Search
Generic filters
Search
Generic filters
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on whatsapp

‘ইদিকেও সমুদ্র সেদিকেও সমুদ্র’

কয়েক মাসের চাতকতুল‍্য প্রতীক্ষার অবসান ঘটল। ১০ আগস্ট। প্রিয় বান্ধবীর পরিবার ও আমার পরিবার মিলিয়ে মোট ৮ জন ভ্রমণপিপাসু মানুষ বেরিয়ে পড়লাম জি-প্লট অর্থাৎ গোবর্ধনপুরের উদ্দেশে। যাত্রাপথ বেশ যান-বৈচিত্র্যে ভরপুর আর হবে নাই বা কেন, পশ্চিমবঙ্গের প্রায় দক্ষিণ প্রান্তে অবস্থিত একটি দ্বীপ এটি। শিয়ালদহ স্টেশন থেকে লক্ষ্মীকান্তপুর লোকাল ধরে শুরু হল আমাদের যাত্রা। পৌনে দুই ঘণ্টা ট্রেন জার্নির পর লক্ষ্মীকান্তপুর। সেখান থেকে আমরা একটা নতুন (অন্তত আমার কাছে) বাহনে চড়ে বসলাম, যার নাম জিও গাড়ি। সেই গাড়ি জিওর স্পিডকে অনুকরণে কিঞ্চিৎ সফল হয়েছে বটে, তবে তা উন্নত যন্ত্রপাতির কারণে নয়। বরং ক্ষয়ে যাওয়া ফাঁপা দেহের কারণে। যাইহোক, লাগেজ সহ আটজন মানুষে বোঝাই হয়ে ছুটে চলল জিও গাড়ি। ব্রেকফাস্ট সারা, গল্পগুজব আর দুই পাশের জানলা দিয়ে উঁকি মারা সবুজের শোভা দেখতে দেখতে কেটে গেল ১ ঘণ্টা ১৫ মিনিটের পথ। আমরা এসে পৌঁছলাম রাম-গঙ্গা ঘাটে।

সবুজাভ জলের শান্ত দুলুনি।

আধ ঘণ্টা অপেক্ষার প‍র একটি ভটভটি নৌকায় চেপে আমরা রওনা দিলাম চাঁদমারি ঘাটের উদ্দেশে। সবুজাভ জলের শান্ত দুলুনি, দুই পাশের ম‍্যানগ্ৰোভ অরণ্য আর নীল আকাশের সাদা মেঘরাশি একটু একটু করে তৃষ্ণাবারি সঞ্চার করছিল আমাদের ভ্রামণিক হৃদয়ে। সওয়া এক ঘণ্টা পরে আমরা পৌঁছলাম চাঁদমারি ঘাটে, সেখানে আমাদের জন্য অপেক্ষা করছিল মোটর ভ‍্যান। ভ‍্যানে চাপতেই শুরু হল মজার পালা।

মেঘরাশি।

এর আগে যতবারই মোটর ভ‍্যানে চেপেছি বিশেষ ভাল লাগেনি, কিন্তু এই ভ‍্যান আমার এতদিনের দেখা মোটর ভ‍্যানের চেয়ে আকারে বড় আর মাথায় ছাউনি দেওয়া। লাগেজপত্র মাঝখানে রেখেও আটজন মানুষ চারপাশ দিয়ে বেশ স্বস্তিতে বসে গেলাম। মসৃণ পিচের রাস্তা দিয়ে চললাম আমরা দুই পাশে গাছে ঘেরা ঘন ছায়াপথ দিয়ে। চারিদিকে অজস্র জলাভূমি, মাছের ভেড়ি, চিংড়ি মাছের চাষ দেখতে দেখতে এগোতে লাগলাম আমরা। ১ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট বাদে আমরা হাজির হলাম আগে থেকে বুক করা হোম স্টে-তে। পেটে তখন চলছে খিদের হামলা; কোনও রকমে ফ্রেশ হয়ে বসে পড়লাম খাওয়ার টেবিলে।

