Search
Generic filters
Search
Generic filters
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on whatsapp

কানু বিনে গীত নাই, রাধা সম প্রীত

ভারত তথা এই উপমহাদেশে দীর্ঘকাল ধরে শ্রীকৃষ্ণ তথা বৈষ্ণব ভাবধারাকেন্দ্রিক চিন্তাচেতনা বিস্তার লাভ করেছিল। শ্রীকৃষ্ণকে আমরা পাই মহাভারত, ভাগবত পুরাণ ও বিষ্ণু পুরাণে বহুলাংশে। ভারতবর্ষে ভক্তিবাদিতা গড়ে উঠেছিল যে-সব পৌরাণিক চরিত্রকে ঘিরে, তাঁদের মধ্যে শ্রীকৃষ্ণ অন্যতম। শৈব, শাক্ত, গাণপত্য (গণপতি/ গণেশের) উপাসকদের মতই বৈষ্ণবমতে বিশ্বাসী লোকের অভাব ছিল না উপমহাদেশে। যুগে যুগে ও কালে কালে এই বৈষ্ণব উপাসনা, পণ্ডিতেরা যার নাম দিয়েছেন ‘Krishna Cult’; তা বিকাশলাভ করে। তবে একথা ঠিক, শৈব এবং শাক্তদের যেমন সংখ্যাহীন মন্দির গড়ে উঠেছে হাজার হাজার বছর ধরে উপমহাদেশময়, সেরকম করে কৃষ্ণমন্দির গড়ে ওঠেনি। তার নানাবিধ কারণ রয়েছে, যা আমাদের আলোচ্য বিষয়ের বাইরে।

আমাদের অভিনিবেশ কেবল শ্রীকৃষ্ণকেন্দ্রিক সাহিত্য, যা হাজার বছর ধরে রচিত হয়ে বাংলায় এহেন প্রবাদেরও জন্ম দিয়েছে, ‘কানু বিনে গীত নাই।’ একথা বাংলার ক্ষেত্রে যেমন সত্য, তেমনই সত্য সমগ্র ভারত তথা উপমহাদেশ সম্পর্কে। দক্ষিণ ভারতে আলওয়ার সম্প্রদায় সুদীর্ঘকাল ধরে বৈষ্ণব। আবার উত্তর ভারতেও মহাভারত এবং ভাগবতের ব্যাপক প্রচারের ফলে বৈষ্ণববাদের প্রসারলাভ ঘটেছে। মধ্যযুগে এসে সন্ত কবি তুলসীদাসের হাতে যেমন রাম, তেমনই মীরাবাঈয়ের গানে কৃষ্ণমহিমা প্রচারিত। ঠিক একই সময়ে বাংলাদেশে শ্রীচৈতন্য আর আসামে শঙ্করদেবের বৈষ্ণবধর্ম প্রচার সমগ্র পূর্ব ভারতকেই প্রভাবিত করেছিল। কবীর ছিলেন আবার রাম-রহিমের সমন্বয়কারী। মধ্যযুগে মরমী কবি-সাধকেরা, জোলা, রজব, দাদ্দ, সুরদাস, রুইদাস, গুরুনানক, জ্ঞানদেব, রামদাস প্রমুখের মধ্যেও এই সমন্বয়ধর্মিতার লক্ষণ প্রত্যক্ষ করা যায়। সুফিবাদ, পিরবাদ বৈষ্ণবধর্মে প্রভাব বিস্তার করে একে অন্য এক মাত্রা দেয় বলে ঐতিহাসিকদের মত। বাংলার চিরায়ত আউলবাউল বলাহারী মাইজভাণ্ডারী সাহেবধনীর প্রভাবও কমবেশি বৈষ্ণব ভাবধারাকে গতিজাড্য দেয়।

