Search
Generic filters
Search
Generic filters
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on whatsapp

নিমাই জানার গুচ্ছকবিতা

কনফুসিয়াস ও অ্যালুনোরিয়া বাবার রেতঃদাগ

কনফুসিয়াসের মতো শ্বেতাঙ্গ কাঠ নিয়ে ময়ূরীময় আসবাবপত্রের ভিতর ঢুকে যাচ্ছি হলুদ বাৎস্যায়নের বিষধর লিম্ফোসাইট নিয়ে, এক শবাসন = ২ ব্রহ্মাস্ত্র,
তৃতীয় অযোগবাহের নাভিময় বাদামি রঙের উল্টানো কম্বোজ খোলসের ভেতরে নেমে মাংসাশী হতে চাইছে আমাদের মত

‘রা’ ক্ষেত্রের নভশ্চরেরা সোনালি অলংকার পরে থাকার পর ভাঙা আয়নার ভেতর থেকে বেরিয়ে আসে জমাট সেরাটোনিনের কাছে দাঁড়ানো শ্রীহীন ব্রহ্মাপুরুষ হয়ে, মিথোজীব দাঁতগুলো একা একা লাল রেতঃদাগ রেখে যায় অক্ষরসৈনিকদের দেহে, প্রসাধনহীন সমুদ্রের তলায় সকলের নীল শেওলা খাচ্ছে
আমি মেঘনাদের মতই কোনও অশ্বারোহীর থার্ড বংশধর, নাকমুখ দিয়ে কামধেনু নির্গত গ্রাফাইটিক সন্ধেবেলার নিশাচর, কামুক বুকের পাঁজর চিরে চিরে খাচ্ছি শরীরের ভেতর নীল কশেরুকাময় হলুদ জননতন্ত্রের গোলাপি অন্ধকার মিশিয়ে, প্রত্নশহরে শুধু মৃত মৃত ছাই উড়ে বেড়ায় লালাভ তারার মত
আমার অ্যালুনোরিয়া বাবার শরীর থেকে উড়ে যাচ্ছে কোনও এক সিংহল প্রদেশের নারীর গন্ধরাজ পৌরুষস্তবকের সূচিছিদ্র প্রতিবিম্বগুলো, আমার কোনও মৃত্যুর সাংখ্যমান নেই গোটা শীতকালে

ঈশ্বরী প্রতিদিন নীল আর্তনাদের কথা বলার পর ৩১ জোড়া পালক নিয়ে সমুদ্রমন্থনে যাচ্ছেন রাতের ভয়ার্ত শ্মশানপথের দিকে, অশরীরী পিশাচদের গায়েই মাঝে মাঝে রক্তের উৎস্রোতগুলো লেগে থাকে নীল জাইলেম দাঁতের মত

*

পুরঃসর ক্ষেত্রের স্বৈরাচারী ও মৃত্যুরাতের গভীরতা

জায়মান পুরঃসর প্রহরের মৃত্যুর মত লাল ল্যাকটেট ফলের ত্রিকোণমিতিক অন্ধকারে যারা রাতের গভীরতা মেপে নেয় বৃত্তচাপের ঘোড়াদের শিথিল অব্যয়বৃত্ত দিয়ে, তারা ধীরে ধীরে স্বর্ণালংকার খোলা সত্যদর্শনের অলৌকিক পাষণ্ডক্ষেত্র ভেঙে বেরিয়ে আসে নিপুণ সংসারী সেজে,
নীল ব্রহ্মগুপ্ত আগুনের স্বৈরতান্ত্রিক জানতেন ধূসর সুদর্শনচক্রের মত

