Search
Generic filters
Search
Generic filters
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on whatsapp

প্রযুক্তিবিজ্ঞানী রাজেশ্বরী চট্টোপাধ্যায়: শতবর্ষ পেরিয়ে

গতবছরই তাঁর জন্মের একশো বছর পেরিয়ে এসেছি। কর্ণাটকে (তখন মহীশূর) মাইসোরের কাছে নাঞ্জানগাড নামে একটি জায়গায় প্রগতিশীল, শিক্ষিত এবং সংস্কৃতিসম্পন্ন এক পরিবারে রাজেশ্বরীর জন্ম। সেসময়ের আর পাঁচটা পরিবার যেমন, তেমনই একান্নবর্তী পরিবার ছিল। দেখে নেওয়া যাক কেমন ছিল সেই পরিবার। যে কথা পরে রাজেশ্বরী নিজেই লিখেছেন, সেখান থেকেই পড়ে নেওয়া যাক। ‘ইন্ডিয়ান অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্স’ প্রকাশিত ‘লাকি টু বি হোয়ের আই অ্যাম’ শীর্ষক রচনাটি যে বাক্যগুলি দিয়ে শুরু হয়েছে, তা পড়লেই সে কথা জানা যায়। ‘‘১৯২২ সালের জানুয়ারিতে একটি প্রগতিশীল এবং সংস্কারমুক্ত পরিবারে জন্ম হয়েছে আমার। না, রুপোর চামচ মুখে দিয়ে জন্ম হয়নি আমার, বরঞ্চ নিশ্চিতভাবে বলা যায় জন্ম হয়েছিল ‘বই’ হাতে।”

গত বছরই তাঁর জন্মের একশো বছর পেরিয়ে এসেছি।

রাজেশ্বরীর ঠাকুমা, কমলাম্মা দাসাপ্পার কথা উল্লেখ করতেই হয়। তিনি ছিলেন সে সময়ের একজন স্নাতক। ছিলেন একজন সমাজসংস্কারকও। ভারতবর্ষের মেয়েদের বিশেষত কম বয়সে বিধবা এবং দুস্থ মেয়েদের যাতে পড়াশোনা করতে কোনও অসুবিধা না হয়, তার জন্যে তিনি ছিলেন সচেষ্ট। মহিলাদের উন্নয়নের জন্যে নানান উদ্যোগের পাশাপাশি মেয়েদের পড়াশোনা করার জন্যে কমলাম্মা একটি স্কুল স্থাপনও করেছিলেন। ঠাকুমার প্রতিষ্ঠা করা ‘স্পেশাল ইংলিশ স্কুল’-এ রাজেশ্বরীর প্রাথমিক বিভাগের পড়াশোনা শুরু হয়েছিল।

‘সেন্ট্রাল কলেজ অফ ব্যাঙ্গালোর’ থেকে গণিত নিয়ে বিএসসি এবং এমএসসি পাশ করেন রাজেশ্বরী। দুটি পরীক্ষাতেই মাইসোর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রথম স্থান অধিকার করেন রাজেশ্বরী। এরপর Indian Institute of Science (IISc)-এ সি ভি রামনের কাছে গবেষণা করার জন্যে আবেদন করলেন। কিন্তু রাজেশ্বরীর ফিজিক্সে ডিগ্রি না থাকায় রামনের গবেষণাগারে কাজ করার সুযোগ পেলেন না। ড. রামন যেহেতু তাঁর গবেষণাগারে কোনও ছাত্রী নিতেন না, সেই কারণে কেউ কেউ মনে করে থাকেন যে, রাজেশ্বরীর ক্ষেত্রে ‘পদার্থবিদ্যা’ না পড়ার জন্যে নয়, আদতে মেয়ে বলেই তাঁকে নেওয়া হয়নি। যাইহোক, পরে প্রচুর বিতর্কের পরে IISc-এ ইলেকট্রিক্যাল টেকনোলজি ডিপার্টমেন্টে কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয় নিয়ে গবেষণা করার সুযোগ পেলেন রাজেশ্বরী।

ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অফ সায়েন্সের মাইক্রোওয়েভ ল্যাবে রাজেশ্বরী চট্টোপাধ্যায়।