শ্রীকৃষ্ণ চরিত্রের বিবর্তন ও কৌতূহল অনুধাবনযোগ্য। রাখালবালক থেকে তাঁর শৈশব যৌবন, নরলীলা, বৃন্দাবন থেকে দ্বারকায় চলে যাওয়া আর কখনও সেখানে ফিরে আসতে না পারা, তারপর মহাভারতের শ্রীকৃষ্ণ, পাণ্ডবদের সখা এবং পরামর্শদাতা থেকে ক্রমশ শ্রীকৃষ্ণের অবতারে উত্তরণ, তার ক্রম ও ধারাবাহিকতা রয়েছে। শ্রীকৃষ্ণকে নিয়ে বাংলা ভাষায় যে সুবিপুল, বিস্ময়কর ও শাশ্বতকালস্থায়ী সাহিত্য রচিত হয়েছে, আমাদের মূল আলোচ্য বিষয় সেটি। শ্রীকৃষ্ণের মত শ্রীরামকৃষ্ণ এবং গৌতমবুদ্ধও অবতার হিসেবে বন্দিত। কিন্তু এঁদের নিয়ে সাহিত্যরচনার এতটা ব্যাপ্তি নেই। আমরা বাংলা ভাষার কথা বলছি। আমরা এর গুরুত্ব বোঝার চেষ্টা করব।

পাশাপাশি আরও একটি অনুসন্ধিৎসা থাকবে আমাদের। দেখা গেছে শ্রীকৃষ্ণ-আশ্রিত কাব্য দ্বাদশ শতাব্দী থেকে শুরু করে বৈষ্ণব পদাবলি-বাহিত হয়ে পরবর্তীকালে যে মধুসূদন-রবীন্দ্রনাথ-কাজী নজরুল ইসলাম পর্যন্ত প্রসারিত, সর্বত্রই সেখানকার মূল বিষয় শ্রীকৃষ্ণ ও রাধার প্রেম। অর্থাৎ দেবতা বা অবতারের প্রেমগাথা। আবার এরই পাশাপাশি সমসাময়িককালেই প্রেমের ঐতিহাসিক, ধর্মনিরপেক্ষ ও লৌকিক একটি ধারাও সমান্তরালভাবে বয়ে চলেছিল বাংলা সাহিত্যে— লাইলা-মজনু, শিরি-ফরহাদ ইত্যাদি বিদেশি কাহিনির আত্মীকরণের মাধ্যমে, অন্যদিকে দেশীয় লোকায়ত ধারাকে আশ্রয় করে, যার মুখ্য প্রতিনিধি ময়মনসিংহ গীতিকা।

এইসব কাহিনির মধ্যে একটি সাধারণ মিল লক্ষ্য করি আমরা, যে কী বৈষ্ণবসাহিত্য, কী লাইলা-মজনু বা শিরি-ফরহাদ বা ময়মনসিংহ গীতিকা আর রাধাকৃষ্ণের কাহিনি, সবই ট্র‌্যাজিক। মহুয়া পালার মহুয়া ও নদের চাঁদের মধ্যে যে অবিনাশী ভালবাসা, তার পরিণতিতে যে বিধুরতা, রাধাকৃষ্ণের প্রেমও একই করুণ রসে আর্দ্র। কবিদের রসসৃষ্টিতেও ফারাক দেখি না। রাধার প্রেমানুভূতি বোঝাতে কবি লিখছেন (জ্ঞানদাস), ‘প্রতি অঙ্গ লাগি কান্দে প্রতি অঙ্গ মোর।’ এখানে ভালবাসার যে সর্বাতিশায়িতা, লাইলার পিঠে বেত্রাঘাত মজনুর পিঠে দাগ হয়ে দেখা দেওয়ার মধ্যেও তাই। বৈষ্ণব কবির রাধা ‘নিশ্চয় হইলাম দাসী’ বলে ঘোষণা করেন নিজেকে। অন্যদিকে, পরম কৃষ্ণভক্ত মীরাবাঈয়ের আকুতি, ‘ম্যয়নে চাকর রাখ জী।’ এই উভয় উচ্চারণ কি সমরেখ নয়?

রাধা-শিরি-মহুয়া-লাইলা ভালবাসায় তুল্যমূল্য, বিরহে সবাই অশেষ দুর্গতি ভোগ করেন, প্রতীক্ষায় কাটান কেউ প্রেমিকের জন্য, আবার কেউ মৃত্যুবরণ করেন। লাইলার কবর খুঁজে বের করবার জন্য মজনু কবরের গন্ধ শুঁকতে শুঁকতে হন্যে হয়ে অবশেষে মৃত, মাটির গভীরে সমাধিস্থ লাইলার শরীরের গন্ধ পেয়ে তাকে লাইলার কবর বলে চিহ্নিত করেন। ভালবাসার এহেন গভীর ও নাজুক অনুভবের বর্ণাভা পৃথিবীর যাবতীয় প্রেমকাব্যের মধ্যে একে অনন্য করে রেখেছে।

