ইচ্ছেরা
ইচ্ছেরা আসলে এক ডানাওয়ালা পাখি,
ইচ্ছেরা আসলে জাদুপরী এক।
তা নইলে কীভাবে সে রঙিন স্বপ্ন আঁকে।
কীভাবে উড়ে দূর পাড়া গাঁ-দেশে, নিরুদ্দেশে,
কিংবা নরম মাটির গন্ধে—
পাহাড়ি বরফভেজা লতাগুল্ম ছোঁয়,
হরিণের খুরে নতুন দ্বীপের করে খোঁজ,
ইচ্ছেরা শিকল ভাঙে বলেই তো।
***
পায়রা
কার্নিশ ভাঙা নরম রোদ,
সুখ দুলিয়ে দে দোল দোল।
নীল আকাশে কষ্ট উড়ে
শিরায় শিরায় বহ্নি পাগল।
পালক ঝরে, পরাগ ঝরে,
সুখের বাগান দে দোল দোল।
কড়িবরগা গল্প জুড়ে,
ইমারতেরা মূর্তি আদল।
ধান খেয়েছে, সুর ভেঙেছে,
একটু ধুলো ভোরের গান।
ডানায় ডানায় শহর ঘষে,
টেরাকোটা সাম্পান।
এমন দিনে দ্বিপ্রহরে
এক ঝাঁকে সব সূর্য পুড়ে,
মাটির গন্ধ আলাপ করে,
সুখের বাগান।
নীল আকাশে কষ্ট ওড়ে,
ওড়ে মাদল স্নান।
***
ভোর
রাঙা ইংরেজের মত সূয্যি,
তার দীঘল সোনালি চুল উড়িয়ে
চুমু খাচ্ছে সুন্দরী পৃথিবীকে।
ভাবো, ভাবো একবার।
যাকে কিনা গ্রাহ্য করে না কেউ,
যার উপরে উগরে সবাই সমস্ত বিষের ঢেউ,
সেই তাকেই কিনা সুয্যি চুমু খেল।
চুমুর ঘন আভা ছড়িয়ে পড়ল চৌদিকে
আভা ছিটিয়ে এল ঘরের ভেতর,
আভা ছিটিয়ে এল বালিশদ্বীপে,
তখনও আমার মধ্যে শুয়ে একটা আবছায়া শহরতলি,
সঙ্গে শাদা হেডফোন, ভাইব্রেট মোবাইল,
আর ভালবাসার চুল ওড়া কালকের আধখোলা বই।