বিস্ফারিত আগুনে নিজের অস্থিখণ্ডগুলো অবায়বীয় ঝুলে আছে নগ্নজিতি ভূমধ্য গৃহ থেকে, আগুনের কোনও বক্ষবন্ধনী নেই বলে পাঁজরের ৩১ জোড়া পালকহীন সন্ধিপদীরা আগুনের ভিতর নরম আগ্নেয়গিরি খুঁজে বেড়াচ্ছে ধারালো দুই হাতে, বিষের মত আর কোনও অমৃত পাথর নেই অ্যাঞ্জিওপ্লাস্ট একটা সেবিকার ডান স্তনের নিচে
আত্মহত্যার বিটুমিনাস পাথরগুলো ঝুলে আছে বহুব্রীহি বিছানার তলায় থাকা শান্তপরি হরিণীদের মত, যৌনাঙ্গে বিষাক্ত কালাচ সাপের অব্যয় ঝুলে আছে লোমশ অন্ধকার নিয়ে, তিল খেতে একা একা ক্রোমোজোম সাপ ঘুরে বেড়ায়
বৃত্তাকার আগুনের পাশে দাঁড়িয়ে নিপাতনের কিছু অ্যামালগামের পারদ ঠোঁটগুলোকে তম গুণের শিথিল হৃদয়ে লুকিয়ে রাখি, গলনাঙ্কহীন পাখিরা মৈথুন ভেঙে উপপাতালিক নদীর পাশে এসে বৈসাদৃশ্য অসদবিম্বগুলোকে দুই হাতে মস্তিষ্ক ছিঁড়ে নিচ্ছে বেগমবাহার ফুলের মত, ঈশ্বরীদের মত আমি নয়নাভিরাম শ্বেত জবা ফুলের কঙ্কালতন্ত্র নিপুণ নাবিক হয়ে খুলে দেখি তন্ত্রসাধকদের নিয়ে,

সেরাটোপেপটিটাইজ খাওয়া অন্তঃক্ষরার গ্রন্থির ভেতর দাঁড়িয়ে অন্তঃবৃত্ত গড়ে দিচ্ছে একটি কোসাইন খাওয়া ঠোঁট,
মধুসূদন গায়েন নামক এক শ্বেতাঙ্গ পুরোহিত রাতের মঞ্জিরাতন্ত্র নিয়ে বারবার ধাতু সংকর অন্ধকারে মিলিয়ে যাচ্ছে নিপুণ ভৈরবের মত, আজ কিছু সর্বনাম পদের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া হোক

*

নীল সিডেটিভ ও ন্যাশপাতি বাগানের নিপুণ নিশাচরেরা

ন্যাশপাতি ফলের মত নিশাচর অভয়াবৃত্তে দাঁড়িয়ে যারা নিজেদের সংক্রমিত স্নায়ুতন্ত্রগুলোকে ধারালো ব্লেডের সায়ানাইড খণ্ড দিয়ে কুচি কুচি করে কেটে ফেলে তাদের মুখে আর কোনও তিরধনুকের ঋণাত্মক অঙ্গাণু নেই, সেন্ট্রোজোমের ফুল গজিয়ে ওঠে না আর কোনও পবিত্র গন্ধর্ব বংশধরদের জন্য

সকলেই বিছানার মত তৃতীয় কোনও সমাঙ্গ দেহের কাছে জানালাময় একটি সাদা হিমাক্সেল মাখানো তেজস্ক্রিয় কঠিন বৃত্ত অঙ্কন করি, আমি আমার শুক্রস্খলন বর্জিত স্বয়ম্বরা নারীর অজিত ক্ষেত্রের কাছে দাঁড়িয়ে মোহিনী রূপ নিয়ে বিষাক্ত আগুনগুলোকে উড়িয়ে চলি সরলবর্গীয় চিরহরিৎ ক্ষেত্রের দিকে,
এখানে প্রতিদিন আমি দেশলাই কাঠির বারুদে নীল জরায়ু উপুড় করে আধসেদ্ধ খাই খাদ্যোপকরণ বানিয়ে, সবুজ সোৎসাহে বসে পড়ি আমরা চারজন সত্য, ত্রেতা, দ্বাপর, কলির কৃষ্ণঠাকুর হয়ে
দেবদূতেরা নপুংসক বৃষ্টির মত কোনও শ্রেয়াখণ্ডের কাছে দাঁড়িয়ে বারবার অমরাবতী হতে চাইছে

