উড়ে গেল শরৎপাখি সাইবেরিয়া
পদ্মপাতার ওপর এখনও নাচে তার সম্যকজ্যোতি!
তবুও নদীপাড়ে বিদায়ী কাশফুল দোলে অন্য আনন্দ আকাঙ্ক্ষায়
অতঃপর কি পাতা ঝরার পালা বৈকালিক হলুদ আকাশে!
জানি না কবে শীতের গান বাজবে আবার দিগন্তের
কম্পিত ঠোঁটে। কিংবা চৌরাশিয়ার বাঁশি অন্য গ্রহের পাহাড়চূড়ায়!
হল্যান্ডের সবচেয়ে সুগন্ধী টিউলিপ ফুল ফুটবে কি ঘরের দুয়ারে
ভ্যালান্সিয়া নগরের মত সুমিষ্ট ফল দুলবে কি ঘরের চালে?
অসুস্থ ছায়া
কত নিচে নামলে তবে
অসুস্থ ছায়াগুলির নাম নথিভুক্ত হয়!
যতবড় সিরিঞ্জ
ততবড় বোবা!
কেউ বলে না
‘শিবকালী ভটচায পড়ো
মুখফুটে কেউ বলে না—
থানকুনি চেনো না?
দুব্বার রস খাও।’
স্টেথোস্কোপ—
লাবডুব লাবডুব শুনতে পাও শুধু
হৃদয়ের খবর দিতে পারো কি?
বিধানবাবু দেখে যান
আপনার প্রিয় ছাত্ররা
মানুষের ছবি আঁকতে বসে
কীভাবে মুরগির ছবি এঁকে ফেলছে!