ফ্লোরেনস থেকে ভেনিস
নিকষ কালোর বুকে এলোমেলো জ্বলতে থাকে একটা দুটো হীরে
যান্ত্রিক শব্দের স্রোত, দানব দানব আজ পাতালপুরীতে
জেগেছে, মুষল অগ্নি সঙ্গী তার, সংহারসঙ্গীতে
করুণা ফল্গুর ধারা, ফাল্গুন এ মধুমাসে বুকখানি চিরে
এলিজি কলিজাভাঙা, রাত্রিকালে জ্বলে ওঠে ফ্লোরেনস নগরী
একেই শোকাগ্নি বলে, পুরাকালে এরকম পমপেইও নাকি
জ্বলেছিল ইতালিনি, এখন গির্জার মাঠে প্রেমের জোনাকি
দুপুরে ঝিকমিক জ্বলে, ঠোঁটের ঠোক্কর শব্দ, মণিবন্ধে ঘড়ি
প্রাচীন সাক্ষীর মতো, এবং নিশ্চিত পায়ে ভেনিসের জল
ছলস্রোতে বেজে ওঠে, এ কোন দেবীর পট, মিনারভা ভেনাস
কৈশোরের লুকোচুরি খেলেছ আমার সঙ্গে, গভীর পাতালে
পেতে রাখো শয্যাখানি, দানবী দানবী এত, ফ্লোরেনসের ঘাস
সবুজ মসৃণ তবু কেন আজ, তলাফুটো নৌকোখানি পালে
বিদ্রূপে উঠেছে ফুলে, বিসর্জনে ভেসে যায় যা কিছু সম্বল।
অসাধারণ। অপূর্ব কবিতা। মাত্র ১৪-টি চরণে কতো চিত্রকল্পের অনায়াস নির্মাণ, নিমেষে বিনির্মাণ। অথচ ছন্দের আদরের বাঁধনে দর্শণের সারাৎসারটুকু কী সহজ পৌঁছে দেওয়া। এসব কবিতা সুজিত বসু লেখেন না, তাঁর শরীরজুড়ে যেন নির্মিত হয়েছে