মধ্যরাতের অন্ধকার সূত্র
‘I believe in the middle. Extremes may make a good story, but the middle satisfies me.
Why? Perhaps because I’m a chemist.’ – Roald Hoffmann
তুমি বলেছিলে, ‘মধ্যভাগ’ বকের মতন ঠায় সুস্থির আঁকে,
বিক্রিয়া-মধ্যগ-বাঁকে নিথর ‘ভারসাম্য’ নেমে আসে।
তুমি বলেছিলে, ‘রসায়ন’ ঠিক জীবন যেমন,
লেখে বদলের বিরামবিহীন।
হফম্যান, তুমি রসায়নী; তাই চেনো মধ্যমার মসৃণ মন্থর।
তুমি শুধু অণু চেনো, পরমাণু আর বিক্রিয়া-সৌন্দর্য…
তুমি কি দেখেছ, ভূমধ্যসাগর জলে, অন্ধকারনিকষে
. তরঙ্গবিক্ষোভ?
কীভাবে নিস্তরঙ্গ মাঝমাঠ ঘাসে ‘মধ্যরাত’ নেমে আসে,
দ্রুতচারী খল, ছলেবলে ভেঙে দেয় মেরাপ-ছাদন,
তেড়ে আসে ভয়ের পিস্তল… ছুড়ে ফ্যালে এক গলা জলে।
জানি, এইসব তিমির-মধ্যমা দ্যাখোনি কখনও তুমি…
‘মধ্যমা’ মানে নিরাপদ নয় শুধু। হতে পারে মিথ্যাচরণ।
চরাচর জুড়ে অপরাহ্ন মেঘের আড়ালে অনুক্ষণ
. ওঁৎ পেতে থাকে ক্রূর,
উদ্বাহু পিশাচিনী মধ্যরাত হলে নেচে ওঠে কপট মুদ্রায়।
দিন তবু বোঝা যায়, ঝাঁঝাঁ রোদ মধ্যদিনও জ্ঞাত
‘রাতচরা’ ছাড়া আর কেউ চেনে নাকো ‘মধ্যরাত’
নিশাট-অক্ষর…