সিডেটিভ খাওয়া উন্মাদ নারীরা প্রতিটি রাতের শিরদাঁড়া মেপে যায় সেলসিয়াস জরির উষ্ণতম দ্রাঘিমা দাঁত দিয়ে, রাতে যারা নপুংসক দ্রাঘিমার বৃষ্টিতে ভিজতে জানালার কাছে মহাজাগতিক শুক্র গ্রহ নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে আমি সেই ঈশ্বরের জন্য গোপন রাতে কম্পাঙ্ক খুঁড়ে খুঁড়ে নীল আলোর দিকে চলে যাই
সুকৃতিময় ঈশ্বর ক্লোরোফিল অভয়ারণ্যে দাঁড়িয়ে বারবার নীল পতাকাময় সামন্তদের নিয়ে কোশল অধিবৃত্তে মিলিয়ে যাচ্ছে আমি বেদানা ফলের মত রক্তাক্ত হরিণ আবিষ্কার করি টেন এম এল প্লাজমা খাবার পর

*

সিলিকেটেড ওমেপ্রাজোল ও ঘর্মাক্ত বৈশ্বানর পুরুষ

অমিত কাজল বৃষ্টির মত উদর দেশে থাকা সংক্রমণের ম্যালিনা অন্ধকারে দাঁড়িয়ে যারা মৃত্যুর টু এম এল ঘনত্ব নির্ণয় করে তারা হলুদ পারদ ফুলের মত প্রতিদিন ফিরে আসে সিলিকেটেড অলিন্দ খণ্ডক নিয়ে, ওমেপ্রাজোল একটা উপসর্গহীন নীল জলাশয়ের নাম ঘর্মাক্ত রাতগুলো অমৃতচক্রের মত বৈশ্বানর ঘাটের দিকে চলে যায়

কিছু রক্তাক্ত নাভিময় পুরুষদের শিথিল হয়ে যাওয়ার বি কমপ্লেক্স চোখগুলোকে আমরা খাচ্ছি নটরাজ সেজে, প্রতিদিন নাচছেন নৃত্যের সঙ্গম ভুলে যাওয়া জলজ কিন্নরসমগ্র, তৃষিত নারী, অবৈধ শিব, ভূমিখণ্ড, ক্ষর, অক্ষর আর পিশাচদের তৃতীয় অঙ্গাণুর সমষ্টি
পিচ্ছিল জলাশয়ে লুকিয়ে থাকা ঋণাত্মক দাঁতের ট্রিটিয়াম ভাঙা বিষাক্ত সাপেদের অবৈধ পাগুলো ছিঁড়ে ছিঁড়ে ঘণ্টার মত ঝুলিয়ে রাখি আত্মহত্যা পরবর্তী কোনও ডান ব্রাকিয়াল ঠোঁটের নিচে,
বারবার এটিভান ওয়ান খাওয়া পুরুষেরা হলুদ বমি উগরে দেয় দেবদারু পাতার মত হলুদ হয়ে যাওয়া শীতল আগুনঘরে, বৈষ্ণবী শরীর ৫ এম এল ডিস্পোভেনের ভেতরে নীল স্টেরয়েড ফলের সাদা সাদা ফুলগুলোকে রোপণ করে যাচ্ছে সাদা কাপড়ের তলায়
মধ্যরাতে কেঁদে উঠি আমি, ঈশ্বর, ভরত, কনফুসিয়াস আর নীল কোনও পাঞ্চজন্য পুরুষ,
দাঁড়িয়ে আছি একাদশ সহস্র বছর, আমি সৌমেন পুরোহিতের মত নীল যজ্ঞাগারে নেমে গলিত জীবাশ্মদের মেখে নেওয়ার পর

