ক্রনিক পেটখারাপ, খাবার দেখে নোলা সামলাতে না পারা, ভরপেট খাওয়ার পর দুপুরে একটু আয়েসি ভাতঘুম, পরশ্রী এবং পরস্ত্রীকাতরতা, সুযোগ পেলেই এন্তার পিএনপিসি আর “অতীত গৌরবময় আর ভবিষ্যৎ অন্ধকার”-এর চেনা ঢেঁকুর তোলা ইত্যাদি ‘গুণ’-গুলো লিস্টি থেকে বাদ দিলে বাঙালির আর যে ট্রেডমার্ক মৌলিক গুণটি পড়ে থাকে সেটা হল প্রতিবাদ বা বিপ্লবের প্রতি বাড়াবাড়ি রকমের ঝোঁক বা আগ্রহ!
রেলের কামরায় বা এয়ারপোর্টে যেমন কোনও সুন্দরী মহিলা একা বসে থাকলে পাবলিক যেমন সুড়সুড় করে ঠিক তার পাশের ফাঁকা সিটটায় বসার জন্য আকুলিবিকুলি করে, ঠিক তেমনিই কোথাও কোনও প্রান্তে প্রতিবাদ বা বিপ্লব হলেই, সে ইস্যু যতই ছেঁদো হোক না কেন, বাঙালি তাতে সামিল হবার জন্য হাঁকপাঁক করে মরে! মাঝরাতে হঠাৎ ঘুম ভেঙে গিয়ে বুকে চাপচাপ ভাব অনুভব করলে হামেশাই গুলিয়ে যায়— আগের দিন রাতে বিয়েবাড়িতে দু’হাতা মাটন বেশি টানার এফেক্ট, নাকি বুকে বিপ্লবের আগমনীবার্তার আগাম অনুরণন! (পাঁজিগুলোও শালা হতচ্ছাড়া! স্পষ্ট করে লেখেও না বিপ্লব বাবাজীবন কবে আসবে!) বা গরমের ভরদুপুরে নিস্তব্ধ পাড়ায় হঠাৎ দরজায় খুটখুট কড়া নাড়ার শব্দ শুনলেই মনের কোনায় একটা ক্ষীণ আশা উঁকি দেয়— ‘সুভাষ কি তবে ফাইনালি ঘরে ফিরলেন?!’ (তারপর দরজা খুলে সামনে সুভাষের বদলে কোনও সেলসম্যানকে দেখে ‘ছ্যাঃ ছ্যাঃ! পোড়া দেশটায় আর কিসসু হল না’ বলে গৃহস্থর পেটেন্ট গজগজানি না হয় ধর্তব্যের বাইরেই রাখলুম!)
তা যাক, এখন আর সেসব চিন্তার বালাই নেই! কবে সেই ট্রামের ভাড়া ১৯ পয়সা বাড়ার প্রতিবাদে পরপর ট্রাম জ্বালিয়ে দেওয়া হবে বা কর্মীদের সুরক্ষার নাম ভাঁড়িয়ে জঙ্গি আন্দোলন করে একের পর এক কারখানায় তালা ঝুলবে— এমন আগুনে বিপ্লব/প্রতিবাদে সামিল হয়ে হাত মকশো করার সুযোগ কবে আসবে তার জন্য হাপিত্যেশ করে বসে থাকার দিন শেষ! সোশ্যাল মিডিয়া আর গিমিক-সর্বস্ব গণতান্ত্রিক রাজনীতির যুগপৎ অপার কল্যাণে এখন প্রতিবাদ বা বিপ্লবের চৈত্র-সেল চলছে! অনেকটা যেন বিয়েবাড়ির মেনুকার্ড! সক্কাল-সক্কাল উঠে একবার ভাল করে চোখ বুলিয়ে নিন— কোথায় আজ কী কী প্রতিবাদ, প্রতিরোধ বা বিপ্লবের শো চলছে! তারপর মুরোদে যেটা কুলোয়, পাকস্থলীতে যেটা সয়, সেটায় টুক করে গা ভাসিয়ে দিন, ব্যস কেল্লা ফতে!
