পরাধীন ফরাসি-ভারতের মানুষদের সংগ্রামের কথা ভারতের আধুনিক যুগের ইতিহাসে এক উপেক্ষিত অধ্যায়। অথচ ফরাসি অধিকৃত চন্দননগর ছিল ভারতের সশস্ত্র বিপ্লবী আন্দোলনের অন্যতম ঘাঁটি আর ভারতে বামপন্থী ট্রেড ইউনিয়নের এক অন্যতম কেন্দ্র ছিল ফরাসি অধিকৃত পণ্ডিচেরী। ১৯৩৬ সালে কমিউনিস্ট নেতা বরদারাজুলু কৈলাস সুব্বিআ-র নেতৃত্বে এক রক্তক্ষয়ী আন্দোলনের মাধ্যমে পণ্ডিচেরীর কাপড়কলের মজুররা এশিয়ার মধ্যে প্রথম আট ঘণ্টা কাজের অধিকার আদায় করেন। এই আন্দোলনে শহিদ হয়েছিলেন ১২ জন মজুর।
ফরাসি ভারতের শিল্পঘাঁটি ছিল পণ্ডিচেরী। অনেকগুলো বড় কাপড়ের মিল ছিল সেখানে— সাভানা, রোডিয়ার ইত্যাদি ছিল খুব নামকরা। ১৯৩০-এর দশকে প্রায় ৭০০০ মজুর সেই কাপড়কলগুলিতে কাজ করতেন। দক্ষিণ ভারতের বস্ত্রশিল্পে অন্যতম কেন্দ্র ছিল পণ্ডিচেরী। ইংল্যান্ডের উপনিবেশের মত ফরাসি উপনিবেশেও শিল্পমজুরদের ওপর শোষণের মাত্রা ছিল অত্যাধিক, কোনও কোনও ক্ষেত্রে ইংরেজ উপনিবেশের থেকেও বেশি। উনিশ শতকের শেষ থেকেই মজুরদের অবস্থা ছিল দুর্বিষহ, সপ্তাহে ছ’দিন তাঁদের ১১ থেকে ১২ বা ১৪ ঘণ্টা কাজ করতে হত, আর একদিন অর্ধেক কাজ করতে হত, ব্রিটিশ ভারতে তখন এক শিফটে ১০ ঘণ্টা কাজের আইন চালু ছিল। পণ্ডিচেরীর কাপড়েকলে মজুরি ছিল সুব্বিআ-র ভাষায় “ফেমিন ওয়েজ”, দুর্ভিক্ষর সময়ের মজুরির মত। কাজ অনুযায়ী কাপড়ের কলে মজুরদের মজুরি ছিল মাসে ১০ আনা থেকে ১ টাকা বা ১৬ আনা। সেই সময় দশ কিলো চালের দাম ছিল ১ টাকা অর্থাৎ সারা মাসের প্রত্যেকদিন খেটেও সবচেয়ে বেশি রোজগেরে মজুরও তাঁর চারজনের পরিবারের জন্যেও একবেলার বেশি খাবারের যোগাড় করতে পারতেন না। এর সঙ্গে ছিল ১৪ বছরের কম বয়সিদের বেগার খাটানোর ব্যবস্থা। মহিলা মজুরদের জন্যেও সেরকম আলাদা কোনও বন্দোবস্ত ছিল না। কাজের পরিবেশ ছিল অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর। এই মজুরদের সিংহভাগই আসতেন স্থানীয় হরিজন সম্প্রদায় থেকে।
স্বাধীনতা সংগ্রামী সুব্রমনিআ ভারতী (১৯০৫-১৯১৫) ও ভি ভি এস আইয়ার (১৯১০-১৯২০) পণ্ডিচেরীতে আশ্রয় নিয়েছিলেন। ভারতী এখান থেকেই তামিল “ইন্ডিয়া” পত্রিকা প্রকাশ করে ব্রিটিশ ভারতে পাঠাতেন ও পণ্ডিচেরী থেকেই লাগাতার ভারতীয় জাতীয়তাবাদের প্রচারের কাজ চালাতেন। আইয়ার ফ্রান্স ও জার্মানির ভারতীয় বিপ্লবীদের মাধ্যমে পণ্ডিচেরী দিয়ে ভারতে অস্ত্র ঢুকিয়ে সশস্ত্র সংগ্রামের পরিকল্পনা করেছিলেন। খানিকটা এই দুজনের কাজকর্ম এবং লেখালিখির প্রভাবেই পণ্ডিচেরীর কাপড়ের কলের মজুরদের নিয়ে ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের উদ্যোগ গড়ে ওঠে। তবে সে ছিল খুবই শক্ত কাজ, কারণ ফরাসি উপনিবেশ পণ্ডিচেরীতে সে-সময় ট্রেড ইউনিয়ন বা রাজনীতি তো নিষিদ্ধ ছিলই, এমনকি কুড়িজনের বেশি জমায়েতেও ঔপনিবেশিক শাসকের অনুমতি লাগত। ফলে ট্রেড ইউনিয়নের তেমন উল্লেখযোগ্য কাজ হয়নি।