রাজেশ্বরী যে সময়ে লেখাপড়া করেছেন তখন উচ্চশিক্ষার জগতের দরজায় প্রবেশ করা বিশেষ করে মেয়েদের পক্ষে মোটেই সহজ ছিল না। আর বিষয় হিসেবে যদি তা বিজ্ঞান বা ইঞ্জিনিয়ারিং হয়, সেক্ষেত্রে তো শুধু একচেটিয়া ছেলেদেরই অধিকার। তবু লিঙ্গবৈষম্যের আবহের মধ্যেও কমলা সাহানি, আন্না মানি বা এ ললিতা কিংবা বিভা চৌধুরীর মত মেধাবী মেয়েরা বাধার প্রাচীর ভেঙে পথ করে নিয়েছেন এগিয়ে যাওয়ার। সেরকমই আর এক উজ্জ্বল প্রতিভা রাজেশ্বরী চট্টোপাধ্যায়। উচ্চশিক্ষা এবং গবেষণার জগতে তাঁকেও নানান বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছিল। আর সেই অভিজ্ঞতার কারণেই পরবর্তী সময়ে ভারতবর্ষে মহিলা বিজ্ঞান এবং ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়াদের পথচলার রাস্তা মসৃণ করে তুলতে সক্রিয় ছিলেন রাজেশ্বরী। এ বিষয়ে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ নিয়েছিলেন এবং অবদান রেখে গেছেন তিনি।

ব্যাঙ্গালোরে ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অফ সায়েন্স (IISc)-এ ইলেকট্রিক্যাল টেকনোলজি ডিপার্টমেন্টে ‘কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং’ বিষয়ে গবেষণা করেছেন। তখন ১৯৪৬ সাল। ওই সময় পরাধীন ভারতবর্ষে দিল্লি সরকারের অধীনস্থ সায়েন্টিফিক কমিটি রাজেশ্বরীকে ‘ব্রাইট স্টুডেন্ট’ হিসেবে বিদেশে উচ্চশিক্ষা নিয়ে পড়ার জন্যে নির্বাচিত করে। তখনকার সমাজ মেয়েদের একা বিদেশে পড়াশোনা করতে যাওয়াকে ভাল চোখে দেখত না। যাইহোক, ভারতবর্ষ স্বাধীনতা লাভের মাত্র কয়েক মাস আগে জাহাজে করে আমেরিকার উদ্দেশে একা পাড়ি দিলেন তেইশ বছর বয়সের রাজেশ্বরী। আমেরিকায় মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে মাস্টার্স কোর্সে ভর্তি হলেন। ভারত সরকারের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী, আট মাস ওয়াশিংটন ডিসি-তে ‘ন্যাশনাল ব্যুরো অফ স্ট্যান্ডার্ডস’-এ (National Bureau of Standards) রেডিও-ফ্রিকোয়েন্সি বিভাগে হাতেকলমে শিক্ষানবিশ হিসেবে কাজ করতে হয়েছিল। মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচ.ডি ডিগ্রিও অর্জন করলেন রাজেশ্বরী।

স্বামী শিশিরকুমার চট্টোপাধ্যায় ও ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে ল্যাবে কর্মরত রাজেশ্বরী।

কর্নাটক রাজ্যের প্রথম মহিলা ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে রাজেশ্বরী দেশে ফিরে এলেন ১৯৫৩ সালে। ব্যাঙ্গালোরে ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অফ সায়েন্সে (IISc)-র ‘ডিপার্টমেন্ট অফ ইলেকট্রিকাল কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং’ বিভাগে লেকচারার পদে নিযুক্ত হন। ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অ্যান্ড সায়েন্স-এর প্রফেসর শিশিরকুমার চট্টোপাধ্যায় রাজেশ্বরীর পূর্বপরিচিত, তাঁর সঙ্গে কাজও করেছেন আগে। সেই শিশিরকুমারের সঙ্গে বিয়ে হল। বিয়ের পরে রাজেশ্বরীর নামের পাশে যুক্ত হয়েছে চট্টোপাধ্যায় পদবি। IISc-তে ইলেকট্রোম্যাগনেটিক থিয়োরি, ইলেকট্রন টিউব সার্কিট, মাইক্রোওয়েভ টেকনোলজি, রেডিও ইঞ্জিনিয়ারিং-এর ওপর নিবিড় গবেষণা করেছেন। পরবর্তী সময়ে ‘প্রফেসর’ ও ইলেকট্রো কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ‘চেয়ারপার্সন’ হিসাবে নিযুক্ত হয়েছিলেন রাজেশ্বরী। প্রায় তিরিশ বছর এখানে গবেষণা করে একশোটির বেশি গবেষণাপত্র প্রকাশ করেছেন। কুড়ি জন ছাত্রছাত্রীকে পিএইচ.ডি করিয়েছেন। তাঁর নিজের গবেষণার ক্ষেত্র, মাইক্রোওয়েভ এবং অ্যান্টেনা, সেই বিষয়ে ছ’টি বই লিখেছেন।

