জল আগুন আকাশ বাতাস মাটি
জলের শরীরে ছিল টান
কী শীতল, শান্ত অপার
সাঁতারু তো বেহুঁশ হবেই—
নদী জানে সব পারাপার।
সে দেখেছে জেগে ওঠা চর
ভাঙন জেনেছে দুই পাড়
নদী তাই সতর্ক ভারি—
আবারো কি এসেছে আষাঢ়?
আয় না নদীর কাছে যাই
থাকুক জলেই ফাঁড়া… ছাই!
২
আগুন সে ছোঁয়নি কখনো
তবু কাছে গেল দ্বিধাহীন
পুড়ে পুড়ে স্বর্ণ যে হবে—
আগুনের কাছে থাক ঋণ!
অথচ সময় দোলাচলে
বয়ে যায়, প্রহরটি কাটে
যাবতীয় বৈভবে যখন
আগুন দাঁড়িয়ে চৌকাঠে!
দ্যাখ, যা জ্বলছে ধিকি ধিকি—
আগুনের পরশমণি কি?
৩
একদিন তারাটিকে দেখে
যে আলোয় সদাগর, বেনে
সমুদ্রে পথ খুঁজেছিল—
চাঁদ বুঝি সে আলোটি চেনে!
ডুবন্ত জাহাজেরা জানে
আকাশে অনেক তারা, ভিড়
তবুও সে চাঁদের নিবিড়ে
জ্বলছে অমোঘ ধ্রুব স্থির।
সে তারাকে দিই আজ নাম—
আলোর মায়ায় জড়ালাম!
৪
দুপুর অসহ, তবু বুঝি
সুর ছিল বাতাসে, উজানে
যে বাতাস অজুত বছর
বয়ে চলে, সকলেই জানে।
ভিখিরি বাউল হল আজ
বাতাসে ওড়াল সংসার
হাত পেতে দাঁড়াল, যেখানে
গানখানি রাখা আছে তার…
শোন, ওই একতারা-গান
ভিখিরির অশ্রুপুরাণ…
৫
কুমোরপাড়ায় ভোর হলে
জেগে ওঠে ঘুমচোখ, মন
সে যে এক উপাসনাঘোর
শিল্পী তো তখন শ্রমণ!
যে মাটির অন্তরে আলো
তাকে ছেনে-ছুঁয়ে জাগে প্রাণ
ছুঁয়ে থাকে সেই ক্ষত যাতে
মৃত্তিকা পুষে অভিমান!
এভাবেই রোজ ঘাম মাটি
ছুঁয়ে গড়ি কার প্রতিমাটি?
সৌগতদার কবিতা … অনেক অনেক যুগ পরে!!! “আত্মগত স্বপ্নবীজ…” থেকে এই যাত্রা মহীরূহ হোক।