লাইলার মৃত্যুশোক মজনুকেও আত্মঘাতী করে। অন্যদিকে, রাধার ট্র‌্যাজেডি আরও ঘনবদ্ধ করে আঁকেন বৈষ্ণব কবিরা। রাধাকৃষ্ণের প্রলম্বিত অভিসার-শরীরী মিলন ইত্যাদির পর শ্রীকৃষ্ণের ডাক আসে মথুরায়, অত্যাচারী কংসকে বধ করতে হবে। দ্বারকা থেকে অক্রূর এসেছে রথ নিয়ে। অক্রূর, বৈষ্ণব কবির ভাষায় যার মত ক্রূর আর দ্বিতীয় হয় না, রাধাকৃষ্ণের এতদিনকার মিলনপ্রহরকে চিরকালের জন্য সমাপ্তি ঘোষণার জন্যই যেন তার রথ নিয়ে আগমন, ‘ক্রূর নাহি যা সম।’

কৃষ্ণ আর ফিরে এলেন না। কংসবধের পর মথুরার রাজা হয়ে বসলেন। এদিকে রাধা দিনের পর দিন প্রতীক্ষা করতে করতে একসময় মতিভ্রষ্ট হয়ে উপলব্ধি করতে লাগলেন, যেন কৃষ্ণ ফিরে এসেছেন। এই মতিভ্রম, hallucination আরও ট্র‌্যাজিক। রাধা মায়াময় কৃষ্ণকে দেখে বলছেন, ‘এত দিন পরে বঁধুয়া আইলে/ দেখা না হইত পরান গেলে।’ কৃষ্ণ ফিরে এসেছেন, মর্মে মর্মে এই অলীক বোধ জন্ম নিয়েছে তাঁর মনে। কৃষ্ণের সঙ্গে প্রথমদর্শনে যে মন ‘একদিঠ করি ময়ূর ময়ূরী কণ্ঠ করে নিরীক্ষণে।’ অর্থাৎ কৃষ্ণকে সেই মুহূর্তে চাক্ষুষ করতে না পেরে ময়ূর-ময়ূরীকে কাছাকাছি এনে রাধা কী দেখেছেন, না, কণ্ঠ। ময়ূরের কণ্ঠ নীল, কৃষ্ণের কণ্ঠও। দুই কণ্ঠ কেন? রাধার মানসিকতায় তখন এই বোধ, কৃষ্ণ ও তিনি সংলগ্ন হয়ে থাকলে কোন অনবদ্য নান্দনিকতা সৃষ্টি হবে তা দেখা। এই দেখতে চাওয়ার মধ্যে বেদনা থাকলেও তা ট্র‌্যাজেডি নয়, কেন না দুজনের অভিসারের উপক্রমণিকা রচিত হচ্ছে এখানে।

অন্যদিকে, ভ্রম করে কৃষ্ণকে দেখা ট্র‌্যাজেডির চূড়ান্ত সোপান, কেন না আমরা জানি, এক, কৃষ্ণ ফিরে আসবেন না আর, ছিন্ন খঞ্জনার মত দেবসভায় গিয়ে নাচের মাধ্যমে কৃষ্ণকে ফিরিয়ে আনার কোনও সম্ভাব্যতাই নেই রাধার। আর দুই, অদৃশ্য অগস্ত্যযাত্রায় গত কৃষ্ণকে রাধা প্রত্যাগত দেখতে পাচ্ছেন। দেখে বলছেন, ‘বল বল বঁধু কুশল বল/ তোমার কুশলে কুশল মানি।’ আরও বলছেন, যা তাঁর মতিভ্রমকে আরও গভীরতর মাত্রা দেয়, ‘মথুরানগরে ছিলে তো ভাল?’ বলা বাহুল্য, ‘থাকা’ ক্রিয়াটির বর্তমান কালে থাকা কৃষ্ণকে রাধা অতীত কালে পরিণত করছেন। সাধিকা মীরার কাছে তাঁর আরাধ্য শ্যাম শাশ্বত বর্তমান, তাই মীরার সর্বাঙ্গে অনুভূত কৃষ্ণময়তা এরকম, ‘পানি মে মীন পিয়াসী/ শুনত লাগত হাসি।’ এই এক বোধ, আর রাধার কী তুমুল বৈপরীত্য! এবং একই সঙ্গে কবি পুরুষের চেয়ে নারীর, এমনকি কঠিন শিলার চেয়ে নারীর সহনশীলতারও ধ্রুবত্ব প্রতিষ্ঠিত করলেন, ‘এতেক সহিলা রমণী বলে/ ফাটিয়া যাইত পাষাণ হলে।’ সন্ত কবি কবীর যে বলেছেন, ‘বিরহ হায় এক সুলতান’, সেই সুলতানিয়াতের বাসিন্দা রাধা। তাই বৈষ্ণব সাহিত্য ঘিরে প্রচলিত প্রবাদকে বর্ধিত করে স্বচ্ছন্দে বলা যেতে পারে, ‘কানু বিনে গীত নাই, রাধা সম প্রীত’।

মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যে বিচিত্র ধারায় যে ধর্মীয় ও ধর্মনিরপেক্ষ সাহিত্য রচিত হয়েছে, তাতে ট্র‌্যাজেডির প্রাধান্যই লক্ষ্য করি। এবং সেসব রচনার পাঠযোগ্যতা আজও রয়ে গেছে।

চিত্রণ: মুনির হোসেন

হাসান আজিজুল হক: আদ্যন্ত রসিকপুরুষ

আখতারুজ্জামান ইলিয়াস: অফুরন্ত মেজাজের মানুষ

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

Recent Posts

মলয়চন্দন মুখোপাধ্যায়

কবি-কিশোর সুকান্ত: মৃত্যুদিনে শ্রদ্ধার্ঘ্য

শৈশবেই জন্মস্থান কালীঘাট থেকে বেলেঘাটায় চলে আসেন। ওখানকার দেশবন্ধু বিদ্যালয়ে পড়াকালীন হাতেলেখা ‘সপ্তমিকা’ বের করতেন। বরাবর ভাল ফল করতেন বার্ষিক পরীক্ষায়। তবে ম্যাট্রিক পাশ করতে পারেননি, সম্ভবত অঙ্কে কাঁচা ছিলেন বলে। বাংলার তিন বরেণ্য কবি-ই দশম মান উৎরোননি। আর আজ ম্যাট্রিকে এঁদের তিনজনের লেখা-ই পাঠ্যতালিকায় অপরিহার্য! একটি কৌতূহলী তথ্য হল, রবীন্দ্রনাথের প্রয়াণে তাঁকে নিয়ে বেতারে স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন কাজী নজরুল এবং সুকান্ত। তাঁদের পরস্পরের সঙ্গে কি আলাপ হয়েছিল?

Read More »
মলয়চন্দন মুখোপাধ্যায়

বাঙালি রবীন্দ্রনাথ

রবীন্দ্রনাথের মধ্যে হিন্দু-মুসলমান সাম্প্রদায়িকতার বিন্দুমাত্র ভেদাভেদ ছিল না। বিশ্বভারতীতে তিনি বক্তৃতা দিতে উদার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন মুহম্মদ শহীদুল্লাহকে, কাজী নজরুল ইসলাম, আলাউদ্দীন খাঁ, কাজী আবদুল ওদুদকে। গান শেখাতে আবদুল আহাদকে। বন্দে আলী মিয়া, জসীমউদ্দিন প্রমুখকে তিনি কাহিনির প্লট বলে দেন, যেমন দেন গল্পকার প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায় বা মণিলাল গঙ্গোপাধ্যায়কে। সৈয়দ মুজতবা আলী শান্তিনিকেতনে পড়েন তাঁর-ই বদান্যতায়। লালন শাহ্ তাঁর কল্যাণেই পরিচিতি পান ইংল্যান্ড তথা ইয়োরোপে। বঙ্গভঙ্গকালীন সময়ে কলকাতার নাখোদা মসজিদে গিয়ে তিনি মুসলমানের হাতে রাখী পরিয়ে আসেন। বেগম সুফিয়া কামাল, আবুল ফজল, আবুল হোসেনের সঙ্গে তাঁর পত্রালাপ চলে, যেমন চলে হেমন্তবালা দেবী, বুদ্ধদেব বসু বা বনফুলের সঙ্গে। এক অখণ্ড বাঙালিয়ানায় বিশ্বাসী ছিলেন তিনি, জাতপাত, বর্ণ বা ধর্মের ঊর্ধ্বে।

