অন্দরমহল
গোধূলি, বিবাহরং
মনে লেগে থাকে
নিজস্ব পৃথিবী সেই
ছায়া দিয়ো তাকে
§
২
যতটা এই বিকেলের রং
বিস্তৃত আবীর মেখে
জড়োসড়ো হয়ে বসে
বলে, ‘এসো, হাত ছুঁয়ে থাকি…’
§§
৩
তাকে আমি ছুঁয়েছি সন্ধ্যায়
সে আমার জল
স্নান
কবিতার নতুন ভাষায়
কান্না লিখে রাখে
§
৪
লাজরক্ত ঢেলে দিয়ে বলো
ইহকাল এই
বসবাস ভেঙে রোজ
চলো ভ্রমণে বেরোই
§§
৫
গাছের কোটরে মুখ
রাস্তা তার পাশে
ভ্রমণের পা তো এই
মন ঘুরে আসে
§
৬
যোগাযোগহীন
আজন্মের পোষা কৃষিখেত
যত্নহীন
নাবিকের মত এসে
দু’দণ্ডের কথা চেয়ে বসে
§§
৭
ঘরোয়া পাখির গান
সেই সব কথা
ভাত-ডাল; সামান্য পলতা
যেন চিরকাল ধরে
শোনায় গোপন কথকতা…
§
৮
অধিক নিপুণ ভেবে
দু’বেলার শোকে রোজ
কাকে যে জাগাও
লালসুতো বেঁধে ভাবো
বাঁচাবে দুর্দিনে দেবী বিপত্তারিণী!
§§
৯
নির্মম তোমাকে ভেবে
নিজেকেই হত্যা করি
প্রকৃত ইমনে
§
১০
আমি তো ভৈরব এক
মৃত্যু ভাঙি গানে
তুমি কথা বল তার
আলোকিত তানে
§§
১১
আলোর নিশান দেখে
আমিও তেমন
পতঙ্গের মত নয়
ফিনিক্সে হারাই
§
১২
শুধু তো নদীই নয়
নৌকাও প্রবাহ হয়ে যায়
তুমি জাগো একা একা
একাকী সন্ধ্যায়
§§
১৩
আসলে এইটুকু স্রোত
বাদ বাকি ভেসে যাওয়া
একা
তীরেতে জমাই খড়কুটো
§
১৪
অনেক গোধূলি আসে
ভোরের আকাশে
আলোর ভিতর দিকে ভাসে, ভাসে আর ভাসে…