ম‍্যানগ্ৰোভ অরণ্য।

বেশি না, মোটে ডাল, আলু ভাজা, পুঁইশাক চচ্চড়ি, চিংড়ির তরকারি আর নদীর ট‍্যাংরা মাছের কালিয়া দিয়ে দুপুরের পেটপুজো সম্পন্ন করলাম। তারপর সমুদ্রে নামার পরিবর্তে আমাদের কুটিরের পাশেই টলটলে পুকুরে আমরা নেমে পড়লাম কোমরে গামছা বেঁধে। খানিক দাপাদাপি করে উঠে ফ্রেশ হয়ে আমরা বেরিয়ে পড়লাম সমুদ্রের সন্ধানে।

সূর্যিমামা বিদায়ের আগে।

সে এক কাণ্ড বটে! দূর থেকে দেখতে পাচ্ছি, গর্জন শুনতে পাচ্ছি অথচ কোনও পথ দিয়েই তার কাছে আর পৌঁছে উঠতে পারছি না। মনটাই দমে গেল, শেষে কি পুকুরে দুটো ডুব দিয়েই বাড়ি ফিরে যেতে হবে! আঞ্চলিক লোকজনকে জিজ্ঞাসা করলেই বলেন, ‘ইদিকেও সমুদ্র সেদিকেও সমুদ্র।’ সব দিকে গেলেই সমুদ্র কিন্তু আমরা খুঁজে ফিরছি খ‍্যাপার মত। অবশেষে পেলাম দুটি ছোট্ট বন্ধুকে; অর্চিতা আর প্রীতিকা। ওরা আমাদের নির্দিষ্ট পথে পৌঁছে দিল সমুদ্রের পাড়ে।

বালুতট ও চারপাশের অপরূপ শোভা।

মুগ্ধ হয়ে গেলাম এই নির্জন সমুদ্র, তার বালুতট ও চারপাশের অপরূপ শোভা দেখে। সূর্যিমামা বিদায়ের আগে শেষ সম্ভাষণটুকু রেখে গেলেন আকাশ আর সমুদ্রের কাছে। সন্ধের পর কুটিরে ফিরে পেঁয়াজি-মুড়ি সহযোগে চলল আড্ডা আর রাতে মুরগির ঝোল দিয়ে নৈশভোজ সারা হল। যাদের তত্ত্বাবধানে আমরা ছিলাম তারা এতটাই ঘরোয়া রান্না করছিলেন যে, ‘তেল কম দেবেন, শুকনো লঙ্কার গুঁড়ো দেবেন না’ এসব আমাদের বলতেই লাগল না। পরের দিন ভোর থেকেই আমরা পূর্ণ মনোযোগ দিলাম সমুদ্র ও তার সৌন্দর্য উপভোগে। গোবর্ধনপুরের সমুদ্রে বালি ও কাদার প্রকোপ বেশ কম, তাই সমুদ্র-স্নান বেশ উপভোগ্য হল।

গোবর্ধনপুরের ভোর।

দুপুরে নানা রকম সুস্বাদু খাবারের সঙ্গে দেশি কাঁকড়ার তরকারি খেয়ে একেবারে আপ্লুত হয়ে গেলাম। সন্ধ্যায় সমুদ্র-শোভা পান করে ঘরে ফেরার পথে অন্য এক চমক তৈরি ছিল আমাদের জন্যে। আমার শিল্পী বান্ধবী ও তার পরিবারবর্গের সুবাদে আমরা এমন এক মানুষের সন্ধান পেলাম যিনি মৎস্যজীবী থেকে প্রত্নতত্ত্ববিদে পরিণত হয়েছেন এবং তৈরি করেছেন এক সংগ্ৰহশালা যা পাল্টে দিয়েছে সুন্দরবন সম্পর্কে আমাদের জানা সমস্ত চিরাচরিত ধারণা। খবর পাওয়ামাত্রই আমরা ছুটলাম তাঁর বাড়ি। গিয়ে যা দেখলাম তাতে তো চক্ষু ছানাবড়া আর যা শুনলাম তাতে ওই ভদ্রলোকের কাছে শ্রদ্ধায় মাথা নত হয়ে গেল।

