হ্লাদিনীর বারোমাস্যা
হ্লাদিনীর বারোমাস্যা চলে শহরের শতাব্দীপ্রাচীন কোঠাবাড়িটায়,
পাশেই নূতন পানশালা, কানাই, বলাই আসে নিতি
সাঁঝের বেলায় হয় হুল্লোড়,
মাতোয়ারা হয় প্রেমে সবক’টা।
পেছনের দেয়ালে ঝোলানো শক্তির ছবির শিশ্নটা
লম্বা হতে হতে একেবারে খোঁচা মারে
গতিহীন দীনতার পাঁজরে, বলে, ‘চলে যা ওখানে
এবার, যেখানে রামধনু উঠেছে বৃষ্টির পর।’
সবক’টা মাতাল চমকে উঠে বলে, ‘যেতে পারি, কিন্তু কেন যাব?
যাবার আগে একবার হ্লাদিনীর মুখে চুমো খাব।’
*
সীমান্ত সংবাদ
স্বাধীনতা দিবসে অমৃত মহোৎসব ছিল।
রাজধানী কলকাতা পর্ব শেষ,
এখন বসিরহাট হয়ে বাগদা এসেই ওরা দেখল
সামনে কাঁটাতার
দূরে উড়ছে নিশান পতপত করে,
বাজছে গানের সুর—
‘ঝান্ডা উঁচা রহে হমারা’।
পাশে পটলের খেতে ঝটাপটি, ঝাপটিয়ে ডানা
মাটি আঁচড়ায় পাখি। পাশে কাঁদে ছানা।
সীমা পাহারা দেয়া পতাকা ড্যাব ড্যাব করে দেখে
দেশরক্ষকের উদ্ধত শিশ্নটা
যার গায়ে লেখা আছে বড় বড় করে—
‘ঝান্ডা উঁচা রহে হমারা’।
*
শীতঘুম
মেঘের দেয়াল ভেঙে শীতের দুপুরে
তোমার চুড়োয় সখী
সুখচরী সহচরী
ঘুম ঘুম নিঃঝুম।
বিষাক্ত নিশ্বাসে
তোমার বদ্বীপে সখী
র্যাটেল সাপের ফণা দোলে
রুমঝুম রুমঝুম।
রাত বাড়ে, জল পড়ে
ঝর্নাধারায় সখী
সুখচরী সহচরী
ঝম ঝম ঝম ঝম।
চারদিক ঘুম ঘুম নিঃঝুম।