এখানে ঈশ্বর প্রতিদিন কোনও এক লিঙ্গ পুরাণ শেষে জেরোফাইট চোখগুলোকে আরও একবার নপুংসক করে যাবে, আমি শুধু বৃষ্টির মত আরও জলজ স্নানাগারে নেমে বিয়োগান্তক প্রদেশের দিকে চলে যাচ্ছি ভারশূন্য উষ্ট্রাসনে দাঁড়িয়ে থাকা বালকের মত

*

অনামিকা নক্ষত্রদের শৈলোৎক্ষেপ প্রদাহ ও চন্দ্রগুপ্ত

উপপাতালিক শৈলোৎক্ষেপ অভয়ারণ্যের নীল পুরুষেরা সারারাত সহজিয়া তৃষিত খণ্ডগুলো নীল-জলাধারে রেখে দেওয়ার পর অশৌচ তরুক্ষীর গাছের নিচে দাঁড়িয়ে প্রাণায়াম করছে একদল বানপ্রস্থ পুরুষ, সঙ্গমের কখনও মেনোপজ দশা নেই

রুদ্রাক্ষরের কাছে ঝুলে থাকা গর্ভাশয়হীন আঙুর ফলের উপবৃত্তাকার স্নায়ুতন্ত্রের সাথে একদল কৌরবপুরুষ নীলাচল সমাঙ্গ রেখে দেওয়ার পর পালকহীন উড়ে যাচ্ছে ট্রাটোস্ফিয়ার ভেদ করে নির্জন নিরূপ প্রহরের দিকে,
আমাদের আর কোনও অসুখ নেই, অসুখের মত আর কোনও জরায়ুজ নেই, জরায়ুজের মত আর কোনও কপাললোচন নগর নেই, কাপালিকের মত আর কোনও স্বনক পুরুষ নেই, গন্ধর্ব নেই পিশাচ নেই, আমি নিজেই নিজেকে পিচ্ছিল তরল খেতে বলেছি বর্ণহীন অসুখ মিশিয়ে

লাল স্ফোটক বিন্দু নির্গত কাচ অথচ সাইটোপ্লাজমের মত ক্রোমোজোম ভাঙা নৈমিষারণ্যের ভাগবত মুনির মত পুরুষেরা এসে আমার ব্রহ্মাস্মি মণ্ডল বিদীর্ণ করে এসে কাপালিকের ধারালো তরোয়াল তুলে নেয় পাটিগণিতের অদৃশ্য শাখায়

ধনুকময় নীল সাপেরা বারবার আগুনের মত প্রেমিকাদের নিয়ে ঈশ্বরের শুক্রবীজ রোপণ করে যাচ্ছে মৃতভোজী হিরণ অভয়ারণ্যে
বৃহদন্ত্রের নিচে থাকা অঙ্গুরীমালেরা কুরুক্ষেত্র আর কিছু সাপের বিষাক্ত লাল কংক্রিট দাঁতগুলো উগরে দেওয়ার পর বারবার গর্ভবতী হয়ে নয়নজুলি অন্ধকার সারা রাতের দুই ঢোঁক খেয়ে নেয়
আর কোনও চন্দ্রগুপ্তের বিটা ক্যারোটিন শরীর নেই, সারা শরীরে অন্তঃক্ষরা থেকে ঘুরে আসছে সোমাটোট্রপিক ছায়া, আমি নীল মানুষের পুত্র
বেল পাতা খাই বেল পাতার মত কোনও এক শ্মশানবন্ধুর খোলসহীন বিন্দু উৎস সংসারে নেমে, সকলেই পোশাক পরে চতুর্ভুজ মশারি টাঙিয়ে রেখেছে জমাট রক্ত খাবে বলে

অদৃশ্য আর্যভট্ট আমার শরীরের অসংখ্য ব্রহ্মমণ্ডল ছেদ করে গান্ধারী টেলার্স আবিষ্কার করে ফেলল রাতের মধ্য প্রহরে,
স্বর্গীয় গুণধর জানা লাল জারবেরা ফুলের ভেতর শ্মশানবন্ধুদের হৃৎপিণ্ড পুঁতে দিচ্ছে একাদশ, দ্বাদশ, চতুর্ভুজ সন্ন্যাস পথ দিয়ে
আয়নায় তৃণভোজী প্রতিবিম্ব খুঁজছি অনামিকা নক্ষত্র দিয়ে