গোবর্ধনপুর।

বিশ্বজিৎ সাউ। ক্লাস ফোর পাশ এই মানুষটি গত প্রায় সাড়ে তিন দশক ধরে সুন্দরবন অঞ্চল থেকে মাছ ধরা ও মাটি কাটার সুবাদে পেয়েছেন নানা প্রত্নতাত্ত্বিক জিনিসপত্র ও নগর সভ‍্যতার নিদর্শন। শুধু সেখানেই থেমে না থেকে তিনি প্রতিটি জিনিসের ইতিহাস জেনেছেন, বুঝেছেন ও পর্যালোচনা করেছেন। ২০১৫ সালে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য ইংরেজি পত্রপত্রিকায় তাঁকে ও তাঁর সংগ্ৰহসমূহ নিয়ে আর্টিকেল প্রকাশের পর প্রকাশ্যে আসেন তিনি। প্রায় প্রতিদিনই ইতিহাসের অধ্যাপক, পিএইচ. ডি.-র ছাত্ররা তাঁর কাছ থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য নিয়ে সমৃদ্ধ করছেন নিজেদের পড়াশোনা আর তার সঙ্গেই চলছে জ্ঞানের আদানপ্রদান।

সংগ্ৰহশালা।

বিশ্বজিৎবাবুও স্বীকার করলেন যে তিনিও সমৃদ্ধ হচ্ছেন এর ফলে। কিন্তু সেই সমৃদ্ধি শুধুই জ্ঞানের, অর্থের নয়। পর্যাপ্ত স্থান, আলমারি কিছুই নেই ওঁর কাছে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দুটি নতুন আলমারি দিয়েছে বটে কিন্তু তা ওঁর সংগ্ৰহের পরিমাণ অনুযায়ী কিছুই নয়। ওঁর স্ত্রীর গলা থেকে ঝরে পড়ল সংসার চালানোর সংগ্রামের কথা। তবুও দমে নেই এই গ্রামীণ ঐতিহাসিক, বুক দিয়ে আগলে রেখেছেন সংগ্ৰহশালা আর নিজের হাতে লিখছেন সুন্দরবনের ইতিহাস। যার মূল বিষয়, সুন্দরবন নেহাতই নদীর পলি-বালি দ্বারা গড়ে ওঠা ব-দ্বীপের অন্তর্ভুক্ত কোনও জায়গা নয়, সুন্দরবনের পলি-বালির নিচে চাপা পড়ে আছে হরপ্পা সভ‍্যতার সমসাময়িক কোনও সভ‍্যতা, যা এক সময় ছিল উর্বর ও উন্নত।

গোবর্ধনপুর সৈকত।

নিজের বক্তব্যের সপক্ষে যথার্থ প্রমাণও তিনি যোগাড় করেছেন। আজ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের সেমিনারে বক্তব্য রাখার ডাক পান তিনি। অবশ্য শিক্ষাগত যোগ্যতার অভাবে স্থায়ীভাবে কোনও উচ্চপদে থাকার অধিকার ওঁর নেই। আজও মাটি কাটা ও মাছ ধরাই তাঁর পেশা। ফিরে আসার তাড়া থাকায় ওঁর সঙ্গে দুই ঘণ্টার আলাপেই আমাদের ক্ষান্ত হতে হল। আরও অনেক কিছু ওঁর কাছ থেকে না জেনেই চলে আসার অতৃপ্তি নিয়ে আমরা ফিরলাম।

