ইশারা
‘রাতে এসো’
বলেছিলে ইশারায়
নাভিমূলে সংখ্যাতীত গোলাপ ফুটিয়ে
*
স্নায়ুডাল
হাওয়া বয় স্নায়ুডালে
লকুচ ফলেরা সব স্তনের বোঁটার মতো দোলে
শাঁসে-বীজে মধু, নেশা
জিভে জিভে লবণ-শুশ্রূষা
কোষে কোষে গাঢ় লীলা
কোষে কোষে ঝরে পড়ছে সোনা
*
বাঘিনিকে
সোনার বাঘিনি, খোলো শয়নকুঠুরি। দাও সহজ প্রবেশ
তোমার চির-অভিযোজক, আশ্রয়ণীয় যোনির স্বেদ ও শিশির থেকে
তুমি কাউকে বঞ্চিত কোরো না
অভ্রমে পড়া, অনভিজ্ঞ তরুণ বাঘের জন্য
রেখো কিছু রতি-স্বস্ত্যয়ন
বাঘটির জন্য তুমি অবারিত করে দাও শয়নকুঠুরি, দয়াশীলা!
কেননা, প্রতিসাম্যে জ্বলমান তোমার বিখ্যাত যোনি
প্রতিটি আলাভোলা তরুণ বাঘকে
পরম স্নানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে থাকে
*
ছায়া ও শিকারি
প্রতিটি আলাদা রকম জঙ্গলে
পূর্বপুরুষের আদিম শীতার্ত রাতে
উষ্ণতার প্রয়োজনে নাচ
দলছুট একাকী জন্তুর কান্না
লোমশ বাহুতে মাথা কাত করে থাকা— আর
আধখাওয়া ফলের ম্যাজিক ভুলে
গাছেদের আকৃতি, রূপ, রঙের পরীক্ষা নিতে
বুটজুতা পায়ে আমি
বায়ু-স্ফোটকের গ্যাসীয় বলের মতো
শব্দহীন দ্রুত যাব জন্তুদের ছায়ার পেছনে