মাইক্রোওয়েভ এবং অ্যান্টেনা ইঞ্জিনিয়ারিং গবেষণায় রাজেশ্বরী অন্যতম পথিকৃৎ। এই বিভাগে তিনি রেখে গেছেন একাধিক গুরুত্বপূর্ণ অবদান। তাঁর উদ্ভাবিত একাধিক প্রযুক্তি আজও প্রতিরক্ষা এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিভাগে ব্যবহৃত হয়। উপগ্রহ কিংবা বিমানের সঙ্গে যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম ‘অ্যান্টেনা’ বিষয়ক গবেষণা ও উদ্ভাবনার জন্যে এবং বিশেষজ্ঞ হিসেবে রাজেশ্বরী একটি সুপরিচিত নাম। ভারতবর্ষে মহিলা বিজ্ঞানী এবং ইঞ্জিনিয়ারদের পথচলার যে রাস্তা, তা মসৃণ করে তুলেছিলেন তিনিই।

মেধাবী ইঞ্জিনিয়ার ও বিজ্ঞানী রাজেশ্বরী তাঁর গবেষণা ও অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে জীবদ্দশায় দু-তিনটি পুরস্কার পেয়েছেন ঠিকই, তবে তা তাঁর অবদান ও কৃতিত্বের নিরিখে যথাযোগ্য ছিল না। তাছাড়া, সেসময় ভারত সরকারের কাছ থেকে কোনও স্বীকৃতি পাননি। মৃত্যুর পরে ভারত সরকারের ‘ইউনিয়ন মিনিস্ট্রি অফ চাইল্ড ডেভেলপমেন্ট’ তাঁকে মরণোত্তর “one of the country’s first women achievers” হিসেবে সম্মানিত করে।

সত্যি কথা বলতে কী, আজও আমরা অনেকেই রাজেশ্বরী চট্টোপাধ্যায়ের (Rajeshwari Chatterjee, ১৯২২-২০১০) নাম শুনিনি! আজ ২৪ জানুয়ারি, বিস্মৃতপ্রায় রাজেশ্বরী চট্টোপাধ্যায়ের ১০১তম জন্মদিন নীরবে পেরিয়ে গেল। এই মেধাবী প্রযুক্তিবিজ্ঞানীর জন্মদিনে তাঁর উদ্দেশে আমাদের শ্রদ্ধার রজনীগন্ধা সাজিয়ে রাখলাম।

চিত্র: গুগল
5 3 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

Recent Posts

মলয়চন্দন মুখোপাধ্যায়

কবি-কিশোর সুকান্ত: মৃত্যুদিনে শ্রদ্ধার্ঘ্য

শৈশবেই জন্মস্থান কালীঘাট থেকে বেলেঘাটায় চলে আসেন। ওখানকার দেশবন্ধু বিদ্যালয়ে পড়াকালীন হাতেলেখা ‘সপ্তমিকা’ বের করতেন। বরাবর ভাল ফল করতেন বার্ষিক পরীক্ষায়। তবে ম্যাট্রিক পাশ করতে পারেননি, সম্ভবত অঙ্কে কাঁচা ছিলেন বলে। বাংলার তিন বরেণ্য কবি-ই দশম মান উৎরোননি। আর আজ ম্যাট্রিকে এঁদের তিনজনের লেখা-ই পাঠ্যতালিকায় অপরিহার্য! একটি কৌতূহলী তথ্য হল, রবীন্দ্রনাথের প্রয়াণে তাঁকে নিয়ে বেতারে স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন কাজী নজরুল এবং সুকান্ত। তাঁদের পরস্পরের সঙ্গে কি আলাপ হয়েছিল?

Read More »
মলয়চন্দন মুখোপাধ্যায়

বাঙালি রবীন্দ্রনাথ

রবীন্দ্রনাথের মধ্যে হিন্দু-মুসলমান সাম্প্রদায়িকতার বিন্দুমাত্র ভেদাভেদ ছিল না। বিশ্বভারতীতে তিনি বক্তৃতা দিতে উদার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন মুহম্মদ শহীদুল্লাহকে, কাজী নজরুল ইসলাম, আলাউদ্দীন খাঁ, কাজী আবদুল ওদুদকে। গান শেখাতে আবদুল আহাদকে। বন্দে আলী মিয়া, জসীমউদ্দিন প্রমুখকে তিনি কাহিনির প্লট বলে দেন, যেমন দেন গল্পকার প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায় বা মণিলাল গঙ্গোপাধ্যায়কে। সৈয়দ মুজতবা আলী শান্তিনিকেতনে পড়েন তাঁর-ই বদান্যতায়। লালন শাহ্ তাঁর কল্যাণেই পরিচিতি পান ইংল্যান্ড তথা ইয়োরোপে। বঙ্গভঙ্গকালীন সময়ে কলকাতার নাখোদা মসজিদে গিয়ে তিনি মুসলমানের হাতে রাখী পরিয়ে আসেন। বেগম সুফিয়া কামাল, আবুল ফজল, আবুল হোসেনের সঙ্গে তাঁর পত্রালাপ চলে, যেমন চলে হেমন্তবালা দেবী, বুদ্ধদেব বসু বা বনফুলের সঙ্গে। এক অখণ্ড বাঙালিয়ানায় বিশ্বাসী ছিলেন তিনি, জাতপাত, বর্ণ বা ধর্মের ঊর্ধ্বে।