সকলের মুখে লেগে রয়েছে অমলিন হাসি।

১২ আগস্ট। দুপুরে টাটকা ইলিশ মাছের ঝাল খেয়ে দেড়টার খেয়া ধরে শুরু করলাম আমরা ফিরতি যাত্রা। নদী, মাঠ, জলাভূমির মধ্যে জেগে থাকা নরম কাদা-লেপা বাড়িগুলো দেখতে দেখতে ভাবছিলাম ওরা কেন পায়নি নীল-সাদা সরকারি পাকাবাড়ি? পরক্ষণেই ভাবলাম আরও অনেক কিছুই পায় না বলেই হয়তো ওদের রান্না তরকারি, ওদের ফোটানো দুধসর চালে অত্ত স্বাদ। তাই তো সমুদ্রের গ্ৰাসে ঘর খোয়ানো ফুচকা-দিদার মুখে নেই কোনও অভিযোগ, নেই কোনও হতাশা। বাড়ির উঠোনের শাক-পাতা, ঢ‍্যাঁড়শ, সবজি আর পুকুরের মাছের অনিশ্চিত লভ‍্যতা দিয়েই ভাত খাচ্ছেন চেটেপুটে। তাই তো উদয় থেকে অস্ত মাঠে-উঠোনে-বাড়ির চালে কাজ করা পুরুষ ও মহিলা সকলের মুখে দিনের শেষে লেগে রয়েছে অমলিন হাসি। ওরা তো গরিব নন! গরিব তো আসলে আমরা, যারা অনেক অনেক পাই আর তাই মাঝেমধ্যেই ব‍্যাগপত্তর গুছিয়ে ছুটে যাই ওদের কাছে; একটু দম নেব বলে, মনের মলিনতা মুছব বলে।

ছবি : লেখক
0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

Recent Posts

মলয়চন্দন মুখোপাধ্যায়

কবি-কিশোর সুকান্ত: মৃত্যুদিনে শ্রদ্ধার্ঘ্য

শৈশবেই জন্মস্থান কালীঘাট থেকে বেলেঘাটায় চলে আসেন। ওখানকার দেশবন্ধু বিদ্যালয়ে পড়াকালীন হাতেলেখা ‘সপ্তমিকা’ বের করতেন। বরাবর ভাল ফল করতেন বার্ষিক পরীক্ষায়। তবে ম্যাট্রিক পাশ করতে পারেননি, সম্ভবত অঙ্কে কাঁচা ছিলেন বলে। বাংলার তিন বরেণ্য কবি-ই দশম মান উৎরোননি। আর আজ ম্যাট্রিকে এঁদের তিনজনের লেখা-ই পাঠ্যতালিকায় অপরিহার্য! একটি কৌতূহলী তথ্য হল, রবীন্দ্রনাথের প্রয়াণে তাঁকে নিয়ে বেতারে স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন কাজী নজরুল এবং সুকান্ত। তাঁদের পরস্পরের সঙ্গে কি আলাপ হয়েছিল?

Read More »
মলয়চন্দন মুখোপাধ্যায়

বাঙালি রবীন্দ্রনাথ

রবীন্দ্রনাথের মধ্যে হিন্দু-মুসলমান সাম্প্রদায়িকতার বিন্দুমাত্র ভেদাভেদ ছিল না। বিশ্বভারতীতে তিনি বক্তৃতা দিতে উদার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন মুহম্মদ শহীদুল্লাহকে, কাজী নজরুল ইসলাম, আলাউদ্দীন খাঁ, কাজী আবদুল ওদুদকে। গান শেখাতে আবদুল আহাদকে। বন্দে আলী মিয়া, জসীমউদ্দিন প্রমুখকে তিনি কাহিনির প্লট বলে দেন, যেমন দেন গল্পকার প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায় বা মণিলাল গঙ্গোপাধ্যায়কে। সৈয়দ মুজতবা আলী শান্তিনিকেতনে পড়েন তাঁর-ই বদান্যতায়। লালন শাহ্ তাঁর কল্যাণেই পরিচিতি পান ইংল্যান্ড তথা ইয়োরোপে। বঙ্গভঙ্গকালীন সময়ে কলকাতার নাখোদা মসজিদে গিয়ে তিনি মুসলমানের হাতে রাখী পরিয়ে আসেন। বেগম সুফিয়া কামাল, আবুল ফজল, আবুল হোসেনের সঙ্গে তাঁর পত্রালাপ চলে, যেমন চলে হেমন্তবালা দেবী, বুদ্ধদেব বসু বা বনফুলের সঙ্গে। এক অখণ্ড বাঙালিয়ানায় বিশ্বাসী ছিলেন তিনি, জাতপাত, বর্ণ বা ধর্মের ঊর্ধ্বে।

