অকাল বারিশ
আহা বৃষ্টি মেঘ ঝাপসা,
অনাসৃষ্টি ভেজা রিক্সা।
কাক ভিজছে একা ফুটপাত
মন খুঁজছে ছুঁতে দুইহাত।
জল ছপছপ ডেঁপো স্কুলবয়
ভিজে সপসপ মিছে দেরি হয়।
স্রোত ভেঙে যায় ভিতু মেয়েটি
কাদা জলেতে বাস গুমটি।
হাওয়া বিমানে শাড়ি উড়ে যায়
চুপ বউটির চোখ খোঁজে হায়।
প্রিয় সুখ বুঝি বুকে ধামসায়
একা বারিশ বুক চমকায়।
আজ কেন আর বারমুখো হও
বাদরের সাঁঝে প্রেমে বর্ষাও।
ঝমঝম সুরে শহরের নেশা
বৃষ্টি মানেই ইতি ভালবাসা।
*
স্বাতন্ত্র্য
ভেবেছি সব দেওয়া হয়েছে পূর্ণ করে,
যা কিছু স্থাবর, মন মনন জঙ্গমতা শরীরের,
ঋণভারে জীর্ণ নয় কখনো, নিঃশেষ সব।
কেউ যদি এ দেওয়া নিতে নাই পারে,
নির্বোধ মদমত্ত শাসক অথবা সামন্ত স্বামী;
দুর্ভাগ্য!
এমনও নমুনা আছে অনেকের কুঠিবাড়ি,
মান মর্যাদা ভাব গাম্ভীর্যের পরাকাষ্ঠা,
প্রকৃত অসহায় পরাজিত অপদার্থ পলাতক।
তুমি কটাক্ষ হেসে চলে যেয়ো, দাসত্ব কিংবা
স্ত্রী শব্দের অপমান সাপেক্ষে, তাকিয়ো না
পেছনে তোমার তুচ্ছতম মূর্খ পরিচালক,
এই পীড়া মুছে যাক, মুছুক লাঞ্ছিত পরিচয়।
*
দোজখের দরজাটা খোলা
আমিও পাখির মতো স্বভাব উড়ুক্কু
নিজে একলা রাত্রির কাছে নির্ঘুম,
. দোজখের চোরাপথে
. কাঁটাতার ছিঁড়ে ফেলে
ঢুকেছি একবুক ভালবাসা নিয়ে,
অপেক্ষার তারাদের সেই উষ্ণতা সুখ দিয়ে
মৃত্যুর মতো ঠান্ডা হয়ে যাব অচিরেই,
. হিমঘরে আজ নৈঃশব্দ্য নেই!
কারা যেন শ্রীনাথ নামে ডাকছে তোমায়,
তুমিও খামখেয়ালি নিঠুর,
বধ্যভূমি কি পরিত্যাগ করে গেলে?