প্রহর
এই ঘাস শিশিরে সামিল
বিবরণী হলে শুধু ভোরটুকু লেখা
দেখা হবে প্যালেট সকালে
হাতে ব্রাশ নতমুখ তিনি বসা লোক
শাদায় সবুজ আর কুসুম হলুদ
জনারের ছবি আঁকবেন
মনে করে ছাদে ওঠা লতা
এবং সামান্য জলে উন্নাসিক লাল রং গুলে
পাতায় নিহত ফল, ডাল শিরীষের
♠
কথা
আমার ভিতর কখন সে পাখি ডেকে উঠেছে যে উড্ডয়ন ভুল করে বারবার গাছ থেকে হেলে পড়ে যায়। বলে আমি পাখি নই, পাতা, শিরা নয়, কররেখা ধরে আছি যেন কতকাল। প্রকৃতির সূত্রগুলো মানি, কীটদষ্ট, মৃত্তিকায় মাটি হয়ে মিশি।
ডানাগুলো খেয়েছি রঙিন।
♣
মিতালি
হে গভীর শ্বেত, পাঠাও হারানো লেখা
আমার জানালা ভাল নেই
ভোরের বদলে খাকি রোদের সকাল
দরজায় ফাঁকে
কে চায় ফলবিহীন গাছ
রৌদ্র, মেলে দেওয়া গামছায়
সব ঘাম থিতু হয়ে আছে
কে দেবে গোপন খামে লিখে
জলচিঠি, বিছে মেঘ, শেষ জুনিপার
♠
অবসর
এভাবে সে যাবে চলে যে-কোনো দিকেই
খুঁজে নেবে তালশাঁস, ঝিল অভিমুখ
ছবির কথায় যেন রং ভারী হয়
যত ঘাট বুকে ঢেউ মেনে
ডুব দেয়, ভিজে ওঠে দেখায় অনেক
সকলের ডাকনাম স্নান
আড়ালে সে গড়েপিঠে জলের প্রবাদ
♣
চাতক
অযথা নতুন করে পাথরের গুণ করো কেন
ছাতিফাটা দেশ তায় ঘাসগুলো জ্বলে
অসুখে অমিল পাতা, কবিরাজ মরে পুড়ে গেছে
ভাল শুধু এই জল উঠোন মুলুক
চারাগাছে ছিঁটেফোঁটা, বাকিটুকু ঢালি
ভেজা চুলে যতবার লাল মগ স্বয়ং শ্রাবণ
এই কবিতার কাছে কবি বিশ্বস্ত, অন্তত এই পাঠকও তার অংশীদার। আপাত শান্ত শব্দগুলি আশ্বাস দিচ্ছে কোনও, ফিরে ফিরে নিজেদের পড়ে যাওয়ার প্রকৃত মিনতি রচিত, অন্তর্লীন আছে চোরাস্রোত, ও গভীর জলজ অন্য বাস্তবতা। ফিরে আসব আবার, এইসব শব্দের কাছে, নিজেকে যাচাই করতে, ফিরে পড়ব। সত্যিই, জীবন ও প্রকৃত কবিতার কাছেই, আজও কেন মনে হয়, আসল মায়া?
কৌশিকদা, এত যত্ন নিয়ে কবিতা পড়ার লোক কমে গেছে। অনেক ভালোবাসা তোমাকে।