Read More »
মলয়চন্দন মুখোপাধ্যায়

গুড ফ্রাইডে

রাজশক্তি যখন কাউকে বিপজ্জনক মনে করে, যেমন অতীতে সক্রেটিসকে মনে করেছে, তখন তাঁকে বিনাশ করতে যাবতীয় তৎপরতা দেখাতে কুণ্ঠিত হয় না। একথা অনস্বীকার্য, বুদ্ধদেব, হজরত মুহাম্মদ বা যিশু মানবজাতির মৌল একটি পরিবর্তন চেয়েছিলেন। যিশু যা চেয়েছিলেন, তার সরলার্থ রবীন্দ্রনাথ ‘মুক্তধারা’ নাটকে ধনঞ্জয় বৈরাগীর রাজার প্রতি যে উক্তি, তাতে স্পষ্ট করেছিলেন, ‘মানুষের ক্ষুধার অন্ন তোমার নয়, উদ্বৃত্ত অন্ন তোমার’। যেমন রসুলুল্লাহ সুদ বর্জনের নিদান দেন, সমাজে ধনী-দরিদ্রের পার্থক্য ঘোচাতে। এঁরা তাই মানবমুক্তির অগ্রদূত।

Read More »
মলয়চন্দন মুখোপাধ্যায়

সনজীদা খাতুন: শ্রদ্ধাঞ্জলি

সাতচল্লিশ-পরবর্তী পূর্ববঙ্গে বেশ কিছু সাংস্কৃতিক সংস্থা গড়ে ওঠে, যাদের মধ‍্যে ‘বুলবুল ললিতকলা একাডেমী’, ‘ক্রান্তি’, ‘উদীচী’ অন‍্যতম। রাজনৈতিক শোষণ ও পূর্ববঙ্গকে নিপীড়নের প্রতিবাদে কখনও পরোক্ষভাবে কখনও সরাসরি ভূমিকা রেখেছিল এইসব সংগঠন। ‘ছায়ানট’ এমনি আর এক আগ্নেয় প্রতিষ্ঠান, ১৯৬৭-তে জন্মে আজ পর্যন্ত যার ভূমিকা দেশের সুমহান ঐতিহ‍্যকে বাংলাদেশের গভীর থেকে গভীরতরতায় নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি দেশে সুস্থ ও সংস্কৃতিবান নাগরিক গড়ে তোলা। ওয়াহিদুল হক ও সনজীদা খাতুনের মানসসন্তান এই ছায়ানট। মূলত রবীন্দ্রনাথের আদর্শে গড়ে ওঠা সঙ্ঘ, কাজী নজরুলের প্রিয় নামটিকে জয়ধ্বজা করে এগিয়ে চলেছে বহু চড়াই-উৎরাই, উপলব‍্যথিত গতি নিয়ে।

Read More »
মলয়চন্দন মুখোপাধ্যায়

ঢাকায় বিবেকানন্দ: ১২৫ বছর পূর্তি

ঢাকায় এসে খুব বেশি বক্তৃতা দেননি তিনি। সম্ভবত তাঁর শারীরিক অসুস্থতাই তার কারণ। মার্চের তিরিশ তারিখে রমাকান্ত নন্দীর সভাপতিত্বে ঢাকার বিখ্যাত জগন্নাথ কলেজে (বর্তমানে এটি বিশ্ববিদ্যালয়) ভাষণ দেন। বিষয় ‘আমি কী দেখেছি’। শ্রোতার সংখ্যা ছিল দু’হাজার। পরদিন অর্থাৎ ৩১.০৩-এ বক্তৃতা দেন পোগোজ স্কুলে, তিন হাজার দর্শকের সামনে। বক্তৃতার বিষয় ছিল ‘আমাদের জন্মপ্রাপ্ত ধর্ম’। দুটি সভাতেই শ্রোতারা মন্ত্রমুগ্ধ, আপ্লুত ও উদ্বুদ্ধ।

Read More »
সুজিত বসু

সুজিত বসুর গুচ্ছকবিতা

বিলাপ অভিসার জল আনতে চল রে সখী, জল আনতে চল নিভু নিভু আলোর সাজে সূর্য অস্তাচলে শেষবিকেলের রশ্মিমালায় বুকে ব্যথার ঢল লজ্জা আমার আবির হয়ে

Read More »