Read More »
মলয়চন্দন মুখোপাধ্যায়

গুড ফ্রাইডে

রাজশক্তি যখন কাউকে বিপজ্জনক মনে করে, যেমন অতীতে সক্রেটিসকে মনে করেছে, তখন তাঁকে বিনাশ করতে যাবতীয় তৎপরতা দেখাতে কুণ্ঠিত হয় না। একথা অনস্বীকার্য, বুদ্ধদেব, হজরত মুহাম্মদ বা যিশু মানবজাতির মৌল একটি পরিবর্তন চেয়েছিলেন। যিশু যা চেয়েছিলেন, তার সরলার্থ রবীন্দ্রনাথ ‘মুক্তধারা’ নাটকে ধনঞ্জয় বৈরাগীর রাজার প্রতি যে উক্তি, তাতে স্পষ্ট করেছিলেন, ‘মানুষের ক্ষুধার অন্ন তোমার নয়, উদ্বৃত্ত অন্ন তোমার’। যেমন রসুলুল্লাহ সুদ বর্জনের নিদান দেন, সমাজে ধনী-দরিদ্রের পার্থক্য ঘোচাতে। এঁরা তাই মানবমুক্তির অগ্রদূত।

Read More »
মলয়চন্দন মুখোপাধ্যায়

সনজীদা খাতুন: শ্রদ্ধাঞ্জলি

সাতচল্লিশ-পরবর্তী পূর্ববঙ্গে বেশ কিছু সাংস্কৃতিক সংস্থা গড়ে ওঠে, যাদের মধ‍্যে ‘বুলবুল ললিতকলা একাডেমী’, ‘ক্রান্তি’, ‘উদীচী’ অন‍্যতম। রাজনৈতিক শোষণ ও পূর্ববঙ্গকে নিপীড়নের প্রতিবাদে কখনও পরোক্ষভাবে কখনও সরাসরি ভূমিকা রেখেছিল এইসব সংগঠন। ‘ছায়ানট’ এমনি আর এক আগ্নেয় প্রতিষ্ঠান, ১৯৬৭-তে জন্মে আজ পর্যন্ত যার ভূমিকা দেশের সুমহান ঐতিহ‍্যকে বাংলাদেশের গভীর থেকে গভীরতরতায় নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি দেশে সুস্থ ও সংস্কৃতিবান নাগরিক গড়ে তোলা। ওয়াহিদুল হক ও সনজীদা খাতুনের মানসসন্তান এই ছায়ানট। মূলত রবীন্দ্রনাথের আদর্শে গড়ে ওঠা সঙ্ঘ, কাজী নজরুলের প্রিয় নামটিকে জয়ধ্বজা করে এগিয়ে চলেছে বহু চড়াই-উৎরাই, উপলব‍্যথিত গতি নিয়ে।

Read More »
মলয়চন্দন মুখোপাধ্যায়

ঢাকায় বিবেকানন্দ: ১২৫ বছর পূর্তি

ঢাকায় এসে খুব বেশি বক্তৃতা দেননি তিনি। সম্ভবত তাঁর শারীরিক অসুস্থতাই তার কারণ। মার্চের তিরিশ তারিখে রমাকান্ত নন্দীর সভাপতিত্বে ঢাকার বিখ্যাত জগন্নাথ কলেজে (বর্তমানে এটি বিশ্ববিদ্যালয়) ভাষণ দেন। বিষয় ‘আমি কী দেখেছি’। শ্রোতার সংখ্যা ছিল দু’হাজার। পরদিন অর্থাৎ ৩১.০৩-এ বক্তৃতা দেন পোগোজ স্কুলে, তিন হাজার দর্শকের সামনে। বক্তৃতার বিষয় ছিল ‘আমাদের জন্মপ্রাপ্ত ধর্ম’। দুটি সভাতেই শ্রোতারা মন্ত্রমুগ্ধ, আপ্লুত ও উদ্বুদ্ধ।

Read More »
সুজিত বসু

সুজিত বসুর গুচ্ছকবিতা

বিলাপ অভিসার জল আনতে চল রে সখী, জল আনতে চল নিভু নিভু আলোর সাজে সূর্য অস্তাচলে শেষবিকেলের রশ্মিমালায় বুকে ব্যথার ঢল লজ্জা আমার আবির হয়ে

Read More »