সেদিন সকালে উঠেই দেখি বিশাল হইচই— কি না খবরের কাগজের পাতায় আর সোশ্যাল মিডিয়ায় এক নতুন প্রতিবাদ এসে হাজির! জায়গায় জায়গায় রাস্তা অবরোধ, কলেজ স্ট্রিট-এ ঘেরাও, বিক্ষোভ সমাবেশ, মায় কিছু জায়গায় রেল অবরোধও! তবে এসব এখন গা-সওয়া হয়ে গেছে! পাড়ার কলে জল আসছে না, বউ কেন জামাইষষ্ঠীতে দু’দিন বেশি বাপের বাড়িতে থাকবে, প্রেমিকা ল্যাং মেরেছে বলে ‘আমার প্রেম ফিরিয়ে দিতেই হবে’— প্ল্যাকার্ড হাতে প্রেমিকার বাড়ির সামনে ধর্না, অনশন থেকে শুরু করে দোসরা অক্টোবর কেন মালের দোকান বন্ধ থাকবে— সবেতেই এখন প্রথমেই রাস্তা অবরোধ, রেল রোকো হয়ে থাকে, এ আর কী এমন পুদিচ্ছেরি ব্যাপার!
তা যাই হোক, একটু ভাল করে ঢুঁ মেরে যা বুঝলাম— ছাত্রছাত্রীরা ‘তীব্র’ প্রতিবাদে সামিল হয়েছে যে— না! অফলাইনে পরীক্ষা নেওয়া কোনওভাবেই যাবে না! ক্লাস যখন অনলাইনে হয়েছে, তখন ছাত্রছাত্রীদের ‘সুবিধের’ কথা মাথায় রেখে পরীক্ষাও অনলাইনেই নিতে হবে! যাক, একটা ব্যাপারে একটু নিশ্চিত হওয়া গেল— অন্তত একটা বৈচিত্র্য তো এসেছে প্রতিবাদের টপিকে! নাহলে চল্লিশোর্ধ্ব বাঙালি দম্পতির পানসে, আলুনি দাম্পত্যজীবনের মত যুগ যুগ ধরে চলে আসা ধর্মঘট-অবরোধের সেই বস্তাপচা টপিক— মূল্যবৃদ্ধি, ভাড়াবৃদ্ধি, জ্বালানির দাম আকাশচুম্বী, বেকারত্ব, কালোবাজারি, কর্মী সুরক্ষা, কর্মসংস্থান, চাকরি নিয়োগে দুর্নীতি! কাঁহাতক আর সেই প্রতিবাদে মুহুর্মুহু উজ্জীবিত হওয়া যায় বলুন দেখি!
না, তবে বিশ্বাস করুন, এই নন্দীগ্রাম-সিঙ্গুরের দিব্বি বলছি, অনলাইনে পরীক্ষা দেবার নাম করে দেদার বই খুলে টুকে অবাধে ঝাঁ-চকচকে নম্বর বাগিয়ে পরীক্ষার বৈতরণী পার করার সুকৌশলী ছলচাতুরী দেখে বিন্দুমাত্র হতবাক হইনি!
