হয়তো এইরকম
গরমে চর্বিবহুল গলে যায় যে গান
সুরের নালায়
দীর্ঘজীবনের বাঁকগুলো
লিরিক্যাল বীর্যবান
তোমার মক্কেল
তার তানহা ধরে রাখবে
ওটিটির আত্মা
রক্তপাত ছাড়া এই তথৈবচ প্রেম
বৃষ্টি এলে যে ‘বৃষ্টি’ নামের হারানোদের মনেই পড়বে
এমন না যেহেতু,
চিকা-মারা দেয়ালের
গা-গতর থেকে উদ্ধার করা
একাদশ পার্টি কংগ্রেস
বিপ্লব ভিজে যাচ্ছে আপাতত
যারেই পুড়তে দ্যাখো
শেষপর্যন্ত জ্বলে শুধু
আগুনের অন্তর
‘১২ই মে’ শুনে
কাকে মার্ক দেবে বেশি
পিটার স্টারস্টেড নাকি অঞ্জন
যাকে তুমি বয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছ
এ শহরে
সে আসলে তোমার কবর।
*
সকাল সকাল
কত কথা বলে
কত কিছু ছিঁড়ে
তীব্র তাজা ক্ষুধায়
কিছু না পেয়ে
খেয়ে-টেয়ে
বাসি বার্গার;
যা চমকায় সবই কি বিদ্যুৎ?
গ্লাসভরা ছন্দের দুধ।
বুকোস্কির বাক্যে
কোহেনের গানে
তুমি থাকলে
এহেন হালফিলে
প্যারাডাইস বাঁচল
যত পাস্ট টেন্সে।
চোখের চাখাতে
কাজ হয়ে গেলে
কে এর চে’ নীচে নামে!
কবরে নামার আগে
নানাপ্রকার নীচে নামা
প্র্যাক্টিস করা লাগে।
কোনো না কোনো
শালার ছেলের
মিটিংয়ের মিনিটসে
আমাদের উপরে ওঠা
নিশ্চিত হতে পারে।
শিয়াল-শকুনের
লালায় ভিজার আগে
এই গরমে কুরবানি হব
কতটা শেয়ারে;
তারও আগে এ আদম
পাবে কি আষাঢ়ি কদম?
নাকি ঘামের মল্লারে,
ভেজা আন্ডারওয়্যারে
দুনিয়াদারির আগুনে পুড়ে
কোনো শান্ত সাবওয়ে ধরে
ঢুকে পড়বে তার
ব্যক্তিগত শান্তিনিকেতনে
কিংবা
অশান্তির হেডকোয়ার্টার্সে!
*
কিয়োরোস্তামির বার্থডে নোট
এখন অতিসকাল
ঘরে গুমোট, বাইরে বৃষ্টি।
তেহরানের কোনো কবরের
ছায়া এসে দোল খায়
নবোদয় হাউজিংয়ের বিছানায়।
আসন্ন আস্ত দিনের
সবজেটে-রক্তমাংসল দেহের
স্যুপ, কিমা, কারির স্বাদ
চেখে দেখা হয়
ঘুমঘুম রসনায়।
ছেলেটা দৌড়ায়
মেয়েটা পালায়
অলিভের ছায়ায়
মহাকালের লুকপলান্তি খেলায়
বারবার এই বান্দার পা হড়কায়।
খালি রাস্তায়
আরোহীশূন্য গাড়িটা ছুটে যায়
বন্ধ মিউজিয়ামের দরোজায়;
আজ কত নম্বর বিপদসংকেত?
সব মাছধরা ট্রলারকে
উপকূলের কাছাকাছি
অবস্থান করতে বলা হয়েছে।
বৃষ্টি জোর বেগে না
তবে আকাশে কালো মেঘ
মাটিতে কাদার ক্লোজআপ!
কিয়োরোস্তামির কবর থেকে
০৩টা ফুল
০৫টা প্রজাপতি
০১টা হাওয়া এসে
সকালটা বুড়ো হওয়ার আগেই আমাকে
গোধূলির মায়ার মতো
ঝরিয়ে দিয়ে যায়।