নীলগিরি
আজ কি দখিনা বাতাস
পাতা ঝরানো মর্মর শব্দ।
জাগে ছেলেবেলা— স্মৃতি
কোকিলের ডাকে যৌবন থমকে দাঁড়ায়
রজতমূল্যে কেকা কি শোনা যায়?
যেন এক রসিকতা
নীলগিরি পর্বতের নীচে যেন আছে
কৃষ্ণলীলার মিলনমেলা।
***
পাথুরে
ইট কাঠ পাথর গাঁথা শহর
বাঁচার জন্য একটু আশ্রয়
মাথা থেকে ঝরছে বন্যা
বন্ধ করে দিয়ো না কখনও…
একটি, আরও কত পাখি
জল খেল, তৃষ্ণা মেটাল
কেউ দেখে কি?
জীবন তরঙ্গ চলছে
ইট কাঠ পাথরে গাঁথা শহরের ভিতর।
***
দাগ
ধুলো মাখা সোনার বাটি
দাগ কেটে যায়…
রক্ত লাগা কালো রাস্তা
সাদা পাথরের মধ্যে
আবছা হয়ে আসা বর্ণহীন
লেশমাত্র, আশার শেষ আলো।
***
অন্ধকার
এখন পেন ধরলে হাত কাঁপে
দশটা দুই-এর লোকাল
ধূমপান করার রাস্তা
বেঞ্চি আর ব্ল্যাকবোর্ডে শূন্য।
থেকেও হয়তো আছে
আমি নেই…
খাপ না লাগিয়ে লেখার অভ্যেস
রঙিন স্বপ্নমাখা চোখ
সিগারেট ছাই মিশে গেছে ধুলো…
পেন ধরলে মধ্য আকাশে সূর্য
মুখ লুকায়—
এখন অন্ধকার…
***
পথ
সিন্ধু জয় তো হল না
অভিযানে চাকার দাগ
বৃষ্টি ভেজা মাটি, কত ধুলো…
আজও আকাশে ওড়ে পথের নতুন বাঁক,
স্মৃতির বেদনা কুয়াশা ঢাকা
পায়ে ধুলো
আবছা দৃষ্টি
পথ হেঁটে আজও চলা।