কারণটা সিম্পল— ওসব গা-সওয়া হয়ে গেছে! বেশ কিছুকাল আগে যখন প্রথম খবরের কাগজে পড়লাম— ক্লাস টেন আর টুয়েলভের টেস্ট পরীক্ষায় পাশ করতে না পারায়, ফাইনাল পরীক্ষায় বসতে পারবে না বলে তার প্রতিবাদে ‘আমাদের পাশ করিয়ে দিতেই হবে! পরীক্ষায় বসা আমাদের মৌলিক অধিকার’— ধর্মী প্ল্যাকার্ড নিয়ে একদল ছাত্রছাত্রী যখন রাস্তা ঘেরাও, পথ-অবরোধ কর্মসূচি নিয়েছে, তখন বেশ হকচকিয়ে গেছিলুম! আবার তার সাথে নিজেদের সত্যিই বোকা মনে হয়েছিল! সত্যিই তো, এরকম একটা ইস্যুতেও যে ধর্মঘট-অবরোধের নামাবলি গায়ে চাপিয়ে রাস্তায় হুজ্জত করা যায়, সেটা তো মাথাতেই আসেনি! খালি গাধার মত গোটা জীবনটা গাঁতিয়েই গেলাম! যার মস্তিস্কপ্রসুত এই ভাবনা, তাকে মনে মনে ‘সাবাস তোপসে’-র কুর্নিশ না জানিয়ে পারিনি! আর মজার ব্যাপার এই যে, এইরকম ‘অভিনব’ কর্মসূচিতে সেইসব ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবকরাও যোগ দিয়ে পাল্লা দিয়ে স্লোগান ফুঁকছেন! আবার পুলিশও প্রোটেকশন দিয়ে বলছে— ‘আসুন ওরা বন্ধ ডেকেছেন, আপনারা ঘর থেকে বেরবেন না!’ হুহু বাওয়া, ঘোর গণতন্ত্র! যাক গে, প্রথম প্রথম এগুলো দেখতে একটু খারাপই লাগত… যেমন, শচীনের রিটায়ারমেন্ট, ভেজ বিরিয়ানি, খেলার মাঠ গ্রাস করে গজিয়ে ওঠা বহুতল ফ্ল্যাট, অন্যের সাথে বিয়ে হয়ে যাওয়া প্রেমিকার হাসি মুখের ছবি… কিন্তু ওই, পরে ঠিকই চোখে সয়ে গেছে আর কী!
মিডল-ক্লাস অপারচুনিস্ট খচ্চরের মত এই অভিনব প্রতিবাদ, প্রতিরোধের ঢপের কেত্তন সান্ধ্যকালীন চপ মুড়ি চা-এর সাথে তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করছি, ও মা! দেখি ফেসবুকে দলে দলে চোখেআঙুল দাদারা এই প্রতিবাদের বিরুদ্ধে একগাদা প্রশ্ন তুলে বাগাড়ম্বর লিখে যেচে লোকের থেকে গালাগালি খাওয়ার পথ প্রশস্ত করেছে! আরে বাবা, সবেতেই এত গেল-গেল রব তুললে চলে! তার ওপর একগুচ্ছ (ভ্যালিড) প্রশ্ন! ‘রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থার এমন দৈন্যদশা কেন?’, ‘ছাত্রছাত্রীরা কেন এরকম অসৎ উপায় অবলম্বন করতে চাইছে? তারা কি নিজের ভাল বোঝে না?!’ তার সাথে যোগ্য সঙ্গত দিয়ে অনলাইন পরীক্ষাব্যবস্থাকে তুমুল গালিগালাচ!