Read More »
মলয়চন্দন মুখোপাধ্যায়

গুড ফ্রাইডে

রাজশক্তি যখন কাউকে বিপজ্জনক মনে করে, যেমন অতীতে সক্রেটিসকে মনে করেছে, তখন তাঁকে বিনাশ করতে যাবতীয় তৎপরতা দেখাতে কুণ্ঠিত হয় না। একথা অনস্বীকার্য, বুদ্ধদেব, হজরত মুহাম্মদ বা যিশু মানবজাতির মৌল একটি পরিবর্তন চেয়েছিলেন। যিশু যা চেয়েছিলেন, তার সরলার্থ রবীন্দ্রনাথ ‘মুক্তধারা’ নাটকে ধনঞ্জয় বৈরাগীর রাজার প্রতি যে উক্তি, তাতে স্পষ্ট করেছিলেন, ‘মানুষের ক্ষুধার অন্ন তোমার নয়, উদ্বৃত্ত অন্ন তোমার’। যেমন রসুলুল্লাহ সুদ বর্জনের নিদান দেন, সমাজে ধনী-দরিদ্রের পার্থক্য ঘোচাতে। এঁরা তাই মানবমুক্তির অগ্রদূত।

Read More »
মলয়চন্দন মুখোপাধ্যায়

সনজীদা খাতুন: শ্রদ্ধাঞ্জলি

সাতচল্লিশ-পরবর্তী পূর্ববঙ্গে বেশ কিছু সাংস্কৃতিক সংস্থা গড়ে ওঠে, যাদের মধ‍্যে ‘বুলবুল ললিতকলা একাডেমী’, ‘ক্রান্তি’, ‘উদীচী’ অন‍্যতম। রাজনৈতিক শোষণ ও পূর্ববঙ্গকে নিপীড়নের প্রতিবাদে কখনও পরোক্ষভাবে কখনও সরাসরি ভূমিকা রেখেছিল এইসব সংগঠন। ‘ছায়ানট’ এমনি আর এক আগ্নেয় প্রতিষ্ঠান, ১৯৬৭-তে জন্মে আজ পর্যন্ত যার ভূমিকা দেশের সুমহান ঐতিহ‍্যকে বাংলাদেশের গভীর থেকে গভীরতরতায় নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি দেশে সুস্থ ও সংস্কৃতিবান নাগরিক গড়ে তোলা। ওয়াহিদুল হক ও সনজীদা খাতুনের মানসসন্তান এই ছায়ানট। মূলত রবীন্দ্রনাথের আদর্শে গড়ে ওঠা সঙ্ঘ, কাজী নজরুলের প্রিয় নামটিকে জয়ধ্বজা করে এগিয়ে চলেছে বহু চড়াই-উৎরাই, উপলব‍্যথিত গতি নিয়ে।

Read More »
মলয়চন্দন মুখোপাধ্যায়

ঢাকায় বিবেকানন্দ: ১২৫ বছর পূর্তি

ঢাকায় এসে খুব বেশি বক্তৃতা দেননি তিনি। সম্ভবত তাঁর শারীরিক অসুস্থতাই তার কারণ। মার্চের তিরিশ তারিখে রমাকান্ত নন্দীর সভাপতিত্বে ঢাকার বিখ্যাত জগন্নাথ কলেজে (বর্তমানে এটি বিশ্ববিদ্যালয়) ভাষণ দেন। বিষয় ‘আমি কী দেখেছি’। শ্রোতার সংখ্যা ছিল দু’হাজার। পরদিন অর্থাৎ ৩১.০৩-এ বক্তৃতা দেন পোগোজ স্কুলে, তিন হাজার দর্শকের সামনে। বক্তৃতার বিষয় ছিল ‘আমাদের জন্মপ্রাপ্ত ধর্ম’। দুটি সভাতেই শ্রোতারা মন্ত্রমুগ্ধ, আপ্লুত ও উদ্বুদ্ধ।

Read More »
সুজিত বসু

সুজিত বসুর গুচ্ছকবিতা

বিলাপ অভিসার জল আনতে চল রে সখী, জল আনতে চল নিভু নিভু আলোর সাজে সূর্য অস্তাচলে শেষবিকেলের রশ্মিমালায় বুকে ব্যথার ঢল লজ্জা আমার আবির হয়ে

Read More »