
ইরাজ জিয়াজির কবিতা
ভালভাষা উৎসব সংখ্যা ২০২৩। এইমুহূর্তে ইরানের জনপ্রিয় কবিদের অন্যতম ইরাজ জিয়াজি। তাঁর লেখা মূল পার্সি কবিতার ইংরেজি অনুবাদ করেছেন আলিরেজা আবিজ। বাংলায় অনুবাদ করেছেন শুভঙ্কর সাহা।
ভালভাষা উৎসব সংখ্যা ২০২৩। এইমুহূর্তে ইরানের জনপ্রিয় কবিদের অন্যতম ইরাজ জিয়াজি। তাঁর লেখা মূল পার্সি কবিতার ইংরেজি অনুবাদ করেছেন আলিরেজা আবিজ। বাংলায় অনুবাদ করেছেন শুভঙ্কর সাহা।
India’s First Bengali Daily Magazine. আমি চাই তুমি এটা জেনে রাখো।// তুমি জানো বিষয়টা এ’রকম:/ যদি আমি তাকাই/ স্ফটিক— চাঁদের দিকে, শরতের লাল লতার পানে/ আমার জানলায়,/ যদি আমি ছুঁয়ে দিই/ ফায়ারপ্লেসের অদেখা ছাই অথবা/ মুচড়ে যাওয়া কাঠের শরীর,/ সব কিছুই আমাকে তোমার কাছে নিয়ে যায়/ তাদের অস্তিত্ব, সুগন্ধ, এই আলো/ যেন ছোট ছোট নৌকার ভেসে যাওয়া/ তোমার দ্বীপভূমিতে যা আমার জন্যই অপেক্ষায় আছে
ভাবতে অবাক লাগে একশো বত্রিশ বছর আগে প্রকাশিত একটি বই এখনও আলোচনার কেন্দ্রে থেকে যেতে পারে। নীতি-নৈতিকতা বিসর্জন দেওয়ার যে অভিযোগকে কেন্দ্র করে ঝড় উঠেছিল একসময় তা থামার লক্ষণ কোথায়! অথচ আশ্চর্য, আর একটিও উপন্যাস লেখেননি অস্কার ওয়াইল্ড। হয়তো অভিমানে, হয়তো প্রয়োজন বোধ করেননি। আসলে তাঁরই তো এই সোচ্চার ঘোষণা— all art is useless.
একদিন রাত্রে রানার ঘড়ঘড়ানি শুনে লাখু উঠে গিয়ে দেখে এল সব ঠিক আছে কিনা। গলার চেনটা আর একটু শক্ত করে দিয়ে এল। ভোরের দিকে রানার তীব্র ঘড়ঘড়ানিতে আবার ঘুম ভেঙে গেল। এবার গিয়ে দেখল রানাও নেই আর খুঁটিটাও নেই। তেলের বাতিটা আর একটু উস্কে দিয়ে খুঁজতে লাগল রানাকে। লাখু দেখল দূরে অন্ধকারে রানা, পরম তৃপ্তিতে এক মোষের সঙ্গে তার শরীর ঘষে চলেছে।
কী সেই ‘পাথর ফুলের ধাক্কা’, যা কাটিয়ে উঠতে না পেরে একদিন আচম্বিতে স্বদেশের ঠিকানা থেকে, কবিতার ভুবন থেকে এবং নিজের থেকেই নিজে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিলেন! সব স্মৃতি ও সত্তা মুছে ফেলে অন্তরালবাসী হয়েছিলেন! কোন অভিমানে ভুলে গিয়েছিলেন ‘জন্ম’ ও ‘যন্ত্রণার কথা’? হারিয়ে যাওয়ার দীর্ঘ দু’দশক পর মিলেছিল তাঁর সন্ধান। তখন তিনি অন্য এক নিভৃত জগতের বাসিন্দা।