পরের দু-তিন দিন পাড়ার মোড়ে, চায়ের দোকানে, তাসের ঠেকে, ক্লাবের আড্ডায় সেই প্রতিবাদ-প্রতিরোধের সমালোচনার কচকচি চালু রইল। সাথে ‘রাজ্যটা পুরো রসাতলে গেল’, ‘এই পোড়া রাজ্যে আর কিসসু হবে না, কোনও উন্নতি নেই’-এর সমবেত কোরাস! সব্বাই আপ্রাণ প্রয়াস চালিয়ে গেল এইটা বোঝানোর যে, তাদের নিজের সময়ে পরীক্ষাব্যবস্থা, আর পরীক্ষায় নম্বর পাওয়া কতটা কঠিন ছিল! (পাছে আপনি তাদের মার্কস শিটে নম্বরের দৈন্যদশা দেখে উপহাস না করতে পারেন! সবাই নয়, তবে কিছু পাব্লিকের জন্য প্রযোজ্য!) এরই ফাঁকে কিছু পাবলিক আবার দেশ-বিদেশে ঘটা অভিনব প্রতিবাদ/মিছিলের ফলাও বিবরণ দিয়ে নিজেদের জ্ঞানের প্রচার আর হেক্কোরবাজিটা বজায় রাখার সুবর্ণসুযোগটা হাতছাড়া করল না! সব্বাই তাদের অভিজ্ঞতার ঝুলি উপুড় করে দিচ্ছে, যেন মনে হচ্ছে কম্পিটিশন হচ্ছে! কেউ আবেগমথিত কণ্ঠে ’৭০-এর নকশাল আন্দোলনের গপ্পো শোনাচ্ছে, তো কেউ বাম আমলের সুতীক্ষ্ণ প্রতিবাদের ঝুলি পেড়ে বসেছে! কিছু বাচ্চা ছেলে, যারা এখনও সরকারী চাকরি পাবার আসায় দিনরাত মুখ গুঁজে জেনারেল নলেজ গিলে চলেছে, তারা মিনমিন করে বলার চেষ্টা করে চলেছে— ২১-এর দিল্লিতে কৃষক আন্দোলন, মার্কিন মুলুকে ‘ব্ল্যাক লাইফ ম্যাটারস’… তাই দেখে হালে পানি পেতে ইতিহাসের শিক্ষক পাড়ার বোঁচা-দা ’৮৯-র তিয়েনমেন স্কোয়ারের গল্প ফেঁদে পিছোতে পিছোতে ১৯৩০-এ গান্ধীজির লবণ সত্যাগ্রহ ছুঁয়ে সোজা ১৭৮৯-র বাস্তিল দুর্গ পতনে হাজির!
তা যাক গে! এই টোটাল গিমিকের সমুদ্রমন্থন করে আর বিস্তর ঝাড়াই-বাছাই করে যে দু-তিনটে মোদ্দা কথা উঠে আসে।
প্রথমত, অনলাইন-অফলাইন নিয়ে অনেক কচকচি হচ্ছে চারদিকে! অনেকেই বলছেন, অনলাইন পরীক্ষা অবৈজ্ঞানিক! একটা মস্ত ধাপ্পা বা ভাঁওতা! কথাটা যদিও অর্ধসত্য! দেশ-বিদেশের অনেক প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা অনলাইন মাধ্যমে হয়, কোভিড আসার আগে থেকেই— পরীক্ষা অনলাইন বলে সেইসব প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় কেবল ‘বেনোজল’ ঢুকছে বলে কখনও শুনিনি বা দেখিনি! হ্যাঁ, তবে সেসব পরীক্ষায় উপযুক্ত ব্যবস্থা থাকে যাতে কোনও পরীক্ষার্থী কোনওভাবেই অসৎ উপায় অবলম্বন করতে না পারে, যাতে মেধার সঠিক মূল্যায়ন হয়… এবার স্কুল-কলেজের পরীক্ষায় সেই সিস্টেম প্রয়োগ করে সফলভাবে তাকে বাস্তবায়িত করা হারকিউলিয়ান টাস্কের থেকে কোনও অংশেই কম কিছু না! আর সেখানেই গোড়ায় গলদ! তাই অনলাইন পরীক্ষা শুনেই যারা তেড়েফুঁড়ে গালাগাল দিচ্ছেন, তাদের বলি— এই সিস্টেমটা অবৈজ্ঞানিক নয়। তবে সিস্টেম যতই ভাল হোক, তার সাফল্যের হার অনেকটাই নির্ভর করে তার সঠিক বাস্তবায়নের ওপর, যেটা ভারতের মত বিপুল জনসংখ্যার দেশে আর সর্বোপরি বহু-স্তরীয় আর্থ-সামাজিক পরিকাঠামোতে যথেষ্ট কষ্টসাধ্য!
