কজরি
নিজেই নিজের টুঁটি কামড়ে ধরতে
চেয়েছি এ মধ্যরাতে কিন্তু
বেইকুফ আমি জানিই না রাত
তার নাভিমূল কোথায় রেখেছে; অসময়
আমাকে শকটে তুলে ছুড়ে দেয়
যে অলঙ্ঘ সরোবরে, তার জল
দৈবী অভিশাপে শুকিয়ে গিয়েছে
জলস্পর্শহীন সংক্রান্তির এই ব্রিজ একা বিষাদিত আর
রাত্রির পাখিরা বোঝে রাত, টুঁটি, সরোবর
সমাচ্ছন্ন হলে বৃষ্টি নামে; মাতাদোর
বৃষ্টিদের জড়ো করে কজরিতে ঢুকেছি, তত বদ্রা সঁইয়া ঘন্ঘোর মিতুয়াদি শব্দেরা শববাহী নৌকো হয়; ভাসে হৃদিতে; মল্লার
যদি চাও রতিশুদ্ধ মেয়েটিকে ডাকো
সে-ই জানে টুঁটি ছেঁড়ার রহস্য, জানে
বর্ষালিপ্ত চাঁদ কতভাবে পোড়ায় আকাশ
পোড়া অঙ্গারের হয়ে আমি
সব মিথ পার হই
সাত্ত্বিক ঘুমন্তে ঢুকি, বৃষ্টি
মেঘের হাড়গোড়ে
ভরে দেয় স্বপ্নের চতুর্থ কোঠা
চাঁদের মেয়েলি রক্তে
ভেসে যায় তেতলার ব্যর্থ বেডরুম