১৯০৮ সালে রোডিয়ার মিলে কিছু মজুর দৈনিক আধ-আনা মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে ১০ দিন ধর্মঘট করেন। তাঁদের সে-আন্দোলন সফল হয়। ১৯১০এ সাভানা মিলে কুড়ি শতাংশ মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে ধর্মঘট হয় কিন্তু সে-ধর্মঘট সফল হয়নি। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ, ১৯২৯-এর পরের বিরাট অর্থনৈতিক মন্দার ধাক্কায় সারা পৃথিবীর মত পণ্ডিচেরীতেও মজুরদের অবস্থা আরও খারাপ হয়ে পড়ে। ১৯৩০-৩১ এ অনেকগুলো ধর্মঘট হয় সেখানকার কাপড়ের মিলে। এই সময়ের পরে সেখানকার ট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলনের নেতা হিসেবে বরদারাজু কৈলাস সুব্বিআ-র উত্থান।
১৯২৮-এই ক্যালভে কলেজে ছাত্রদের নিয়ে সুব্বিআ একটি ছাত্র ধর্মঘটে নেতৃত্ব দেন ও ছ’মাস কলেজ থেকে সাসপেন্ড হন। পণ্ডিচেরীতে রাজনীতি নিষিদ্ধ হলেও সুব্বিআ ১৯৩০ সাল নাগাদ ভারতের কমিউনিস্ট আন্দোলনের ওয়ার্কাস অ্যান্ড পিজান্ট পার্টির ধাঁচে পণ্ডিচেরীতে ইউথ লিগ নামের একটি সংগঠন গড়ে তোলেন ও আরও বেশ কিছু সাংগঠনিক কাজ করেন। ম্যাট্রিকুলেশন শেষ করে সুব্বিআ কাজের খোঁজে মাদ্রাজে যান। সেখানে নীচুজাতির মানুষদের মধ্যে আত্ম-সম্মান আন্দোলন দেখে তিনি প্রভাবিত হন ও ১৯৩৩-এ পণ্ডিচেরীতে ফিরে সারা ভারত হরিজন সেবক সঙ্ঘ-র শাখা খোলেন। পণ্ডিচেরীর হরিজন বস্তিগুলোর মানুষদের নাগরিক অধিকার ও নানান সমাজসেবার কাজ শুরু করেন। পণ্ডিচেরীর হরিজন সম্প্রদায়ের মানুষরা ছিলেন হয় কৃষিমজুর অথবা কাপড়কলের মজুর। তখন পণ্ডিচেরীর কাপড় কলগুলোয় প্রায় ৭০০০ মজুর কাজ করতেন। হরিজন বস্তিগুলোতে মানুষগুলোর দুর্বিষহ জীবনযাপন দেখে সুব্বিআ-র চিন্তায় পরিবর্তন আসে। নীচু জাতির সেবা নয়, তাঁদের অর্থনৈতিক বিষয়টিই তাঁর কাছে প্রাধান্য পেতে আরম্ভ করে। সুব্বিআ-র নিজের ভাষায়,
‘… [self-respect movement] brought me in closer contact with the lives of Harijans in cheri (slums). The miserable and appalling conditions to which a considerable section of our society was subjected, was not only shocking and revealing to me but also provoked my thoughts to examine deeply into the basic economic cause for this state of affairs in the society’
এরপর তিনি ট্রেড ইউনিয়নের কাজে যোগ দেন। এই সময়ই ব্রিটিশ ভারতের কমিউনিস্ট নেতা আমির হায়দার খান ও এফ সুন্দরায্য-র সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ হয়। এঁরা তখন গোপনে মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সিতে ট্রেড ইউনিয়নের কাজ করছিলেন। ১৯৩৪-এ ফ্রান্সে মজুরদের ধর্মঘট ব্যাপক আকার ধারণ করে। সে ঘটনাও পণ্ডিচেরীর ট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলনে উৎসাহ যুগিয়েছিল।
পণ্ডিচেরীর কাপড় কলে ১৯৩৫ সালের আন্দোলন:
১৯৩৫-এর ফেব্রুয়ারি মাসে সাভানা মিলের মজুররা বিভিন্ন দাবিতে লাগাতার ধর্মঘটে যান। প্রধান দাবিগুলি ছিল:
* দৈনিক ১১, ১২ বা ১৪ ঘণ্টার বদলে মজুরদের কাজের সময় ১০ ঘণ্টা করতে হবে।
* দৈনিক মজুরি তিন আনা থেকে বাড়িয়ে ছ’আনা করতে হবে।
* চোদ্দ বছরের কম বয়সিদের মিলের কাজে লাগানো নিষিদ্ধ করতে হবে।
* গর্ভবতী মহিলা মজুরদের অর্ধেক বেতনে ছুটি দিতে হবে।
* রাত্তিরের শিফটে মহিলা মজুরদের কাজ করানো চলবে না।
লাগাতার ৮৪ দিন ধর্মঘট চলার পরে কর্তৃপক্ষ ট্রেড ইউনিয়নের সঙ্গে সমঝোতায় আসতে বাধ্য হয় এবং বেশ কিছু দাবি পূরণ হয়। কাজের সময় দশ ঘণ্টা করা হয়, গর্ভবতী মহিলাদের একমাসের অর্ধেক বেতনের ছুটি দেওয়ার ব্যবস্থা হয়, দৈনিক মজুরি তিন আনা থেকে ছ’আনা করা হয়।
এই ধর্মঘটের সাফ্যলের পরে একটি মজুর কনফারেন্স-এ পণ্ডিচেরীতে ট্রেড ইউনিয়নকে আইনি করার দাবি করা হয় এবং আন্তর্জাতিক শ্রম সংগঠন (আই এল ও)-এর স্বীকৃত শ্রমিকদের অধিকারগুলিকে পণ্ডিচেরীর কাপড়ের কলের শ্রমিকদের দেওয়ার দাবি করা হয়। এই দাবিসনদ পাঠানো হয় ফরাসি সরকার এবং আই এল ও-র কাছে। ফ্রান্স ছিল ১৯১৯ সালের আই এল ও-র কনভেনশনের সিদ্ধান্তে অন্যতম স্বাক্ষরকারী। মজুরদের সুরক্ষা ও সুবিধা সংক্রান্ত নানান অধিকারের কনভেনশন-স্বীকৃত সিদ্ধান্তগুলি ফ্রান্স উপনিবেশগুলিতেও মানবে বলে রাজি হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে তার কিছুই হয়নি। কিন্তু ১৯৩৫-এর ৮৪ দিনের লাগাতার ধর্মঘট ফরাসি সরকারকে পণ্ডিচেরীতে সেই সমস্ত সিদ্ধান্তের কিছু কিছুতে সম্মতি জানিয়ে একটি ডিক্রি জারি করতে বাধ্য করে। কিন্তু ট্রেড ইউনিয়নের স্বীকৃতির মান্যতা সেই ডিক্রিতে দেওয়া হয়নি। কাগজে-কলমে ডিক্রিতে কিছু সুবিধের উল্লেখ থাকলেও বাস্তবে তার প্রয়োগ হয়নি।
পণ্ডিচেরীর কাপড়কলে ১৯৩৬ সালের আন্দোলন:
ট্রেড ইউনিয়নের স্বীকৃতির দাবি ও ফরাসি সরকারের ডিক্রিতে উল্লিখিত সুবিধেগুলির বাস্তব প্রয়োগের দাবিতে ১৯৩৬-এর ২৯ জুলাই সুব্বিআ-র নেতৃত্বে বড় কাপড়ের কলগুলিতে মজুররা মিল দখল করে ধর্মঘট শুরু করেন (স্টে ইন স্ট্রাইক বা সিট ডাউন স্ট্রাইক)। ৩০ জুলাই সেই ধর্মঘট ভাঙতে পণ্ডিচেরীর ঔপনিবেশিক শাসক ও মিলগুলির কর্তৃপক্ষ বলপ্রয়োগ করে। পুলিশ, সেনা এবং মিল কর্তৃপক্ষর লোকজন ধর্মঘটী মজুরদের ওপর যথেচ্ছ গুলি চালায়। ১২ জন ধর্মঘটী মজুর নিহত হন ও অনেকে আহত হন, সুব্বিআ-র নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়। নিজেদের অধিকারের দাবিতে এতজন মজুরের আত্মবলিদান এ দেশের ট্রেউ ইউনিয়নের ইতিহাসে বিরল।
এ ঘটনায় আলোড়ন পড়ে যায় ফ্রান্সে। কমিউনিস্ট ও সোশালিস্ট পার্টির চাপে ফ্রান্স সরকার একটি প্রতিনিধি দল পণ্ডিচেরীতে পাঠান। সুব্বিআ প্যারিসে যান মজুরদের দাবি নিয়ে। ১৯৩৬-এর অক্টোবর মাসে পণ্ডিচেরীর মজুরদের দাবি মেনে নেওয়া হয়। যে দাবিগুলি প্রাণের বিনিময়ে কাপড়কলের মজুররা আদায় করেছিলেন, সেগুলির মধ্যে প্রধান হল:
* আট ঘণ্টা দৈনিক কর্মসময় নির্ধারিত হয়। পণ্ডিচেরীতেই এশিয়ায় প্রথম আট ঘণ্টা কাজের দাবির অধিকার স্বীকৃত হয়। আট ঘণ্টা ওপর কাজ করলে দৈনিক মজুরির ১৫০ থেকে ২০০ শতাংশ ওভারটাইম স্বীকৃত হয়।
* ট্রেড ইউনিয়নগুলি স্বীকৃতি পায়। যে কোনও সমঝোতায় সংঘবদ্ধভাবে শ্রমিকরা যোগ দেবেন— সেই দাবি স্বীকৃতি পায়।
* কোনও মজুর মিলে ২৫ বছর বা তার বেশি কাজ করে অবসর নিলে শেষ মজুরির ৪০ শতাংশ পেনশন হিসেবে পাবেন— সেই দাবিও আদায় হয়।
* মহিলা মজুরদের ছ-সপ্তাহ পুরো বেতনে মাতৃত্বকালীন ছুটির দাবি স্বীকৃতি পায়।
* মা-মজুরদের শিশুদের স্তন্যপানের জন্যে কর্মসময়ে দৈনিক আধঘণ্টা ছুটির দাবি আদায় হয়।
* কর্মরত অবস্থায় মজুরের মৃত্যু হলে পরিবারের কাউকে চাকরি দেওয়ার দাবি স্বীকৃত হয়।
* কাজ করতে করতে কোনও দুর্ঘটনা ঘটলে মজুর বা মজুরদের চিকিৎসার খরচ দেবে মিল কর্তৃপক্ষ এবং যতক্ষণ মিল চলবে ততক্ষণ মিলে একজন চিকিৎসক উপস্থিত থাকবেন— এই দাবিগুলিও আদায় হয়।
* সপ্তাহে একদিন ছুটির দাবি স্বীকৃত হয়।
২০০৫ সালে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (CPI)-র তরফ থেকে পণ্ডিচেরীতে ওই ১২ জন শহিদের স্মরণে একটি শহিদস্তম্ভ তৈরি করা হয়েছে।
পণ্ডিচেরী মানে শুধু অরোভিলের বিদেশি সুগন্ধী আর মিস্টিক জগৎ নয়, পণ্ডিচেরী মানে মজুরদের ঘাম-রক্ত-প্রাণ ঝরানো অধিকার আদায়ের লড়াইয়ের ক্ষেত্রও বটে। এই আন্দোলনের ইতিহাস পড়ে আজকের মজুর কর্মচারীরা বোঝার চেষ্টা করবেন যে, বর্তমানে আপনার ভোগ করা কোনও অধিকারই কিন্তু কোনও সরকার বা কর্তৃপক্ষ স্বেচ্ছায় বা ভালবেসে দেননি, অনেক লড়াই, অনেক আত্মত্যাগের ফল হিসেবে আজ আপনারা এই অধিকারগুলি ভোগ করছেন।
ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর থেকেই সে-পার্টি কাজ করেছে বিভিন্ন শিল্পক্ষেত্রের মজুর এবং কৃষিমজুর, ভাগচাষি, ছোট চাষিদের নিয়ে। অনেক লড়াই আন্দোলন হয়েছে, অনেক অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সমীক্ষা করলে দেখা যাবে কৃষি ও শিল্পক্ষেত্রের এই গরিব খেটে-খাওয়া মানুষগুলোর সিংহভাগই ছিলেন তথাকথিত নীচু জাতের এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ। কিন্তু যে পরিচয় গরিব খেটে-খাওয়া মানুষকে ভাগ করে সেই জাত বা ধর্মর পরিচয়ে নয়, ভারতের কমিউনিস্ট পার্টিগুলি চেষ্টা করেছে যে পরিচয় গরিব খেটে-খাওয়া মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে সেই অর্থনৈতিক শ্রেণিকে কেন্দ্র করে লড়াই-সংগ্রাম গড়ে তুলতে। পণ্ডিচেরীর ১৯৩৫-৩৬-এর ট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলন এমনই এক আন্দোলন। যা ভারতের ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় অধ্যায়।
তথ্যসূত্র:
“Subbiah, Trade Unionism and Colonial Struggle in French India”. Francis Kuriakose and Deepa Kylasam Iyre. Available in Researhgate.
“Trade Unions and Liberation of Pondicherry”. M. P. Sridharan. Available in JSTOR.
অনেক কিছু জানতে পারলাম। খুব ভালো ও তথ্যসমৃদ্ধ লেখা।