চিত্রণ: চিন্ময় মুখোপাধ্যায়
0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

Recent Posts

ড. সোমা দত্ত

রবীন্দ্রনৃত্যভাবনা: প্রেক্ষিত ও চলন [পর্ব ছয়]

রবীন্দ্রভাবনায় যে নৃত্যধারা গড়ে উঠল তা দেশিবিদেশি নৃত্যের সমন্বয়ে এক মিশ্র নৃত্যধারা, তৎকালীন শিক্ষিত শহুরে বাঙালির সংস্কৃতিতে যা নতুন মাত্রা যোগ করল। নাচের প্রতি একরকম আগ্রহ তৈরি করল, কিছু প্রাচীন সংস্কার ভাঙল, মেয়েরা খানিক শরীরের ভাষা প্রকাশে সক্ষম হল। এ কম বড় পাওনা নয়। আরও একটি লক্ষ্যনীয় বিষয় হল, শিল্পক্ষেত্রে ভাবের সাথে ভাবনার মিল ঘটিয়ে নতুন কিছু সৃষ্টির প্রচেষ্টা। গতে বাঁধা প্র্যাক্টিস নয়। নিজের গড়ে নেওয়া নাচ নিজের বোধ অনুযায়ী।

Read More »
ড. সোমা দত্ত

রবীন্দ্রনৃত্যভাবনা: প্রেক্ষিত ও চলন [পর্ব পাঁচ]

বাংলার মাটি থেকে একদা এই সুদূর দ্বীপপুঞ্জে ভেসে যেত আসত সপ্তডিঙা মধুকর। আর রবীন্দ্রনাথের পিতামহ, যাঁর কথা তিনি কোথাও প্রায় উল্লেখই করেন না, সেই দ্বারকানাথ-ও বাংলার তৎকালীন ব্যবসায়ীকুলের মধ্যে প্রধান ছিলেন। শুধু তাই-ই নয়, একদা তাঁর প্রিয় জ্যোতিদাদাও স্টিমারের ব্যবসা করতে গিয়ে ডুবিয়েছেন ঠাকুর পরিবারের সম্পদ। নিজে রবীন্দ্রনাথ বাণিজ্য সেভাবে না করলেও, জমির সম্পর্কে যুক্ত থাকলেও একদা বাংলার সাম্রাজ্য বিস্তার, বাণিজ্য-বিস্তার কী তাঁরও মাথার মধ্যে ছাপ ফেলে রেখেছিল? তাই ইউরোপ থেকে আনা বাল্মিকী প্রতিভার ধারাকে প্রতিস্থাপন করলেন জাভা বালির কৌমনৃত্য দিয়ে?

Read More »
ড. সোমা দত্ত

রবীন্দ্রনৃত্যভাবনা: প্রেক্ষিত ও চলন [পর্ব চার]

তৎকালীন দেশের বাস্তব সত্যের সঙ্গে মিলছে না বর্ণবাদ, উগ্র হিন্দু জাতীয়তাবাদ, মিলছে না পিকেটিং ও বিদেশি দ্রব্য পোড়ানোর আন্দোলন। রবীন্দ্রনাথ দেখতে পাচ্ছেন গ্রামে গ্রামে গরিব মানুষের খাওয়া নেই, নেই বেশি দাম দিয়ে দেশি ছাপ মারা কাপড় কেনার ক্ষমতা। দেখছেন পিকেটিংয়ের নামে গরিব মুসলমানের কাপড়ের গাঁঠরি পুড়ে যাচ্ছে যা দিয়ে সে তার পরিবার প্রতিপালন করে। রবীন্দ্রনাথ প্রতিবাদ করছেন তাঁর লেখায়। ‘গোরা’ ও ‘ঘরে বাইরে’ এমনই দু’টি উপন্যাস। গোরা ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয় প্রবাসী পত্রিকায়। পরে গ্রন্থাকারে প্রকাশ ১৯১০ সালে। ঘরে বাইরের প্রকাশকাল ১৯১৬।