দ্বিতীয়ত, কোনও পরীক্ষায় টুকে পাশ, বা হল-কালেকশন, টয়লেটে, বাথরুমে জল-কালেকশন, বা নিদেনপক্ষে পকেটে চোতার ভরসায় পরীক্ষার বৈতরণী পেরোনোর প্রয়াস বা প্রচেষ্টা— এটা হালের আমদানি না, যুগে যুগেই তা হয়ে আসছে! বহু তথাকথিত মেধাবী ছাত্রছাত্রীও পরীক্ষার হলে ফিসফিসিয়ে পাশের সহপাঠীদের— ‘ওই, আকবর কত সালে সিংহাসনে বসেছিলেন রে?’ বা ‘ব্যাঙের পৌষ্টিকতন্ত্রের ছবিটা ঠিক কীরকম হবে রে?’ বা নিদেনপক্ষে ‘সমকোণী সমদ্বিবাহু ত্রিভুজের কী কী প্রপার্টি আছে, একটু বল না!’— গোছের প্রশ্ন জিজ্ঞেস করে এসেছে! তবে এর সাথে এখনের বুক চিতিয়ে ‘পরীক্ষায় টোকা আমাদের মৌলিক অধিকার’-গোছের বেলেল্লাপনার মধ্যে কিছু মৌলিক ফারাক আছে! আগে কেউ পরীক্ষায় টুকলেও তার মধ্যে এটুকু টনক থাকত যে সেই কাজটা আদৌ বৈধ না! ধরা পড়লে পরীক্ষা বানচাল তো হবেই, উপরন্তু বোনাস হিসাবে বাড়িতে ঠ্যাঙানিও জুটবে! এখনের মত ‘বেশ করেছি, (পরীক্ষায়) টুকেছি, টুকবই তো!’-জাতীয় মনোভাবটা আগে তেমন ছিল না! তবে, এই সার্বিক অধঃপতন শুধু এক্ষেত্রেই না, সেটা সর্বত্রই! যেমন আগে লোকে চোখ বুজে ঘুষ নিত, বা ঘুষ নিয়ে বাড়ি ফিরলে ভাল করে স্নান করত, কিন্তু এখন লোকে স্মার্টলি বুক চিতিয়ে ঘুষ নেয়, যেন ওটা প্রাপ্য, হক্কের সম্পত্তি!
সবশেষে আসি ছাত্রছাত্রীদের সদিচ্ছা আর অনেস্টি প্রসঙ্গে! মানে ওই আর কী, অনলাইন পরীক্ষায় সুযোগ থাকলেও কেন টুকে না লিখে মাথা খাটিয়ে লিখবে?! আই মিন, সিরিয়াসলি?! হাসালেন আপনি! যে দেশে টিভি খুললেই দেখা যায় বেশিরভাগ জননেতা-নেত্রীর ডিগ্রি জাল, কোনও কোনও রাজ্যের ‘উচ্চশিক্ষা’মন্ত্রীর পুরো পিএইচডি-টাই অন্যের ঝেঁপে মেরে দেওয়া, রাষ্ট্রনেতারা নিজের ক্লাস টেনের সার্টিফিকেটটাই দেখাতে পারে না, আগের নির্বাচনে কোনও জননেতার নাম ‘অমুক বিশ্বাস’ থেকে হঠাৎই পরের নির্বাচনে ‘ডঃ অধ্যাপক অমুক বিশ্বাস’ হয়ে গেছে— আর সেখানে আপনি বলছেন এইসব সার্কাস অহর্নিশি দেখার পরও ওই বাচ্চা-বাচ্চা ছেলেমেয়েগুলো অনেস্টি-র রাস্তা নেবে?! তাও বাই চয়েস?!
এসব বলবেন না, ঘোড়ায় হাসবে…