টান
অগণিত তারার চোখের দিকে চেয়ে
মনে হল চাপই সহায়…
তা না হলে উড়েই যেতাম।
নখের আঁচড় খেয়ে কবিতাও সরে যেতে চায়
একটা দুমড়ে যাওয়া বয়সের পরে।
কপালের দোষে আর বাঁধে না লটারি,
তবুও কাটাতে যাই দানা
হলহলে নলের ভিতর দিয়ে সোজা
ঘাই মারে ঘোড়া মারে ঘাই।
২
সমস্ত কঁকিয়ে ওঠা থেমে গেলে নুনে
কথা বলে ওঠে কিছু জল।
জীবাশ্ম আসল থেকে চিরকাল দামি
মণিদের প্রতিটা আসরে।
চকমকি পাথর বিক্রেতা
রঙিন জালের জলে তোমাকে হারায়।
তোমার আয়নাখানি চিড় ধরে গেছে।
রূপার প্রলেপ যেইদিকে
খেয়ে গেছে ধরার ধারণা।
আর কে আমাকে পাবে হিমে?
গজল শোনার অছিলায় রাতে কিছু
জোনাকি তীরের মতো গান গেয়ে যায়।
৩
জেগে থাকবার লোভে কর্নিয়ায় জমে আছে মোম,
তোমার চোখের কালো খেয়ে গেছে বাড়ির প্রদীপে।
ফলে তুমি আমাকে ছুড়েই ফেলে দাও।
না হলে নিজেই আমি ছেড়ে চলে যাব।
ঘুমকে অনীহা করে করে
চোখও পাথর হয়ে গেলে
বাতাসের কাঁধে চেপে আমার নিশ্বাস
তবুও তো শিয়রের বালিশে দাঁড়ায়।
রোজ যাব, রোজ…
যদিও বা কামারের মতো
ধাতু নিয়ে হবে না কারার।
নিশুটে পোকার মতো অনিদ্রায় তুমি
চোখ খুলে বসে নিশিদিন।
হয়তো ঘড়িতে আর বাজবে না দুটোর অ্যালার্ম!
৪
দূরত্বকে আমি গার্ডারের মতো করে
বুঝতে চেয়েছি কোনো ঘরের ভিতরে।
অথচ ঘরের মধ্যে এত এত ঘর হয়ে গেছে
হারিয়েছে ইঁদুরের সঠিক ঠিকানা।
বিড়ালও বিভ্রান্ত প্রায়, কেবল দুধের
খুশবু যেদিক থেকে পায়
সেই দিকে ছুটে যায়
মেও মেও করে।
৫
তোমাকে বলার কিছু নেই
এই খাওয়া চাঁদের সমীপে
রাতকে নির্জন এক দ্বীপ মনে হয়।
কেউ কি ওখানে আছে?
প্যাঁচার গুহার মতো গলিত আঁধারে
একটু একটু করে সরিয়ে দিয়েছ।
কে আর তারাকে বোঝাতে চায়
মেঘের খবর!
আমি ঈশ্বরের মতো কোনো
সুগন্ধি নই যে হাওয়ায় হারিয়ে যাব।
জন্তুর মতন খিদে নিয়ে পেটে বুক
তোমার ঘৃণার মুখে পাতিয়ে দিয়েছি।
ত্রিসপ্ত জ্ঞানের ধারণায় দেহ
দেহীকে করেছে সুতো দান।
এখন সে সুতোয় এত টান!
বলির পাঁঠার মতো জেদি
হয়তো পটাশ করে সম্পর্ক চুকিয়ে দিল হায়।
ভালো লাগল