Read More »
ড. সোমা দত্ত

রবীন্দ্রনৃত্যভাবনা: প্রেক্ষিত ও চলন [পর্ব তিন]

সনাতন হিন্দুত্বের কাঠামোয় মেয়েদের অবস্থান কী, তা নিশ্চিত অজানা ছিল না তাঁর। সে চিত্র তিনি নিজেও এঁকেছেন তাঁর গল্প উপন্যাসে। আবার ব্রাহ্মধর্মের মেয়েদের যে স্বতন্ত্র অবস্থান খুব ধীরে হলেও গড়ে উঠেছে, যে ছবি তিনি আঁকছেন গোরা উপন্যাসে সুচরিতা ও অন্যান্য নারী চরিত্রে। শিক্ষিতা, রুচিশীল, ব্যক্তিত্বময়ী— তা কোনওভাবেই তথাকথিত সনাতন হিন্দুত্বের কাঠামোতে পড়তেই পারে না। তবে তিনি কী করছেন? এতগুলি বাল্যবিধবা বালিকা তাদের প্রতি কি ন্যায় করছেন তিনি? অন্তঃপুরের অন্ধকারেই কি কাটবে তবে এদের জীবন? বাইরের আলো, মুক্ত বাতাস কি তবে কোনওদিন প্রবেশ করবে না এদের জীবনে?

Read More »
ড. সোমা দত্ত

রবীন্দ্রনৃত্যভাবনা: প্রেক্ষিত ও চলন [পর্ব দুই]

১৭ বছর বয়সে প্রথম ইংল্যান্ড গিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ। সেখানে ইংরেজদের বেশ কিছু সামাজিক নৃত্য তিনি শিখেছিলেন। সেদেশে সামাজিক মেলামেশায় নাচ বিশেষ গুরুত্ব পেয়ে থাকে, তা এখন আমরা একপ্রকার জানি। সদ্যযুবক রবীন্দ্রনাথ তাদেরই দেশে তাদের সাথেই নাচের ভঙ্গিতে পা মেলাচ্ছেন। যে কথা আগেও বলেছি, আমাদের দেশের শহুরে শিক্ষিত পুরুষরা নাচেন না। মূলবাসী ও গ্রামীণ পরিসর ছাড়া নারী-পুরুষ যূথবদ্ধ নৃত্যের উদাহরণ দেখা যায় না। এ তাঁর কাছে একেবারেই নতুন অভিজ্ঞতা এবং তা তিনি যথেষ্ট উপভোগই করছেন বলে জানা যায় তাঁরই লেখাপত্র থেকে।

Read More »
ড. সোমা দত্ত

রবীন্দ্রনৃত্যভাবনা: প্রেক্ষিত ও চলন [পর্ব এক]

প্রকৃতির কাছাকাছি থাকা, উৎপাদন ব্যবস্থার সাথে জুড়ে থাকা গ্রামজীবনের যূথবদ্ধতাকে বাঁচিয়ে রেখেছে, যা তাদের শিল্পসংস্কৃতিকে ধরে রেখেছে, নানান ঝড়ঝাপটা সত্ত্বেও একেবারে ভেঙে পড়েনি, তবে এই শতাব্দীর বিচ্ছিন্নতাবোধ একে গভীর সংকটে ঠেলে দিয়েছে। নগরজীবনে সংকট এসেছে আরও অনেক আগে। যত মানুষ প্রকৃতি থেকে দূরে সরেছে, যত সরে এসেছে কায়িক শ্রম থেকে, উৎপাদন ব্যবস্থা থেকে যূথবদ্ধতা ততটাই সরে গেছে তাদের জীবন থেকে। সেখানে নাচ শুধুমাত্র ভোগের উপকরণ হয়ে থাকবে, এটাই হয়তো স্বাভাবিক।

Read More »